বিমানবন্দর
রাজধানীতে যানজট দিন দিন বাড়ছেই, নেই কোনো প্রতিকার
রাজধানীতে যানজট দিন দিন বাড়ছেই। যানজট এখন একটি আতঙ্কের নাম। রাস্তায় বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে তা কারোর জানা নেই। এর নেই কোনো প্রতিকার, নগরবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ছে এই যানজটের ভোগান্তিতে।
ঢাকার কয়েকটি স্থানে প্রতিদিন তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে।
বনানী থেকে বিমানবন্দর- উত্তরা রোড
বনানী থেকে বিমানবন্দর- উত্তরা রোড, দুই পাশেই হঠাৎ যানজট তৈরি হয়। যার ফলে এই সড়কের যাত্রীদের প্রায়ই ফ্লাইট মিস করতে হয়। বিমানবন্দর এলাকায় যানজটেই শুধু বসে থাকতে হয় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। যানজট তৈরি হলে পল্টন বা মতিঝিল আসতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘন্টা।
উত্তরা থেকে পল্টন- মতিঝিল
বিমানবন্দর এলাকার জন্য উত্তরা থেকে পল্টন- মতিঝিল বা এদিকে প্রতিদিন যাতায়াতকারীদের জন্য খুবই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। হাতে অতিরিক্ত দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় নিয়ে প্রতিদিন ঘর থেকে বের হতে হয়।
উত্তরা থেকে সচিবালয় প্রতিদিন অফিস করেন রায়হান। তিনি ইউএনবিকে জানান, উত্তরা থেকে সচিবালয় পর্যন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। হয়ত সৌভাগ্যক্রমে কখনও রাস্তা ফাঁকা থাকলে দেড় ঘন্টায় আসা যায়। তবে এটি খুবই কম। যদি হঠাৎ কোনো যানজট তৈরি হয়, তখন অনেক সময় দুই/তিন ঘন্টার বেশি সময় লাগে আসতে। বেশি যানজট হয় বিমানবন্দর, বনানী, ও তেজগাঁও এলাকায়।
তেজগাঁও-ফার্মগেট-ধানমন্ডি-শাহবাগ
তেজগাঁও-ফার্মগেট-ধানমন্ডি-শাহবাগ প্রতিদিন এই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। এসব এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
গুলশান-বনানী-বাড্ডা-কুড়িল
গুলশান-বনানী-বাড্ডা-কুড়িল এলাকায় তীব্র যানজট লেগেই থাকে।
গুলিস্থান-নবাবপুর-জিপিও-পল্টন-মতিঝিল
গুলিস্থান-নবাবপুর-জিপিও-পল্টন-মতিঝিল এলাকায় রাস্তা ফাঁকা পাওয়া কঠিন। এই এলাকায় যানজট প্রতিদিনের সঙ্গী।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পল্টন অফিস করেন ফেরদৌস। তিনি ইউএনবিকে বলেন, দেড়-দুই ঘন্টা সময় লাগে যদি বেশি সকালে বের হতে পারি। আর যদি ১০টার পর বের হই, তাহলে সময় লাগে দুই ঘন্টা। কখনো অস্বাভাবিক যানজট তৈরি হলে আড়াই-তিনঘন্টা সময় লেগে যায় পল্টন পৌঁছাতে। এই রোডে বেশি যানজট হয় বাড্ডা, মৌচাক ও পল্টন মোড়ে।
মিরপুরে বসবাসকারী মুন্না ইউএনবিকে বলেন, মিরপুর থেকে মতিঝিল আসতে সময় লাগে দুই ঘন্টা। আর যদি প্রায় সময় এখন যানজট বেশি হয় ফলে আসতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টার বেশি। এই রোডে যানজট বেশি থাকে ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকায়।
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ট্রাফিক আইন মেনে চললে এবং শৃঙ্খলা মেনে গাড়ি চালালে অনেক সময় যানজট কম হয়। রাস্তায় বিশৃঙ্খল ও এলোমেলোভাবে গাড়ি চালালে, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে রাখলে, যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী উঠানোর জন্যই যানজট বৃদ্ধি পায়। সে জন্য আমাদের মাইন্ডসেট করতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিমি দীর্ঘ যানজট
অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা সিটির অনেক জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে, ফলে সে কারণেও যানজট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর এলাকায় রাস্তার কাজের জন্য সম্প্রতি সময়ে বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যানজট কমিয়ে আনতে হলে শুধু ট্রাফিক পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। সেজন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যানজট নিরসনে স্কুলের বাচ্চাদের যাতায়াতের জন্য স্কুলবাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে স্কুলে আসা যাবেনা। স্কুলে যাতায়াতের জন্য ঢাকা উত্তর সিটির ব্যবস্থাপনায় স্কুলবাস চালু করা হবে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুলবাস সেবা চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক স্কুলে একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়, এরকম অসংখ্য গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে। স্কুলবাস চালু হলে প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার অনেক কমে যাবে। ছেলে-মেয়েরা স্কুল বাসে একসঙ্গে যাওয়া-আসা করলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হবে এবং সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে।
মেয়র আরও বলেন, সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করতে পারলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার প্রবণতা কমবে। নগরীর যানজট কমাতে এটি অনেক সহায়ক হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ইউএনবিকে বলেন, যানজট নিরসনে আমরা সমন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিভিন্ন রাস্তায় চলমান উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বর্তমানে একটু বেশি যানজট হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুই সিটি মিলে উদ্যোগ নিয়েছি একটি কোম্পানির অধীনে গণপরিবহন নিয়ে আসার। তাহলে রাস্তায় অসুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি
বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৩০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার একটি পরিত্যক্ত ডাস্টবিন থেকে প্রায় ৩ কেজি ৪৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে কাস্টমস হাউসের একটি প্রতিরোধমূলক দল।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দরের ১২ নম্বর বে-এর কাছে রাখা ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি প্যাকেট দেখতে পান দলের কর্মকর্তারা।
পরে সেখান থেকে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয় বলে কাস্টমস কর্মকর্তা নাফিস আমিন রিজভী জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ১৯ স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ২
মহেশপুরে একজন আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ৪৪ শতাংশ সম্পন্ন: প্রতিমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
তিনি জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে। এছাড়া থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন, সেটা আমরা খেয়াল রাখছি। মনিটরিং বৃদ্ধি করায় লাগেজ ডেলিভারিতেও আগের থেকে সময় অনেক কম লাগছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অতিরিক্ত জনবল দেয়া হয়েছে। আশা করছি যাত্রীরা সুন্দর ব্যবহার পাবেন।যখন দেখবো সব ঠিকঠাক হচ্ছে, তখন বুঝবো আমাদের কর্মকাণ্ড স্বার্থক।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
সিলেটে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের, দীর্ঘ যানজট
ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে সিলেটের চা-শ্রমিকরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা সিলেট বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ-মিছিল ও সমাবেশ করেন।
রবিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেট ভ্যালির চা-শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন এবং দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সিলেট বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। এসময় সড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের।
পরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে লাক্কাতুরা চা বাগানের দুর্গা মণ্ডপের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে ফের সড়ক অবরোধ করবেন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:টানা তৃতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
এদিকে আন্দোলন শুরুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চা-শ্রমিকের সন্তান ও আন্দোলনকারী দেবাশীষ গোয়ালা। তিনি জানান, চা-বাগান মালিকরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করে আমাদের দয়া দেখাচ্ছেন তারা। কিন্তু আমরা কারও দয়া চাই না। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি চাই। বর্তমান যুগে কোথাও এই মজুরি নাই। এছাড়া যেখানে শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন হয় নাই, সেখানে প্রত্যাহার নয় প্রত্যাখ্যান হওয়া জরুরি। তাই আমরা আমাদের দাবিতে অনড় অবস্থায় আবারও মাঠে নেমেছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতারা। কিন্তু মালিকপক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। যে কারণে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর আরও এক মাস পার হয়ে যায়। মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এর প্রতিবাদে ৯-১২ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ধর্মঘট পালন করেন চা-শ্রমিকরা। তারপরও মালিকপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলায় ১৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
সাভারে ঈদ বোনাসের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
২ ঘন্টা পর চালু শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে
প্রশিক্ষণ বিমানের চাকায় সমস্যা হওয়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রবিবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৪৫ পর্যন্ত প্লেন ওঠানামা বন্ধ ছিল। তবে এখন রানওয়ে চালু করা রয়েছে।চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ল্যান্ড করার পর মোড় নেয়ার সময় চাকা খুলে যায়। এর কারণে বিমানটি রানওয়েতে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বিমানটির চাকা মেরামতের কাজ শেষ হলেই আবার রানওয়ে খুলে দেয়া হয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়েতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি প্লেন আটকে থাকে। এতে প্রায় ৪০ মিনিট রানওয়ে বন্ধ থাকে। প্লেনটির কারণে রানওয়ে বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৫টি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শিডিউল ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়াশার কারণে শাহ আমানতে বিমান চলাচল ব্যাহত
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ আটক ১
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার ১২টি স্বর্ণের বারসহ বাংলাদেশি এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার মো. মিজান উদ্দিন জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে ৫৯ স্বর্ণের বারসহ মার্কিন পাসপোর্টধারী যাত্রী আটক
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে যাত্রী মিজান চট্টগ্রামে আসেন। চেকিংয়ের সময় তার লাগেজে এক কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করা হবে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের অভিযোগে তাকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়। সরকারি কর্মচারী বিধিমতে সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
পুলিশ কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকাসহ সার্ভেয়ার আতিককে সদর থানায় সোপর্দ করে জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মচারী বিধিমতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের একটি অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। নিয়ম মতে, দুদকই সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের ঘটনায় মামলা করবে।
অন্যদিকে, আতিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, থানায় ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে তা শুরু হয়েছে। তিনি কীভাবে, কোথা থেকে এত টাকা পেলেন এবং তা ঢাকায় কেন নিয়ে গেছেন এসব বিষয় উদঘাটন করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাগভর্তি ২০ লাখ ‘ঘুষের টাকা’ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান আটক হন। পরে বিমানবন্দর থেকেই তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠালে শুক্রবার রাতে কক্সবাজার মডেল থানায় তাকে সোপর্দ করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কারাগারে
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আতিকুর রহমান শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। তার ব্যাগ স্ক্যান করলে ব্যাগের ভেতর বিপুল পরিমাণ টাকার স্তূপ দেখা যায়। তাকে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যরা ব্যাগসহ আটক করে বিশেষ কক্ষে বসিয়ে রাখেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রহস্যজনকভাবে সকাল পৌনে ১০টার বেসরকারি একটি বিমানের ফ্লাইটে চেপে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি। ঘণ্টাখানেক পর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে তল্লাশিতে ব্যাগে টাকা পাওয়া যায়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন।
পরে আতিকুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বিকাল সাড়ে চারটার আরেকটি ফ্লাইটে তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হয়। বিমানবন্দর থেকে আতিকুর রহমানকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গতঃ কক্সবাজারে সরকারের তিন লাখ কোটি টাকার ৭২টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণ কাজে সহযোগিতা করা সার্ভেয়ারদের মাঝে এর আগেও বেশ কয়েকজন নগদ কোটি টাকাসহ দুদকের হাতে গ্রেপ্তার হন।
সিলেট বিমানবন্দরে স্বর্ণের বারসহ আটক ১
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক দশমিক ১৬ কেজি ওজনের একটি সোনার বারসহ একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটক মইনুল ইসলাম শাকিল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন জানান, আজ সকালে মইনুল দুবাই থেকে আসেন। গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে তল্লাশির জন্য থামানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার ব্যাগে লুকানো সোনার বার পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে যাত্রী আটক, ৩৪ স্বর্ণের বার জব্দ
শাহ আমানতে ২৮ স্বর্ণের বারসহ বিদেশ ফেরত যাত্রী আটক
শাহ আমানতে যাত্রী আটক, ৩৪ স্বর্ণের বার জব্দ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুবাই থেকে আসা এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের ওই যাত্রীকে আটকের সময় তার কাছ থেকে ৩৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ওই যাত্রীর নাম সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় বলে জানা গেছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দার উপ কমিশনার একেএম সুলতান মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদে তথ্য ছিল সারজা থেকে আসা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী অবৈধ পণ্য নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিক্তিতে সকাল সাড়ে ৭টায় বিমানটি অবতরণের পরই গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিমানে উঠে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এবং সাইফুলের শরীর তল্লাশি করে কালো স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ৩৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে ২৮ স্বর্ণের বারসহ বিদেশ ফেরত যাত্রী আটক
বেনাপোলে যাত্রীর পাকস্থলী থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
বিমানবন্দরে জুনেই চালু হচ্ছে ই-গেট
উদ্বোধনের প্রায় এগারো মাস পরও চালু হয়নি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট কার্যক্রম। তবে আগামী জুনের মধ্যে ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরা আধুনিক এ সেবা পাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন । তখন বলা হয়েছিল এতদিন ইমিগ্রেশন পুলিশ ম্যানুয়ালি যে কাজ করতো সেটি এখন ই-গেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে । কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় এক বছরেও এতদিন ই-গেট ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। তাই ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরা কোন সুফল পাচ্ছিল না । অবশেষে আগামী জুন মাসের মধ্যেই ই-গেট চালু হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে ই-গেট ব্যবহার করা যাবে জুন মাসের মধ্যে । এ বিষয়ে আমদের কাজ প্রায় শেষ দিকে।
আরও পড়ুন: এবারের বর্ষায়ও ঢাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, নেই কোনো স্থায়ী সমাধান
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে ই পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য ই-গেট চালু হতে যাচ্ছে। ই গেট চালু হলে ইমিগ্রেশনে যাত্রী খুব সহজে কম সময়ে ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করতে পারবেন ।
ই-গেট উদ্বোধন হয়েছে প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ই গেট ব্যবহার বা চালু করতে এত সময় লাগছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন ই-পাসপোর্ট এর সকল তথ্য ই-গেট এ সফটওয়ারের অটোমেটিক সকল ডাটা দেখাবে । সে জন্য এ কাজটি যে কোম্পানি করছে একটু সময় লাগছে । এখন কাজ শেষ পর্যায়ে । আমরা আগামী জুন মাসের মধ্য চালু করতে পারবো ।
ই-গেট এর সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, ই গেট চালু হলে নিজে নিজেই ইমিগ্রেশন করতে পারবে, কোনো ধরনের হয়রানি হবে না, সময় বাঁচবে, দ্রুত সময়ে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ছাড়াও পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বর্ডারে ই গেট চালু করা হবে । অন্যান্য বর্ডারের ই গেট চালু বিষয়ে আমরা অনেক দূর কাজ এগিয়ে ফেলছি। ঢাকা চালুর পর বাকি সবগুলো বর্ডারও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্হাপন ও চালু করা হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে ই-গেট স্থাপন করেছে ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ভিআইপি) । ই- গেট থাকলেও । ই গেটের সক্ষমতা এখনো চালু করতে পারেনি বলে ই-পাসপোর্ট ধারীদের ইমিগ্রেশন হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে । তাতে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারীদের লম্বা লাইল হয় । সময় বেশি লাগে এবং যাত্রী হয়রানির অভিযোগও পাওয়া যায় ।
আরও পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না
ই-গেটের সঙ্গে পাসপোর্ট সার্ভারের সংযোগ এখনও তৈরি করতে না পারায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আগের মত ইমিগ্রেশন করছে। এই ই-গেট চালু থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্ট-ধারীকে সনাক্ত করা যাবে
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, ই-পাসপোর্টে মাইক্রোপ্রসেসর চিফ এবং এন্টেনা বসানো হয়েছে। যার ফলে ই-পাসপোর্টধারী
একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পাসপোর্টের মুদ্রিত ও চিপের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। ই-গেট পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ই-গেট এর সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরা যাত্রীকে অটোমেটিক শনাক্ত করবে।
এ বিষয়ে জানতে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন জানায়, কারিগরি কিছু জটিলতা এখনও দূর হয়নি এ কারণেই ই গেট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন করা যাচ্ছে না । এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে তারা এটি সমাধান করলে ই গেট ব্যবহার সম্ভব হবে। এটি ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ভিআইপি) ।
গত ২০১৮ সালে ২১ জুন ই পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হার প্রকল্প অনুমোদন পায়। সেই বছরেই ১৯ জুলাই জার্মানির ডেরিভোস জিএমবিএইচ এর সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চুক্তি হয়। এই সংস্থাটির মাধ্যমেই ই পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর কোনো অগ্রগতি নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন ।
২০২১ সালের ৩০ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে ই-গেট উদ্বোধনের পর ক্রমান্বয়ে দেশের সব বর্ডারে ই- গেট চালু করার কথা বলা হয়।