বিমানবন্দর
শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক প্রবাসীর যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে আনা প্রায় আধা কেজি (৫৩৭) গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামে একজনকে আটক করা হয়।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণ জব্দ করেন।
আরও পড়ুন: যশোর সীমান্তে ৪৩টি স্বর্ণের বারসহ ২ জন আটক
আটক রেজাউল করিমের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে। তার বাবার নাম আবুল হোসেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজেড-৫৬৩ ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে আসেন ওই যাত্রী। গোপন সংবাদ থাকায় তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২৪ ক্যারেটের ১১৬ দশমিক ৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার, ২৪ ক্যারেটের ৮৮ গ্রাম ওজনের তিনটি রিং, ২৪ ক্যারেটের ২৩৩ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণের দণ্ড, ২২ ক্যারেটের একশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
এগুলো ফ্রাইপ্যানের হাতল ও পারফিউমের বোতলের মুখে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন তিনি। এ ছাড়াও তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও সিগারেট জব্দ করা হয়। স্বর্ণসহ জব্দ করা মালামালের বাজার মূল্য ৪৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৫ টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত যাত্রী সোনার পিণ্ড ও রিং সদৃশ সোনা ফ্রাইপেনের হাতলের ভেতরে এবং বডি স্প্রের মুখে বিশেষভাবে লুকিয়ে এনেছেন।
কতনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুবাইফেরত যাত্রী তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শফিকুল ইসলাম (৩৩) ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগ দেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার অধিবাসী।
আরও পড়ুন: রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায় যার। জব্দ হওয়া স্বর্ণের বারের ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রবিবার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল।
সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাতে ৯টা ৩০ মিনিটে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এর সামনে পার্ক করে রাখা হয়।
বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন।
বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না তখন খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, তার চলাচল ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন সে নেমে আসে এবং দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাঙ্গারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়।
এ সময় তার কাছে উল্লেখিত ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এ সকল স্বর্ণের বারের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই স্বর্ণের বার সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই স্বর্ণের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় একজন আটক, ৪৬ স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ
ঢাকা বিমানবন্দরে ‘অজ্ঞানপার্টির সদস্য’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে অজ্ঞানপার্টির সদস্য সন্দেহে মো. মামুন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৬ ও ১৩ আগস্ট তারা দুজন বিদেশফেরতকে অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগ পেয়েছেন।
প্রথম অভিযোগ হলো, অভিযুক্ত মামুন গত ৫ আগস্ট দুবাইফেরত অজিত সরকারকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাইয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।
আরও পড়ুন: শাহজালালে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ
একইভাবে, ১৩ আগস্ট কাতারফেরত ইয়াসিন আরাফাতের থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন তিনি।
তদন্তের পর এপিবিএন সদস্যরা মামুনকে শনাক্ত করে।
মামুন যাত্রীর ছদ্মবেশে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন এবং ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বিমানবন্দরের লাউঞ্জ থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে পেটে ইয়াবা বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে ২ সেপ্টেম্বর।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন।
কাদের বলেন, উদ্বোধনের একদিন পরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি চালু হলে যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
ইতোমধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেকশনের ৯৮ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরবাইক এবং সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যালোচনা করা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, যার মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কভার করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রায় পথ চলা শুরু
অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আংশিকভাবে চালু করা হবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ মফিদুর রহমান ইউএনবিকে এসব জানান।
তিনি বলেন, টার্মিনালের নির্মাণ কাজ বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালটির আয়োতন ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার। এটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে ১ কোটিরও বেশি যাত্রীসেবাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও দিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৩০টিরও বেশি এয়ারলাইনসের ১২০ থেকে ১৩০টি উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২ থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দু’টি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। সে হিসেবে ঢাকা বিমানবন্দর বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন টার্মিনালে একটি পার্কিং অ্যাপ্রোন থাকবে যা ৩৭টি উড়োজাহাজ ধারণ করতে সক্ষম হবে। এতে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থাও থাকবে। এর মধ্যে আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে।
দ্রুত, আরও ভালো সেবা
যাত্রীদের দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি আলাদা বেল্ট স্থাপন করা হবে।
টার্মিনালে ১৫টি সেলফ-সার্ভিস কাউন্টারসহ ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার এবং ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি প্রস্থান ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে।
সিএএবি সূত্র জানায়, বিশ্বমানের টার্মিনালে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল গাড়ির পার্কিংও নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৭৭.৫% কাজ শেষ, আগামী বছর চালু: বেবিচক চেয়ারম্যান
আগামী অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করার জন্য প্রকল্প এলাকায় দিন-রাত কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালেসংবাদ সম্মেলনেটি আয়োজিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, দুবাইফেরত যুবক আটক
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি আমরা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সব থেকে দ্রুততম সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধনের (সফট ওপেনিং) এই জন্য প্রকল্প এলাকায় দিন রাত কাজ চলছে। আপনারা জানেন আজ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, কিন্তু আমাদের এখানে ৩-৪ হাজার শ্রমিকরা ছুটিতেও কাজ করে যাবেন। তারা শুধু মাত্র ঈদের দিন কাজ করবে না, এর পরের দিন থেকে তারা আবার কাজ শুরু করবেন।
তিনি বলেন, আশা করছি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সফট উদ্বোধন করা হবে। আমরা অক্টোবরের আগে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করতে চাই। আশা করি সময়ের আগে কাজ শেষ হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অক্টোবর মাসে সফট উদ্বোধন হলেও এই টার্মিনাল পুরোপুরি ফাংশনাল হবে ২০২৪ সালে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণে আধুনিকতা নিয়ে এসেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এছাড়াও টার্মিনালের ভেতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াঞ্জুর এটিসি টাওয়ার ভবন, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। তবে এ টার্মিনালের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হবে মডার্ন টার্মিনাল বিল্ডিং। দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের বিল্ডিংয়ের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১৮০০ গ্রাম কোকেন জব্দ, ভারতীয় নারী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬৩.১৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
শাহ আমানত বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর চালু
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় পর সোমবার (১৫ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে।
রবিবার (১৪ মে) রাতে বিষয়টি করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর শনিবার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে শাহ আমানতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। সোমবার থেকে নিয়মিত ফ্লাইট ওঠানামা করবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ক্ষতির আশঙ্কায় শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বন্দরের মূল জেটি ও বহির্নোঙর থেকে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো আজ সোমবার (১৫ মে) ভোরের জোয়ারে পুনরায় জেটি ও বহির্নোঙরে আনা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর রবিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এতে করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ প্রত্যাহার করে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে আজ সকাল থেকে বন্দরে কাজ পুরোপুরি চালু হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, বন্দরের জেটিতে আনার জন্য ২৪টি জাহাজের তালিকা করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব পাইলটদের তত্ত্বাবধানে ভোর সাড়ে ৪টার জোয়ারের সময় এসব জাহাজ বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আনা হবে।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পৃথক অভিযানে প্রায় এক দশমিক ৪ কেজি ওজনের সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফিরুজ মিয়া (৪০) ও বিল্লাল (৫৩)।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১০
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এর গাড়ি পার্কিং সংলগ্ন এলাকা থেকে ফিরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বুধবার সকালে আসামি মো. ফিরুজ মিয়াকে বিমানবন্দরের সামনের ক্যানোপি-১ এর গাড়ি পার্কিং এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। এপিবিএন সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে থাকেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দরের এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ফিরুজ মিয়ার কাছ থেকে ৬৯৬ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এপিবিএন সদস্যরা বিমানবন্দরের ক্যানোপি-২ এর কার পার্কিং এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এপিবিএন কর্মকর্তারা জানান, তার পকেট থেকে ৬৯৬ গ্রাম ওজনের ৬টি সোনার বার জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪’- এর অধীনে বিমানবন্দর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান বলেন, চোরাচালানরোধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এপিবিএন সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেছে। দুর্বৃত্তদের চোরাচালানের চেষ্টা প্রতিরোধ ও বানচাল করতে বিশেষ অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খাদ্যনালিতে পানি আটকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু!
সিলেটে আটক ৮ জনসহ ২০০ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঈদ উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে বিমানবন্দর এপিবিএন
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দিনভর বিশেষ অভিযানে ৯৭৩ গ্রাম সোনা, ১০৪টি মোবাইল, ৫০ কার্টন সিগারেট, ৩৫ কেজি বিউটি ক্রিম, দুইটি ল্যাপটপ এবং ৬০০ গ্রাম লিকার জব্দ করেছে এপিবিএন।
বিষয়টি জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, যাত্রী ইসমাইল হোসেন, জাকের উল্লাহ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জাহিদুল ইসলাম নয়ন, মোহাম্মদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আয়াত উল্লাহ, মো. আমরান হোসেনের কাছ থেকে এই সামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
যাত্রীরা শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো কাস্টমসের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার পর জব্দ করা হয়।
যাত্রীরা দুবাই, সৌদি আরব ও ওমান থেকে এসেছেন বলে জানান তিনি।
জিয়াউল হক আরও জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে এবং তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান এখন থেকে চলমান থাকবে। আমরা সবসময় তৎপর, তবে ঈদের আগে কোনো চক্র যেন অবৈধ সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য আমাদের কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, জব্দ সামগ্রীর বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া সামগ্রীগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, যাত্রী আটক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পৌনে তিন কেজি ওজনের ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দের দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল দুবাই থেকে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে আসা যাত্রীর শরীর তল্লাশি করে লুকায়িত অবস্থায় ২৩টি স্বর্ণের বার (দুই দশমিক সাত কেজি প্রায়) জব্দ করা হয়।
আটক মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন হাটহাজারী থানার এনায়েতপুর এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন নামের ওই যাত্রীর রেক্টামে আরও স্বর্ণের বার থাকার সন্দেহে স্ক্যানিং করে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সংবাদ সসেম্মলনে স্বর্ণ আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: শার্শা সীমান্তে ৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ২
ঢাকা বিমানবন্দরে ১৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