বজ্রপাত
দিনাজপুরে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলায় বজ্রপাতে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পার্বতীপুর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুস (২৫), উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের বুলবুল আহমেদ (৪৫) ও চিরিরবন্দর সাইতারা ইউনিয়নের নুর আলম (২১)।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
আব্দুল কুদ্দুস ও বুলবুল আহমেদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
এদিকে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালিদ হাসান জানান, নুর আলমের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর (পাঁচঘরি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফাহিম আহমদ (১২) একই গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে। আহত ফাহিমের চাচাতো ভাই আল-আমিন (১৩) নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাহিম ও আল-আমিন গ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিকট শব্দে বজ্রপাত ফাহিম ও আল-আমিনের পাশে পড়লে তাদের শরীর ঝলসে যায়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
তাদের চিৎকারে মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।
নিহত ফাহিম আহমদের মামা কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ঠিকাদার হোসেন আহমদ জানান, মাগরিবের নামাজে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে তার ভাগিনা ফাহিমের মৃত্যু হয় এবং আল-আমিন গুরুতর আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমেদ। নিহত ফাহিম আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুসুমপুর মাদরাসা রোডের দেলোয়ারের লাকড়ির দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই বন্ধু হলেন- লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের বটতলা এলাকার মোসলেম সরদারের ছেলে মো. জুম্মন (৪৫) ও মো. শাহজাহানের ছেলে মো. কাউসার (৫০)। তারা পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অটোরিকশার চালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী আসলাম ভূঁইয়া জানান, জোহরের নামাজ শেষে দেখি দুই বন্ধু এক নারীসহ দেলোয়ারের লাকড়ির দোকানে দাঁড়িয়ে আছে।
এ সময় ওই নারী বাসে করে চলে যায়। এর মধ্যেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এরা দুইজন দোকানের মাঝে শুয়ে পড়ে। দৌড়ে এসে দেখি দুইজনই মারা গেছে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, আমরা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।
দুই ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলতান প্রামাণিক (৬০) একই গ্রামের মৃত ফয়জাল প্রামাণিকের ছেলে।
কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে অন্য দিনমজুরদের সঙ্গে সুলতান প্রামাণিক গ্রামের এক কৃষকের জমিতে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গর্জন শুরু হয়। এ সময় সকলেই দৌড়ে গ্রামের দিকে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুলতান প্রামাণিক।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহত ৯
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
কক্সবাজারে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ উপজেলায় পৃথক স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের হাঁসপাড়া ওয়ার্ডের ছেলে রহমত উল্লাহ (৪০) এবং বাইননাপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে হেলাল উদ্দিন (২০)।
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে পানের খেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রহমত উল্লাহর মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকত থেকে স্প্যান সংগ্রহের সময় বজ্রপাতে হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহত ৯
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহত ৯
দেশের চার জেলায় বজ্রপাতে নয়জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম এবং চাঁদপুরে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
ইউএনবির নরসিংদী প্রতিনিধি জানান,
নরসিংদী জেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে পৃথক সময়ে জেলার রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২) এবং শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫), শিবপুরের সাধারচরের খোরশেদ মিয়ার ছেলে কৃষক খোকন মিয়া (৩০) এবং মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (৩০)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় নিহত ৩
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বিকালে বাড়ির অদূরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন পাতরদিয়া গ্রামের প্রবাস ফেরত রায়হান মিয়া। হঠাৎ বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির অদূরে পৌঁছামাত্র বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় রায়হান মিয়া।
দুই মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন কাতার প্রবাসী রায়হান মিয়া।
অন্যদিকে, রায়পুরা উপজেলায় মঙ্গলবার বিকালে বজ্রপাতে নিহত হন গৃহবধূ সামসুন নাহার।
শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জালাল উদ্দিন জানান, ওই গৃহবধূ খড়ের গাদা তৈরির জন্য বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে গিয়েছিলেন। তখন বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন শিবপুরের সাধারচর এলাকার কৃষক খোকন মিয়া।
এছাড়া, মঙ্গলবার বিকালে একই উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে বাড়ির সামনে ফুটবল নিয়ে খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাবেদ মিয়া নামে এক কিশোরের।
ইউএনবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও বাঞ্ছারামপুরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও একজন।
মঙ্গলবার বিকালে নাসিরনগরে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের বজ্রপাতে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত মোজাম্মেল হক উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বজ্রপাতে একজন নিহত ও কাইয়ূম নামে এক ব্যক্তি আহত হন।
নিহত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে মিত্র চাকমা জানান, বজ্রপাতে মনু মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মানিকপুরে তিনি জমিতে কাজ করছিলেন, তখন বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান,
কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- উলিপুর উপজেলার শাহজালাল (৪৫) ও চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ওব্রু শেখ (৫০)।
ইউএনবির চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান,
চাঁদপুরে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. হাসান মিজি (৪৫) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ছোট সুন্দর গফুর মিজি বাড়ির মৃত মো. কলিমউদ্দিন মিজির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হাসান মিজি বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে যান। তখন প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়। ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি উপেক্ষা করে বাগানে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল মামুন পাটওয়ারী ইউএনবিকে জানান, স্থানীয় ছোট সুন্দর বাজারের সরকারি রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া নিহতের লাশ তার বাড়িতে রয়েছে বলেও চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
মাগুরা ও রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও গফরগাঁওয়ে বজ্রপাতে এক শিশু ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার বিকালে ত্রিশালের বিয়ার্তা কোটাপাড়া গ্রামে ও গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী কোনাপাড়া গ্রামে ঘটনা দু’টি ঘটে।
নিহতরা হলেন- গফরগাঁও উপজেলার তললী কোনাপাড়া গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (১৫) ও ত্রিশালের বিয়ার্তা কোটাপাড়া গ্রামের জুনাঈদ (৯)।
তাদের মধ্যে আসিফ স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এবং জুনাঈদ বিয়ার্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল আসিফ। এ সময় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আসিফ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলার ত্রিশাল উপজেলার বিয়ার্তা কোটাপাড়া গ্রামে রবিবার বিকালে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে জুনায়েদ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছে আরও দুইজন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরা ও রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বজ্রপাতে ১৪টি গরুসহ এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুরের চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক সজিব হোসেন (২৫) লক্ষ্মীকুণ্ডার কামালপুর গ্রামের আলহাজ প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সজিব প্রতিদিন বাবার খামারের গরু নিয়ে কামালপুরের প্রত্যন্ত চরে পতিত জমিতে ঘাস খাওয়াতে যান। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে খামারের ৪১টি গরু নিয়ে কামালপুরের চরের উদ্দেশে বের হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু: এসএসটিএফ
সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফিরে আসার সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত শুরু হলে ১৪টি গরুসহ ঘটনাস্থলেই কৃষকে সজিব মারা যান।
বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া ১৪টি গরু মারা যাওয়ায় ১০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত সজিবের বাবা আলহাজ প্রামাণিক জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে যখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয় তখন আমি ফোনে ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসতে বলি।
বাড়ি ফেরার পথে আমার ছেলের জীবন চলে গেল। কোনোভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে ১৪টি গরুসহ এক কৃষক নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরা ও রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় নিহত ৩
মাগুরা ও রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলায় বজ্রপাতে পাঁচ কৃষক নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরচৌগাছি মাঠে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত ও অপর একজন আহত হন।
নিহতরা হলেন-নিজাম শেখ (৬০), মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস (৫০) ও শাহাদাত আলী (৬০) এবং আহত নজরুল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় নিহত ৩
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) লিটন কুমার দাস জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঝড়ের সময় কৃষকরা পাশের গাছের নিচে আশ্রয় নিলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত মারা যায়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা নিজাম ও মোহাম্মদকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া নজরুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এদিকে, রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে বিকালে আরও দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন-কালুখালী উপজেলার মাদাপুর ইউনিয়নের কুমোদ সিং (৪৫) ও বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বিল পাকুরিয়া গ্রামের ইমদাদুল জোয়াদ্দার (২৮)।
স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ৪টার দিকে ইমদাদুল তার লিচু বাগান দেখতে বাসা থেকে বের হলে বজ্রপাত হয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, বজ্রপাতের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু, আহত ১
১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু: এসএসটিএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় নিহত ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার চরবাগডাংগা, শাহজাহানপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চরবাগডাংগা ইউনিয়নের সোনাপট্টি এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল (৩৫), শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫) এবং দেবীনগর ইউনিয়নের নামোহর এলাকার মোজাম্মেলের ছেলে ইসারুল (৪২)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকালে বৃষ্টির সময় রফিকুল চরবাগডাংগা এলাকায় ধান খেতে ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
আরও পড়ুন: ১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু: এসএসটিএফ
তিনি আরও বলেন, অপরদিকে জাহাঙ্গীর বিকালে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বাড়ির অদূরে বজ্রপাতে সে মারা যায়। এছাড়া ইসারুল বিকালে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু, আহত ১