বিশ্ববিদ্যালয়
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
দেশের গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর থেকে নেয়া হবে।
প্রথম দিন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
মুনাজ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি শুরু হবে। এরপর মানবিক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর এবং বাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বারবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে আবার পরিবর্তন করিনি। উপযুক্ত সময়ে যেনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকঠাকভাবে আমরা এসব তারিখেই পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। কিন্তু সৃষ্টিশীল তেমন কিছু বেরিয়ে আসছে না। পাশ্চাত্যে শিক্ষার্থীদের বড় বড় আবিষ্কার পৃথিবীকে অবাক করে দিচ্ছে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীরাও আমাদের চাইতে আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে। বাংলাদেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী কেন গড়ে উঠছে না সেই কারণ খুঁজতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের প্রতিকারমূলক পাঠদান করা হবে: মন্ত্রী
শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমীতে এইচএসসি-আলিম ২০২০ পরীক্ষায় জিপি-এ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ বরাবরই বেশি। শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ দেন। বাঙ্গালি জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী দিনে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রানপ্রণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় তিনি আগামী দিনে সারা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, যোগেশ্বর দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী পরে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানান। সর্বশেষ রাতে যখন তার সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি একটু পর বাসায় ফিরবে বলে তার বড় বোনকে জানান। রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যান এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার ও পুলিশের তদন্ত ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে এটি স্পষ্টত হয় যে, এটি কোন আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনার কেইস নয়। কারণ তাকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়া হয় বলে সূত্রমতে জানা যায়। এমনি আরো অনেক সূত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় আকবরের পরিবার একটি মামলাও করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের অবস্থা ছিল খুবই আশঙ্কাজনক এবং পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
আকবরের সহপাঠীরা জানান, তাদের ধারণা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই সহপাঠী হত্যার দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে মানববন্ধনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আরও পড়ুন: টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই থানায় কথা বলেছি। ঘটনার দিন ও (আকবর) হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সট্রাগ্রাম ব্যবহার করে কথা বলেছে। কিন্তু ওইগুলা ফোনে ডিলেট করা। চট্টগ্রাম খুলশি থানা পুলিশ সেগুলো উদঘাটন করার জন্য ঢাকায় ডিবিতে পাঠাইছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিকৃবিতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু
করোনার কারণে ক্লাস, পরীক্ষাসহ বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিস অনলাইনে এই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় এবং কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের লেভেল ১, সেমিস্টার একের ৪৯ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পাঙ্গাসের মড়ক রোধে সিকৃবিতে ‘বায়োফিল্ম’ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, এর আগে অনলাইনে ক্লাস ও ইন্টার্নি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন বলেন, ‘এটা প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সমগ্র পৃথিবী চলছে, তার ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করেছি।”
আরও পড়ুন: খাবার উপযোগী পোকা নিয়ে সিকৃবি ছাত্রের গবেষণা
ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রোমেজা খানম বলেন, “এই অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবার কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েরই সুবিধা হবে। করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া একাডেমিক ব্যবস্থাকে আমরা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে পারবো।”
দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ স্থাপন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফি হ্রাস ও ছাত্রী হলে এলটমেন্টের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: জবিতে সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি
ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলিম দেওয়ান বলেন, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এতো দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে খোলা যায় সেজন্য একটি যৌক্তিক রোডম্যাপ তৈরি করা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া আর পরীক্ষা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনেরই নেয়া উচিত। প্রশাসন চাইলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ চালু করতে পারে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা মেঘলা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী হলের বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন লুকোছাপা করছে৷ দুইবার প্রভোস্ট বদল, উদ্বোধনের এতোদিন পরেও হলের বরাদ্দ ও নীতিমালা ঠিক করতে না পারা প্রশাসনের দৈন্যতাকে সামনে এনেছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলের নীতিমালা ও বরাদ্দ চাই, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীরাও পাচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, আব্দুর রহমান ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস। ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত স্থানে নেয়া হবে এসব ক্লাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষার্থী এই ক্লাসে অংশ নিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রথম ক্লাস নিবেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। ক্যাম্পাস খোলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে থাকবে বলে জানান আয়োজক শিক্ষকরা।
কর্মসূচি সম্পর্কে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আমরা এই কর্মসূচি পালন করবো। এখানে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য শিক্ষকরা ক্লাস নিবেন। এই কর্মসূচি ক্যাম্পাস খোলা পর্যন্ত চলতে থাকবে। প্রতীকী এই ক্লাসে যেকোন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র অন্যান্য প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন খোলা যাবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আবাসিক শিক্ষক আছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও করোনা বিষয়ে সচেতন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া সবচেয়ে সহজ। আমরা ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করতে চাই যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব।
আর কোন কোন শিক্ষক ক্লাস নিতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক রায়হান জানান, অনেক শিক্ষক ক্লাস নিতে ইচ্ছুক। তারা হলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা প্রমুখ।
এবিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকলে যতটা নিরাপদ থাকবে তার চেয়ে আশেপাশে আরও বেশি অনিরাপদ অবস্থায় আছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্রুত হলে উঠার ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পাশাপাশি চিকিৎসা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বিভিন্ন টেস্টসহ করোনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ নামে সারাদেশে আমাদের একটি সংগঠন আছে। সেখান থেকেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতীকী এই ক্লাস সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলবে। এই কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জনমত তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় প্রস্তাব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষকদের এই সংগঠন। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর যাতে শুধু শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া হলগুলোয়ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে কাজ করে পুরোদমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা পরীক্ষা ও টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে ব্যবস্থা করা গেলে সবচেয়ে ভালো হয়, তাতে শিক্ষার্থীরা ভিড় এড়িয়ে টিকা নিতে পারবে। (৩) ক্যাম্পাসগুলোয় অবস্থিত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, আইসোলেশনের ব্যবস্থা, অসুস্থ হলে শিক্ষার্থীদের দেখাশোনার ব্যবস্থা উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। (৪) অনলাইনে সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প মূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সার্ভিসের বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। (৫) ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাঁদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনার সেফটি নেটের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস, বাসায় হাজির পুলিশ
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের সহপাঠীর ফোন কলে পেয়ে ওই ছাত্রের বাসায় গিয়ে তাকে সান্ত্বনা ও পরামর্শ দিয়েছে ঢাকার সবুজবাগ থানার পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় ৯৯৯ এ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এক কলার জানান, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি আত্মত্যা করতে যাচ্ছেন। এরপর থেকে তিনি ওই শিক্ষার্থীর ফোনে কল করে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর তিনি একাধিক সহপাঠীর সাথে যোগাযোগ করে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া শিক্ষার্থীর বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে ৯৯৯ এ ফোন করেছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন: খামার থেকে চুরি হওয়া গরু ২ ঘন্টায় উদ্ধার
তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন আহমেদবাগ, বাসাবো বালুরমাঠ সংলগ্ন, সালাম ডেইরির বিপরীত পাশের একটি ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সবুজবাগ থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই মো. মাহফুজুর রহমান ও ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৯৯৯ নম্বরে যুবকের ফোন, হাসপাতালে নিল পুলিশ
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে সবুজবাগ থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে সবুজবাগ থানার এসআই (সাব ইন্সপেক্টর) মো. মনির ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের এ ঘটনা জানান, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর কয়েকজন সহপাঠীও সেখানে উপস্থিত হন। তারপর সবাই মিলে বুঝিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে তার রুম থেকে বের করে আনেন এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সান্ত্বনা (কাউন্সেলিং) ও পরামর্শ দেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার সাকল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বকালে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ, সেশনজট নিয়ন্ত্রণ, একযুগ পর তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওতাভুক্তকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন, করোনা পরীক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে পিসিআর ল্যাব চালু, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মেগা ইস্যুর সমাধান ও অর্জন করতে সক্ষম হয় শাবিপ্রবি।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় প্লেজারিজম মুক্ত রাখতে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার চালু, গবেষণায় বরাদ্দ সাতগুণ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটা চালু ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা চালু, ক্যাম্পাসকে র্যা গিংমুক্তকরণ, সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু, করোনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা ও ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া খাবারের মান বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, খেলাধুলায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনসমূহে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা দেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের স্মৃতির রক্ষার্থে কাজ করতে চাই। সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদাপীঠের শিক্ষার্থীরা একসময় এই বাংলাদেশের সর্বস্তরে নেতৃত্ব দেবে। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করে যাব।
শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটি (ম্যুরাল) ই সিলেট বিভাগের বঙ্গবন্ধুর প্রথম ম্যুরাল।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান ও শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিতে এই ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে ‘কিলোরোড’ পেরিয়ে গোলচত্বর। গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবন-২ এর মাঝে ম্যুরালটির অবস্থান। ফলে আনমনে ক্যাম্পাসে চলাচলরত যে কারও নজরে পড়ে ম্যুরালটি। মনে হয় শির উঁচু করে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
আরও পড়ুন: করোনা : শাবির ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ
রড-সিমেন্ট ও সিরামিক টাইলস দিয়ে তৈরি ম্যুরালটির উচ্চতা ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আর মূল বেদী ৪০ ফুট বাই ২৫ ফুট। প্রায় ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিকৃতির ডিজাইনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থাপত্য শিল্পী শেখ নাঈম উদ্দিন টিপু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ সমারোহে নান্দনিক স্থাপত্যে নির্মিত এ ম্যুরালটির চারদিক ঘিরে রেখেছে অসংখ্য কদম, কৃষ্ণচূড়া, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যুরালের পাদদেশে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক দিবস ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতিদিনই চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রতিভাত হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সময়ে অগণিত দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখতে আসেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুর: শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এ ম্যুরালটি
নির্মাণ করা হয়েছে। এ ম্যুরালটির মাধ্যমে শাবিপ্রবি পরিবারের সকল সদস্য প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এ প্রত্যাশা করি।’
শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
এ স্কলারশিপের আওতায় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩৯ জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, প্রভাষক মাহাবুব আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন, আহনাফ মুজিব সামিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের কামরুল হাসান, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সুহেদা বেগম, সমাজকর্ম বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবিহা তাসনিম, মেহবুবা জান্নাহ ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
স্কলারশিপ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইউরোপের চারটি দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা নি:সন্দেহে আমার জ্ঞান ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে, যা পরবর্তীতে আমার শিক্ষকতার কাজে সহায়তা করবে।'