উপনির্বাচন
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন বর্জন করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল
অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া নির্বাচন বর্জন করেছেন।
আজ (সোমবার) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর তরিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
ঢাকার বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে 'বাধা' দেওয়ায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
তিনি দাবি করেন, ‘আমার কোনো এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রের বাইরে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, এমনকি পুলিশও আমার লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে।’
ঢাকা-১৭ আসনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন ঢাকার কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র বলছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা-১৭ আসনে ৮৫৩টিসহ ১ হাজার ৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি মহাপরিচালক এ.কে.এম হুমায়ুন কবীর এবং আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দু’টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং সাত জেলার সাতটি পৌরসভার নির্বাচন সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং কোনো বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী।
চলতি বছরের ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এমপির মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে আসনটি শূন্য হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫,১৮,১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
১ জুন নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
সোমবার সাতটি পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চাঁদপুরের ছেংগারচর, যশোরের বেনাপোল, চট্টগ্রামের দোহাজারী, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ।
পৌরসভাগুলোর মধ্যে ভান্ডারিয়ায় ২২ হাজার ৪১৫ জন, ছেংগারচরে ৩৩ হাজার ৩৩৬ জন, দেবিদ্বারে ৪৪ হাজার ৫০৯জন, বেনাপোলে ৩০ হাজার ৩৮৫জন, দোহাজারীতে ৩৩ হাজার ৫৮৬ জন, গোসাইরহাটে ১৮ হাজার ৩২জন এবং তাড়াশে ১৯ হাজার ২৮৭জন ভোটার রয়েছেন।
সাতটি পদে মোট ৩৩ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেখানে সাতটি পৌরসভায় ২১টি সংরক্ষিত আসনের জন্য ১০২ জন মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ৬৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী।
সংসদীয় উপনির্বাচনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং পৌর নির্বাচনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
এছাড়াও, সোমবার কয়েকটি স্থানীয় সংস্থা- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে আ. লীগ
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
নির্বাচন কমিশনে আপিলের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রশিদুল হাসানও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আপিল শুনানির পর হিরো আলমসহ দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী- তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আসাদুজ্জামান জালাল- শুনানিতে তাদের প্রার্থিতা ফেরত পাননি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
আগামী রবিবার এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হবে বলে ইসি কর্মকর্তা জানান।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে হিরো আলমসহ সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ১৫ জন ইচ্ছুক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং তাদের মধ্যে সাতজনকে বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং বাকিদের বাতিল করা হয়।
গত ১৫ মে কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জুন এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৬ জুন। নির্বাচন হবে ১৭ জুলাই।
আরও পড়ুন: আরাভের সন্ধান পেতে ডিবিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত হিরো আলম
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে আ. লীগ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের জন্য শুক্রবার মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে (মোহাম্মদ এ আরাফাত) মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
১৫ মে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক নামে পরিচিত) মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনটির তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৬ জুলাই। আপিল করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন ১৩ জুলাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১০ ও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সব কেন্দ্রে ক্লোজসার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে এবং ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে ৪ জুন (গত রবিবার) সংসদ সচিবালয় চট্টগ্রাম-১০ আসন (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৭ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৯ মার্চ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৫ এপ্রিল।
২৭ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে তাদের দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার পর শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রকৃত গড় ভোটার উপস্থিতি পাঁচ শতাংশের বেশি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন কমিশন গতকাল (বুধবার) উপ-নির্বাচন করেছে। তাদের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী এই উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আমাদের (বিএনপির) হিসাব অনুযায়ী, এটা পাঁচ শতাংশের বেশি নয়।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন যে উপনির্বাচন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ছিল। ‘আমি অনলাইনে (ওয়েব পোর্টাল) দেখেছি যে ভোটারদের অনুপস্থিতিতে কুকুর সেখানে (ভোটকেন্দ্র) শুয়ে আছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে।’
বুধবার কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
ভোটের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ হতে পারে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
‘যখন দুর্নীতি প্রবল এবং লুণ্ঠনই প্রধান লক্ষ্য, তখন বৈশ্বিক মন্দার কথা বলার কোনও মানে নেই। দুর্নীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনারা (সরকার) জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, লবণ ও তেলের দাম বাড়াচ্ছেন এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে চুরি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনকি, গ্যাসের চুরি বন্ধ করতে পারলেও এর দাম বাড়াতে হবে না।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাটের অংশ হিসেবে সরকার এখন রাস্তা খনন শুরু করেছে। ‘এভাবে তারা জনগণের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করছে কারণ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে শনিবারের কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে: হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বহুল আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তুলে আদালতের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়নি,ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। আমি এ ফলাফল মানি না। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। শিগগিরই ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট করা হবে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের পরিবেশ ভাল ছিল। কিন্তু নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হলো তখনই তাদের কাজে সন্দেহ লেগেছে। কারণ তারা নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ধাপে ধাপে ৩৯টি কেন্দ্রের ফল আলাদা ঘোষণা করেন। কিন্তু বাকি ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল আলাদাভাবে ঘোষণা না করে এক সঙ্গে ১০ কেন্দ্রর ফলাফল ঘোষণা করেন। এই দশ কেন্দ্রের ফলাফল আলাদা আলাদা করে ঘোষণা না করে একসঙ্গে কেন করা হলো? এখানেই কারচুপি করা হয়েছে। এমনকি আমাদের এজেন্টদের কাছেও ফলাফলের কোন কপি দেয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: হেরে গেলেন হিরো আলম
হিরো আলম আরও বলেন, 'আজকে সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল হিরো আলমের দিকে। গর্বে আমার বুক ভরে গেছে। আমার মনে হয়েছে আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। আমি সবার যে ভালবাসা পেয়েছি তা কখনও ভুলবো না। আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। কিছু শিক্ষিত মানুষ চায়নি হিরো আলম এমপি হোক। কারণ আমি জিতলে মনে হয় সরকার এবং তাদের সম্মান চলে যাবে। এমনকি হিরো আলমের মতো মূর্খকে তাদের স্যার বলে ডাকতে হবে। এই ভয়েই আমাকে তারা ভোটে পাশ করতে দেয়নি।'
২০২৪ সালের জাতীয় সাধারণ নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘উপনির্বাচনের মত পরিবেশ থাকলে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকবে না। আমি চাই ভোট সুষ্ঠু হোক। যাতে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতাতে পারে।’
এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা একেএম রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে পড়েছে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ওই আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ওই আসনে তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দিয়েছেন যা শতকরা হার ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আমার মতো পাগলকে একবার ভোট দিয়ে দেখেন: হিরো আলম
বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন, ১৪ দলীয় জোটের দুজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান ৯৪ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার আপেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হককে তিন হাজার ৬৫৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল ওয়াদুদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৬৩৮ ভোট এবং সামিউল পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮০ ভোট।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কে এম গালিব খান রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। আলম মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, যিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতাও, তিনি ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন তিন হাজার ২৬৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়কে ৩৩ হাজার ৭৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
গোপাল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট এবং ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫৬ ভোট। সেখানে উপ-নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটি আমাদের প্রাথমিক অনুমান, চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান। তবে ভোটকেন্দ্রে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি।
ছয়টি আসনে চল্লিশ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ১১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান পদত্যাগ করেন। বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশীদ পরবর্তীতে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু