রাষ্ট্রপতি
টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে এমন টাইপিং ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন রাষ্ট্রপতি ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এছাড়া নির্বাচনের পর যখন নতুন সংসদ বসবে, তখন সেই ত্রুটি সংশোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, কথা হচ্ছে, শ্রম আইনটা পাস করার আগে এটি যখন সংসদে যায়, তখন একটা ত্রুটি ছিল। দেখা গেছে, এটা অন্য কোনো ত্রুটি না, এটা টাইপিংয়ের ত্রুটি।
সেটা হচ্ছে, একজায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে।
সেটা একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর ১ ধারা হওয়ার কথা ছিল, সেটা সেরকম না হয়ে, অন্যরকম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদে। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। যে কারণে শ্রম মন্ত্রণালয় জিনিসটা রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়ে যেতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই না করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, তার মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদের আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।
সরকার যখন দেখতে পেল যে শ্রমিকদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রুটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এজন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটা জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য আবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
আইনটি কি দ্বাদশ সংসদে আবার উঠবে, নাকি মন্ত্রিসভায় পুনর্বিবেচনা করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনটি এখন সংসদে আছে। যে ত্রুটিটা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের সময় সঠিক ছিল, ভুলটা পরে হয়েছে। এ কারণে এটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। এ কারণে নতুন সংসদে সংশোধনী হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। বলা আছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে, অথবা তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটা ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রুটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রুটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের শ্রম আইনে দুটি উপধারায় বেআইনি শ্রমিক ধর্মঘট এবং মালিক-পক্ষের বেআইনি লকআউটের ক্ষেত্রে যে শাস্তি ছিল, তার কিছুটা সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়।
ওই আইনে কোনো শ্রমিক কোনো বেআইনি ধর্মঘট করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো মালিকও কোনো বেআইনি লকআউট করলে ঠিক একই শাস্তির মুখোমুখি হবেন বলে আইনি বিধান করা হয়।
এবার আইনটির যে সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের ক্ষেত্রে জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু মালিকদের ক্ষেত্রে জরিমানা আগের মতই পাঁচ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশকালে এই আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ডেনমার্ক।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডেনমার্ককে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ও উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে ডেনমার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন আর্জেন্টিনার নতুন আবাসিক রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সিসা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে আর্জেন্টাইন আবাসিক মিশন চালু করায় দেশটির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের কাছে আর্জেন্টিনা অতি পরিচিত একটি নাম। তরুণ প্রজন্মসহ সব স্তরের জনগণের কাছে দিয়াগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মাঝে যথেষ্ট বিনিয়োগ সম্ভাবনাও রয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।
এছাড়া, দু'দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপরও জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমেও দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন তাদের খুব উৎসাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দেশ বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত কার্লোস।
পরিচয়পত্র পেশের সময় বঙ্গভবনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজার কাছে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের জনশক্তিকে দক্ষ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসের এনডিসিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ক্ষেত্রে বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল সার্ভিস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলোর মাধ্যমে আপনারা ব্যাপক উন্নয়ন লক্ষ্য করতে পারেন।’
এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া কারখানার মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রকৃত বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে 'সোনার বাংলা' হিসেবে গড়ে উঠতে অগ্রসর হচ্ছে, এসব উন্নয়নই তার ইঙ্গিত দেয়। যেখানে সামরিক বাহিনীসহ জাতীয় ক্ষমতার সব বিভাগের অবদান রয়েছে।
কোর্সে অংশগ্রহণকে তাদের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি জাতি গঠনে সহায়তা করার এবং নিজের দেশকে আরও উন্নত করার একটি সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই কোর্সগুলো আপনাদের পেশাগত আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে।’
তিনি বলেন, সংহতি, স্বচ্ছতা, অঙ্গীকার, নিষ্ঠা, জবাবদিহি, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা নিখুঁত দূরদর্শী নেতা, অগ্রদূত ও একজন ভালো কর্মকর্তা তৈরি করে।
তিনি বলেন, ' আপনার অর্জিত জ্ঞান নীতি নির্ধারণ, নিরাপত্তা, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়ন সম্পর্কে আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।’
তিনি বলেন, 'আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আপনারা সবসময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, এনডিসি আয়োজিত কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করবে।
তিনি মর্যাদাপূর্ণ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের সফল সমাপ্তির জন্য অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ৪৩ জন এবং বন্ধুপ্রতীম দেশের ২৯ জনসহ মোট ৮৫ জন প্রশিক্ষণার্থী এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনগণের কল্যাণে সরকারের গ্রহণ করা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় দেশের নিয়মকানুন, প্রবিধান ও সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কোর্সের (ডিএসসিএসসি) গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে ২৪টি দেশের ৪৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েট হন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবসময় মনে রাখবেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনকে অগ্রাধিকার দেন এবং ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' প্রণয়ন করে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকারের যথাযথ কাজ হলো জনগণের পক্ষে ভালো কাজকে সহজ করা এবং মন্দ কাজকে কঠিন করা।
জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সব সূচক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল।’
আইনের শাসন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল স্থিতিশীলতার ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া স্বাধীনতা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে না।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সমাজ সঞ্চয়, অধ্যবসায়, সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে ব্যক্তির ত্যাগের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে না।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো গতিশীল ও বহুমুখী এবং প্রচলিত হুমকি থেকে শুরু করে অপ্রচলিত হুমকি পর্যন্ত। কঠোর প্রশিক্ষণ আপনাদের নানা জটিল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।’
ডিএসসিএসসিকে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্ররূপ; বিভিন্ন পটভূমি, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিকোণ থেকে সামরিক নেতাদের একত্রিত করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে গড়ে ওঠা বন্ধন সদিচ্ছা বাড়িয়ে তুলবে।।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণকারীরা আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বন্ধুপ্রতিম ১৭ টি দেশের ২৯ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ফলে বর্তমান বিশ্ব অনেক জটিল এবং পরস্পর সংযুক্ত।’
পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদেরকে সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার হবে আপনাদের কার্যপরিচালনার পথনির্দেশক।’
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভূমিকার প্রশংসা করে মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. কামরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরে, প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সিএজির মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের ব্যয় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
তিনি সরকারি তহবিলের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বাধীন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বৈঠকে সিএজি রাষ্ট্রপতিকে তার কার্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
এছাড়া তিনি অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পেনশন ব্যবস্থা সহজ করার জন্য তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সিইসি
সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি তার সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রওশন এরশাদ বলেছেন, তাদের দল জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
রওশন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল... আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধানকে সম্মান করি। তাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলকে আমরা স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
তিনি আরও বলেন, তবে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সময় প্রয়োজন হওয়ায় কাগজ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হতে পারে।
মনোনয়নপত্র ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম ও সৌদি আরব সফরসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্রাসেলস ও জেদ্দা সফর বিষয়ে দু’টি প্রতিবেদনও রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের আমন্ত্রণে 'গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে' যোগ দিতে ৩ দিনের সরকারি সফরে গত ২৪ অক্টোবর বেলজিয়াম যান।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
পরে, তিনি জেদ্দায় ৬-৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ইসলামে নারী: মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব সফর করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সাম্প্রতিক সফল বিদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি করায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) আমাদের উপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর।’
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ইসির একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে তাদের (ইসি) সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সিইসি
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'তিনি (রাষ্ট্রপতি) আশ্বস্ত করেছেন যে, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি যেকোনো ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন।’
জবাবে ইসি বলেছে, প্রয়োজনে তারা তার (রাষ্ট্রপতির) সহযোগিতা চাইবেন।
সিইসি বলেন, 'তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলেছেন, যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন যে, তারা সব রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের কাছ থেকে নিরলস সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছেন।
সিইসি আরও বলেন, 'তাকে আশ্বস্ত করেছি, সবার সহযোগিতায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হব বলে আমরা আশাবাদী।’
তফসিল প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন নির্বাচন খুব আসন্ন। আগামী ২৯ জানুয়ারির আগে নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, 'তবে আমরা এখনও (সূচি নিয়ে) সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিইনি।’
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের (নির্বাচন কমিশনারদের) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তফসিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আমরা শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব।’
রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নেতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সিইসির