কারাগার
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্স থেকে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ২জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার(২ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানার ছোট দেওরা এলাকার বাসিন্দা ট্রাকচালক মো. আবু নাঈম (২৮) ও একই থানার শান্তি পল্লী এলাকার চালকের সহকারী মো. আশরাফ (৩০)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপন ভিডিও ধারনের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে ময়লা-আবর্জনা আনতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ডাম্প ট্রাক।
এ সময় তল্লাশি করে কারারক্ষীরা ট্রাকের সিট কাভারের ভেতর থেকে কালো টেপ দিয়ে প্যাঁচানো প্রায় ২৫০ গ্রাম গাঁজা, দু’টি দা, একটি চাকু এবং দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ট্রাক চালকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই দু’জনকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
মাদকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে আদালতে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাটির নিচ থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
যৌতুক দাবি, প্রথম বিয়ের কথা গোপন এবং নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (৩৭) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কূটনৈতিক অফিসে কর্মরত। সমন জারির পর বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে এসে তিনি জামিন আবেদন করেন।
মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
বাদী জারিন রাফা নীলান্তির (২৬) তথ্যমতে, তারা ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল বিয়ে করেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল এবং তিনি বিষয়টি তার কাছে গোপন রেখেছিলেন।
২০২২ সালের ৭ অক্টোবর বাদীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে আসামি জারিনের কাছে ৪০ লাখ টাকা ও ৫ কাঠা জমি যৌতুক হিসেবে দাবি করেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএসএমএমইউতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় মানিকগঞ্জে শিক্ষক গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কাশিমপুর কারাগারের চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউয়ে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সাঈদী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: যাকাতের অর্থ আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে সাঈদীর আবেদন
চট্টগ্রামে সাঈদীর মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস, মাদরাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের পর এখন উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইরমানের রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নাটকীয় মোড়।
ইমরানের দল সরকারের সমালোচনা করে এই মামলাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছে। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই মামলার লক্ষ্য হলো আসন্ন শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। সরকার ইমরানের প্রতি রাজনৈতিক নীপিড়নকে অস্বীকার করে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বৈধ বলছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ৭০ বছর বয়সী ইমরান সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা তেহরিক-ই- ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্ব থেকেও আইনানুযায়ী সরে যেতে হবে তাকে। এদিকে জরিপগুলো পিটিআই-এর জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয় এবং খানের কারাদণ্ড তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা ছিল
ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার থেকে আয়ের প্রতিবেদন জমা দেননি বলে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার রায় দিয়েছে। পাকিস্তানে সরকারি পদ ছাড়ার পর নেতাদের এই ধরনের উপহার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেসব উপহারের মূল্যের একটি অংশ প্রদান করা হয়।
আদালত বলেছে, ইমরান সেই উপহারগুলোর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন এবং গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনে সেই উপার্জনগুলো উল্লেখ করেননি। এজন্য আদালত খানকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাকে ১ লাখ রুপি বা সাড়ে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
রায়ের পরপরই, খানকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাটক শহরে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আদালত অবমাননা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনি লড়াইয়ের এই ঝাঁকুনি খানকে সরিয়ে দিতে শাসক জোটের একটি প্রচেষ্টার অংশ। কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন।
খানকে একজন দুর্নীতিবাজ প্রতারক হিসেবে চিত্রিত করতে তাকে কারাগারের বাইরে রাখার পরিববর্তে ভেতরে রাখতে আইনি কৌশল প্রয়োগ করেছে সরকার। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে সরকারের সমর্থক রয়েছে, যারা তার ৭৫ বছরের ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এই গ্রেপ্তার ভিন্ন কীভাবে?
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। এটি এমনটি একটি কারাগার, দণ্ডিত জঙ্গি ও সহিংস অপরাধীদের জন্য এর কুখ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানকার অবস্থার সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা বলেছেন, তার জন্য একটি ফ্যান এবং আলাদা গোসলের সুবিধাসহ তার নিজস্ব সেল রয়েছে। যা কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের মতো কঠিন অবস্থার থেকে এক ধাপ উন্নত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
মে মাসে ইমরানকে আটক করার ঘটনার চেয়ে এবারের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। এবার দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের শুনানি পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেবার সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেই আটককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ইমরানকে পুলিশ কম্পাউন্ডে একটি গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার আটকের বিষয়ে আইনি যুক্তি শেষ হওয়ার সময় দর্শকরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছিল। খান অবশেষে লাহোরে ফিরেও এসেছিলেন। সমর্থকরা গাড়িতে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
এরপর কী হবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বিশ্বাস করেন, সুপ্রিম কোর্ট খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং আপিলের সাজা বাতিল করতে পারে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান গুল বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো শক্ত মামলা ছিল না। তবে তাকে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে এই দোষী সাব্যস্ত হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, খানের প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে।
‘তিনি কিছু নিষ্পাপ, নির্বোধ সমর্থকদের প্রতারণা করতে পারেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ এখন তার আসল চরিত্র চিনতে পেরেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘মুখোশ খুলে তার আসল চেহারা তুলে ধরা হয়েছে। তুচ্ছ লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার কুক্ষিগত করেছেন।’
যদি ইমরান দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি নির্বাচনে দলের নেতৃত্বও দিতে পারবেন না। কারণ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কারাগারে থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
মে মাসে তাকে আটক করার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছিল। খানের অনুগত কয়েক হাজার মানুষ শহরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। সরকার ক্র্যাক ডাউন করেছে, ৭ হাজারেরও বেশি আটক করেছে। কিছু মামলার বিচার এখনও চলছে।
সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় আগেরবারের তুলনায় এবার ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নীরব ছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য এবার তার আহ্বান বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক পতন কী?
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সম্ভবত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেবেন। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার কয়েক মাস ভোট পিছিয়ে দিতে পারে।
খানের কারাবরণ তাকে এবং তার দলের বৃহত্তর নির্বাচনী সমর্থন আদায় করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিলেন। এটি আরও যোগ করবে যে পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নির্ভীক কর্মী তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে জেল থেকেও তার প্রার্থীদের জন্য কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
দিনাজপুর কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির হাসপাতালে মৃত্যু
সাঈদ আলী (৫৯) নামে দিনাজপুর জেলা কারাগারের এক কয়েদির জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন।
বুধবার (২ আগস্ট) ভোরে গুরুত্বর অসুস্হ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সাঈদ আলী দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিংলাই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। গত বছরের ২৩ মে থেকে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্রোধের বশবতি হয়ে গত ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট রাতে হুমাযুন কবীর নামে একজন মুদি দোকানিকে অপহরণ করে হত্যা করেন তিনি।
জেলা কারাগারের জেলার এ. কে. মাসুম জানান, যাবজ্জীবন সাজাভোগী কয়েদি সাঈদ আলী কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুত্বর অসুস্হ অবস্থায় কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা গেছে সে।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্হান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
বাগেরহাট কারাগারের হাজতির মৃত্যু
যশোর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির (৩৮৯১/ এ) মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে তার মৃত্যু হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তোরাব আলী শেখ (৫৬) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, মাগুরা জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলায় তোরাবকে ২০০৫ সালের ৩০ জানুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন তোরাব। ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আসিফ মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সিলেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ আবদুল্লাহ কারাগারে
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন নবর্নিাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এর পক্ষে থাকা আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন জানান, সিসিক নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান গত ১২ জুন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছিলেন বলে জানা যায়।
আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জামিন বাতিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এই শুনানি শেষে সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহসহ তাদের সকলের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন খানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল জানান, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার মামলায় সায়ীদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জন উচ্চ আদালত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডাইরেকশনে ছিলেন।
আদেশ মোতাবেক আসামিরা সিলেট মহানগর দায়রা জজের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান।
সায়ীদ আবদুল্লাহ ছাড়াও একই মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া, রাজন আহমদ। এরা সবাই নগরীর ৭ নং ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ (৩৬), কাজী মিজান (২৯), শাহীন (৩০) রাজন আহমদ, ছবের মিয়া (৩৪), এমাদ উদ্দিন সুয়েব (৩৩), মতিউর রহমান মৃধা (৪২), আমিন মিয়া (৩২), আল আমিন (২৮), পশ্চিম পীর মহল্লার আবুল কালাম মাস্টার (৪৫), জুনেদ আহমদ (৩৫) ও অগ্রণী আ/এ এলাকার সোহাগ মিয়া (২৬)।
এদিকে সোমবার (২৪ জুলাই) নির্বাচনকালীন অস্ত্রের মহড়ার অভিযোগে একই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
বরগুনায় নারী নির্যাতন মামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ২ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নূর উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
শুনানি শেষে ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।
অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, উপ-নির্বাচনের দিন সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন।
মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫থেকে ৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
মামলার বাদী হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে।
এসময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
বরগুনায় নারী নির্যাতন মামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
বরগুনায় নারীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রনো বরগুনা পৌর শহরের কেজি স্কুল সড়কের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, এ বছরের ৮ এপ্রিল আসাদুজ্জামান রনো ও তার সহযোগী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তার এক নারী প্রতিবেশী মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি বরগুনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান মিয়া ১মে আসামি রনো ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিচারক ১১ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।
দেলোয়ার বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয় এবং রনো সোমবার স্বেচ্ছায় ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
আদেশের পরে আদালত প্রাঙ্গণে রনো বলেন, আমাদের জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নিতে চায় মামলার বাদীর স্বামী আবু জাফর। আমি বাধা দিলে আবু জাফর তার স্ত্রীকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায়। আমি ঢাকায় ব্যবসা ও রাজনীতি করি। মামলা বিষয় আমি কিছু জানতাম না।
অন্যদিকে, মামলার বাদী বলেন যে চলতি বছরের ৩এপ্রিল সকালে আমার বাসার পূর্ব পাশে এসে রনো ও দেলোয়ার আমাকে লাগমন্দ করে। আমি প্রতিবাদ করলে রনো ও দেলোয়ার আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, বাদীর মামলার ঘটনা সত্য মর্মে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে। এ কারণে রনোর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অপর আসামি দেলোয়ারের জামিন আবেদন শুনানি হবে আগামী ২৩ জুলাই।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহমিদা আক্তার একই উপজেলার বৈরাগীবাজারের কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানকে বিয়ে করে।
নিহতের বাবা ও ভাই অভিযোগ করেন, ‘স্বামীর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ফাহমিদাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। রাতেও ফোন দিয়ে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিল সে। ফাহমিদা আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি আত্মহত্যা নয়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফাহমিদার শ্বশুর দবির মিয়া বলেন, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে ফাহমিদা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করে থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা জমির উদ্দিন। এতে ফাহমিদার স্বামী আবিদুর রহমান, শ্বশুর দবির উদ্দিন এবং শাশুড়ি লিপি বেগমকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আবিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক স্থানে দু’টি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার