আইএমএফ
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
আইএমএফ শর্ত শিথিল করলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিট রিজার্ভের শর্ত শিথিল করা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
আইএমএফের ঋণের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদও আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয় বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি। এমনকি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদও সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
আইএমএফের নতুন শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে প্রকৃত রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে ২০ দশমকি ১০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আর্থিক খাতের অংশীজনরা এই লক্ষ্য অর্জন হবে কি না তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
প্রকৃত রিজার্ভ হলো- আইএমএফের এসডিআর, ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে রাখা ডলার এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) বিলের জন্য জমা করা ডলারবাদ দিয়ে গণনা করা রিজার্ভ।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
এ ছাড়া রিজার্ভের আরও দুটি হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মোট রিজার্ভ। আরেকটি আইএমএফ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম হলো বিপিএম৬ এর অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা রিজার্ভ।
২০২৩ সাল শেষে মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন ডলারে। তবে আইএমএফ শুধু নিট বা সত্যিকার রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করেছে।
আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত আগের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েও পূরণ করা যায়নি, যা অপ্রত্যাশিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা পরিবর্তন না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালের মার্চে আইএমএফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন মনসুর।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তা ঋণ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
এর অর্থ হলো- অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজারে ডলারের স্বল্প সরবরাহের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রায় ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক শনিবার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার রাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই পরিমাণ ঋণ সহায়তা যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
ফলে শনিবার বাংলাদেশের রিজার্ভ (গ্রস) দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফ ফর্মুলা বা বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করা হয়।
এদিকে, গত জুনের শেষে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফের কাছ থেকে যে ছাড় চেয়েছিল তা অনুমোদন করে।
একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার তাদের ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদিত হয়েছিল জানুয়ারিতে।
দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৪৫ কোটি ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি আইএমএফের অর্থ গত দুই বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যে উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও ৫ কিস্তিতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২ সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে এবং আইএমএফ বোর্ডের কাছে দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর এডিবি বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
উভয় ঋণ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে অনুমোদিত হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে।
এটি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে স্বস্তি আনবে। যা আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসার অর্থ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের ঘাটতি মেটাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় এই বৈঠক করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ আবদুলাই সেক এবং আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন আইবেলি ইউএনবিকে বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সঙ্গে কথা বলি। এর মধ্যে রয়েছে সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, একাডেমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক অবদানকারী, শিক্ষাবিদ এবং আরও অনেক ধরনের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি।
তিনি বলেন, 'এই কথোপকথন আমাদের বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিভিন্ন বৈদেশিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে।
তিনি বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক মতামত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে এবং দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি রাখা হয়েছে।
কামাল রবিবার (২২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি পেনশন বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এই মাসের শুরুর দিকে আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। যেখানে বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুমান ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আবারও বলব সারা বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা একা আমাদের অর্থনীতি চালাতে পারি না। সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
একদিকে যুদ্ধ থেমে গেলে অন্য দিকে আরেক যুদ্ধ শুরু হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা (সাংবাদিকরা) বলেন কিভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব?’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি।
তিনি বলেন, ‘সরকার সাবস্ক্রিপশনের টাকা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের ট্রেজারি বন্ডের জন্য ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে বাজেট করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় ধাপে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত ছিল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এসব শর্ত নিয়ে কাজ করেছে, কিছু শর্ত ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। গত বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ৬৮১ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় অংশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে আইএমএফ ডিসেম্বরে তার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পলিসি রেট ৭৫ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এগুলো হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকা এবং রাজস্ব সংগ্রহের ঘাটতি।’
মেজবাউল বলেন, ‘তবে আইএমএফের অনেকগুলো শর্ত পূরণ হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে।’
এছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার চালু করা হয়। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণের প্রথম অংশে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা রযেছে।
বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম পর্যালোচনা শেষ করে আইএমএফ এই বিবৃতি জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তা পর্যায়ের সমঝোতাটি আইএমএফ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে। এটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অংশীজন এবং আইএমএফের প্রতিনিধি দল ২০২৩ সালের আর্টিকেল ৪ বিষয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে ইসিএফ/ইএফএফ/আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে প্রথম পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে কমৃকর্তা পর্যায়ের সমঝোতায় পৌঁছেছেন তারা।
অবশেষে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলেছে, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির অধীনে কাঠামোগত সংস্কারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। তবে সংকটগুলো রয়ে গেছে। অব্যাহত বৈশ্বিক আর্থিক কঠোরতা এবং বিদ্যমান দুর্বলতা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এটি টাকা ও বৈদেশিক রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
এতে বলা হয়েছে, শিগগিরিই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি দ্বারা সমর্থিত আরও আর্থিক কঠোরতা এবং বৃহত্তর বিনিময় হারের নমনীয়তা প্রয়োজন।
সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক খাত তৈরি করতে বিদ্যমান নীতি সংস্কার; নীতি কাঠামো আধুনিকীকরণ; নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদারের উপর আলোকপাত করে আর্টিকেল ৪।
বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের আতিথেয়তা ও খোলামেলা আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আই্মএফের প্রতিনিধি দল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সরকারি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
দলটি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, রাজস্ব সংগ্রহ, জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়সহ বেশ কয়েকটি লক্ষ্য শিথিল করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফ ঋণ প্যাকেজের শর্ত হিসেবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
নিট ভিত্তিতে, এই পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার জন্য আইএমএফকে অনুরোধ করেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সেই অনুরোধ বিবেচনায় আইএমএফ লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুন শেষে ২০ বিলিয়ন ডলারে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ও বুধবার সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলোচনার পর আইএমএফ কিছু শর্তে নমনীয় হতে সম্মত হয়। সভায় সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। আইএমএফ মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ দল
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