হামলা
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
রংপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত
রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ট্রাক মার্কার সমর্থকরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময়
ট্রাক ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের জনসভায় আগমনকে কেন্দ্র করে ট্রাক মার্কার প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের সমর্থকরা উপজেলা শঠিবাড়ী বন্দরে একত্রিত হয়। সেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
অনুষ্ঠার শেষে জায়গীর ও রাণীপুকুর এলাকার ট্রাক মার্কার সমর্থকরা একটি অটোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে নৌকা মার্কার সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে প্রায় ১০জন আহত হন।
আহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (৪৫), শাহিন মিয়া (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), আব্দুল মালেক (৩৫) জমারেজ মিয়া (৪০), জাহজাহান মাস্টার (৫০)। তবে বাকী কয়েকজনের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহতদের চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনার পর ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা লাটি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থকদের ওপর আবারও হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
হামলায় আহত সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্র নৌকা মার্কার কিছু সমর্থক আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে তারা।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমার সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী রাশেক রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সমর্থকদের ২ জন আহত হয়েছেন। এদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ফরিদপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামীম হক বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে তার সমর্থকদের উপর হামলা করে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মীরা। আজ (সোমবার) রাত ৯ টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আমার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
স্থানীয় নৌকার কর্মী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কর্মীরা ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে পোস্টার লাগাচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু লোক আসে। এ সময় আমাদের কর্মীরা নৌকার পোস্টার লাগাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মাইক্রো ও মোটরসাইকেল থেকে লোকজন নেমে নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারধোর করে। এ সময় দৌড়ে অনেকে পালিয়ে যায় এবং ২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কামরুল মোল্যা ও সেলিম শেখের অবস্থা গুরতর। তাদের প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: অর্থের কাছে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার নতজানু হয়ে গেছেন: কাজী জাফর উল্যাহ
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার অহিমুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘২ জন এসেছিল, তাদের অবস্থা গুরতর। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, অপরজনের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা পুরোপুরি একটা সাজানো নাটক। গত কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগও দেওয়া আছে। সেইসব ঘটনাকে আড়াল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে নৌকার প্রার্থী।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আব্দুল গফ্ফার হোসেন বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমারা হাসপাতাল ও ঈশান গোপালপুরের পুলিশ পাঠিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২ আসন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে অর্থদণ্ড
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
নির্বাচনী প্রচারে নেমে ফের নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কাহালু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হিরো আলমের সঙ্গে থাকা দুই সমর্থক মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার রাত ৮টায় বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হিরো আলম।।
এসময় তিনি বলেন, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে আসেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মাছ ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারে বাধা দেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তার সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাকে এত ভয় কেন? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার (নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের সমর্থকেরা) আমার উপর হামলা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার দুইজন সমর্থকও ছিলেন, তবে তাদের পরিচয় জানি না। এসব হামলা করে লাভ হবে না। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন। তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। দুই দিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাব।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, 'কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এর দায় সংগঠন নেবে না।’
কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, 'হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
রাজশাহী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বাগমারা উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের কালিতলা মাদরাসা মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মজিবর রহমান ও সুইট নামে ২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে এনামুল হক সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। সমাবেশে এনামুল হক দাবি করেন, ‘নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের লোকজন তার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বাগমারার বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক রবিবার দ্বীপপুর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ করছিলেন। রাত ৮টার দিকে তিনি গাড়ি নিয়ে বাগমারার দ্বীপপুর ইউনিয়নের কালিতলা মাদরাসা মোড়ে পৌঁছালে সেখানে নৌকার সমর্থকরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থক মজিবুর রহমান ও সুইট। ইট লেগে মজিবর রহমান ও সুইটের মাথায় জখম হয়েছে। তবে এনামুল হক ওই গাড়িতে থাকলেও নেতা-কর্মীরা তাকে চারদিকে ঘিরে রাখায় আহত হননি।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দু সরকার বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
হিরো আলম জানান, সন্ধ্যায় মুরাদপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তার কর্মীদের নিয়ে যান তিনি। প্রচার শুরু করার আগেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক এসে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ওরা পাঁচ জন এসেছিল। এসেই বলে মাইক বন্ধ করতে হবে। এখানে নৌকা ছাড়া অন্য কারো প্রচার চলবে না।
হিরো আলম বলেন, তখন আমার ফোন থেকে ভিডিও নেওয়া হচ্ছে দেখে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হিরো আলম যা বলেছেন তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরেও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গণসংযোগের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের শেয়ার পাড়া এলাকায় গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ির চাকা কেটে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগ শেষে একজন নেতার বাসায় যান৷ এ সময় বাইরে অপেক্ষামান তার গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামের সমর্থিত কাশেম চেয়ারম্যানের নেত্বত্বে এই হামলা চালানো হয়। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং চাকা কেটে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আচরণবিধিসহ নানা অপরাধে বিচারিক দায়িত্বে ২৩ ম্যাজিস্ট্রেট
হামলায় সামশুল হকের ঈগল প্রতীকের প্রায় ২০-২৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এর আগে বুধপুরা বাজারে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয় বলে জানা যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হকের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন অভিযোগ করেন, ‘কাশিয়াইশে গণসংযোগকালে আমাদের গাড়ি বহরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ: চট্টগ্রাম-১ আসনের আ. লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৬৬৭ জন এবং আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০১ ও ৩ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলের অভিযানে ২১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক আহত এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
আল-কেদরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হাসপাতাল ধ্বংস করে তাদের সেবা ব্যাহত করার অভিযোগ করেছে।
তিনি বলেন, এ হামলার ফলে ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং হাজার হাজার আহত, গর্ভবতী নারী, শিশু এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
আল-কেদরা জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলো ‘বিপুল আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামর্থহীন এবং সীমিত ক্লিনিকাল, চিকিৎসা ও মানবিক পরিষেবা দিয়ে রোগীদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বন্যহাতির হামলায় সাহেব মিয়া (৭০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ার পূর্ব পাশে ভাদুইল্লার ডুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু
নিহত কৃষক সাহাব মিয়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সাহেব মিয়া পেশায় একজন কৃষক। নিজের পানের বরজে কাজ করার সময় বন্যহাতির পাল তার উপর আক্রমণ করে। এসময় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এসেছে।
লোহাগাড়ার সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির আক্রমণে সাহাব মিয়া নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাতিজা ও জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি’র উপর প্রতিপক্ষ হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়ন কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস ও ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব আবির এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান খালেকের ছেলে, যুবলীগ কর্মী রনি দাস শহরের প্রেসক্লাব সড়কের বলরাম দাসের ছেল এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তী পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের অ্যাডভোকেট দিলিপ চক্রবর্তীর ছেলে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালকে সমর্থন দেয়ায় কদমতলা ও শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সমর্থক নেতা-কর্মীদের নানা রকম হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ হোসেন এর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে অভি’র সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ সময় হামলাকারীরা অভি এবং তার সঙ্গে থাকা স্মরণ চক্রবর্ত্তীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ. ম. রেজাউল করিমের অনুসারী বায়জিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করে কেটে দেন। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতে সহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর পরিদর্শন করেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচনে যেকোন প্রকার সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী