বিশ্ববিদ্যালয়
কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৪৯ লাখ ২৯ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৫২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৩৩ হাজার ১৬০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ চার হাজার ৭৬৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৪৪১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৩ হাজার ৭৬ জনে।
আরও পড়ুন: ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার মাইলফলকে ভারত
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৮০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার করোনায় ছয় জনের মৃত্যু ও ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাদান লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চাশ ভাগ পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সংক্রমণ কমে গেলে ক্লাস বাড়ানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ কমে গেলে আগামী জানুয়ারি থেকে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, কাজেই আমরা ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারছিনা। মহামারি এখনও চলছে, তবে সংক্রমণের হার কম। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। নতুন বছর আমরা যখন শুরু করব, সংক্রমণের হার আরও কমে গেলে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি একাডেমিক ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
এসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোন সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদেশে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সারাদেশে ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ওহিদুজ্জামান।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিন লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন করেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন। তবে তাদের মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়।
মানবিক (বি) ও বাণিজ্য (সি) ইউনিটের পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ২৪ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিগগিরই একটি একাডেমিক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সাত হাজার ৮৪জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসনে ভূঁইয়া, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার বিষয়ে অবহিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ইতিহাস তৈরি হলো,এই পরীক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থী,অভিভাবক সকলের দুর্ভোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে খুলছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল। সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাবো। শুধু আবাসিক কার্ডধারী ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। আপাতত গণরুম থাকছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুবিধাসমূহও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২ নভেম্বর
সভায় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্যরা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টায় আবাসিক হলগুলো খোলা ও ক্লাস যথারীতি চালু করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১ তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের হল খুলছে ২২ অক্টোবর
এর আগে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে আবাসিক হলগুলো খোলার আগে এক প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, হলে কোনভাবেই গণরুম না রাখা, যাদের শিক্ষা জীবন শেষ তারা কোনভাবেই যেন হলে থাকতে না পারে ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করে হলে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া হল খোলার আগে ও পরে সার্বক্ষণিক হলে প্রভোস্টসহ হাউস টিউটরদের অবস্থানের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৭ অক্টোবর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
আগামী ১৮ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১৫তম (জরুরি) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ সার্বিক অন্যান্য প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরে ১ অক্টোবর থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
সভা শেষে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। এদিন থেকে মাস্টার্স ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং ২৬ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
তিনি বলেন, হলে ওঠার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, টিকা গ্রহণের সনদ/রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি স্ব স্ব হলে জমা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম: স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রাবাস, ক্যাম্পাস, অফিস সর্বত্র যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে অবহিত করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়াসহ আরও যেভাবে তাদের ক্ষতির যতটা সম্ভব পুষিয়ে দেয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে। তবে সবকিছুর ওপরে থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ ও মনিটরিংয়ের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এসময় উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতিকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পাওয়ার পর সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ধাপে ধাপে ক্লাস কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদল তাদের প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ১ নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠেয় বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সাথে মরক্কোয় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এসএসসি ও এইচএসসির সময়সূচি প্রকাশ
শাবিপ্রবি ও সোনালী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার এমওইউ স্বাক্ষর
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে, শাবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে হোলসেল ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা পার্সোনাল লোন দিবে ব্যাংকটি।
রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিকে ‘শতভাগ ডিজিটাল’ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করব: উপাচার্যতিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই চুক্তি একটি মাইলফলক। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই হোম লোনের। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর আমরা এই চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছি।
চুক্তি অনুসারে, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের চাকরির বয়সসীমা ও বেতন স্কেল অনুসারে এই লোন গ্রহণ করতে পারবেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসি কুমার দাস, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সিন্ডিকেট সদস্য ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা, এপ্লাইড সায়েন্সেস এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের'র ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম, স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস'র ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান, স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবু সায়েম, স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. মো. আলমগীর কবির, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম, রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দপ্তরের পরিচালক আ ন ম জয়নাল আবেদীন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. তাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বলসহ কর্মচারী সমিতির নেতারা এবং বিভাগীয় প্রধানরা।
আরও পড়ুন: ধান গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে শাবিপ্রবি গবেষকরা
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জি. মো. ইদ্রিস, জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ চন্দ্র দাস, সিলেট আঞ্চলিক অফিসের জেনারেল ম্যানেজার বাবুল মো. আলম, সোনালী ব্যাংকের শাবি শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলী প্রমুখ।
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
দেশের গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর থেকে নেয়া হবে।
প্রথম দিন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
মুনাজ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি শুরু হবে। এরপর মানবিক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর এবং বাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বারবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে আবার পরিবর্তন করিনি। উপযুক্ত সময়ে যেনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকঠাকভাবে আমরা এসব তারিখেই পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল