ইয়াবা
মদ, ঘুষ হারাম না হালাল? লাইসেন্স থাকলে চলবে?
মদ, জুয়া, ইয়াবা, আইস, গাঞ্জা সবই হারাম। কিন্তু বিষয় হইলো আমাদের দেশে এগুলা খোরের সংখ্যা এতো বেশি যে গুইনা কূল করা যাইবো না। নেশাখোর কত এই দেশে? সরকার আম কাঁঠালের ফলনের হিসেব ভালো রাখে, কিন্তু নেশার খবর কম রাখে।
তবে এই দেশে বুড়া, পোলাপান অনেকেই এগুলা খায়। আমরা যারা ১৯৭১ এ তরুণ হিসেবে পার করছি তারা দেখছি, যুদ্ধের পর অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের স্মৃতি ভুলতে নেশা করতো। তাদের মনোরোগ ছিল। চিকিৎসা ছিল না তাই আশ্রয় চাইছে নেশার ঘরে। এখন আমাদের বয়সীরা সব ভুইলা যায়, এমনকি যুদ্ধ হইছিল সেইটাও।
যোদ্ধার নেশা?
আমাদের এক বন্ধু ছিল, অসাধারণ যোদ্ধা। জানুয়ারি মাসে ঢাকা, তারপর ইউনিভার্সিটি, চা, আড্ডা, নেশা এবং প্রেম। সবগুলাই সামলানো যেত, কিন্তু শেষটা বড় দাহ করে। যেই মেয়ে তার সাথে কদিন ঘোরাঘুরি করতো, কয়দিন পর তাকে ছেড়ে যেতো। সে ছিল নেশাখোর, আড্ডাবাজ, বেকার।এমনকি তার গায়ে তখন যোদ্ধার গ্লামারটাও লাগে নাই। আমার বোন এমন করলেও আমি খুশি হতাম।
তারপর আমার বন্ধুর নেশার মাত্রা বাড়তেই লাগলো, জীবনের লাগাম ঢিলে হতে থাকলো। ১০ বছর পর কেবল নেশাখোর পরিচয় ছাড়া তার আর কিছুই রইলো না। বাবার অবস্থা ভালো ছিল তাই ভাড়া তুলে জীবন কাটালো। বিয়ে, বাচ্চা কাচ্চা সবই হলো। কিন্তু নেশা ছাড়লো না। পরে ট্যাবলেটের বদলে মদ খেত।
এই লোক কি হারামখোর ছিল ? সে তো যুদ্ধেও গেছে, জান দিতে গেছে, কারো কোনো ক্ষতি করেনি। সে খারাপ না ভালো লোক? সে কি হারাম খায় ? তার এক বিন্দু রুজিও হারাম নয়। অতএব .. সে কি খারাপ না ভালো ?
যে মানুষটা সারা দিন রিকশা টানে আর রাতে এক পুড়িয়া গাঞ্জা টানে আর যে লোক কোটি টাকার বিজনেস করে লাখ টাকার মদ খায় তারা কি সমান পাপের বাক্স হাতে দাঁড়ানো ?
মদ আর চুরি?
প্রতিদিন মদ উদ্ধারের খবর পাই মিডিয়া থেকে। যাদের বাসা থেকে এইসব পাওয়া যায় তাদের অবশ্যই খারাপ ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এই শহরে কত স্থানে খুব হালাল পরিবেশে মদ পাওয়া যায়, তার হিসেব কি আছে? কতগুলো বার আছে ঢাকায়? গত ১০ বছরে খুব কম বড়োলোক পেয়েছি যে মদ খায় না। তবে কিনা তাদের লাইসেন্স আছে -মানে হালাল? মদ কই খেলো সেটা তাহলে আসল কথা, কাগজ থাকলে হালাল ?
কিন্তু যে পরিমাণ দুর্নীতি, ঘুষ কেলেঙ্কারি, চুরি হয় এবং এসব নিয়ে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রতিবেদনও ছাপা হয়, তার পিছনে আমরা তো পড়ে নেই? দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবো না। কিন্তু কতবার মানুষ ভাবে ঢাকার এতো বিলাসী জীবন হারামের না হালাল টাকায় চলে? এখন কি ঘুষ খাওয়ার লাইসেন্স দেয়া হবে?
আসলে আমরা দুর্নীতিকে হারাম মনে করি না। আমরা বেশির ভাগ হাইল্লা মানুষ, গ্রামের কালচার মানি। মক্তবে মৌলভী সাহেব বলেছেন, মদ খাওয়া হারাম, তা নিয়েই চলছি। ঘুষ খাওয়ার কথা নিয়ে তো উনি তেমন কিছু বলেননি। গ্রামের মানুষকে গ্রামে শান্তিতে থাকতে দিন।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
মোহাম্মদপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ১: র্যাব
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে এক কথিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয় বলে জানায় র্যাব।
বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. ইউসুফ ভান্ডারীকে (৪০) আটক করে।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
র্যাব-২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র্যাব-২ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় এক অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল বুধবার দুপুর আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। আটকৃতকে তল্লাশী করে একটি ওয়ান শুটার গান ও ১৪১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং গাজী গ্রুপের ৪ সদস্য আটক
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মো. ইউসুফ ভান্ডারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার গাঙচিল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড লম্বু মোশারফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আটককৃত আসামী এবং তার সহযোগীরা ভূমি দখল, চাঁদা আদায় সহ মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতিসহ নানা রকম অপকর্মে কাজে লিপ্ত বলে জানায় র্যাব।
এই সকল অপরাধে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ১৪টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।
ঝিনাইদহে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ
ঝিনাইদহে ২২ বছরের এক নারীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক চক্রকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শহরের টিকটকার ও লাইকি মডেলদের ওপর নজরদারী শুরু করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার বান্ধবী সুমি নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী মঙ্গলবার বিকালে তাকে বিউটি পার্লারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পেছনে জনৈক বিডিআর মিলনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিল আদর্শপাড়ার তৌফিকুর রহমান টুটুলের ছেলে আশিকুর রহমান রোমেল নামে এক লাইকি মডেল। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, ওই বাসায় নিয়ে তাকে ইয়াবা ও গাজা সেবন করিয়ে বিডিআর মিলন ও রোমেল ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
হাসপাতাল চত্বরে ভুক্তভোগীর মা জানান, চক্রটি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার মেয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বুধবার সকালে তা মেয়ে বাড়িতে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী বেঁচে নেই। মেয়েকে পবহাটী গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিচ্ছেদ হওয়ার পর এখন আমার কাছেই আছে। কি করবো ভেবে না পেয়ে দুপুরে অসুস্থ মেয়েকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই।’
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ আবুল বাসার জানান, গোটা চক্র অন্ধকার জগতে চলাফেরা করে অভ্যস্ত। এর আগে সুমি জনৈক প্রদ্যুৎ নামে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়। এছাড়া ধর্ষক আশিকুর রহমান রোমেলও গত ৩ জুন শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাসা থেকে নারী টিকটকার তুলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহ ডিএসবির একটি সুত্র জানায়, ঝিনাইদহ শহরে ৮/১০ জন যুবতী নিয়মিত যৌন কর্ম ও মাদকে আসক্ত। এমন বেশ কিছু যুবতীকে তারা শনাক্ত করেছে। এ সব মেয়েরা ঝিনাইদহ শহরের পাশাপাশি নিয়মিত ঢাকায় দেহ ব্যবসার জন্য যাতায়াত করে থাকে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। এই চক্রটি নারীদের ঢাকায় পাঠাচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। যারা কথা শুনছে না তাদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি ও দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বুধবার বিকালে জানান, যদিও আমরা এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি, তবে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ব্রজ নাথ কুমারকে হাসপাতালে ভুক্তভোগীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন আমরা ভুক্তভোগীকে আইনী সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি।
চট্টগ্রামে আসামি ছেড়ে দেয়া ঘটনায় ৩ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৬
