ডিএনসিসি
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত 'গুলশান শপিং সেন্টার'টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টার এর হোটেল, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, গুলশান-১ শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, 'গুলশান-১ শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি খালি করে দেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
জুলকার নায়ন বলেন, 'বার বার সতর্ক করা হলেও তারা পরিত্যাক্ত ভবনটি খালি করছে না। ব্যবসায়ীরা এটি খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান এর ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।'
উক্ত মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ ও ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেট ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সীলগালা করা হয়। মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) শনিবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বিশেষ মশকবিরোধী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ১৬টি মামলা থেকে মোট ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
রবিবার করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, ডিএনসিসির ১০টি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া, আরও চারটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
মশা নির্মূল অভিযানে যোগ দেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সরওয়ার, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৬, আক্রান্ত ৮৩৬ জন
এ ছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মশা নির্মূল কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করা ও মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করেন।
এর আগে শনিবার ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই মশা নির্মূলে মাঠে কাজ করছি। অভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যদের যুক্ত করেছি।
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি মাঠে আছি; আমার কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে আপনাদের এলাকা পরিষ্কার রাখার আবেদন জানাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
৩ মাসের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন নতুন এলাকার সড়ক নির্মাণকাজ শেষ: আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার অন্তত তিনটি প্রধান সড়কের নির্মাণকাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সড়কের জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে নগর ভবনে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে নতুন এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্রধান সড়ক: কসাইবাড়ি রোড, আজমপুর রোড ও হরিরামপুর রোড আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এছাড়া প্রকল্পের আওতাধীন অন্যান্য সড়কের উন্নয়ন কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নতুন এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত গতিতে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
মেয়র বলেন, ‘আমি ওই এলাকার জনগণকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছি। রাস্তার সীমানার মধ্যে যাদের অবৈধ স্থাপনা আছে, নিজ থেকে সরিয়ে ফেলুন। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে কোনো নোটিশ জারি করব না। মালিকরা যদি স্থাপনাগুলো অপসারণ না করে তাহলে সিটি করপোরেশন বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক ৪০২৫.৬২ কোটি টাকার জিওবি প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি প্রধান সড়ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য সড়কের কাজও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আজ থেকে শুরু হওয়া
মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় মোট ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মেয়র বলেন, 'মশক নিধন অভিযানে আমি কোথায় যাব কেউ কিছুই জানেন না। আগে থেকে জানিয়ে গেলে সেখানে সবকিছু পরিষ্কার করা থাকে। তাই প্রকৃত অবস্থা দেখতে কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আকস্মিক পরিদর্শনে যাব। এক্ষেত্রে আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাব এবং ব্যবস্থা নিব।'
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিক বলেন। এ সময় জাপান গার্ডেন সিটির কয়েকটি বহুতল ভবনের বেইজমেন্ট ঘুরে দেখেন তিনি।
মেয়র বলেন, 'ভবনের ভেতরে জমে থাকা পানি সিটি করপোরেশন পরিষ্কার করবে না। এসব ভবনে আমাদের কর্মীরা ঢুকতে পারে না। শুধু এই এলাকা না ঢাকার অনেক ভবনে, বাড়িতে আমাদের কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যান্য জায়গার চেয়ে বাসা-বাড়ির ভিতরে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা বেশি জন্মে। গবেষণায় উঠে এসেছে বেজমেন্টে যেখানে গাড়ি রাখা হয় ও গাড়ি ধোয়া হয় সেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই ভবনের ভিতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ভবন মালিককেই নিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'জাপান গার্ডেন সিটি একটি অভিজাত এলাকা। এখানে কর্তৃপক্ষ সার্ভিস চার্জ নেন। তারা ইলেকশন করেন। অথচ এখানে মশার চাষ হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে পরিমাণ মশা এখানে আছে জাপান গার্ডেনের নাম চেঞ্জ করে মসকিউটু বা লার্ভা গার্ডেন রাখা দরকার। এখানে ২৩টি ভবনে কয়েক হাজার মানুষ বাস করে। অথচ প্রতিটি ভবনে যে পরিমান লার্ভা জাপান গার্ডেন সিটি একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই আমরা মশা নিধনে মাঠে কাজ করছি৷ নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করছি। প্রচারাভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করেছি। গতমাসে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসার ইমাম ও খতিবগণের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। বাসা-বাড়ির ভিতরে লার্ভার দায়িত্ব আমাদের কর্মীরা নেবে না।'
