রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন কার্যক্রম বিশেষ করে করোনাকালে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রধান বিচারপতি মামলাজট কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপ্রধান প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিচার বিভাগ মানুষের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থীরা যেন কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া বিচার পেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ দ্রুত বিচার কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি নতুন হাইকমিশনারকে বলেন, কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশ সবসময়ই চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা-মুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কানাডার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে কানাডাকে দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি করোনা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার জন্য কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করে একে একটি সাহসী পদক্ষেপ এবং মানবিক কাজ হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি রাষ্ট্রপতিকে আরও বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এসময় তার মেয়াদে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্তি) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান ও ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার জন্য আপনাদের কাছে আসে। তাই তারা যাতে কোনো ভাবে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন ও জেলা আইনজীবী সমিতির ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে শুধু আইনের শাসন নয়, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।
বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আদালত সংকট নিরসনের পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি সহায়তা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের উদ্বোধনসহ ৩১টি জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমার আশা এই ভবনগুলো নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোরগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ এই জেলার সঙ্গে তার জীবন জড়িত।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষ দ্রুততম সময়ে বিচারিক সেবা পাবে। পাশাপাশি মানুষ সুন্দর পরিবেশ পাবে, এটা আমার জন্য আনন্দের।’
প্রয়োজনীয় স্থানের অভাবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে আপনারা সুন্দর পরিবেশে বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মানুষ উপকৃত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিতাড়িত এবং পুলিশি সেবা উন্নত করতে পুলিশকে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্লিনিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ বাহিনীর দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ কর্মকর্তারা রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে যুক্ত ছিলেন।
মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ব্যাধি দূর করতে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারী এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে গণমাধ্যমে বারবার খবর আসছে, যা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।
দেশের তরুণদের একটি অংশ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, তাদের মাদকের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিপদে পড়ে পুলিশের কাছে আইনি সহায়তা চাইতে আসে। আপনারা তাদের সমস্যা ও অভিযোগ খুব মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং তাদের আন্তরিকভাবে আইনি পরিষেবা দিতে দ্বিধা করবেন না।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধীরা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধ করছে; যা দমন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র: রুমিন ফারহানা
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, বর্তমান সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের ভয়াবহতার চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, বিরোধী দল-মত দমন, বিরাজনীতিকরণ, সেপারেশন অব পাওয়ার মুছে ফেলে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনস্ত করা, বীভৎস দুর্নীতি, সব কিছুর ফল হয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের রিপোর্ট।
এছাড়াও গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশকারী ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ফ্রিডম হাউজ, বেরটেলসম্যান স্টিফ টুং, ভি-ডেম, ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিভিল লিবার্টি নিয়ে কাজ করা সিভিকাস, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, আইনের শাসনের সূচক প্রকাশকারী ওয়ার্ল্ড জাস্টিস রিপোর্ট, দুর্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করা ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের গত কয়েক বছরের রিপোর্টে বাংলাদেশের দুরবস্থার চিত্র পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে এটা স্পষ্ট, নিষেধাজ্ঞা এখানেই শেষ হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের স্বনামধন্য ১২টি মানবাধিকার সংস্থা র্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পদায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘে জোর দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন,‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আর সব মন্ত্রী প্রথমে খুব কড়া ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করলেও এখন গলার স্বর নিচু। এখন নিজেদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আলাপ হচ্ছে। প্রয়োজনে লবিস্ট, ল ফার্ম নিয়োগের কথা হচ্ছে।’
সরকার জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে দাবি করে রুমিন ফারহানা বলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ কোনো নতুন বিষয় নয়। জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার।
বিএনপির এই সাংসদ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে লবিং করতে শিখিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে লবিং সংস্কৃতির সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অ্যালক্যাড অ্যান্ড ফে নামের লবিং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ লাখ ডলারের (১০ কোটি টাকার বেশি) বেশি দিয়েছে বলে দাবি বিএনপির এই সংসদ সদস্যের।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপকে আরেকটি ‘উপহাস' বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, যারা বলপ্রয়োগ করে দেশ শাসন করবে তারাই আইন করবে। এরপর আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। অন্য কথায়, সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতিকে একটি তালিকা দেবে যা প্রধানমন্ত্রী সরবরাহ করবেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি শুধু ওই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এটি একটি উপহাস মাত্র। সরকার প্রথমে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে উপহাস করেছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ এবং নির্বাচন কমিশনার বিল-২০২২’ (রবিবার) সংসদে উত্থাপন করা হবে। কারণ সরকার এ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন করতে চায়।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন, বর্তমান ‘অবৈধ’ ও ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তাদের দল কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, সুতরাং সরকার এখন যে নাটক করছে তা অর্থহীন। এই সরকারের অধীনে কখনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। সর্বশেষ দুটি নির্বাচন কমিশন তার প্রমাণ।
দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, (ইউএনবি)- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন ক্ষমতার অপব্যবহার না করার নিশ্চয়তা। তাই দায়িত্ব পালনকালে সচেতনভাবে ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যকার পার্থক্য বজায় রাখতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান নেতৃত্বের কথা কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ আমি রাষ্ট্রপতি, আপনারা সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক হয়েছেন, এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিন। এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা জনগণের টাকায় আমাদের সংসার চালাই। তাই সরকারি সেবা প্রদান কোনো দয়া বা কল্যাণের বিষয় নয়।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ কর্মসূচির সুফল প্রকৃত দরিদ্রদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে, সামাজিক সুরক্ষা ও জনগণের ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে আপনাদের।
তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তবে ভূমি রেকর্ডের সময় একদল অসাধু কর্মচারী স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা অনিয়ম করছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
তিনি কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে কঠোর হতে এবং যেকোনো অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে এবং জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
দুর্নীতিকে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে জনগণের জন্য গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাগীর হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এ খোলা চিঠি পাঠ করেন এক শিক্ষার্থী।
চিঠিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক প্রতিনিধিস্বরূপ উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। দেশের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নে নিবেদিত আছেন।
এতে আরও বলা হয়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে ও সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
'জনগণের টাকায় ক্রয়কৃত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শিকার হন নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ এর অধিক। এর মধ্যে কারও মাথা ফেটেছে, কারও রাবার বুলেট বা সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত হয়েছে। ছাত্রীদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছে,' চিঠিতে বলা হয়।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। দাবি না মেনে পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলায় শাবিপ্রবি উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন, তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ।'
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করতে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি সব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করা প্রয়োজন...।’
রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন,গত দেড় দশকে সরকারের উন্নয়ন কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার ঠেকাতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করারও আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাংসদদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে জনস্বার্থকে রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ যাতে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে সেদিকে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এ সময় ধর্মের নামে কোনো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি।
ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য এবং পরিবহন, অবকাঠামো, অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে রবিবার বিকাল ৪টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন শুরু হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন। এটি ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন নামেও পরিচিত।
সংবিধানের ৭৩ (২) ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এ জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এনে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আগে সংসদ সদস্যদের আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা। এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার এবারের সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের জন্য পাঁচ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
প্যানেল সদস্যরা হলেন-মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-১) ও পারভীন হক সিকদার (মহিলা আসন-৩৯)।
তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কালানুক্রমিকভাবে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সংসদ সচিবালয় অনুযায়ী, করোনার মধ্যে অধিবেশন হওয়ায় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়েছিল।
গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমান সংসদের ষোড়শ অধিবেশন আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন শুরু
একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন রবিবার বিকাল ৪টায় শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন। এটি ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন নামেও পরিচিত।
সংবিধানের ৭৩ (২) ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এ জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেয়া শুরু করেছেন।
পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এনে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আগে সংসদ সদস্যদের আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা। এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন শুরু রবিবার
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার এবারের সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের জন্য পাঁচ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
প্যানেল সদস্যরা হলেন মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-১) ও পারভীন হক সিকদার (মহিলা আসন-৩৯)।
তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কালানুক্রমিকভাবে সংযদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সংসদ সচিবালয় অনুযায়ী, করোনার মধ্যে অধিবেশন হওয়ায় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়েছিল।
গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমান সংসদের ষোড়শ অধিবেশন আহ্বান করেন।