কালবৈশাখী
কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কালবৈশাখীর আঘাতে যশোরের শার্শা উপজেলার আম চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
ঝড়ের কারণে ওই এলাকার আমের বাগান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর আমের বাগানের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ১৪০টি ছোট-বড় আম বাগান রয়েছে এবং প্রায় সব বাগানই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আম চাষিরা এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন, কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
আম চাষি জাফর শেখ কালবৈশাখীর কারণে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বাগুড়ি গ্রামের দিলবার জানান, এ বছর আমের ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল এলাকার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝরে পড়া আম বাগানগুলোকে কার্পেটের মতো ঢেকে দিয়েছে।
ফলে বেশিরভাগ বাগানই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বোরো ধান খেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৮ মে) ভোর চারটার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। যা প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলমান থাকে। এতে কালবৈশাখী তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক মেসবাহুল জানান, ভোররাতে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসত ঘর ভেঙে পড়াসহ বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও এলাকার কয়েকটি স্থানে গাছ বৈদ্যুতিক তারের ওপর উপড়ে পড়া ও বৈদ্যুতিক সিড়ি পরে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে রয়েছেন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বলেও তিনি জানান।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাহাদাত মো. বজলুর রহমান বলেন, ভোররাত চারটার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এবং ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১শ’ একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান খেত হেলে পড়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বসতবাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সেগুলো মেরামতে কাজ করছি আমি, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঝড়ে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা ‘উন্নত’
এই সপ্তাহে কালবৈশাখী এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঈদের ছুটির কারণে ঢাকার বাতাসের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১২ টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এ ৮৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের সঙ্গে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ঢাকার একিউআইকে 'মধ্যম' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, দুবাই এবং চিলির সান্তিয়াগো যথাক্রমে ১৮০, ১৭২ এবং ১৬২ স্কোর সহ তালিকায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ঠাকুরগাঁওতে কালবৈশাখীর আঘাতে নিহত ১, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলায় শুক্রবার মধ্যরাতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ কালবৈশাখীর আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রচন্ড ঝড়ে জেলার বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়েছে।
নিহত সঞ্জয় কুমার মন্ডল (২৮) জয়পুরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, দুই ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে জেলায় ১২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির বোরো ধান, পাট, ভুট্টাখেত নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
প্রবল বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি প্রায় ৪০ মিনিট ধরে স্থায়ী ছিল। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ভুট্টা, বোরো ধানসহ আম ও লিচু গাছের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা মাঠ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করার চেষ্টা করছেন।
নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা জানান, ঝড়ে একটি ভবনের টিনের ছাদ উড়িয়ে কলেজের প্রধান ফটকের ওপরের অংশ ভেঙে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাকে জানানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
কালবৈশাখী: শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ফেরি সচল
কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীদের ফেরিতে করে পারাপারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মাইকিংও করা হয়েছে। ঘাটে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লঞ্চে উঠা যাত্রীদের ফেরিতে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক ও মাওয়া সহ-বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, কাল বৈশাখীর আশঙ্কা ও শিমুলিয়া নদী বন্দর অভ্যন্তরীণ নৌপথে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত বলবৎ থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম।
এই দুই নৌপথে ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছিল। ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করলেও ঈদের কারণে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুক্রবারও রাত ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ৬টা থেকে আবার চলাচল শুরু করে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: বরিশাল লঞ্চঘাটে যাত্রী কানায় কানায় পূর্ণ
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
কুড়িগ্রামে ঝড়ে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলা সদরের শিবেরডাঙ্গী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুফিয়া বেগম (৪০) একই এলাকার দুলাল মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
চর রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা জানান, শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে সুফিয়া বেগমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত চক্রবর্তী জানান, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান ইউএনও।
মেহেন্দীগঞ্জে ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে নিহত ২
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর চাপা পরে শ্বশুর ও পুত্রবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঝড়ে ১৫/২০টি বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৃতরা হলো, রুস্তম আলী হাওলাদার (৭৫) ও তার পুত্রবধূ জয়নব বিবি (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামদু বেপারী জানান, রুস্তম আলী হাওলাদার পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের মিয়ারচর এলাকায় থাকতেন। নদী ভাঙনের কবলে পরে সে পরিবার নিয়ে আলিমাবাদের গাগুরিয়ায় নতুন করে ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলে গাগুরিয়া গ্রামের ১৫ থেকে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। নিজ ঘরেই চাপা পরেন রুস্তম ও তার পুত্রবধূ জয়নব। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হুমায়ুন কবির নামে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।
দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
বরিশালে হোটেল থেকে মাছ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি স্পিডবোট কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আনিকা নামের ১২ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায় বলে জানিয়েছেন গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপের গুপ্তছাড়া ঘাটের কাছাকাছি গেলে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট কাত হয়ে ডুবে যায়। আর স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল। ১৮ জনকে উদ্ধার করা হলে তাদের মধ্যে আনিকা নামের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, সন্দ্বীপে গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে একটি স্পিডবোট মিসিং আছে শুনে অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছে বা কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তা এখনও জানি না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৭
ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে কাঞ্চননগর ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝরঝরি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রীনা আকতার (৪০) ওই এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী।
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। রিনা বাড়ির পাশের একটি জায়গা থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এসময় একটি গাছ ভেঙে তার মাথার উপরে পড়লে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৭
ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড
ঢাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীতে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।
হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে শহরের কিছু অংশে পানি জমে যায় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও স্কুলগামীরা।
ঢাকা ছাড়াও রংপুর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
সারাদেশে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, গত মধ্যরাতে রংপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, হাতিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী নিম্নাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ৭ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস