করোনা শনাক্ত
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ২৬, ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন
সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে, মৃত্যুর মিছিল ভারী হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৩ নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেলে একজন ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬৭ জন। আর ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অন্তত ৩২৮ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ২৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩৭৮ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় খুলনাতে আরও ১১ জনের মৃত্যু
বর্তমানে জেলায় ৮৪৩ জন করোনা আক্রান্ত রুগী রয়েছেন। এর মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ২৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বেসরকারি হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ৮১৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, চতুর্থ দফা চলমান লকডাউনের ২৫তম দিনেও সাতক্ষীরায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। শহর ও গ্রামাঞ্চলের হাটবাজার গুলোতে প্রচুর মানুষের ভিড়। লকডাউনের নামে সড়কে যেনো চলছে লুকোচুরি। ভারি যানবাহন ছাড়া সবই চলছে স্বাভাবিকভাবে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট গুলোতে চুরি করেই চলছে বেচাকেনা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেডও মানছে না কেউই।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া হাসপাতালে করোনায় ৯ মৃত্যু, বাড়ছে রোগী
যদিও পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে, ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল যোগে মানুষ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে, লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন মোটর চালিত ভ্যান ও রিকশা চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, জনসচেতনতা কম থাকায় মানুষ লকডাউন লঙ্ঘন করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার ৭টি উপজেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য পুলিশ বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড বসিয়েছে।
সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন ও করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সোমবার সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে মোট ৭৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০.৭৪ ভাগ।
আরও পড়ুনঃ করোনায় খুলনাতে আরও ১১ জনের মৃত্যু
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্ত ২৩৪ জনের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ১৪২ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৌলভীবাজার ৪৭ জন। এছাড়া, সুনামগঞ্জে ৯ জন, হবিগঞ্জে ২৫ জন এবং ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জনেরও পজিটিভ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়া হাসপাতালে করোনায় ৯ মৃত্যু, বাড়ছে রোগী
গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৮ জন, মৌলভীবাজারে ৬ জন ও সুনামগঞ্জে এক জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৪৭ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২৫ জন, সুনামগঞ্জে ৭ জন, হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারে ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় আরও ১৪ মৃত্যু
এ বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে সিলেটে ১৬ হাজার ৭১৯ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৫২ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬৬৬ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৯২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। তার মধ্যে সিলেট জেলার ৭২, সুনামগঞ্জের ৮, হবিগঞ্জের ১ ও মৌলভীবাজারের ২৮ জন। আর এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৫ হাজার ৮৪৮ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ২ হাজার ৮১৭ জন, হবিগঞ্জ জেলার ২ হাজার ১১০ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ২ হাজার ৬০৭ জন।
সিলেট বিভাগে সব মিলিয়ে করোনায় ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৮১ জন, সুনামগঞ্জে ৩২ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩৫ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে সুস্থ ৮২ জন মিলিয়ে এ বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছে ২৩ হাজার ২৭৩ জন।
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ
ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তেমনভাবে কেউ মানছেন না। কমছেও না করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন ১০১ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ জন, রানীশংকৈলে ১১ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১২ জন, পীরগঞ্জের ১৪ জন ও হরিপুরের ৭ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৫
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমিত পীরগঞ্জে ৭৫ বছর বয়সের একজন পুরুষ ও রাণীশংকৈলে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:রামেকে করোনায় একদিনের রেকর্ড মৃত্যু ১৮
সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২১ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৭১২ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনাভাইরাসে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ না মানায় বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিলেটে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ৭১
সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩২ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৭১ জনের শরীরে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আরও ৮০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে নতুন প্রায় ৮১ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ হাজার ৬০৬ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫ হাজার ৫৬৭ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮৫৭, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৫৪৬ ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৬৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত হওয়া ৭১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৬ জন সিলেট জেলার, সুনামগঞ্জে এক, হবিগঞ্জে পাঁচ ও মৌলভীবাজার জেলার ১৪ জন রয়েছেন। এছাড়া সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের ৫৬ জন সিলেটবাসী। এছাড়া ১৪ জন সুনামগঞ্জের ও মৌলভীবাজারবাসী ১০ জন । এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ১১৩ জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪ হাজার ৮৯২ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭৭০ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৮৩ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৩৬৮ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ও উপসর্গে ১৩ মৃত্যু
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন দুজন। যাদের দুইজনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৪৩২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৩৫৩ জন, সুনামগঞ্জে ৩০, হবিগঞ্জে ১৮ ও মৌলভীবাজারের ৩১ জন।
এদিকে সিলেটের চার জেলা মিলে ২৫৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের ২২৬ জনই সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে, সুনামগঞ্জে এক, হবিগঞ্জে পাঁচ ও মৌলভীবাজারে ২১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৪১ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবাইকে সিলেট জেলায় রাখা হয়েছে।
নেত্রকোণায় ভারত ফেরত ২ জনের করোনা শনাক্ত
নেত্রকোণায় ভারত ফেরত দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টেইনে রয়েছেন।
সতকর্তা হিসেবে শনাক্তদের আশেপাশের ছয়টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
তারা হলেন-নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের মো. আবুল কালাম (৫৫) ও তার পুত্রবধূ বিলকিছ বেগম (২২)।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া তাদের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ প্রতিবেদন আসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাদের সংস্পর্শে আসায় আবুল কালামের স্ত্রীকেও কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। তবে তার নাম জানায় নি প্রশাসন।
সিভিল সার্জন বলেন, আবুল কালাম ও বিলকিসকে জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে
আবুল কালাম তার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলে মো. সেলিমকে নিয়ে গত ১৪ মার্চ ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সঙ্গে গিয়েছিলেন তার পুত্রবধূ। সেখানেই সেলিমের মৃত্যু হলে তার লাশ নিয়ে গত ২০ মে দেশে ফেরেন তারা।
মাগুরায় ভারত ফেরত ৩ জনের করোনা শনাক্ত
মাগুরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৩ জনের শরীরে বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে তারা ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস বহন করছে কিনা তা জিনম সিকোয়েন্সের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
করোনা শনাক্ত এই ৩ জনের বাড়ি সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল এবং কুষ্টিয়া জেলাতে। এদের একজন ৫০ বছর বয়সি নারী এবং বাকি দুইজন পুরুষ। বয়স ২৫ ও ৪০ বছর। তবে তাদের শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভারত ফেরত ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. মো. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ৮ ও ৯ মে মোট ১০১ জন যাত্রী ভারত থেকে যশোর বেনাপোল বন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ভারত ফেরত এসব যাত্রীকে মাগুরার তিনটি আবাসিক হোটেল সৈকত, হোটেল মণ্ডল এবং ঈগল হোটেলকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘোষণা করে ১৪ দিনের জন্যে রাখা হয়।
এদের মধ্যে ৪ জনকে চিকিৎসার জন্যে মাগুরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ঢাকা ও অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ৬৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই ৩ জন পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত ফেরত ৩ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, করোনা পজিটিভ ৩ জনকে ইতিমধ্যেই মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ভারতের নতুন ভেরিয়েন্টের জীবাণু বহন করছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যে ইতিমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় ৪ হাজার, মৃত্যু ৩৫
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৯০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩৯ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৬৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২২ হাজার ৪২৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭.৬৫ শতাংশ।
এর আগে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৪.৯০ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৯৭ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১২ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২০ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ১৭৬ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৫০ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৯ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ জন।
করোনায় ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৭৪
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৮৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৭৪ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩৩ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৭৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ৭২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪.৯০ শতাংশ।
এর আগে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৩.৬৯ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ২২ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১২ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৪ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৬০৩ জনে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১১২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৪৯ জন।
দেশে করোনা শনাক্তের হার আরও ঊর্ধ্বমুখী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৩
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৩৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৮৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩৪ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৫৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৭ হাজার ৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ২৯৯টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.৬৯ শতাংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৩.২৬ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নতুন যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৬৭১ জন বা ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং নারী ২ হাজার ১৫৯ জন বা ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৫১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ৪৫ শতাংশ।
ফরিদপুরে করোনায় ২ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা যান তারা। ফরিদপুরে মহামারি করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যের সংখ্যা ১২৩ এ দাঁড়িয়েছে।
মৃত হাফিজা বেগম (৬১) ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাম ব্যাপারির স্ত্রী ও নূর ইসলাম (৪৯) মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাচিকাটা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস হাওলাদালের ছেলে।
আরও পড়ুন: করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু
এদিকে, ফরিদপুরে করোনা আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ছে। গত সোমবার ৯২ জনের পরীক্ষা করে ১৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩০। গত মঙ্গলবার ২৩৩ জনের পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৭।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়ে ১২৩ জন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ছাড়া এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা জনাকীর্ণ জায়গায় যাব না এবং সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলব।’
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আমরা শহর ও উপজেলা সদরগুলোর গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে মাইকিংসহ বিভিন্ন ধরনের করোনা বিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথাও কোথাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব