ধর্মঘট
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রবিবার সকাল থেকে বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি।
এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে এক বৈঠকে নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহন শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রোববার বিকালে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।’
সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি জানানো হয়। ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রবিবার সকাল থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, ‘সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট- তামাবিল মহাসড়কে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে অন্য যেকোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি তারা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাস ও ইজিবাইকের (টমটম) সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে সমঝোতার ফলে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার পর সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড ফের শুরু হয়েছে এবং পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশি হিলি বন্দরে প্রবেশ করেছে তারা।
এদিকে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু দাবি সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এছাড়া আকস্মিক ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার (৪ জুন) সারাদিন এবং সোমবার (৫ জুন) বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
জানা যায়, ধর্মঘট অবসানের লক্ষ্যে রবিবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের কাছে চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতীয় রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এ ব্যাপারে সোমবার দুপুর দেড়টায় হিলি সীমান্তের শুন্যরেখায় আলোচনায় বসেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া বিকাল ৫ টায় সমঝোতায় উপনীত হন তারা।
বাংলাদেশের হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, আলোচনায় ভারতীয় ট্রাক চালকদের কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছেন তারা। বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসা চালকদের পণ্য খালাস শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্দরে অবস্থানকালীন সময়ে পানীয় জলের, থাকা খাওয়া বিশ্রামের সুব্যবস্হাসহ বন্দরের অভ্যন্তরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কেনাকাটার সুবিধার্থে দোকানের ব্যবস্হা রাখার দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ২ ঘন্টার জন্য বন্দরের বাইরে লোকালয়ে অবাধে চলাচলের অনুমতি চাইছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
এ বিষয়টি সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
আলোচনায় বাংলাদেশের হিলির আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ এবং হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটনসহ অন্যান্যারা উপস্হিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতীয় হিলির এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক জোয়ারদার, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মণ্ডল, ভারতীয় ট্রাকচালক সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্টরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
সমঝোতার উপনীত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক ভাবে সোয়া ৫ টার দিকে পণ্যবাহী একাধিক ট্রাক হিলির বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে যথারীতি পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরবে বলে আশা করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, মামলা প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে ২৯ মে থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানালেও, প্রশাসন আমলে নেয়নি। তাই শ্রমিকরা মিলে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ মে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুরোধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তাদের কথা রাখেনি। তাই ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি সুজাউল কবীর, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সহ সভাপতি মো. আনেয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন মিয়া।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ, বাস শ্রমিক নির্যাতনের বিচার ও অবৈধ যাত্রী পরিবহন বন্ধের তিন দফা দাবিতে আগামী ৪ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে জেলার বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
রবিবার বিকালে শহরের মল্লিকপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল হক।
তিনি বলেন, শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবৈধভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে প্রভাবশালী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে মামলার করেও কোনো ফল পাওয়া যায় না। তারা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সব নিয়মনীতি ভঙ্গ করে রিজার্ভ টিপের পরিবর্তে যাত্রী পরিবহন করে। এতে বাস ও মিনিবাসের শ্রমিক ও মালিকরা লোকসানে পড়েছেন। তাদের আয় রোজগার বন্ধের পথে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের করা মামলাগুলো রহস্যজনক কারণে অচল হয়ে আছে। চাঁদাবাজির মামলার আসামিরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শ্রমিক নির্যাতনের মামলার কোনো বিচার হয় না। এজন্য তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হবে।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, ওই দিন থেকে সুনামগঞ্জে কোনো আন্তঃজেলা বাস, লোকাল বাস, মিনিবাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। জেলার ছয় রুটেই যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেবেন শ্রমিক মালিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সুজাউল কবীর, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কার্যকরী সভাপতি বোরহান উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মনর আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক রজব আলী মোল্লা, সুমন মিয়াসহ সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর গ্রেপ্তারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে রশি বাঁধায় ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সঙ্গে বিএসবিআরএ’র নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে রাতে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিল্প মালিকের সঙ্গে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএসবিআরএ'র সভাপতি আবু তাহের জানান, ‘আমাদের সম্মানিত সদস্য সীমা গ্রুপের পরিচালক জনাব পারভেজ উদ্দিন সান্টু সাহেবের পুলিশের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলা ও শিল্প পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিএসবিআরএ'র দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে একইসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধন স্থগিতের অনুরোধ জানালে আমরা উনার কথায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করছি।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ বিএসবিআরএ-এর নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
সিলেট-জকিগঞ্জ রুটের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
