দূষণমুক্ত
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন । তাকে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দেশকে দূষণমুক্ত সবুজ বাংলায় পরিণত করতে কাজ করা হচ্ছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’- শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী জাতির পিতাসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং দেশবাসীকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
সভার আগে পরিবেশমন্ত্রী ও অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আলোচনা শেষে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ জনবহুল হওয়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য। তবুও দেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ পারলে আমরা কেন দেশকে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে পারব না। দেশকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার বিকালে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- এ ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি পেলে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের নিরলসভাবে কাজ করে পরিবেশের উন্নতি দৃশ্যমান করতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মনোবল সহকারে দেশের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে পরিবেশ রক্ষায় স্মার্টভাবে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে ‘বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়ন’- ক্যাটাগরিতে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাপ এ চিহ্নিত ১১৩ টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে রবিবার ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’
আগামী রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’ নামে একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়ে আসছে জেসিআই ঢাকা নর্থ,ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ,রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা।
বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলের উপযোগী করা,দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং বুড়িগঙ্গার নদী দূষণের শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন আয়োজকরা।
রবিবার (৫ জুন) সকাল ১০ টা থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ এলাকায় আয়োজিত এই গণগোসল অনুষ্ঠানে নদীপাড়ের মানুষ,কর্তব্যরত ব্যক্তিবর্গ, পরিবেশকর্মী,গবেষক,শিক্ষক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,যুব নেতৃবৃন্দ, সেলিব্রেটি ও মিডিয়া কর্মীসহ কয়েকশ’ মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
শুরুতে থাকবে নদী পাড়ের মানুষের সাথে সংলাপ ও সচেতনতা কর্মসূচ্।ি এরপর গণগোসলে অংশ নেবেন অংশগ্রহণকারীরা; যেখানে নদীরক্ষা বিষয়ক বার্তা তুলে ধরবেন তারা। গণগোসলের পর সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অংশ নেবেন অংশগ্রহণকারীরা।
বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা শহরের জন্য শুধু অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণই নয়,বরং এটি ঢাকার ত্রাণকর্তাও। নদীটির তীরে ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে। আজ এই নদী সামগ্রিকভাবে দূষণে জর্জরিত। কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য,গৃহস্থালির বর্জ্য,চিকিৎসা বর্জ্য,পয়োনিষ্কাশন,মৃত প্রাণী,প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গাকে প্রতিনিয়তই দূষিত করে যাচ্ছে;নষ্ট হচ্ছে ইকোলজিকাল ভারসাম্য। যার ফলে প্রাণ হারাচ্ছে এই নদী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন,‘পরিবেশ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে আমাদের কাজ করতেই হবে। বুড়িগঙ্গা নদী কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন,‘বুড়িগঙ্গার দূষণের কারণে আশপাশের পরিবেশ, নদী জীবন ও মানুষ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দূষণে অত্র অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। গণগোসল কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই দূষণের প্রতিবাদ জানাতে চাই।’
‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’-এর সমন্বয়ক ও জেসিআই ঢাকা নর্থ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,‘মানুষের জীবন,সম্পদ। সর্বোপরি ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে বুড়িগঙ্গা ও এর বৈচিত্র্যকে বাঁচাতে হবে। ভিন্নধর্মী এই আয়োজনে মধ্য দিয়ে আমরা বুড়িগঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলের উপযোগী করতে সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই।’
এই আয়োজনে অংশীদার হিসেবে আছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ গবেষণা কেন্দ্র- স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাচ বাংলাদেশ, গ্রিন সেভার্স, কানেক্ট৩৬০, সবুজপাতা, রিভার বাংলা, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন, নদীযাত্রিক, নদীটিভি, বুড়িগঙ্গা রিভার কোয়ালিশন, জেনল্যাব, ও ঢাকা ইয়্যুথ ক্লাব।
আরও পড়ুন: মা দিবসে মায়ের জন্য সেরা উপহার
ঐতিহাসিক মে দিবস আজ
দূষণমুক্ত রাখতে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর জীবাণুনাশক প্রয়োগ
করোনা সচেতনতায় পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে শনিবার রাঙামাটি শহরে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছে সেনাবাহিনী।