রাষ্ট্রপতি
মেয়াদ শেষ হলে পৌরসভায় প্রশাসক, সংসদে বিল পাস
প্রতি পাঁচ বছর পরপর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা কঠোরভাবে অনুসরণের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সংশোধন) বিল, ২০২২ পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলেই বিলটি আইন হিসেবে গণ্য হবে।
রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করলে যেসকল পৌরসভা চেয়ারম্যান পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে পদে থাকছেন তাদের জন্য বিষয়টি সুখকর হবে না।
আরও পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সংসদে বিল উত্থাপন
সংশোধনী অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে। প্রশাসক সর্বোচ্চ ছয় মাস পদে থাকতে পারবেন এবং ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবেন।
বিলটিতে পৌরসভা সদস্যের পদবী পরিবর্তন করে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা করারও কথা বলা হয়েছে।
বিলের একটি ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও পৌরসভা তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১২ মাসের বেতন এবং অন্যান্য মজুরি দিতে ব্যর্থ হয় তবে সরকার পৌরসভার মর্যাদা বাতিল করতে পারে।
বিল অনুসারে, প্রতি বর্গকিলোমিটারে দুই হাজার বাসিন্দা হলে একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে।
আরও পড়ুন: সংসদে পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিল পাস
তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আইটি একদিকে অপার সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহার ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতারক অনলাইন ডেলিভারির নামে জনগণের টাকা চুরির ফাঁদ পাতছে। অনেকে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করেও কোনো পণ্য পাননি। আবার অনেকে পণ্য পেলেও এর মান খারাপ ছিল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
তিনি আরও বলেন, এসব প্রতারক চক্র তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দিয়ে প্রতারণা করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, তবে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখতে হবে। ক্রেতাদের লোভনীয় অফার দেখলেই অর্ডার করার বিষয়টি পরিবর্তন করতে হবে।
এই প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিং একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে সাড়ে ছয় লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, নারীদেরও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে হবে, যাতে তারাও সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হয়েছেন, তাদের এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। বিনিয়োগের মাধ্যমে এ পেশার পরিধি বাড়াতে হবে। বিল গেটস, ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসের মতো আইটি জায়ান্টরা এভাবেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিন: রাষ্ট্রপতি
হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দেশের জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই বিশাল যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। যাতে তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্ববাজারে টেকসই অবস্থান তৈরি করতে মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই এবং সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার শিল্পের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতা দেখছেন চীনা নেতারা
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটছে এবং সেটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার করছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদকে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জন চীনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী,বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার নতুন শপথ নিয়ে শনিবার ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দমন-পীড়নের পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
৩০ লাখ মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ নারীর সম্মানের বিনিময়ে ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপ্রধান স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সলিমপুর ওয়্যারলেস স্টেশনের ওপর একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন। স্টেশনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার গ্রহণ ও প্রচারকারী স্টেশন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটের পাশাপাশি ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকার ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
সকালে জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ সারাদেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোতে একযোগে গাওয়া হয়।
সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সরকারি ও আধা-সরকারি ভবন ও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে আলোকসজ্জা করা হয়।
বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তৃত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে এবং একইসঙ্গে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সাপ্লিমেন্ট প্রকাশ করেছে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও অন্যান্য দেশপ্রেমিকদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দেশব্যাপী সব মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপ্রতি প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী ৫২ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের সূচনা করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার
রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনে।
সেজোনভ নয়াদিল্লিতে অবস্থান করে একই সঙ্গে ভারত ও নেপালে তার দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্বকালে রোমানিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আরও বাড়বে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত রোমানিয়ার অনারারি কনসুল এনায়েতউল্লাহ খান রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলার সম্মানে তার বারিধারার বাসভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশে এসে আমি খুবই গর্বিত।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও রোমানিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংকটে রোমানিয়ানরা যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছে। এ সময় তারা কীভাবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের এবং ইউক্রেনে আটকা পড়া কিছু বাংলাদেশিকে সাহায্য করেছিল তা স্মরণ করেন তিনি।
রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে আমাদের কিছু মৌলিক সাধারণ মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য এক হতে হবে। আমি এই পরিস্থিতির উন্নতির আশা করি।
তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি যুদ্ধ, সবাইকে এর সমালোচনা করতে হবে।
বেদ ও উপনিষদের প্রাচীন জ্ঞানের মাধ্যমে ভারতের প্রেমে পড়ে রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা বুখারেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কমিউনিস্ট-পরবর্তী রোমানিয়ায় হিন্দি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী।
ড্যানিয়েলা ১৯৯২ সালে আগ্রার কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থায় হিন্দি ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি বৃত্তি পেয়েছিলেন। এভাবেই মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি ভারতে আসেন।
এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়া একটি।
এ সময় তিনি প্রায় ২০ বছর পর ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলাকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস নর্ডিক দেশগুলোর
তিনি জানান, গত দুই বছরে করোনা আমাদের ভিন্নভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। মহামারি পরবর্তী ভোগান্তি আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ভালো এবং শান্তিপূর্ণ হবে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন নতুন চ্যালেঞ্জ থাকলেও সবাই মিলে একটি উন্নত বিশ্বের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব আমরা।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা নতুন বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ এটি।’
এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘ইমেজ সংকট’ থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে উন্নীত করার লক্ষ্যে তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন।
তিনি বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা করে বলেন, প্রতিটি সংকটে একটি ভালো দিক আছে। আমি আশা করি বাংলাদেশ-রোমানিয়ার সম্পর্ক বৃহত্তর, শক্তিশালী ও গভীর হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী মলদোভা ও রোমানিয়া হয়ে ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বুখারেস্টে বাংলাদেশ মিশনের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সচিব বলেন, তিনি (রোমানিয়ান রাষ্ট্রদূত) যেভাবে বাংলাদেশকে গ্রহণ করেছেন তাতে আমি খুবই মুগ্ধ এবং তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় উন্নীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সচিব বলেন, (দুই দেশের সম্পর্কে) অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে প্রচুর জনবল নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং নতুন রাষ্ট্রদূত এটি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
এ সময় সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিমসহ বর্তমান ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে প্রত্যাশা ঢাকার
শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাডেমিক পাঠ্যক্রমের পরিকল্পনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের একাডেমিক পাঠ্যক্রমের পরিকল্পনা করতে হবে। প্রায়ই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহ ও পছন্দ অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে না।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পিএসসিকে সরকারি নিয়োগ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা যেন কোনোভাবেই সনদ ভিত্তিক না হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়তে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু আসন টিউশন ফি-মুক্ত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে তাদের পাঠদান নিয়ে কী করা হচ্ছে তা জানতে গবেষকদের যথেষ্ট আগ্রহ ও উদ্দীপনা থাকতে হবে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নে তার নিজ গ্রাম পেমোইতে জানাজা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ কেন্দুয়ায় আনা হলে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর মরদেহ নিয়ে হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন এবং গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
রবিবার সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দাফন করা হবে।
১৯৩০ সালে নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণকারী সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করায়, তিনি দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। পরে তার নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি তার পদ থেকে অবসর নেন।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক এই বিচারকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার ভূমিকা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তৃতাকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি (সাহাবুদ্দীন) জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছেন।’
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে এদেশের মানুষ চিরকাল মনে রাখবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
ফখরুল সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
শনিবার সকালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (৯২) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।
১৯৩০ সালে নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণকারী সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করায়, তিনি দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। পরে তার নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি তার পদ থেকে অবসর নেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই
‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার পরিচালক আজিজুর রহমান আর নেই
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা