আইএসপিআর
বান্দরবানে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের হামলায় ২ সেনাসদস্য নিহত, আহত ২: আইএসপিআর
বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত হামলায় দুই সেনাসদস্য (সৈনিক) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই সেনাসদস্য (অফিসার)।
আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ (বুধবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত দুই সেনাসদস্য হলেন-মো. আলতাফ আহম্মদ এবং মো. তোহিদ। তারা রুমা ২৮ বীর সেনানিবাস সৈনিক।
আহত দুই সেনাসদস্য হলেন-ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহম্মদ শওকত এবং মেজর মনোয়ার।
তারাও রুমা ২৮ বীর সেনা বাহিনীর অফিসার।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প হতে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে গমনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার, আহত ১
উক্ত টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার নিকটস্থ পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণে পতিত হয়।
এতে দুইজন সেনা অফিসার ও দুই জন সৈনিক আহত হয়।
পরে আহত সেনাসদস্যদের বিমানযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সৈনিকদ্বয় মৃত্যুবরণ করেন এবং আহত অফিসারদ্বয় বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে, ১৩ মার্চ, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং দুই সৈন্য আহত হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন: নেভাতে গিয়ে অসুস্থ ৫
রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত পাঁচজন।
এদের মধ্যে দিদারুল ইসলাম নামে এক দমকলকর্মী বর্তমানে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরের রুবেল (২৮), ফেনীর নিলয় (২২), চাঁদপুরের রিপন (৩৬) ও মুন্সিগঞ্জের শাহীন (৩৮) নামে চারজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৪৮টি ইউনিট কাজ করছে।
বগুড়ায় প্রশিক্ষক বিমানের জরুরি অবতরণ: আইএসপিআর
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার আরুলিয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি প্রশিক্ষক বিমান (পিটি-৬) জরুরি অবতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই সদস্য নিহত: আইএসপিআর
সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে আরুলিয়া বিমানবন্দরের ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুল থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষক বিমানের পাইলট- গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাহবুব এবং স্কোয়াড্রন লিডার হালিমুর নিরাপদে আছেন।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই সদস্য নিহত: আইএসপিআর
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সোমবার রাতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইএসপিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এতে বলা হয়, বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমারের সঙ্গে তুমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে র্যাব ও ডিজিএফআই-এর যৌথ দলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়, এতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (ডিজিএফআই) একজন কর্মকর্তা নিহত এবং একজন র্যাব সদস্য গুরুতর আহত হন।
আইএসপিআর অবশ্য ডিজিএফআই ও র্যাবের কর্মকর্তার নাম এখনো প্রকাশ করেনি।
এদিকে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিযুক্ত উপপরিদর্শক রিপন চৌধুরী ইউএনবি প্রতিনিধিকে জানান, অভিযানের সময় সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত এক র্যাব সদস্যকে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই জয়দেব বলেন, ‘সীমান্তের কাছে কোনাপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কাদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
বান্দরবানের সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেছেন যে অভিযান চালানোর সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ আল ইয়াকিন সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে র্যাব-১৫ সদস্যদের একটি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ২৪টি দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিক (ইউএসএআরপিএসি) দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস)-২০২২ এ অংশগ্রহণকারীরা এই অঞ্চলে অব্যাহত শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করেন।
শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিাতে বলা হয়, ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের নেতৃত্বে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থলবাহিনীর নেতারা এ সম্মেলনে একত্র হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী
এবারের সম্মেলনের থিম ছিল ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্লেনারি সেশন, ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টিম বিল্ডিং-এ অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তারা এই বিশাল ও অনন্য অঞ্চলের সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সিনিয়র অফিসারদের একসঙ্গে কাজ করার, সম্পর্ক তৈরি করার এবং বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভিপ্রায়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের শান্তির যাত্রা এখানেই শেষ নয়। এটা সবে শুরু।’
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি সেমিনারের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বাড়বে।
৪৬ তম আইপিএএমএস ‘বলিষ্ট শান্তিরক্ষা’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ ও ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থল বাহিনীর ভূমিকা’- শীর্ষক তিনটি প্লেনারি সেশনে ভাগ করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা এর ওপর আলোকপাত করেন এবং চ্যালেঞ্জ ও সামনের পথ নিয়ে আলোচনা করেন।
তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন; সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি
সেনাবাহিনীর দেয়া ঈদ উপহার পেলেন খাগড়াছড়ির দরিদ্ররা
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে সোমবার সেনা সদর দপ্তরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জেনারেল মনোজ পান্ডে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকের শুরুতে জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশে আসার মাধ্যমে দেশটির প্রতি তার শ্রদ্ধা এবং দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও পেশাগত সম্পর্কের ভিত্তি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সোমবার বিকালে ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
বৈঠকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের অগ্রগতির জন্য সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই প্রধান।
এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি, উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, বিশ্ব শান্তিতে ভূমিকা এবং সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে অবহিত করে সেনাবাহিনীর বর্তমান নেতৃত্ব এবং সামগ্রিক উচ্চমানের প্রশংসা করেন মনোজ পান্ডে।
এর আগে জেনারেল মনোজ পান্ডে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে সেনাকুঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
পরে জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিকালে প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে রবিবার বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২২ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরও দেশের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২২’ গ্রহণ করেছে।
রবিবার বিমান সদরদপ্তর প্রাঙ্গণ ও তেজগাঁও রানওয়ের পাশে লেক সংলগ্ন এলাকায় চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারের জন্য ২৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মনোনীত
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বৃক্ষ প্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ এ জাতীয় স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছে বিমান বাহিনী।
সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ২১ ঢাবি শিক্ষার্থীসহ উদ্ধার প্রায় ১০০
টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে বন্যায় আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জনকে সুমনগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।উদ্ধারকৃতদের সিলেটে আনা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে একটি ট্রলার রেস্তোরাঁ থেকে তাদের উদ্ধার করলেও ছাতকে তা আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: ভ্রমণে গিয়ে সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকা পড়েছেন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী
তিন দিন আগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন পানসি রেস্টুরেন্টে আশ্রয় নেয়।
আটকে পড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শোয়েব আহমেদ এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের খাদ্য ও পানীয় জলের ভীষণ প্রয়োজন এবং এখানে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এখানে, আমাদের বেশিরভাগ ফোনের ব্যাটারি শেষ। এবং দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে সেটা সঠিকভাবে কাজ করছে না।’
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
আইএসপিআর পরিচালকের সঙ্গে ডিজাব নেতাদের মতবিনিময়
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদের সঙ্গে ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) নবনির্বাচিত নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আইএসপিআর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আইএসপিআর পরিচালক ডিজাবের নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
মতবিনিময়কালে বক্তারা বলেন, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ক আরও উন্নয়নে ডিজাব আগামীতে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জেএসএস সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, ১ সেনাসদস্য নিহত
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন ও অপর এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুমা উপজেলার রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, নিহত সেনাসদস্য হাবিবুর রহমান একজন ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। আহত সৈনিকের নাম ফিরোজ।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
স্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে গমন করেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিন জন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে।
এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া সৈনিক ফিরোজ নামে এক জন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত সেনা সদস্যকে আজ সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযানে সেনা টহল দল সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করে।
বর্তমানে সেনা টহল দল ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বলে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: সেনাপ্রধান