ইন্টার্ন
রমেক পরিচালকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসানের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিক্ষোভ শেষে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। এসময় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন দুপুর ১২ টায় পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. কিশোর হাসান জানান, ২৬৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। অথচ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই, পরিচয়পত্র নেই। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দকৃত হোস্টেলে থাকার জন্য বেড, বিছানা ও পানির ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে অনেকবার পরিচালকের কাছে তুলে ধরলেও কোনো সুরাহা না করে উল্টো খারাপ আচরণ করে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। আমরা এসবের দ্রুত সমাধান চাই।
এসময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীন ইসলাম জানান, পরিচালক দায়িত্বে আসার পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে লাগামহীন দুর্নীতি করছেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চাকরিচ্যুত হুমকি দেন। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, এরমধ্যে অপসারণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।
আরও পড়ুন: রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
এদিকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান কার্যালয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আ.ম. আখতারুজ্জামান বলেন, তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা অভিযোগের বিষয়গুলো দেখছি। পরিচালক স্যারের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. রাকিবুল হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক ডা. কিশোর হাসান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির (১৬-২০) সভাপতি শাহীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়নসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
রংপুরে মাইগ্রেশনের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় মেডিকেল কলেজের ডরমেটরিতে থেকে লাশটি উদ্ধার করেন তার সহকর্মীরা।
মৃত ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ২৪ ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আজাদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, গতকাল রাতে সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ মুহুর্তে ঠিক বলতে পারছি না কি কারণে আত্মহত্যা করেছে। তবে আমরা তদন্ত করছি। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক। তারপর হয়তো এই চিকিৎসকের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা পাবো।
ওসি আরও জানান, ওই কক্ষ থেকে 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়' লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।
এদিকে সহকর্মীরা জানান, নিহত চিকিৎসক ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া একা থাকতেন। দরকার না হলে কথা বলতেন না কারও সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আবারও ৭২ ঘণ্টার (তিন দিনের) কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন।
আরও পড়ুন: রামেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে রাবি প্রশাসন
এছাড়া কর্মবিরতি চলাকালে প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএর সাধারণ সম্পাদক নওশের আলী, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মামলা রেকর্ড করে তিনদিনের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন ডা. ইমরান।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে যান। এরপর দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রাবির শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাত ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সবাই একযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে শুক্রবার সকাল থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। এ সময় হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
শুক্রবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেন ইন্টার্নরা। তবে মামলা রেকর্ড না হওয়া এবং কাউকে গ্রেপ্তার না করায় নতুন করে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ঢামেক ইন্টার্নের ওপর হামলা: সহপাঠীদের মানববন্ধন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে করা এই মানববন্ধনে ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।
ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা.মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, ‘এই ঘটনা নতুন নয়, কারণ আমরা প্রায়ই এই ধরনের হামলার সম্মুখীন হই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আমরা ধর্মঘটে যাব।’
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ডা. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধর করে।
ডা. সাজ্জাদ হোসেনতার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আমি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরা) কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাকে আমার পরিচয় ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে থাকে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে তাদের জানালে তারা আমার আইডি কার্ড পরীক্ষা করতে চায়। ওই মুহূর্তে আমি আমার পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত
ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা। একই সাথে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকটি ওসমানী মেডিকেল কলেজের হল রুমে আয়োজিত হয়। এতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল মোন্তাকিম চৌধুরী বলেন, মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বাড়াতে প্রশাসন দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে সাত দিনের মধ্যে সব আসামি গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে আবার আন্দোলনে নামবো।
এর আগে, বুধবার মধ্যরাতে শাহপরান এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত সোমবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলার আরও দুই আসামি সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে বুধবার দুপুরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বহির্বিভাগসহ ওসমানী হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। বুধবার বিকেলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে দুপুরের দিকে ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সড়ক অবরোধ করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১ আগস্ট সোমবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু হয়।
মঙ্গলবার পুলিশ, হাসপাতাল প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় ওসমানী হাসপাতালের জরুরি ও হৃদরোগ বিভাগ ছাড়া সকল বিভাগে কার্যক্রম বন্ধ রাখেন ইন্টার্নরা।
পড়ুন: রোগীর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত
দুই মেডিকেল ইন্টার্নের ওপর রোগীর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার রাতে ধর্মঘট শুরু করেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা, মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে।
মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র অমিত হাসান সানি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে আমরা আমাদের ধর্মঘট স্থগিত করেছি।
তিনি জানান, তবে স্থগিতাদেশ দুপুর ২টা পর্যন্ত কারণ প্রশাসন হামলার দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা এ বিষয়ে মামলা করবে এবং জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
সানি বলেন, কর্তৃপক্ষ মেডিকেল ইন্টার্নদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে দুপুর ২টা থেকে আবার ধর্মঘট শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোগীর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হামলায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট-৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদ হাসান রাব্বি ও তার সহযোগী এহসান আহমেদ।
আহত ইন্টার্ন রুদ্র নাথ ও নাইমুর রহমান ইমন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর জের ধরে সোমবার রাতে রোগীর স্বজনরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে।
আরও পড়ুন: সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সোমবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক তাদের সেবা বন্ধ রাখেন এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন। তারা হাসপাতালের সব গেট বন্ধ করে সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে।
চমেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার থেকে কর্মবিরতির কারণে কোনো ওয়ার্ডে যোগ দেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচ জন আহত হন। এর মধ্যে চমেকের ৫৭ ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান এবং ডাক্তার ওসমান গনি। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হন। এর জের ধরে বুধবার থেকে কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে করোনাকালীন এ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসা হাসপাতালের রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চমেক ছাত্রলীগের নাছির ও নওফেল গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বৈঠকে বসেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিএমপির উত্তর বিভাগের ডিসি এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই বৈঠক অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে। ফলে কর্মবিরতি চলবে বলে জানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়শনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান অয়ন বলেন, ‘আমরা স্যারদের সাথে বৈঠকে তিনটি দাবি দিয়েছি। তারা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি। তাই আমরাও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ধুনটে ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে কোনোটাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেয়নি। এনিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল প্রশাসনের মধ্যে একটি বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি।
সিলেট রাগীব-রাবেয়ায় ইন্টার্নরা কর্মবিরতিতে
সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নরা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন।
করোনাভাইরাস: প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় কর্মবিরতিতে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্নরা
প্রয়োজনীয় পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ইন্টার্নরা রবিবার দুপুর থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।