রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি ও বইটির সম্পাদনা সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম।
বইটি অনুবাদ করেছেন দুলাল আল মনসুর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে তার এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরও আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ইউএনবি জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে ইউজিসিকে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সরকারের লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও স্মার্ট হতে হবে।’
তিনি ইউজিসিকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
ইউজিসি প্রতিনিধিদল দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে তার দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বিভিন্ন খাতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও শক্তিশালী।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগামীতে এ বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বাংলাদেশ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার বলেন, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
এছাড়া প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলে, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে শুরা কাউন্সিলের সদস্য খালেদ বিন মোহাম্মদ আল বাওয়ারদি, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত খালেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইফ এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
তিন দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরে বিকালে সেখান থেকে গাড়িতে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
পাবনা জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারা।
এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে একটিমাত্র এজেন্ডা ছিল। সেটা হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে।
তিনি আরও বলেন, অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। আজকে সেই অনুমোদন হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে আগামী রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য ও রোজা সংশ্লিষ্টপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্বাচনি ইশতিহার দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী সব মন্ত্রণালয় যেন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়।
কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু
যেই মন্ত্রণালয়ের যে অংশ এসব স্তম্ভের সঙ্গে জড়িত তাদের সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেছেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প যেগুলো শেষ পর্যায়ে সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন।
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবহিদির কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত মানুষরা পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
নারী উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত এবং কৃষিজ পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এগুলোকে প্রয়োজনে পোশাক খাতের মতো সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের আস্থা অর্জন করায় তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, আজ বিকালে শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে আসলে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বিকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ফুলের তোড়া দিয়েও শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
প্রেস সচিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই বিজয় জনমতের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান এবং নতুন সিজিএস ও পিএসও’র দায়িত্ব পালনে তার দিক-নির্দেশনা চান তারা।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
নতুন সিজিএস ও পিএসওকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তাদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা ইতিবাচক অবদান রাখবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে বেসামরিক প্রশাসনের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান সাক্ষাৎকালে নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকসহ বিভিন্ন পণ্যের ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধিসহ দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বিনিয়োগ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে নতুন রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (এসইজেড) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকালে কসোভোর বিদাইয়ী রাষ্ট্রদূত যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিচারকদের বলেন, ‘আপনারা আরও সতর্ক থাকবেন ন্যায়বিচারপ্রত্যাশীদের যাতে দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে না হয়।’
সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং এর আলোকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্বোধন করেন।
সুপ্রিম কোর্টকে জাতির গৌরবের প্রতীক এবং সব পেশার মানুষের আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার জন্য আসে।
আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার কার্যক্রম কোনোভাবেই অগ্রসর হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারিক কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, যখনই প্রয়োজন আইনজীবীরা আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আদালতকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধানের হেফাজতকারী এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রের অন্য দুটি অঙ্গকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তবে এই দায়িত্ব অবশ্যই অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গ-লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়ালের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকরা সফল হননি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা তাদের পতনের আগে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী পাস করার জন্য সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তাদের সব অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনকে খর্ব করতে সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিকভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কমিটির সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি