বজ্রপাত
জকিগঞ্জে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের দরগাবাহারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক কামরুল ইসলাম কালা ওই গ্রামের মৃত আলাই মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
এছাড়া আহতরা হলেন-একই গ্রামের মৃত পাখি মিয়ার ছেলে জুবের আহমদ, আব্দুল খালিকের ছেলে রুবেল আহমদ এবং সুহেল আহমদ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কামরুল ইসলাম কালাসহ চারজন দরগাবাহারপুর গ্রামের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ মেঘনা বিলে একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন। ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কামরুল। বাকিরা আহত হন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে চাচ্ছেন।
এজন্য তারা দরখাস্ত দেবেন। প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২
ধানখেতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খুলনার কয়রায় ধানখেতে সার দেয়ার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম নূর ইসলাম গাজী। তিনি ওই ইউনিয়নের কালনা গ্রামের মৃত আলি গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূর ইসলাম কালনা বিলে তার নিজের ধানখেতে সার দেয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় আর সেই সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা টের পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নূর ইসলাম তার নিজের ধানখেতে সার দিচ্ছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত ১
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার ক্ষিদ্রগড়গাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু
নিহত শনিবুল্লাহ (২২) ক্ষিদ্রগড়গাঁও গ্রামের আলমের ছেলে। পেশায় তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক।
হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জানান, শনিবুল্লাহ বিকালে কানিহার পুলের ওপর বসে ছিল। এ সময় বৃষ্টিপাতের এক পর্যায় আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় বজ্রপাতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
ভোলায় বজ্রপাতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
ভোলার তজুমদ্দিনে বজ্রপাতে আব্দুর রাজ্জাক (৩৩) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নিহত রাজ্জাক কুঞ্জেরহাট ও শিবপুর খাশেরহাট বাজারে আল আরাফা ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
আহতদের নাম হানিফ ও মঞ্জু।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুপুরে আব্দুর রাজ্জাক লোকজন নিয়ে তার সুপারি বাগানে সুপারি পারছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় বজ্রপাতে তিনজন আহত হন। এর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হলে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
মীরসরাইয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ চালকের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
বগুড়ার ধুনটে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন (৬০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার একটি গরুও মারা যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গোদাগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন ওই গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোনিতা নাছরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে কৃষক বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে যান। তখন মাঠের ভেতর অবিরাম বৃষ্টি ঝরছিল।
একপর্যায়ে হঠাৎ বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সঙ্গে তার গরুটিও মারা গেছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষক নিহত
বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
মুন্সীগঞ্জে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম ধামারণ বিলে শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় আরেক ভাগনে আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো- মামা রবিউল হাসান (১৬), তার ভাগনি সানজিদা আক্তার (৯) ও ভাগনে লামিম হোসেন (১২)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
আহত আরেক ভাগনে সিফাত হোসেনের (১৫) পা সমান্য পুড়ে গেছে।
নিহত লামিম ও আহত সিফাত গাজীপুরের বাস নির্মাণ ওয়ার্কসপের মিস্ত্রী কামাল হোসেনের ছেলে। আর সানজিদা তাদের খালাতো বোন। সে মাদরাসার শিক্ষার্থী। সানজিদার বাবার নাম সাইফুল হোসেন। একই উপজেলার সোনারং গ্রামে তারা বসবাস করতো।
মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আর নিহত রবিউল তাদের মামা। সে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনরা জানায়, সিফাত আহতাবস্থায় দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর জানালে স্বনজরা তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এএসএম ফেরদৌস জানান, তারা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। তবে তাদের শরীরে পুড়ে যাওয়ার কোন চিহ্ন পওয়া যায়নি।
এছাড়া বেঁচে যাওয়া সিফাত বিকট শব্দের কারণে এখনও স্তব্ধ অবস্থায় রয়েছে। সে নানা বাড়িতেই আছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করা হলেও তার বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন।
স্বজনদের বুকফাঁটা আর্তনাদ ও আহাজারিতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়।
টঙ্গীবাড়ির দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, অসচেতনতা আর অবেহেলাই এমন করুণ মৃত্যুর কারণ। বৃষ্টি বাদলের মধ্যে শিশুদের কোনভাবেই বিলে যেতে দেয়া ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বজ্রপাতে নানা-নাতির মৃত্যু
শৈলকুপায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফুলহরি গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে গরুর জন্য গ্রামের মাঠে ঘাস কাটতে যায় ওই গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম। দুপুরের পর হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
একপর্যায়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন খায়রুল ইসলাম। সেখান থেকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খায়রুল ইসলাম ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ধানখেতে এ দুর্ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ওই উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোবারক (৪০), মোন্নাফ হোসেন (১৯), শমসের আলী (৬২), আফসার (৬৩), শাহিন (২১), মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৬০), শাহ আলম (৪২), রিতু খাতুন (১৫) এবং অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মাঠে কৃষি শ্রমিকরা রোপা ধানের চারা উত্তোলন এবং রোপন করছিলেন। বিকালে আকাশে কালো মেঘের তর্জন গর্জনের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা ওই মাঠে অবস্থিত একটি শ্যালো ঘরে গিয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ পর ওই শ্যালো ঘরের ওপর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শ্রমিক নিহত হয় এবং আটজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীসহ চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) মাহফুজ বলেন, বজ্রপাতে নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় মিললেও অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাদের লাশ খুঁজছে। অভিযোগ না থাকলে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেনসহ অনান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক ডা. ফারুক আহাম্মদ বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় এমপি তানভীর ইমাম বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে হোসেন আলী প্রাং (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের বৈঠাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন আলী ওই এলাকার ইফরান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত হোসেন আলীর বাবা ইফরান আলী ও ওই এলাকার মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন তালুকদার আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে ইফরান আলী তার বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি ধানের জমিতে হোসেন ও ইয়াছিনকে নিয়ে কাজ করছিলেন। এমন সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই হোসেন আলী মারা যান। এতে গুরুতর আহত হন ইফরান ও ইয়াছিন। পরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই সহোদরের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দু’জন নিহত এবং পাঁচ নারী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রাম এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামের ফজলু মাতবরের ছেলে আশরাফুল (৪০)।
আরও পড়ুন: ঈদের সকালে বজ্রপাতে টাঙ্গাইলে ৩ কিশোরের মৃত্যু
আহতরা হলেন-শিলা (১৮), মেঘলা খাতুন (৫০), রুমি (২৩) ও বন্যা (২৫) । তারা সবাই মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ির পাশে নিজের জমিতে মেয়ে জুলিয়াকে (১৫) নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তারা দু’জনই আহত হন। স্থানীয়রা দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান আহমেদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সময় ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুরে জিকে খালে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বজ্রপাতে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত
এদিকে মঙ্গলবার সকালে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে পাঁচ নারী আহত হয়েছেন। আহতদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।