সিএমপি
চট্টগ্রামে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন যান চলাচলে সিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ যান চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এডিসি-পিআর স্পিনা রানী প্রামানিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে- আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে নগরীর তিনপুল থেকে আমতল, আমতল থেকে নিউ মার্কেট এবং সিনেমা প্যালেস থেকে রাইফেল ক্লাব রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নিউ মার্কেট থেকে আমতল রোডে দ্বিমুখী যান চালু থাকবে। এ ছাড়া তিনপুল মোড় থেকে শিক্ষা অফিস হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল থাকবে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট
আমতল, তিনপুল ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহন ডাইভারশন দেওয়া হবে।
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তারা ওয়াসা, কাজির দেউরী, নেভাল ক্রসিং, লাভ লেইন, বৌদ্ধ মন্দির, বোস ব্রাদার্স, রাইফেল ক্লাব হয়ে আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন। পরে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন।
এ ছাড়াও অন্যদিক থেকে আসা গাড়ি সুবিধা অনুযায়ী নিউ মার্কেট মোড় এবং তিনপুল (গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে) এলাকা ব্যবহার করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক আগত যানবাহন রাইফেল ক্লাব পার্কিং এরিয়া, থিয়েটার ইনস্টিটিউট থেকে সিনেমা প্যালেসগামী রাস্তা, তিনপুল থেকে এনায়েতবাজার রোড (জুবলী রোড), স্টেশন রোড এবং নিউ মার্কেট থেকে কোতোয়ালি রোডে পার্কিং করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আসা সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি কর্মকর্তারা পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ) এসে ফুল দিয়ে আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবলী রোড হয়ে ফিরে যাবেন। নিউমার্কেট ও তিনপুল ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহারকারীরা পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে পুনরায় ওই ড্রপিং জোনে গিয়ে গাড়িতে উঠবেন।
পদযাত্রা ও প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণকারীদের সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তায় যান চলাচলের সুযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিএমপির যত নির্দেশনা
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে সব ধরনের অনুষ্ঠান ও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। একইসঙ্গে ডিজে পার্টি, বার বন্ধ রাখা, ফানুস ওড়ানোসহ ১৩ বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে (৩১ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সিএমপি বদ্ধপরিকর। সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গীর্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
জারি ১৩টি নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো যাবে না। এইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না পর্যটকরা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান।
এছাড়াও নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক না চালানো, আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা, মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে এবং অশোভন আচরণ, বে-আইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।
হোটেল মালিকদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না এবং জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়— এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।
উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানোর জন্য অনুরোধসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সিএমপি’র পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সিএমপি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরগুলো হলো— ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আপনাদের শঙ্কা করার কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে যেহেতু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনা জয় করে এবার প্লাজমা দিতে চান সিএমপি কমিশনার
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে সিএমপি কমিশনার নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন সাধুরপাড়া পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
মণ্ডপ পরিদর্শনে এলে তাকে স্বাগত জানান সাধুরপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আশিস কুমার নাথ।
তিনি বলেন, মণ্ডপকেন্দ্রিক একটি করে ‘সম্প্রীতি কমিটি’ করা হয়েছে, যেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এ উৎসব শেষ করা যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এম এ মাসুদ, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মাহতাবউদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান, উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান, উপকমিশনার (ট্রাফিক) জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও ইপিজেড থানার ওসিকে বদলি করা হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এই বদলি আদেশে সই করেন।
রদবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি বলেন, নিয়মিত বদলীর অংশ হিসেবে চার থানায় ওসি পদসহ ১১ জন পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। এ ছাড়াও সিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সাতটি পদে রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
বদলি আদেশে দেখা গেছে, ডবলমুরিং থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগে, তার স্থলে পদায়ন করা হয়েছে সিটিএসবির পরিদর্শক ফজলুল কাদের পাটোয়ারীকে। পাহাড়তলীর ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিটিএসবিতে বদলি করে পাহাড়তলী থানায় আনা হয়েছে হালিশহরের ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দীনকে, হালিশহরে পদায়ন করা হয়েছে বাকলিয়ার ওসি তদন্ত মো. কায়সার হামিদকে।
এ ছাড়া ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিমকে সিটিএসবিতে, তাঁর স্থলে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোসাইনকে ওই থানার ওসি, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অভিযান) আরমান হোসেনকে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত), তার স্থলে সিটিএসবির পরিদর্শক নুরুল বাশারকে, অপরাধ শাখার পরিদর্শক আল মামুনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শহিদুর রহমানেক বাকলিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত পদে রদবদল করা হয়।
একই আদেশে কোতোয়ালির ওসি (অপারেশন্স) মো. আরমান হোসেনকে একই থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, সিটিএসবির মো. নুরুল বাশারকে বদলি করে কোতোয়ালীর ওসি (অপারেশন্স), অপরাধ শাখার পরিদর্শক মো. আল মামুনকে বায়েজিদের ওসি (তদন্ত) এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. শহিদুর রহমানকে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করায় গ্রেপ্তার হওয়া সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (৪২) এবং উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মো. মোস্তাকিম এ অভিযোগ করেন।
তবে বিকাল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত এ বিষয়ে কোন আদেশ দেননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোস্তাকিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান জানান, পুলিশি হেফাজতে মোস্তাকিমকে নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে শুনানি হয়েছে। ভুক্তভোগী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শুনানি শেষে আবেদনটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন আদালত।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সৈয়দ মোস্তাকিম তার মাকে গত ৭ বছর ধরে চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করান। সম্প্রতি ডায়ালাইসিসের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তিনিসহ রোগীর স্বজনরা মিলে আন্দোলন করেন।
গত ১০ জানুয়ারি তারা চমেক হাসপাতালের প্রধান গেইটে মানববন্ধন করেন। সে সময় পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একপর্যায়ে ওসি নাজিম মোস্তাকিমকে আটক করে প্রথমে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচে মারধর করেন। পরে থানায় নিয়ে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়।
মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে লক্ষ্য করে নানা ধরনের গালিগালাজ করে এবং মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে বলেন- ‘ওসি নাজিম স্যারের সাথে আর বেয়াদবি করবি?’
সে সময় ওসি নাজিম বলেন, ‘রিমান্ডে এনে থানায় পিটাতে হবে, তারপর বুঝবি পুলিশ কী জিনিস!’ এরপর থানায় ধরে এনে মারধরের বিষয়টি ফাঁস করলে মোস্তাকিমকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়।
জানা গেছে, ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত জানুয়ারির শুরুর দিকে চমেক হাসপাতালে আন্দোলনে নামেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কয়েকদিন ধরে চলা ওই আন্দোলনে গত ১০ জানুয়ারি চমেকের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন উত্তেজিত হন। তিনি নিজের মুঠোফোন বের করে বিক্ষোভকারীদের ভিডিও ধারণ করেন ও তাদের দেখে নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরপর একযোগে আন্দোলনকারীরা ওসির বিরুদ্ধে হইচই শুরু করেন ও ভিডিও ডিলিট করার দাবি জানান।
সেসময় মোস্তাকিমও ওসির সেই মোবাইল সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। এরইমধ্যে হাতাহাতিতে ওসির মোবাইল মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়। এরপর মোস্তাকিমকে পেটাতে পেটাতে চমেকের প্রধান ফটকের বিপরীতে এপিক হাসপাতালে নিয়ে যান ওসি নাজিম উদ্দিন। সেখানেও তাকে আরেক দফা মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: ধুনটে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা
কিছুক্ষণ পর এপিকের সামনে থেকে আরও একজনকে ধরে এনে ভেতরে নিয়ে যান ওসি নাজিম উদ্দিন। তখন বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন অন্য পুলিশ সদস্যরা।
একপর্যায়ে একজনকে ছেড়ে দিলেও মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান। এতে মোস্তাকিমকে আসামি করা হয়।
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
চট্টগ্রামে ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ লক্ষ্যে সিএমপির পক্ষ থেকে ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
শনিবার সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত-সমাবেশ না করা। ২. থার্টি-ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহে করোনা সংক্রান্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। ৩. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন,সমাবেশ, নাচ-গান বা অন্য কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা। ৪. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি-পটকা না ফোটানো। ৫. কোন ভবনের ছাদে আতশবাজি/পটকা ফোটানো হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান না করা এবং লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখা। ৭. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ণ না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল না চালানো। ৮. আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা। ৯. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা। ১০. মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১১. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। ১২. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা। ১৩. অশোভণ আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা। ১৪. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেয়া। ১৫. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করা এবং সকল ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখা। ১৬. থার্টি ফার্স্ট নাইটের আগের দিন বিকাল ৪টা থেকে নতুন বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ-দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিক সিএমপির পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮) অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
সিএমপির নতুন কমিশনার হলেন কৃঞ্চপদ রায়
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কৃঞ্চপদ রায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনজয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। একই প্রজ্ঞাপনে উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ছয় কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে বদলি করা হয়েছে।আদেশে সিএমপির বর্তমান কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে বদলী করা হয়েছে। তিনি ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরে আলম মিনাকে (চট্টগ্রাম জেলার সাবেক এসপি) রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।এছাড়া ঢাকা নৌ পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলামকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।অন্যদিকে রংপুর রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য একই পদে ময়মনসিংহ রেঞ্জে বদলি হয়েছেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি হয়েছেন রংপুর রেঞ্জে।
