পঞ্চগড়
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।
করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে পৌঁছেছে।
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদী ও দিনাজপুর জেলার আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে সোমবার সারা দিনে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে নিখোঁজের সংখ্যা ৪০ জনে নেমে এসেছে।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রে (কন্ট্রোল রুম) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিপংকর রায় জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে ২৫ জন নারী, ১৩ জন শিশু ও ১২ জন পুরুষ রয়েছে।
এদের মধ্যে ৭ জনের লাশ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
কন্ট্রোল রুম, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বের করতে ভোর থেকেই করতোয়ার দু’পাড়ে মানুষ আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসা মানুষের ভিড়ও ছিল লক্ষণীয়। ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযানে আধুনিক যন্ত্রপাতির স্বল্পতায় স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। একপর্যায়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ নদীতে নেমে পড়েন। তারা নদীতে মানববর্ম (মানববন্ধনের মত করে) নদীতে নেমে লাশ খুঁজতে থাকে। অনেকে লাঠি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় নদীর এপার থেকে ওপার খোঁজাখুজি শুরু করে। দুপুরের পর থেকে একে একে বিভিন্ন এলাকায় লাশ ভেসে উঠতে থাকে।
একেকটা লাশ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ পরিচয় খুঁজতে সেখানে ভিড় করে। ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খুঁজতে থাকে স্বজন হারানো মানুষেরা। মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ছবিসহ নিখোঁজদের ছবি টানিয়ে দেয়ার স্থানে শত শত মানুষ স্বজনদের দেখতে ভিড় জমান।
দুর্ঘটনার পর পরই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া, ঘাট ইজারাদারের অবহেলা, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অবহেলার কারণেই মূলত এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। শৃঙ্খলা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হলে এ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যেত।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আমরা উদ্ধার অভিযান নিবিড়ভাবে পরিচালনা করছি। গত দু'দিনে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫০টি লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম জানান, অধিকাংশ মানুষের মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করতে পারবো। ইজারাদারের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত, আহতসহ সকল ব্যক্তিকেই আমরা বিভিন্নভাবে সেবা ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে ট্রলারডুবি: ৮ লাশ ভেসে উঠলো দিনাজপুরে
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু ও ছয় নারীর লাশ সোমবার দিনাজপুরের আত্রাই নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জেলার খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলার নদীতে লাশগুলো ভেসে আসে।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় জানান, সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত আত্রাই নদী থেকে এক শিশু ও চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘লাশগুলোর মধ্যে চারটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, একই সময়ে আত্রাই ও ঢেপা নদী থেকে এক শিশু ও দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ের বোদা এলাকায় ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার। এরপর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি আমরা।’
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
মেঘনায় পণ্যবাহী ট্রলারডুবি, মাঝি নিখোঁজ
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
মৃতদের একজন কবিতা রানী (৫০)। বাকিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও সাত শিশু রয়েছে।
পঞ্চাগড় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মহাবুবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
জানা যায়, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
গতকাল নদী থেকে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে। কমপক্ষে ১০জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিহতেদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিতে কমপক্ষে ৬০-৭০ জন যাত্রী ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
জানা যায়, জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
আহতদের উদ্ধারের পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী ট্রলারডুবিতে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মুত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল।
এছাড়াও মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর পদ্মায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৩
নৌকাডুবি: সুনামগঞ্জের হাওরে নিখোঁজ ২ কৃষক
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেরুল ইসলাম সাগর (১৬) নামে এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার কালীগঞ্জ মাটিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাগরের বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি কালিচরণ গ্রামে। সে ওই গ্রামের মজিবুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
জানা যায়, সাগর বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে বাসা থেকে অটোতে করে দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এমপি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাচ্ছিল। এসময় ঢাঙ্গীরহাট-কালীগঞ্জ সড়কের মাটিয়ারপাড়া এলাকায় একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে অটোটি উল্টে যায়। এতে গুরুতর আহত সাবিরুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৭/৮ জন সহপাঠীসহ সাগর অটোতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঢাঙ্গীরহাট-কালীগঞ্জ সড়কের মাটিয়ার পাড়া এলাকায় পৌঁছলে একটি ছাগল সড়কের ওপর উঠে আসে। এসময় অটোচালক পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোটি সড়কে উল্টে যায়। স্থানীয়রা সাগরকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক ডা. আফিয়া ফারজান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, সাগর কালুরহাট কেসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
ওসি জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
পঞ্চগড়ে মাটি চাপা পড়ে পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটিচাপায় ৩২ বছর বয়সী এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত ফারুক হোসেন ময়নাগুড়ি গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে জুতার কারখানায় আগুনে পুড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ফারুকসহ আট জনের একটি দল করতোয়া নদীতে পাথর উত্তোলন করতে যায়। নদীর কিনারায় ডুব দিয়ে পাথর তোলার সময় মাটি চাপা পড়ে ডুবে যায়। ফারুক উপরে না উঠায় তার সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। তারা নদীর পানিতে ডুবন্ত ফারুকের লাশ অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ওসি জানান, এলাকাবাসী বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
হালচাষকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে তীরধনুক নিয়ে সংঘর্ষ: আহত ৩
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীয় জমিতে হালচাষকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতখামার গ্রামে সংঘর্ষের এই ঘটনায় আহত দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- একই এলাকার সমিজউদ্দিনের ছেলে মনসুরুল হক (৭০), তার ছোট ভাই বাবুল হক (৫০) এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈয়দ আলী (৬৫)।
আরও পড়ুন: বরিশালে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের মিজানুর রহমান গংদের সঙ্গে টিপু সুলতান গংদের একশত একর জমির মধ্যে একশত বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিজানুর রহমান গংরা ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ শুরু করলে টিপু সুলতান গংরা বাঁধা দেয়। এসময় বাঁধা উপেক্ষা করে হালচাষ অব্যাহত রাখলে টিপু সুলতান গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও তীর ধনুক নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলায় মিজানুর রহমান গংদের তিনজন আহত হন এবং দুটি ট্রাক্টর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে আটোয়ারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. হাসান আলী (২৫) আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে এবং পেশায় চা শ্রমিক।
এর আগে আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম (২০) ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে আটোয়ারী উপজেলার পূরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে প্রেমিক হাসান আলী, রাজু ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. সবুজ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল,নজরুল ইসলাম ও অমর মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাত জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ হাসানের বন্ধু রাজু ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
পঞ্চগড় সদরে চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতারকের বাড়িতে লাশ রেখে অনশন করছে এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্তসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদরাসার তৎকালীন সভাপতি হোটেল ব্যবসায়ী জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
২৫ দিন আগে জাকিরুলের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধান আবারও জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে নিজের বাড়ি গিয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ৭ আগস্ট দবিরুল আবারও স্ট্রোক করলে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাসায় গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।