অভিযানে গিয়ে উদ্ধার করা ইয়াবা ও টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার তিন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জিহান সানজিদা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার হওয়া তিন পুলিশ কনস্টেবল হলেন— সাতকানিয়া থানার ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল বিমল চাকমা (৪৬), শাহ মোহাম্মদ হাসান (২৭) ও আরাফাত নাজিম উদ্দীন (২৬)। গ্রেপ্তার অন্য তিন জন হলেন-পুলিশ সোর্স সোলায়মান, মাদক ব্যবসায়ী বেলাল ও আরাফাত।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্তে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) জাকারিয়া রহমান জিকু্ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। আপনি এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট সাতকানিয়ার ঢেমশা নাপিতের চর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থানা পুলিশের ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল বিমল চাকমা, শাহ মোহাম্মদ হাসান ও আরাফাত নাজিম উদ্দীন কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকা জব্দ করেন তারা। কিন্তু বিষয়টি ওসিসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের না জানিয়ে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ও টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেন তিন পুলিশ সদস্য। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যও বিষয়টি স্বীকার করেন।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানার ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তিন পুলিশ কনস্টেবল ও পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীসহ আট জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন। এদের মধ্যে পুলিশ সোর্স সোলায়মান, মাদক ব্যবসায়ী বেলাল ও আরাফাতও রয়েছেন। মামলার পরপরই অভিযুক্ত তিন পুলিশ কনস্টেবলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিলেটে ইয়াবাসহ আটক ২
সিলেট নগরের শাহপরান থানাধীন এলাকা থেকে দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৪৪ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার) রাত সোয়া ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবধৈ ভারতীয় মোবাইলসহ আটক ১: র্যাবআটক ব্যাক্তিরা হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলার শাহিদাবাদ এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে আবুল কালাম (৩৮) ও আমুরশীদ গ্রামের তপন কুমার দাসের ছেলে মিঠুন কুমার দাস (২০)।র্যাব-৯ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় অভিযানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সদর কোম্পানী (সদর ক্যাম্প, সিলেট) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম, মেজর মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলের নেতৃত্বে ১ হাজার ৫৪৪ পিস ইয়াবাসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ানীবাজারে আটক ২, হাজার ইয়াবা জব্দএ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় আটক দুইজনের নামে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজারে আটক ২, হাজার ইয়াবা জব্দ
সিলেটের বিয়ানীবাজারে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চারখাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করার দাবি করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, জকিগঞ্জের উত্তরকুল চৌধুরীপাড়া গ্রামের সনফর আলীর ছেলে হাসান আহমদ সাগর (২২) এবং একই থানার উত্তরকুল দিঘলী এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৮)।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ২পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ চারখাই বাজারের উপকণ্ঠে মিলন কমিউনিটি সেন্টারের অভিযান চালিয়ে হাসান ও আজিজকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক: র্যাববিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নিয়াজ মোর্শেদ আবীর অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার ও এর সাথে জড়িত দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।
মদ + ইয়াবা + টাকা= ঢাকা ?
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলো। এর অনেকগুলোর মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর, পিয়াসা, মৌ, একা... এদের কোনো না কোনো অপরাধে ধরা হয়েছে এবং বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে পুলিশ বিদেশি মদ, ইয়াবা এবং জুয়ার সরঞ্জাম জব্দের দাবি করেছে।
এসব সামগ্রী যাদের বাসায় পাওয়া যাচ্ছে তাদের কয়েকজনের মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে। এরা সুশ্রী, তরুণী, কেউ মডেল, কেউ অভিনেত্রী, কেউ মিডিয়ার মানুষ। আমরা অনেকেই তাদের চিনি। নিজের কাজের জন্য যেমন তারা পরিচিত নিজস্ব পরিসরে, সম্পর্কের কারণেও অনেকে পরিচিত।
ঢাকার একটা দুনিয়া আছে, বড়লোকদের দুনিয়া, সেখানে তারা হাঁটা চলা করা মানুষ। সেলিব্রিটিদের সঙ্গে তাদের ওঠা বসা। সেখানে মদ, ইয়াবা ও অন্যান্য সব কিছুই চলে। ওদের সঙ্গে উঠতে বসতে চাওয়া মানুষের অভাব সেই। ভালো লাগবে না কেন সেখানে যেতে?
ইয়াবা আর মদ: ‘মাফ কইরা দেন ভাই’
বহু অপরাধ হয় ঢাকায়, দেশে। কিন্তু পুলিশের সবচেয়ে বড় সাফল্য মদ আর ইয়াবা উদ্ধারে। পুলিশ বলে ‘বিদেশি’ মদ পাওয়া গেছে। অপরাধটা বোঝা যায় না। ওটা কি বিদেশি হওয়াতেই অপরাধ ? মানে ব্যাপারটা কি দেশপ্রেমের ? একবার ভাবা যাক যদি পুলিশ বলে, অমুকের বাসায় দেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে! তাহলে হয়তো গ্রেপ্তারের পর বড়লোক বা তাদের সঙ্গীরা আত্মহত্যা করতে পারেন অপমানে। তাই মনে হয় ধরা পরার পর বিদেশি মদ পাওয়া যায় তাদের বাড়ি থেকে ! ওটাই আভিজাত্য কেনার চিহ্ন আমাদের ‘হাইল্লা’ সমাজে!
