পঞ্চগড়
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ক্যাবল লাইন শ্রমিকের মৃত্যু
ডিস (ক্যাবল) লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ক্যাবল লাইন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনবাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত উজ্জ্বল হোসেন (২৭)এর বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উজ্জ্বল বিদ্যুতের খুঁটির উপর উঠে ডিস লাইনের সংযোগের কাজ করছিল। আকষ্মিক তার হাত বিদ্যুৎ লাইনের সাথে স্পর্শ হলে সেখানে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সে পুকুরে পড়ে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ডিস লাইনের এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু
একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে বিএনপি জামায়াত জোটের প্ররোচনায় একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সরকারের উন্নয়ন ও মানুষের নিরাপদ জীবন-যাপন বিনষ্ট করতে বিএনপি জামায়াত জোটের প্ররোচনায় একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বোদা পৌরসভা চত্বরে পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তাজুল ইসলাম বলেন, পল্লী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পড়ুন: কুমিল্লায় সহিংসতা: আহত একজনের মৃত্যু
অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই অসাপ্রদায়িক চেতনাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্পীতি রক্ষা করতে হবে। শুধু হিন্দু মুসলমানই নয়, আমরা সবাই বাঙ্গালি, মুক্তিযুদ্ধের এই বাণীকে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা ও বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আসকের
রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধ
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বড় ভাই ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. কামরুজ্জামান কামু এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর ছোট ভাই মো. শেখ কামাল আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দুই ভাই-ই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। আপন দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ চলছে। ফলে কেউই কাউকে ছাড় দেয়নি। একই পরিবার থেকে দুই ভাই প্র্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া প্রতিবেশিরা।
কামরুজ্জামান কামু জানান, তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। গতবারও তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ৬৩ ভোটে পরাজিত হন।
তিনি বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকাবাসীর চাপে এবারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’
ছোট ভাই প্রার্থী হবে বিষয়টি পরিবারের কারও সাথে আলোচনা করেননি বলে তিনি জানান।
পড়ুন: ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা: মানিকগঞ্জে আ’লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
অপরদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী মো. শেখ কামাল জানান, দলীয়ভাবে আমাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক পাব এবং আমি নির্বাচনে প্রার্থী হবো এ বিষয়টি আমি তার কর্মী সমর্থকদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও তিনি প্রার্থী হয়েছেন।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন জানান, এ ইউনিয়নে দুই ভাই ছাড়াও ৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার ৯ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৬০০ এবং নারী ভোটার ৪ হাজার ৫২৬ জন। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পড়ুন: মাগুরায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ: ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
এক ঘণ্টার ইউএনও সাদিয়া!
সাদিয়া বিনতে আওলাদ নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সোমবার (১১ অক্টোবর) পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে কন্যা শিশুর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওই শিক্ষার্থী।
নারী শক্তির ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন, নারী ও শিশুর ক্ষমতা অধিকার সম্পর্কে অবগত করা ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এক ঘন্টার জন্য ইউএনও’র পদ টেক অভার করা সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। একই সাথে এক ঘন্টার জন্য তার অধীন হয় পুরো সদর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় অহনা বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন ও নিপীড়নসহ নারী সহিংসতা রোধে আলোচনা, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্য সম্পাদনসহ তদারকি করেন এবং উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে নারী বান্ধব করতে ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরেন। প্রতীকি দায়িত্ব পাওয়া ইউএনও’র সুপারিশগুলো আমলে নেয়ার আশ্বাস দেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন।
জানা যায়, প্রতিকী নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া স্কুল ছাত্রী সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়লের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং সে চাইল্ড পার্লামেন্ট পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্য।
আরও পড়ুন: একদিনের সুইডিশ রাষ্ট্রদূত রুনা !
এক ঘন্টার প্রতিকী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন, ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) এর ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার মারুফ হাসান আবির, ওমেন্স ভলেন্টিয়ার নিশাত পারভিন নিশিসহ উপজেলার বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা জানান, আমি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী বান্ধব উপজেলা গড়ে তোলা, নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। কন্যা শিশুর গুরুত্ব দিয়ে অহনা জানান, নারীরা সকল কাজে পারদর্শী তা প্রমাণ হয়ে গেছে। নারীরা সমঅধিকার পেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, ‘নারীর অবদান এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। আজকের তরুণ প্রজন্ম ও নারীরাই একদিন দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমরা নারী বান্ধব উপজেলা ও নারীর সংহিংসতা রোধে কাজ করবো এবং স্কুল ছাত্রীর সকল সুপারিশ আমরা বাস্তববায়ন করার চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: একদিনের মেয়র বৈশাখী!
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ
কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
পঞ্চগড়ে কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। আহতাবস্থায় শিশুসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধূ লায়লার (২৬) বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকায়। সে ওই এলাকার উমেদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীর সাথে মোবাইলে ঝগড়া করতে করতে আড়াই মাস বয়সী কোলের শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন লায়লা। ট্রেনটি ছাড়ার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটনাটি ঘটনায় আকস্মিক ট্রেনটি থামিয়ে দেন ট্রেনের চালক। তারপরও ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ওই গৃহবধূ। এসময় কোলে থাকা শিশু বেবীও রেল লাইনের উপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত শিশু বেবীসহ ওই গৃহবধূকে কমলাপুর রেললাইন থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আল আমিন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এমন ঘটনাটি ঘটে। পরে চালক দ্রুতই ট্রেনটিকে থামিয়ে ফেলেন। এময় ট্রেনের স্পিড (গতি) কম ছিল এজন্য থামানো সম্ভব হয়েছে। তারপরও ওই নারী ট্রেনের ইঞ্জিন এসে ধাক্কা খান। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনকে ডাকলে তাঁরা এসে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর সঙ্গে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাঁর স্বামীসহ স্বজনেরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসে। তার স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্দ্যেশে যায়। তবে স্বামীর সঙ্গেই ঝগড়া-ঝাঁটি করে অভিমানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে ব্যক্তি নিহত, আহত ৪
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় বজ্রপাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উপজেলার রাধাঁনগর ইউনিয়নের রসেয়া দুর্গামন্দির এলাকায় সোমবার রাতে এ ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন।
নিহত রঞ্জিত বর্মন (৩০) ওই এলাকার ভূজেন বর্মনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চিলমারীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
আহতরা হলেন-একই এলাকার কালকাটু বর্মনের ছেলে গণেশ (৪৫), কানাদুরু চন্দ্রের ছেলে কুলিন (৪৫), বিরেন্দ্রনাথের ছেলে পরিতোষ (৩২) ও প্রেমোহরি বর্মনের ছেলে ভবেশ (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজারউদ্দীন জানান, দূর্গামন্দির এলাকায় দুটি চায়ের দোকানে রঞ্জিতসহ চার জন চা খেয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। আকষ্মিক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রঞ্জিতকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে ভবেশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্যরা আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো হুমায়ূন কবীর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চগড়ে শিশু ও নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক
পঞ্চগড়ে দুই পরিবারের ৬ শিশু, নারীসহ দুই পরিবারের ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
আটকরা হলেন, মো কবির হোসেন (২১), তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম (২০), তাদের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া (১), মো ফয়জুল ইসলাম (৩৯), তার স্ত্রী মোছা রেনু আরা বেগম (৩০), তাদের ৫ সন্তান দ্বীন ইসলাম (১৫), উম্মে হাবিবা (১২), উম্মে কুলসুম (৯), উম্মে হারেজা (৬) নজরুল ইসলাম (৪) এবং ফয়জুলের চাচাতো ভাই আবু তাহের (২০)।
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
বিশ্বস্ত একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, এই রোহিঙ্গা সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পঞ্চগড়ে এসেছেন। হানিফ এন্টারপ্রাইজের চট্টগ্রামগামী গাড়িতে তারা চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য টিকেট কেটেছিলেন। বিকেল ৩টায় গাড়িটি পঞ্চগড় থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ বলছেন, তারা কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে পঞ্চগড় এসেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৭৪ রোহিঙ্গা আটক
পুলিশ জানায়, ওই দুটি পরিবারের ৬ শিশু ও নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্য ধাক্কামারা এলাকার হানিফ কাউন্টারে আসে। পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা পালিয়ে পঞ্চগড়ে এসে বসতি গড়েছিল। পরে তারা সবাই কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য হানিফ কাউন্টারে আসে। ডিএসবি পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হন তারা রোহিঙ্গা।
আরও পড়ুন: সাগরে নৌকাডুবি: ১১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া ৬ শিশু, দুই নারীসহ ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা সদরের নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার ডেলিভারির পর শুক্রবার বিকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃত স্মৃতি আকতার (২৪) বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ভক্তেরবাড়ি গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী।