জকিগঞ্জ সড়কে সরকারি বিআরটিসি বাস চলাচলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) থেকে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) বিআরটিসি বাস চলাচল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভার পর পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস আপ-ডাউন পাঁচটি ট্রিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ রুটে বিআরটিসির এই চারটি বাস (নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ব-১৫- ৪৫৭৯, ১৫-৪৭৮০, ১৫-৫৪২৯ ও ১৫-৫৪৩১) চলাচল করবে।
যদি কোন গাড়ি নষ্ট হয় তা হলে ওই বাসের পরিবর্তে ঢাকা-মেট্রো ব-১৫-৪৬০৭ গাড়িটি চলাচল করতে পারবে। সভায় দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত হওয়ায় সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে মালিক-শ্রমিক আহুত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে গত ৫ মার্চ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি বাস চলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দেয় জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
বিআরটিসি বাস বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের পূর্ববর্তী আশ্বাস ৮ মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে ৯মার্চ থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের আগাম ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
রবিববার (৫ মার্চ) জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের জরুরি সভা থেকে নেতারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তখন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচলের শুরু থেকেই বাসগুলো আসা-যাওয়া চারটি ট্রিপের পরিবর্তে সাত থেকে আটটি ট্রিপ দিতে শুরু করে। এতে যাত্রী সংকটে ক্ষতির মুখে পড়ে বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
এ অবস্থায় জেলা মালিক ও শ্রমিক নেতারা গত ১০ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দুটি স্মারকলিপি দেন। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় কয়েকদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সমাধান দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ৫ মার্চ রবিবার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা মালিক-শ্রমিকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ৮ মার্চের মধ্যে বিআরটিসি বাস চলাচল নিয়ে ষে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসন না করা হলে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে সব ধরনের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এরআগে গত ৩০ জানুয়ারি একই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
তবে শুরুতেই ভেস্তে যায় সেই ধর্মঘট।
এর মাস পেরুতেই একই দাবিতে ফের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিলেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
এদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা একাট্টা হলেও বিআরটিসি বাস চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, যাত্রীসেবা না বাড়িয়ে দীর্ঘদিন থেকে ওই রুটের যাত্রীদের জিম্মি করে আসছিল পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা সেই জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
মিছিল নিয়ে রাজশাহীর সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন
আগামী কালের গণসমাবেশকে কেন্দ্র রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যে যার মতো সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। সমাবেশের পাশে ঈদগাহ মাঠে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন তারা। সমাবেশস্থলে ঢুকতে পুলিশের বাধা থাকায় পাশেই ঈদগাহ মাঠে নেতকর্মিরা অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জেলে উপজেলা থেকে নেতা কর্মিরা মিছিল নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে, ট্রেনে করে, কেউ পাঁয়ে হেটে মিছিল নিয়ে রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেন।
রাজশাহীর ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ত্রিপল বিছিয়ে ছাময়ানা টাঙ্গিয়ে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন। এক পাশে চলছে রান্নার কাজ।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে গতকাল সমাবেশস্থলে এসেছেন ষাটোর্ধ তবিবুর রহমান।
তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি, অটোরিকশা, পায়ে হেঁটে পুলিশের বাধা পেরিয়ে রাজশাহী আসতে সময় লেগেছে ১২ ঘন্টা। এখানে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরকারে অনিয়মের প্রতিবাদ করতেই অনেক দূর থেকে কষ্ট করে গনসমাবেশে এসেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু বৃহস্পতিবার
বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি।
গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন বিষয়টি ‘কাকতালীয়’। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার বিকালে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর এ ঘোষণা দেন।
গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তারা বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে তাদের দাবি পূরণে স্বারকলিপি দেয়।
সাফকাত মঞ্জুর বলেন, ‘মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পুরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধর্মঘটের আওতায় থাকবে সব যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন। তবে এরই মধ্যে যদি দাবির পক্ষে আশ্বাস পাওয়া যায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
১০ দফা দাবিগুলো হলো-
১। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে।২। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে।৩। জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে।৪। করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে।৫। সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
৬। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে।৭। পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।৮। উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে।৯। মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে।১০। যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা।
বুধবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সে জন্য রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখা যাবে না। যে কোন মূল্যে এই গণসমাবেশ সফল করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাফকাত মঞ্জুর বলেন, ‘গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের ডাকা ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই। বিষয়টি ‘কাকতালীয়’। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ
বরিশালে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১৮টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ১৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রমিকরা বরিশাল টার্মিনাল থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেয় ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে মালবাহী যানও চলাচল বন্ধ আছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার একিন আলি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- কর্মীদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বই প্রদান; খাদ্য ও সমুদ্র ভাতা প্রদানের জন্য অবদানকারী ভবিষ্যত তহবিল ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন; কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট