উপনির্বাচন
খোকসায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সভাপতির ভাই গুলিবিদ্ধ
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ছোট ভাই মঙ্গলবার রাতে উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহত আব্দুল আউয়াল কনক খান (২৫) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল আহমেদ খানের ছোট ভাই ও উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের মাসিলিয়া গ্রামের বক্কর খানের ছেলে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নিজ গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে কনক তার ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ও প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তির মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ, বারইয়ারহাট পৌর মেয়রসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ
সভাপতি শিমুল তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ফেসবুক পোস্টে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারকে হামলার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন।
সংসদ সদস্য অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে হামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এর নিন্দা করেছেন।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে চলছে কোন্দল।
এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: ৯০ দিন সময় বাড়ালো ইসি
গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ২০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
এর আগে আসনটিতে ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহনের সময় অনিয়মের ঘটনায় নির্বাচন বাতিল করে ইসি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলমান অবস্থায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না থাকলেও নির্বাচন কমিশন বলেছে যে একটি আসন খালি হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ করে সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩(৪) ধারা অনুযায়ী, সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
গাইবান্ধা-৫ এর ঘটনা ‘অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ উল্লেখ করে ইসি বলেছে আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সময়সীমা দেয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫-এর সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্মকর্তার সংখ্যা নির্বিশেষে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আলমগীর বলেন, ইসি কারও পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যখনই ভোটগ্রহণ অন্যায্য হবে তা স্থগিত করা হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনার বলেন, নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে তারা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গোপন ভোটকেন্দ্রে ভোটারের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বোতাম টিপতে দেখা গেছে। তা দেখে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপরাধীকে তুলে দেয়ার নির্দেশও মানা হয়নি।’
কমিশন কখনও দেখেনি যে প্রিজাইডিং অফিসাররা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। তাই আইনে যা করা উচিত ছিল ইসি তাই করেছে।
ওই সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা কী কারণে এসব অনিয়ম করেছে কমিশন তার কারণ খুঁজছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ কাজ করেনি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ইসি তাদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। এছাড়াও, এটি অপরাধী কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রেই আমরা গোপনকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, অবৈধভাবে (গোপনকক্ষ) প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট প্রধানে হয়তো সহায়তা করছেন বা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখেছি যে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের পোশাকে প্রার্থীদের প্রতীক ছিল, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’
তিনি (সিইসি) অবশ্য এ অনিয়মের জন্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দায়ী করেননি।
সিইসি নির্বাচন বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ অনুসারে, ইসি যদি দেখতে পায় যে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, তবে ইসি কিছু বা পুরা আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনার পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে কিছু প্রার্থী বিভিন্নভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন।’
সিইসি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১৪৫টির মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
সিইসি বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখেছি ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনের সুষ্ঠু ফল পাওয়া যাবে না। ফলে আমরা পুরা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল করেছি।’
পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিইসি আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন বিপত্তি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে ইসি।’
গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনে ব্যবহৃত সব ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে ইসির নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচনের সময় কোনো যান্ত্রিক সমস্যা হয়নি, সব ইভিএম ঠিকঠাক কাজ করেছে। সমস্যাটি মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
আরপিওর ৯১ (ক) ধারা অনুযায়ী, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগসহ যেকোনো অনিয়মের জন্য যদি ইসি নিশ্চিত হয় যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে ইসি যে কোনো পর্যায়ে যে কোনো ভোটকেন্দ্রে বা পুরা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
২৩ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আবারও নৌকা পেলেন আইভী
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এছাড়া টাঙ্গাইল-৭ সংসদীয় উপনির্বাচনে খান আহমেদ শুভকে প্রার্থী করেছে ক্ষমতাসীন দল।
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি গঠনের পর থেকে বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০১১ ও ২০১৬ সালে প্রথম দুটি নির্বাচনে জয়ী হন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
২০১১ সালে এনসিসির প্রথম নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শামীম ওসমানকে সমর্থন দিলেও আইভী জয়ী হয়েছিলেন। এছাড়া ২০১৬ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ডা. সেলিনা ।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি
গত ৩০ নভেম্বর এনসিসি ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়।
তফসিল অনুযায়ী, এনসিসি ও টাঙ্গাইল-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২০ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।
ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নারায়ণগঞ্জ সিটির তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বৈঠকে আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
এই ধাপে ৪৭টি জেলায় মোট ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে।
ইসি ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৭ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ৯ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।
পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
নরসিংদীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তির ঢামেকে মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে উপনির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী কবিতা জয়ী
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের (শাহজাদপুর) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ১০ হাজার ৪৫ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিংগাইর পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়ী
এ ব্যাপারে সহকারী রিটানিং অফিসার ও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামছুজ্জোহা জানান, উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেরিনা জাহান কবিতা নৌকা প্রতীকে ১৬০ কেন্দ্রের সবকটির ফলাফলে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোক্তার হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট।
মোট ভোটারের শতকরা ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অঅরও পড়ুন: ফরিদপুর জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন শামসুল হক
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১৬০ ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুরস্কে মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে জয় লাভের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ড. মোমেনের এক অভিনন্দন বার্তার প্রতিউত্তরে এ ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশ অত্যন্ত কাছের উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে চিন্তা-চেতনা-মননে আমরা একে অপরের অত্যন্ত আপন। এই সুসম্পর্ক আগামীদিনে খুবই যত্নের সঙ্গে লালন করবেন বলে তিনি এ পত্রে উল্লেখ করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষ বরাবর আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, আবার রাখলেন। জনগণের এই ভরসা ও ভালোবাসাকে আমরা যোগ্য সম্মান দেবো, সুখে-দুঃখে সবসময় তাঁদের পাশে থাকব।’
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জিতে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ড. মোমেন ও তার পরিবারের সদস্যদের শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছা জানান।
ভবানীপুরে জিতে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভবানীপুরের বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখলেন।
রবিবার প্রায় ৫৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিধানসভার এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে পরাজিত করেছেন ৬৬ বছর বয়সী মমতা।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে জয়ের পথে মমতা
কলকাতার গণমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে ভবানীপুরের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছি এবং এ আসনের প্রতি ওয়ার্ডেই আমি জয়ী।’
এর আগে এপ্রিল-মে মাসের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে। তবে মমতা তাঁর নিজের আসন নন্দীগ্রামে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারীর কাছে প্রায় দুই হাজার ভোটে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: কোভিড সংকট মোকাবিলায় একসাথে কাজ করব: মমতাকে হাসিনা
হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের যে কোনো একটি বিধানসভার আসন থেকে জিতে আসতে হয়।
মমতাকে ভবানীপুর আসন থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানকার নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এতে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হলে এ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মোদির সাবেক মন্ত্রী বাবুল এখন মমতার দলে!
উপনির্বাচনে জয়ের পথে মমতা
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ আসনে তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীর চেয়ে অনেক ভোটে এগিয়ে আছেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৬৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
এই আসনের উপনির্বাচনে জয় পেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপদে বহাল থাকতে পারবেন।
এর আগে এপ্রিল-মে মাসের পশ্চিমঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে। তবে মমতা তার নিজের আসনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে প্রায় ২ হাজার ভোটে পরাজিত হন।
পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভার আসন থেকে জিতে আসতে হয়।
মমতাকে ভবানীপুর আসন থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানকার নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এতে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনের উপনির্বাচনে লড়েন মমতা। ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। গণনা শেষে আজই ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
পড়ুন: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মোদির সাবেক মন্ত্রী বাবুল এখন মমতার দলে!
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনকালে সকল অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দুই সদস্যবিশিষ্টি একটি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে।
এছাড়া ভোটগ্রহণ উপলক্ষে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচদিন নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি প্রতীকে এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর