হাইকমিশন
বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি কানাডা সরকার: হাইকমিশন
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচণ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান দুই নাগরিক স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, নির্বাচন বিষয়ে তাদের(দুই পর্যবেক্ষকের) প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হাইকমিশন বলেছে, ‘আমরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই, যারা ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহত হয়েছে।’
হাইকমিশন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ পালন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনটি উপলক্ষে অভিবাসীদের অবদান এবং তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের প্রখ্যাত টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দিল্লি রাজ পউদেল, মরিশাসের হাইকমিশনার জে গোবর্ধন এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার অভিবাসনসংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের মালয়েশিয়া অফিসের প্রতিনিধি, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শ্রমিক, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার, সমুন্নত রাখিব তাদের অধিকার’।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. অনিদ্যিতা দাস গুপ্ত।
প্যানেল আলোচনায় মডারেটর ছিলেন জাতিসংঘের মালয়েশিয়ান অফিসের ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার ক্রিস্টিন চেহ গেক ফিং।
সেমিনারের প্রথম সেশনের প্যানেলিস্ট ছিলেন- ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেনের সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসিস্টেন্ট আমান্ডা এনজি সিয়াং ওয়েই, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের মালয়েশিয়া অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার ক্যাথেরিন লজ, ফেডারেশন অব মালয়শিয়ান ম্যানুফেকচারের ভাইস প্রেসিডেন্ট দাতো নাথান কে সোফি, মালয়েশিয়ার এমপ্ল্যার ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দিন বারদান, ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশনের প্রধান হারিরি বিন হারুন এবং মালয়েশিয়ার লেবার ডিভিশনের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার কালা এ/পি থাঙ্গারাজু।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনের আলোচক ছিলেন- মালয়েশিয়ার সিটি ব্যাংক লিমিটেড মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান ফারাজি, টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. গইডো বিনি, কমনওয়েলথ ইউথ ইনোভেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল চিফ এক্সিকিউটিভ ড. কিশাভ আম্বিগাপাথি এবং নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এড্রিন পেরেরা।
সেমিনারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন, অভিবাসীদের ভূমিকা ও অধিকার, অভিবাসনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং অভিবাসন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা অভিবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া, বক্তারা অভিবাসী নিয়োগ খরচ কমানো, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাগতিক দেশ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবব্ধ।
তিনি বলেন, শ্রমিক বঞ্চনা বন্ধ এবং তাদের অধিকার নিশ্চিতে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সরকার ও অভিবাসী সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
সবশেষে এ সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সেমিনার শেষে আলোচকদের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
কানাডায় অটয়োয় যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকমিশন অডিটোরিয়ামে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে হাইকমিশনের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এই দিবস পালিত হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুতে হাইকমিশনের শোক
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে তিনজন বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার(২৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক প্রকাশ করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য হাই কমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) এ. এস. এম. জাহিদুর রহমান এবং আইন সহকারী সুকুমারান সুবরামানিয়মকে ঘটনাস্থলে পাঠান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মোহাম্মদ মোকাদ্দেশ আলী, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. রওশন আলীর ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইপাই গ্রামের মোহাম্মদ ওসমান মণ্ডলের ছেলে মো. আহাদ আলী।
নিহতদের লাশ বর্তমানে পেনাং জেনারেল হসপিটালে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
এ ছাড়া, আরও দুই শ্রমিককে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পেনাং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চলমান উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাইকমিশন যোগাযোগ করছে বলেও জানান প্রেস সচিব সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় গুদাম ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন
যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস তানজিদ বসুনিয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ।
রবিবার রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা তাসনিম মুনা বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানির ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ ছাড়াও টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা খুব কম। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল রপ্তানির উপর জোর দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবাসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে কুয়ালালামপুরে চ্যালেঞ্জার স্পোর্টস সেন্টারে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি দল বিডি এফসি ক্লাবের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- প্রতিপাদ্যের আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
খেলা শেষে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা কাপ: শেখ রাসেলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সব শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।
তিনি বলেন, ১০ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা ও মানবিক গুণাবলী সমূহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিনিউটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে লন্ডনে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এবং দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনে লন্ডনে গত বুধবার বাংলাদেশ এবং ভারতের হাইকমিশন যৌথভাবে এক বিশেষ রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম দেশাত্মবোধক গান ‘আমার সোনার বাংলা’ বেঁছে নেওয়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হচ্ছে পার্বত্য শান্তিচুক্তির রজত জয়ন্তী
হাইকমিশনার বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং একজন বাঙালি কবি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন স্থাপন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করেছেন।’
