জাতীয় স্মৃতিসৌধ
আপনাদের উন্নয়নের জন্যই আপনাদের গণতন্ত্র: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় সুখী, সমৃদ্ধ ও সফল দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আপনাদের গণতন্ত্র আপনাদের উন্নয়নের জন্য।
শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসময় তিনি বীর শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন ও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
দোরাস্বামী যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ায় তিনি আগামীকাল বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবর্ধনায় দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি ট্রেনের মতো এবং ট্রেনটিকে অবশ্যই একসঙ্গে চলে আরও মহৎ কিছু করা অব্যাহত রাখতে হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত মনে-প্রাণে সম্পর্কিত, এটি রক্তের বন্ধনের চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
জাতীয় স্মৃতিসৌধে নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শনিবার দুপুরে তিনি বিভিন্ন বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সাভার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকালে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেয়া হয়। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে তিনি নতুন দায়িত্বের শপথ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসারিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মঙ্গলবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
ঢাকায় আসার পরই তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি প্রদানের ৫০তম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন:ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
লোটে শেরিং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসা চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আলোচনার পরে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্র মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিংয়ের এটি দ্বিতীয় সফর ঢাকায়।
আরও পড়ুন:ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশের ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই: কাদের
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই বলে বুধবার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে নতুন ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বীর শহীদদের স্মরণে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
করোনাভাইরাস: স্বাধীনতা দিবসে ফাঁকা জাতীয় স্মৃতিসৌধ
আজ ২৬ মার্চ । বাংলাদেশের ৫০তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ বর্ণিল সাজে সাজলেও এবছর করোনাভাইরাসের কারণে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা থেকে বিরত রয়েছে দেশ ও জাতি।