আরও পড়ুন: সিএমপির তিন থানার ওসিসহ ১০ পরিদর্শক পদে রদবদল
সিএমপিতে ৮ এসির রদবদল
চট্টগ্রামে হোটেল থেকে জামায়াত-শিবির সন্দেহে আটক ৪৯
চট্টগ্রাম মহানগরীর টেরিবাজার একটি হোটেল থেকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী সন্দেহে ৪৯ জনকে আটক করেছে করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে টেরিবাজারের ‘আল বায়ান’ নামক একটি ভাতের হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম বলেন, কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। এখনও বিস্তারিত বলতে পারছি না।
কোতোয়ালি জোনের এসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি অভিযানে টেরীবাজার থেকে কয়েকজনকে ধরে আনা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সকালে বিস্তারিত বলতে পারব।
পড়ুন: নোয়াখালীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে গোপন বৈঠক থেকে শিবিরের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। থার্টি ফার্স্ট নাইটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থান, রাস্তাঘাট কিংবা নিজ বাড়ির ছাদেও কোনো ধরনের উৎসব করা যাবে না। এমনকি লাইসেন্স করা অস্ত্রও এ দিন বহন করা যাবে না।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএমপি। আর এ সব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এরই মধ্যে নগর পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) শাহাদত হুসেন রাসেল বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’এ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি
নিদের্শনার মধ্যে রয়েছে- রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বা সমাবেশ বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো হলে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সৈকত ও পারকি সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা সব বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
আনন্দ উদযাপনের মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়া হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১০টার পর সব ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছে সিএমপি।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
চট্টগ্রামে ‘দামপাড়া’র শ্যুটিং শুরু আজ
১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘দামপাড়া’। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে এ ছবিটির শ্যুটিং।
ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আনন জামান। পরিচালনা করবেন শুদ্ধমান চৈতন।
ছবিতে প্রয়াত পুলিশ শামসুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ। তার স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় আশনা হাবিব ভাবনা।
সিএমপি সূত্র জানায়, এম. শামসুল হক ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হককে হত্যা করা। অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। শহীদ হন তিনি, তবে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীবন বাজি রেখে তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে পুলিশকে একাত্ম করে এক জনযুদ্ধের সূচনা করেন। ২৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর লালদিঘিতে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হয় কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমে প্রতিনিয়ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে মিলিত হতেন। তারা পুলিশ সুপার শামসুল হকের দিক-নির্দেশনা নিতেন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এলাকার সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ২০০ বাঙালি সদস্য পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও এসব বাঙালি সদস্যদের হাতে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেয়া হয়।
২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়। পরে ২৯ মার্চ ভোর ৪টার সময় পুলিশ লাইন্সের দক্ষিণ-পূর্বদিক এবং উত্তর-পূর্বদিক থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারি মেশিনগান এবং থ্রি ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথমদিকে বেশ বেগ পেতে হয়। পরবর্তীতে ভোর ৬টার দিকে গোলাবারুদের অভাবে যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে এবং পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ শাহাদাতবরণ করেন।
মূলত এই কাহিনী অবলম্বনে ‘দামপাড়া’ নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মিউজিক ভিডিওতে টলিউডের মিমি
লাভ মকটেল ছবির সফলতার পর এবার আসছে লাভ মকটেল-২
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে ছবির গল্প, চিত্রনাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বিজয় অর্জনের পর চট্টগ্রামে হিন্দু নির্যাতন শুরু হলে বঙ্গবন্ধু এই এসপি শামসুল ইসলামকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। যখন যুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল কি করে এসপি শামসুল ইসলামকে খুন করা যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে খুনও করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না। স্বামীহারা স্ত্রীর বর্ণনায় গল্পটি বড়পর্দায় দেখতে পাবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘চরিত্র নির্বাচনে ফেরদৌসকে আমরা বেছে নেই এ কারণে যে, তার যে পরিণত লুকটা এসেছে তা আমাদের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া পর্যাপ্ত সময় তার হাতে থাকায় চরিত্রটির জন্য তাকে তৈরি করতেও সুবিধা হবে। তাকে সচরাচর যে রোমান্টিক হিরো হিসেবে দেখা যায়, তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে অন্য এক ফেরদৌস ধরা দেবেন এখানে। অন্যদিকে ভাবনাকে বরাবরই দেখে এসেছি নায়িকা হওয়ার চেয়ে অভিনয়শিল্পী হওয়ার প্রতি তার মনোযোগ ছিল। মূলত এ কারণেই তাকে চলচ্চিত্রটিতে নেয়া হয়েছে।’
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক সিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, ২৩ ডিসেম্বর (আজ) থেকে চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই একটি মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।