আরও পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
বেচারা ইয়াবা
যে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে প্রায় এক কোটি নেশাখোর আছে , সেই দেশে প্রকৃত সংখ্যা কত নিজেরাই গুনে নেন। ইয়াবা তো রাস্তার পোলাপান, পাড়ার জুনিয়র মাস্তানও খায়। বুঝলাম এগুলো বিদেশি ইয়াবা কিন্তু যেখানে দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ইয়াবা খায়, সে দেশে এটা খুঁজে বের করলে কিছু আসে যায় না!
তাই এটা ধরা বাদ দেন। কিছু অন্য আইটেম খোঁজেন। পাবলিক বোর হয়ে যাচ্ছে ভাই! বরং কিছু বিদেশি বই, সংগীতের সিডি ইত্যাদি খুঁজে পেয়ে আমাদের চমকে দিন। মদ, ইয়াবার খবর শুনতে আর মজা লাগছে না! টাকা থাকলে খুচরার মতো যেগুলো মানুষের পকেটে আসে নেশার দ্রব্য হয়ে, তার কথা আর নাই বা বললেন।
পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ডে
মিডিয়ার ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব
এরা কারা?
তবে যে কজনের নাম আসছে এই সপ্তাহে তারা প্রায় সবাই নারী। এটা সত্য তারা সুশ্রী। কিন্তু এরা কি স্বাধীনভাবে সফল মানুষ হিসেবে পরিচিত? এই সমাজে টাকায় রক্তের গন্ধ আছে , সেটা শুঁকতে শুঁকতে কেউ লাশ হয়, কেউ ঝুলে থাকে ফ্যান থেকে, কেউ বেছে নেয় বিষের বোতল। যে নারী টাকার জন্য জেলে যায় আর একই কারণে যে নারী বড়লোকের সঙ্গী হয়, তাদের মধ্যে আসলে কোনো তফাৎ নেই।
তাই দোষটা বরং ইয়াবা আর মাদককেই দেয়া হোক। ওদের তো বোধ-বুদ্ধি নেই!
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
ঢাকা বিমানবন্দরে ৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার ভোরে সৌদি আরবগামী এক যাত্রীকে প্রায় ৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) আটক করেছে।
আটক ব্যক্তির নাম সাদ্দাম।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, সাদ্দাম ওমান এয়ারলাইন্সের বিমানে সৌদি আরবের দাম্মামে ইয়াবা পাচার করতে চেয়েছিল। তবে স্ক্যান করার আগে সেগুলো তার শরীর থেকে জব্দ করা হয়।
পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৮ দেশের মুদ্রাসহ আটক ১
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানান, তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা সংগ্রহ করেছেন। দাম্মামে অন্য একজনের কাছে এটি পৌঁছানোর কথা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও সাদ্দামের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছিল।
পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণসহ যাত্রী গ্রেপ্তার
উখিয়া ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২: অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশি অস্ত্র, একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮) এবং টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের ছেলে হাশেম উল্লাহ (৩৩)।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পে দায়িত্বরত এএসপি বিমান কুমার কর্মকার জানান, ১৬ জুলাই ভোররাতে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
আরও পড়ুনঃ সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
বিমান কুমার বলেন, এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ আহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকায় চিংড়ী ঘেরে মাদককারবারী ও বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে লুতু নামে এক মাদক কারবারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামে সাড়ে ১১ হাজার ইয়াবাসহ পিবিআই’র এসআই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব-৭।
সোমবার (২৮ জুন) বিকালে সিএমপির কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আটক ৩, ৭৮৯ পিস ইয়াবা জব্দ
তিনি বলেন, ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এসআই মো. মাসুদ রানাকে আটক করেছে র্যা ব। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই জন আটক, ৪৮ হাজার ইয়াবা জব্দ
থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার মো. মাসুদ রানা কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। রবিবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার ভেল্লাপাড়া এলাকা ভেল্লাপাড়া চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় র্যা ব-৭। এসময় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের মাসুদ রানাকে আটক করা হয়। রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে র্যা ব-৭ এর ডিডি বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মাদক আইনে মামলা করেন।