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম সুন্দরভাবে মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ককে চিত্রিত করেছে। তিনি যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর জোর দেন যা ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য আরো গভীর করবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের ওপর চার বছর আগে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়, এটা তারই ফলশ্রুতি।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করে ২০২২ সালে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।
সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত লেবার ডিপার্টমেন্ট ৮ হাজার ৭২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকি প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরে মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক মোট পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
এদিকে, মালয়েশিয়ায় আসার পর কিছু সংখ্যক বিদেশি কর্মী সঠিক কাজ পাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও ব্যাক্তিগত সোর্স থেকে জানা গেছে। তারমধ্যে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীও সমস্যায় পড়েছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন অবহিত হয়েছে।
এ বিষয়ে, হাইকমিশন নিজস্ব উদ্যোগে এবং মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু সংখ্যক কর্মীদের কাজ দিতে নিয়োগকর্তাকে বাধ্য করেছে। বাকী কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন মনে করে। মালয়েশিয়া সরকারের বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে একজন কর্মীও কর্মহীন হওয়ার কথা নয়।
কারণ, মালয়েশিয়ায় সারা দেশব্যাপী লেবার ডিপার্টমেন্টের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। একমাত্র তারা যদি সঠিক যাচাই-বাছাই করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন অনুমোদন করেন তাহলেই বিদেশি কর্মীদের সঠিক চাকরি, কর্ম পরিবেশ, আবাসন ও মজুরি নিশ্চিত হবে।
তাছাড়াও, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব কর্মীর আইনগত সব অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্ব লেবার ডিপার্টমেন্টের ওপর এবং সে লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে সাংগঠনিক ও আইনগত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের দূতাবাসের পক্ষেই শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়ন করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে, দূতাবাসকে আবশ্যিকভাবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এটা বাংলাদেশসহ সব সোর্সিং কান্ট্রির দূতাবাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ দূতাবাস আনুমানিক ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সঠিক আছে কি-না সে সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিমান্ড সত্যায়ন করে থাকে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
বাকি আনুমানিক ৫ ভাগ ডিমান্ডের বিপরীতে দূতাবাস নিয়োগকর্তার অফিস/প্রজেক্ট সাইট ইত্যাদি ভিজিট করে সত্যায়ন করে থাকে। শতভাগ প্রজেক্ট /ফ্যাক্টরি তথা হাজার হাজার নিয়োগ প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে ভিজিট করা দূতাবাসের পক্ষে বাস্তবিকভাবেই অসম্ভব।
মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব। তাই, মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের ছাড়পত্রের ওপর আস্থা রেখে শ্রমিক পাঠানোটাই যুক্তিসংগত এবং শ্রমিক পাঠানো অন্যান্য সব দেশ এটাই করছে।
তাছাড়া, শতভাগ প্রজেক্ট দূতাবাস ভিজিট করে ডিমান্ড সত্যায়ন করতে হলে কর্মী আসার গতি এতই ধীর হবে যে, যেটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
অপরদিকে, প্রতিযোগী দেশসমূহ সেই সুযোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ তার যথাযথ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
তবে, এক্ষেত্রে ডিমান্ড সংগ্রহকারী বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ তাদের মালয়েশিয়ার সহযোগী এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগকর্তার সঠিকতা এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সক্ষমতা যথাযথভাবে যাচাই করার পর শ্রমিক প্রেরণের কার্যক্রম গ্রহণ করলে শ্রমিকদের কর্মহীনতার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে সতর্ক করেছে, যাতে দূতাবাস কোনো প্রজেক্ট সাইট/কোম্পানি সরেজমিনে যাচাই করতে না যায়।
কূটনৈতিক পত্রে তারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার যে কোনো কোম্পানি পরিদর্শনের একমাত্র এখতিয়ার মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সভায়ও বিষয়টি বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এবং কর্মী নিয়োগের ডিমান্ডের যথার্থতা নিশ্চিতের দায়িত্ব মালয়েশিয়ার সরকারের বলে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর প্রতিনিধি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনকে কোম্পানি ভিজিট থেকে বিরত থাকার জন্য পুনরায় বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় আসার পর কাজ না পাওয়া কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় খুবই কম এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য সীমার মধ্যে রয়েছে। এটিা শুধু বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না, নেপাল ও মিয়ানমারসহ অনেক দেশের শ্রমিকও এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করে বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশি কর্মীও মালয়েশিয়াতে বিড়ম্বনার শিকার না হয়।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ এবং ব্যবস্থাপনার বাস্তবতার বিষয়টি সব সচেতন মহল সম্যক অবহিত আছেন। মালয়েশিয়ার নতুন সরকার এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশকে অবহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনের 'ওপেন হাউজ' মতবিনিময় সভা
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের দীর্ঘদিনের পুরানো ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনাকে বাংলাদেশ হাইকমিশন সাধুবাদ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশাল এ কর্মযজ্ঞ পূর্ণ আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। লক্ষ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর নিরাপদ অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে।
এক্ষেত্রে, কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সব চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ডসমূহের অনুমোদনের সত্যতা এবং নিয়োগকারীর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু কোম্পানি সরেজমিনে তদন্তের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকমিশনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার শিথিলতাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।
মহৎ এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশন সব সচেতন মহল এবং সব অংশীজনের যথাযথ দায়িত্ববোধ, পূর্ণ আন্তরিকতা ও সহায়তা প্রত্যাশা করে।
পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গন বর্ণাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। এসময় সমবেতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হাইকমিশনার সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ এবং সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সবশেষে হাইকমিশনার সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাউসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে এক ইফতার-ডিনার এর আয়োজন করেন।