সাবেক এমপি
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য (এমপি) ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে কাদের খানের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নবীনগরে সাবেক এমপির গাড়িবহরে হামলা, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এমপি অক্ষত অবস্থায় থাকলেও তার ব্যক্তিগত পিএস সাইফুর রহমান সোহেল ও গাড়িচালক ফারুকসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় সলিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ইরানে কাসেম সোলাইমানির স্মরণসভায় বোমা হামলায় নিহত ১০৩
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক লাহোর ফতেপুর ইউনিয়নের বাসারুক গ্রামে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল শিকদারের সভাপতিত্বে, সাবেক সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে নির্বাচনের পর ৫০টি বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ, আহত ১০
অনুষ্ঠান শেষ করে ঢাকা ফেরার পথে সলিমগঞ্জ বাজার আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কিছু দূর এলে আমিনুল, ইশতিয়াক, শান্তসহ ১০-১২ জন অতর্কিতভাবে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা সবাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের অনুসারী বলে পরিচিত।
তখন বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে পাঁচটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী আহসানুল হক চৌধুরীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আরজু।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন আসামির জামিন আবেদনে বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুযারি একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন।
তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সফল হয়।
আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা এবং একাকিত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান বাদী। তিনি আসামিকে ভালবেসে ফেলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন।
২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরীর মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাদী দৃঢ়তার জন্য বাচ্চা নষ্ট করতে পারেনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আসামি বাদীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বলে তার বাবার কাছ থেকে নেয়া ১০ লাখ টাকা ও জমা আট লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বিক্রি করে আসামিকে টাকা দিলেও সে কোনো ফ্ল্যাট কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি।
একপর্যায়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সে ঘরে কন্যাসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি।
আরও জানা যায়, আসামি বাদীর কাছে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।
একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন। মামলার তদন্তে বাদীর কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
সেখানে কন্যাসন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদীর জন্মদাতা বাবা বলে প্রতিবেদন উঠে আসে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: চট্টগ্রামের ৩ সার্ভেয়ার কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
সাবেক এমপি শাহজাহান খান আর নেই
পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা শাহজাহান খান সোমবার ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র ছেলে ও স্ত্রীসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদার জানান, সোমবার বাদ জোহর নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালী, ১১টায় দশমিনা, বাদ জোহর গলাচিপা, ৩টায় চিকনিকান্দি ও ৫টায় মরহুমের নিজ বাড়ি গলাচিপার চিকনিকান্দিতে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী আকবর আর নেই
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জানান, ৪ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গনসমাবেশে যাওয়ার পথে লেবুখালী ব্রিজ সংলগ্ন এবং বদরপুরে দুই দফায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন বিএনপি নেতা শাহজাহান খান।
আহত অবস্থায় বরিশাল চিকিৎসা নিয়ে পরে পটুয়াখালী চলে যান। কিন্তু কিছুদিন পর তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে ২২ নভেম্বর ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ও পটুয়াখালীর বিএনপি নেতারা।
শাহজাহান খানের মৃত্যুতে নেতারা শোক ও পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান খান হামলায় আহত হয়েছেন এমন অভিযোগ পুলিশ জানে না এবং তার পরিবার থেকেও পুলিশকে জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম আর নেই
‘খায়রুন সুন্দরী’র অভিনেতা মুকুল তালুকদার আর নেই
বিএনপি'র সাবেক এমপিসহ ৪'শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনা-২ আসনে বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূরুল ইসলাম মনিসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফায়জুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শরীফ, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, ছাত্রদলের কর্মী হাসিব ও শাওন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি রবিবার বিকালে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে পাথরঘাটায় পৌঁছালে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিএন্ডবি এলাকায় নূরুল ইসলাম মনির সঙ্গে থাকা লোকজনকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নির্দেশে প্রতিরোধ করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর সঙ্গে থাকা লোকজনও এ সময় পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় নূরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় অগ্নিসংযোগসহ অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসেছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার কথা ছিল।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমরা কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছিলাম। অনুমতি পাওয়ার আগেই নূরুল ইসলাম মনির ওপর হামলা হয়েছে। তিনি বরিশালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চলে গিয়েছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
সিলেটের সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তাঁর বড় ছেলে সৈয়দ তানভির হোসেন তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের জন্ম ১৯৪৬ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের সুন্দিসাইল গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাস করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
পড়ুন: সাংবাদিক জালাল আহমেদ মারা গেছেন
একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি উপসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে ব্যবসা শুরু করেন। তার জন্মস্থান সুন্দিসাইল গ্রামে প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ। এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
ধনকুবের এ ব্যবসায়ী ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি এরশাদ সরকারের বিরোধিতা করে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকলেও ১৯৯১ সালের পর যোগ দেন বিএনপিতে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
পড়ুন: শূকরের হৃৎপিণ্ড নেয়া সেই মার্কিন নাগরিক মারা গেছেন
সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম মারা গেছেন
নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা এড. সাইফুল ইসলাম (৭৬) রবিবার বিকেলে মারা গেছেন।
সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক এমপি এম এ জব্বারের মৃত্যু
সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম এ জব্বার মারা গেছেন।