তিনি বলেন, 'আমি মাঠে আছি, আমার সকল কাউন্সিলর মাঠে থাকবে। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির প্রতিনিধিদের আহ্বান করছি আপনারা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।'
আরও পড়ুন: সময়মত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন ডিএনসিসি’র
জাপান গার্ডেন সিটি পরিদর্শন শেষ করে ডিএনসিসি মেয়র মোহাম্মদপুরর শেখের টেক পিসিকালচার হাউজিং, আদাবর ও শ্যামলী এলাকার কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন।
লার্ভা পাওয়ায় মেয়রের উপস্থিতিতে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাপান গার্ডেন সিটিকে ৫ লাখ টাকা, পিসিকালচার হাউজিংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ৫ লাখ টাকা ও অন্য তিনটি ভবনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা ৪, ৬ ও ৮ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন নুরের চালা এলাকা এবং অঞ্চল ১০ এর আওতাধীন আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নুরের চালায় ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আফতাবনগরে দুটি বাড়িতে নিয়মিত মামলা করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৮টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। পুরো জুলাই মাসে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মশক কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন এবং মশার উৎসস্থল ধ্বংস করেন।
ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
মঙ্গলবার থেকে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)।
ইতোমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে।
এছাড়াও বৃষ্টির ফলে সড়কে উপড়ে পরা প্রায় ২০টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য কল্যাণপুরে ডিএনসিসির পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে কাজ করছে।
বুধবার (২৮ জুন) ভোর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
এখনও যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম প্রেরণ করে সেই সব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে জানানোর জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ এই নম্বরে ফোন করেও জানানো যাবে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও বলা হয়, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো গভীর রাত থেকে কাজ করছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির ৮টি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় ৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
সোমবার (১৯ জুন) বনানীর হোটেল শেরাটনে 'স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট'- বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিককে কিরগিজিস্তানের সম্মাননা
তিনি বলেন, আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তখন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হতো ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। এর পরের বছর থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসরণ শেষ করতাম ২৪ ঘন্টার মধ্যে। গত কোরবানির ঈদে বর্জ্য অপসারণ করেছি ১২ ঘন্টায়।
এবার ঘোষণা দিতে চাই, সবার চেষ্টায় এই ঈদে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো। এবার আমাদের টার্গেট আট ঘন্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসরণ করা।
এসময় তিনি বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পাশাপাশি আমি নিজেও মাঠে থাকব।
মেয়র বলেন, এছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য তদারকি টিম ও কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আমাদের ১১ হাজার কর্মী মাঠে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসি অস্থায়ী ৮টি কোরবানীর পশুর হাটের আয়োজন ইতোমধ্যে করেছে, এছাড়া দুই একদিনের মধ্যে আরও একটি হাট চূড়ান্ত হবে। অর্থাৎ ডিএনসিসির এই ৯ টি অস্থায়ী হাট এবং গাবতলী স্থায়ী হাট এই মোট ১০ টি হাটের বাহিরে আর কোন হাট ডিএনসিসি এলাকায় থাকবে না।
আতিক বলেন, এর বাইরে কোথাও যদি রাস্তা দখল করে হাট বসানো হয় তাহলে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশকে অনুরোধ করবো এসব হাটের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নিন। অনুমোদন ছাড়া কোথাও যেন হাট বসতে না পারে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিক
মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি বস্তি এবং মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘'২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে যখন আগুন লাগে, তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে।আগে আমাদের কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোন ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তি গুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।'
মেয়র বলেন, 'জনবসতি জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলান্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই সতেরো জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন : জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো প্রকল্প চলতে দেয়া হবে না: আতিকুল
ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহারের জন্য ফায়ার কি কি থাকবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, 'এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাইব ও ১৭ জন ফায়ার ও ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘন্টা বেজে উঠবে। ফায়ার এলার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে। আগুন লাগলে কি করবে ও প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি ট্রেনিং দিয়ে দেওয়া হয় ইমারজেন্সি সময় কে কোন দিক থেকে বের হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি মডেল। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। এখানে ৬০ হাজার লিটার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ হাজার লিটার পানি থাকবে রিজার্ভ ও ২০ হাজার লিটার পানি থাকবে গৃহস্থালি কাজের জন্য।'
তিনি বলেন, 'ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।'
আগুন লাগলে মোবাইলে সেলফি না তুলে রাস্তা খালি করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি মেহেরবানি করে বলবো, আগুন যখন লাগবে, তখন সেলফি তোলার দরকার নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে রাস্তা খালি করে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া।'
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'সম্প্রতি গুলশানে আগুন যখন লাগলো সবাই দেখি সেলফি তুলছেন, রাস্তা তখন বন্ধ। রোড ব্লক করে দিয়ে বলছেন দেখি না কি হয়। দেখি না কি হয় ভাববার সময় তখন না। আগুনে যারা আটকা পরেছেন তাদের উদ্ধারে আশপাশের ছোট রোড খালি করে দিতে হবে। রাস্তা খালি না থাকলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কিভাবে আসবে। আগুন নিভানোর যন্ত্রাংশ কিভাবে আসবে। ওখানে ২১ জন মানুষ ছিল তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছিল। আমি নিজে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে রাস্তা খালি করেছি।'
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
শহরে খাল জলাশয় দখল হয়ে গেছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'যখন আগুন লাগে তখন পানি তো নেই। পানি নাই পানি নাই হাহাকার কারবালার প্রান্তর হয়ে গিয়েছে। আমাদের খাল, জলাশয় দখল করে বিল্ডিং করা হয়েছে। তাই পানি নেই। জলাধার, মাঠ বাড়াতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। খালে পানি থাকলে, বেশি গাছ থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাঠ থাকলে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ হবে।'
ইউএনডিপি'র এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় ও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্বাহী পরিচাল ড. দিবালোক সিংহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ প্রোগ্রাম এন্ড পলিসি এডভোকেসি পার্থ হেফাজ শাইখ, জাতিসংঘ কর্মসূচি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন, ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
রবিবার (২৬ মার্চ) মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে ‘এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং মুক্তির সবুজায়ন’- শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গাটা নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি করপোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি।
এখন এ এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু।
তিনি বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
এদিকে মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে।
তাই নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
রমজানে বাজার কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশে দেখেছি অন্য সময়ের তুলনায় বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
এ বছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে গুলশান ডিএনসিসির নগর ভবনে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখা এবং বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহ্বায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। পুরো রমজান মাসজুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। রমজানে জনগণের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া আমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।
মেয়র আরও বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি (১০x৬) ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেয়া হবে।
এছাড়াও প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রবেশের ও প্রস্থানের রাস্তাগুলোতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মালিকানাধীন মার্কেট ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
রাজধানী ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, খালের পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি এবং ইলেকট্রিক বাস কেনায় অর্থায়ন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় থাকা মিরপুর-১২ থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনকে সমন্বিত যোগাযোগ কেন্দ্র বানাতে ইন্টিগ্রেট করিডোর ম্যানেজমেন্ট (আইসিএম) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (১৩ মার্চ) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার গুয়াংজে চেন এর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মনোনীত প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গকে স্বাগত জানিয়েছে
প্রজেক্ট সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি দলে থাকা উত্তর সিটির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মেট্রোরেলের নিচের রাস্তার উন্নয়ন হলেও মেট্রোরেল স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলো দিয়ে আসা-যাওয়ার জন্য এখনও তেমন ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু,পৃথিবীর উন্নত শহরে মেট্রোস্টেশনে যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় সমন্বিত করিডোর ব্যবস্থাপনা থাকে। সেই আদলে ঢাকার মেট্রো স্টেশনগুলোকে বহুমুখী যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের কথা রয়েছে। এতে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ট্রান্সফরমিং ট্রান্সপোর্টেশন ২০২৩ সম্মেলনে ঢাকার বাস্তবতায় আগামীর গণপরিবহন নিয়ে বক্তব্য রাখবেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে মতামত রাখবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের ট্রান্সফর্মিং ট্রান্সপোর্টেশন এর ২০তম সম্মেলন উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে একটি দল ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই জলবায়ুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে: ভি২০