বজ্রপাত
বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৮ জনে পৌঁছেছে
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বন্যায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের সবাই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
মোট মৃতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৯১ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নামছে বন্যার পানি
বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বন্যায় আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১২
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে আরও দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে।
নিহতদের সবাই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
মোট মৃতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৮৫ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যায় ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৫৯ জন, ময়মনসিংহে ৪০ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগের ৩৩টি, রংপুর বিভাগের ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের মুগরাইন হাওরে চাঁই পেতে মাছ শিকার করার সময় জ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত মানিক মিয়া (২৮), মিয়াশা মিয়া (৩০) উপজেলা সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে তারা দু’জন বাড়ির পাশে হাওরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তারা মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে বন্যায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুসারে, মৃতদের মধ্যে দুজন পানিতে ডুবে এবং একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানি কমছে
মৃত ৯৫ জনের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৬৮ জন, বজ্রপাতে ১৫, সাপের কামড়ে দুই, ডায়রিয়ায় এক এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
১৭ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব বড় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
তবে ব্রহ্মপুত্র নদ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পাউবোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় বন্যায় ২৪ মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এর তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮।
অধিদপ্তরের মতে, ২৪ ঘণ্টায় শুধু সিলেট বিভাগেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ২০ জন, বজ্রপাতে দুজন এবং ডায়রিয়ায় একজন মারা গেছেন।
মোট ১৮৫ বন্যাকবলিত উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ২৯টি, রংপুর বিভাগে ১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার কারণে মোট ৮৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে দুই হাজার ছয়টি মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত মানুষদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারার আগ্রাসী রূপ: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিহত ১
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস!
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকার হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস!
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে বজ্রপাতে মো. করিম ও মো. ইয়াছিন নামের দুই জেলে নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লার পাড়া গ্রামে এ সময় আরও দুই জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ইমতিয়াজ (২৫) ও মো. করিম (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে ওই গ্রামের জাকের উল্লাহ’র তিন ছেলে রমিজ উদ্দিন(৩৬), ইমতিয়াজ, আক্কাস (২২) এবং দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাঁচার ছাবের আহমদের ছেলে মো. করিম মাছ ধরার নৌকায় কাজ করারত অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক নেছার আহমদ আহতদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মো. ইমতিয়াজ ও মো. করিমকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত সহোদর দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন।
নিহত মো. করিম রবিবার সকালে উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া এলাকায় ভগ্নিপতির মাছ ধরার নৌকায় জালের কাজ করতে যায়। সেখানে বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছে বলে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদ জানিয়েছেন।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতের আঘাতে দুই জেলে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে শুক্রবার বজ্রপাতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরে একদিনে বজ্রপাতে নিহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলার কাঁকরহাটি গ্রামের সৈয়দ মিয়া (১২), স্বাধীন (১১) ও শাওন (৭) ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া ময়মনসিংহ সদরের বালাপাড়ায় একটি জলাশয়ে মাছ ধরারকালে বজ্রপাতে দুই জেলে নিহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতরা হলেন- একই এলাকার আবু বক্কর (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
আরও পড়ুন: রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
এছাড়া একই দিনে সকালে ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামে বজ্রপাতে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হয় গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীতে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৫০) সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের কাটাঙ্গার চরের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে। আহতরা হলেন-শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল (২৮) ও শামীম (৩২)।’
কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত সজিব সরকার (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
লালমনিরহাটে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে হাতীবান্ধা উপজেলার আব্দুল মতিন (৫২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার।
বগুড়ায় ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তোজবেল হোসেন (৭০) ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বলে জানিয়েছেন এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় শুক্রবার ভোররাতে বজ্রপাতে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শওকত আলী একই এলাকার এবং কায়দা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শওকত তার ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে পুকুরের পাড় মেরামত করতে যায় যাতে পানিতে থাকা মাছ ভেসে না যায়। এ সময় শওকতের ওপর বজ্রপাত হয়।
তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর নবম শ্রেণির ছাত্র শাকিলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এদিন দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়াঁ (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন (১১) ও বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাওন (৮)।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
অন্যদিকে, দুপুরে ময়মনসিংহ সদরের দড়ি কুষ্টিয়া বালাপাড়া এলাকায় বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান হাসেন আলীর ছেলে আবু বক্কার (৪০) ও পচা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়া একই দিনে সকালে ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামে বজ্রপাতে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হয় গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
রাজধানীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
যমুনায় বজ্রপাতে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ২
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ইটবাহী নৌকায় বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বর্ণি গ্রামের কাছাকাছি নৌকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৫০) সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের কাটাঙ্গার চরের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে।
আহতরা হলেন-শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল (২৮) ও শামীম (৩২)
আরও পড়ুন: রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজের ইট নিয়ে নৌকায় করে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল বর্ণি গ্রামে যাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে ওই গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছলে প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে নৌকার ওপর বজ্রপাত হলে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হন।
এই সময় শ্রমিক সাইফুল ও শামীম আহত হন। পরে নৌকায় থাকা অন্য শ্রমিক ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে দুপুর ২টার দিকে ব্যবসায়ী রাজ্জাক মুন্সীর লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।