জানা গেছে, আনিসুর রহমান ঢাকায় থাকেন। গর্ভাবস্থায় স্মৃতি বেগম তার বাবার ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বড় বালিয়া বগুড়াপাড়ার বাসায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
শুক্রবার বিকালে স্মৃতি আকতার তার মাকে নিয়ে নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে সিজার করার কথা বলেন। বিকালে সিজারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে স্মৃতি আকতারের পেটে ব্যথা, বমি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় গেলে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্মৃতি আকতারকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘নিরাময় ক্লিনিকে সিজার করার পর এক প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে চিকিৎসক-নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
এদিকে, নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জল সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন বলে জানা যায়। এমন কি স্মৃতি আকতারের মেজ চাচা আব্দুর রাজ্জাককে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মধ্যস্ততা করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে ক্লিনিকের মালিক উজ্জল সরকার ও গাইনি চিকিৎসক ডা. এম আর রেজার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
রাগের বশবর্তী হয়ে তালাক দেয়ার পর হিল্লা বিয়ে না দিয়ে আবার বিয়ে করায় সমাজচ্যুত হয়ে এক ঘরে হয়ে থাকা আয়নাল হক ও জমিরন বেগম দম্পতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিত জীবনে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আয়নাল হকের বাড়িতে এই দম্পতি একসাথে বসবাস শুরু করেছে। তাদের বাড়িতে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে ছলিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় সমাজের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ওই দম্পত্তির ওপর সকল প্রকার বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ভুক্তভোগী আয়নাল হক জানান, কয়েক মাস আগে নিজেদের মধ্যে রাগারাগি হয়ে দুইজনই মৌখিকভাবে তিন তালাক দেন। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা এক মাওলানার মাধ্যমে আবার বিয়ে করেন।
কিন্তু স্থানীয় মুফতি হাফেজদের কথায় এলাকার প্রভাবশালীরা তার স্ত্রীকে হিল্লে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। হিল্লার জন্য পাত্রও ঠিক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ দম্পতির সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিতে নির্দেশ
হিল্লে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত দুই থেকে তিন মাস ধরে তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া এই দম্পতিকে। এমনকি নিজের সন্তানদেরকেও বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আয়নাল বলেন, আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঈদে এক টুকরো কোরবানির মাংসও মিলেনি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী আমির চাঁন আমার বাড়ির চলাচলের রাস্তাও কেটে দিয়েছে। সামাজের ভয়ে কেউ আয়নালকে কাজেও নেয়নি। দুইতিন মাস তাদের বেকার হয়ে খেয়ে না খেয়ে বাড়িতেই কাটাতে হয়েছে।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য সামাজপতিদের দ্বারে দ্বারে সহানুভূতি চেয়ে অনুরোধ করলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন।
তিনি জানান, অবশেষে চেয়ারম্যানের পরামর্শে জরিমন বেগম- হাফেজ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী, নাসিরউদ্দিন, আমির চাঁন, জুলহাস, সহিদ আলী, রাসেল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, মুফতি আনোয়ার হোসাইন, সুরমান আলীর নামে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানি না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেছিলাম। কেউ আমার কথা শোনেনি। পরিবারটি আমার কাছে গেলে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান, ওই এলাকায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ধর্মান্ধ কিছু মানুষ রয়েছে। তারা একটি হিল্লে বিয়েকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও ফতোয়াদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ যদি অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের নিয়ে ছলিমনগর স্কুলে বৈঠকে বসেছিলাম। কোরআন হাদিসের আলোকে তালাক কিভাবে হয় বা হয় না এ বিষয়টি উপস্থিত সকলকে বুঝাতে পেরেছি। বৈঠকে উপস্থিত সকলেই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এরপর আমরা ওই দম্পত্তিকে সমাজে ফিরিয়ে দিয়েছি
সেচ পাম্পের সুইচে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
পঞ্চগড় সদরে সেচ পাম্পের সুইচ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লক্ষনমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সুনীল চন্দ্র রায় (২৮) ওই গ্রামের নবান্ন চন্দ্র রায় ওরফে নবানুর ছেলে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাবুল জানান, রোপা চারা লাগাতে জমি প্রস্তুতির জন্য পানি দিতে সুনীল বাড়ির পাশে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে যায়। পাম্পের সুইচ দেয়ামাত্রই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে হুমায়রা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।