স্বর্ণ
শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক প্রবাসীর যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে আনা প্রায় আধা কেজি (৫৩৭) গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামে একজনকে আটক করা হয়।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণ জব্দ করেন।
আরও পড়ুন: যশোর সীমান্তে ৪৩টি স্বর্ণের বারসহ ২ জন আটক
আটক রেজাউল করিমের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে। তার বাবার নাম আবুল হোসেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজেড-৫৬৩ ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে আসেন ওই যাত্রী। গোপন সংবাদ থাকায় তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২৪ ক্যারেটের ১১৬ দশমিক ৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার, ২৪ ক্যারেটের ৮৮ গ্রাম ওজনের তিনটি রিং, ২৪ ক্যারেটের ২৩৩ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণের দণ্ড, ২২ ক্যারেটের একশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
এগুলো ফ্রাইপ্যানের হাতল ও পারফিউমের বোতলের মুখে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন তিনি। এ ছাড়াও তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও সিগারেট জব্দ করা হয়। স্বর্ণসহ জব্দ করা মালামালের বাজার মূল্য ৪৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৫ টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত যাত্রী সোনার পিণ্ড ও রিং সদৃশ সোনা ফ্রাইপেনের হাতলের ভেতরে এবং বডি স্প্রের মুখে বিশেষভাবে লুকিয়ে এনেছেন।
কতনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুবাইফেরত যাত্রী তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় একজন আটক, ৪৬ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্তে একজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আটকের সময় তার কাছ থেকে ৪৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক মো. আরিফুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের মনজুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণের বার পাচার হবে। সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামের বেলে মাঠের পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে পেঁচানো সাদা কাপড়ের তৈরি বেল্টের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো ছোট বড় ৪৬টি স্বর্ণের বার এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করেন। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম।
আটক ব্যক্তির নামে নায়েব সুবেদার মো. দুলাল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি। এসময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টায় দর্শনা হঠাৎপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক কুসুম পোদ্দার (৪৭) গাজীপুর জেলার টুঙ্গি থানার মনুনগর টুঙ্গিভরান গ্রামের হারিসাধন পোদ্দারের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ২ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বারসহ কুসুম পোদ্দার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬৩.১৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
তিনি বলেন, এসময় ১টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ২ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক আসামির বিরুদ্ধে নায়েক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান কর্নেল সাঈদ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩৩.৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
সামাজিক অবস্থান, আভিজাত্য, নির্ভরতা তৈরির বিকল্প হিসেবে স্বর্ণ ও হীরা ধাতব বস্তু দুটি স্ব স্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান। কিন্তু সম্পদের সময় মূল্য থেকে অর্থোপার্জনের ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি সবার আগে আসবে, স্বর্ণ নাকি হীরা, কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
উভয় বিনিয়োগের মাঝেই কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। আজকের আয়োজনে আপনি জানতে পারবেন স্বর্ণ ও হীরাতে বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো এবং বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে কোন কোন বিষয়গুলো আপনার খতিয়ে দেখা জরুরি।
স্বর্ণ বিনিয়োগের সুবিধা
অনিশ্চিত সময়ে স্থিতি রক্ষাকারী
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাজারের অস্থিরতার সময় স্বর্ণকে প্রায়ই নিরাপদ অবলম্বন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মূল্যহ্রাস ব্যতিরেকে এই সম্পদ নিজের দাম ধরে রাখতে পারে।
তুলনামূলকভাবে নির্ভরযোগ্য খাত
বিভিন্ন সময়ে মূল্যমান বা লাভের ক্ষেত্রে বন্ড বা স্টকের থেকে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণতা বজায় রাখে স্বর্ণ। একাধিক খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে এই ধাতবটি।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে রেকর্ড ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলারে গোলাপী হীরা বিক্রি
ভৌত সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণযোগ্য
স্বর্ণ একটি ভৌত সম্পদ যা আপনি কয়েন, বার বা গয়না আকারে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই স্থিতিশীলতা স্টক বা বন্ডের মতো অন্যান্য বিনিয়োগের তুলনায় অধিক নিরাপত্তার অনুভূতি প্রদান করতে পারে।
বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে আসা প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার জন্য শুল্ক কর দ্বিগুণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শুল্ক কর বর্তমান ২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব ঘোষণা করেন।
প্যাসেঞ্জার (ননট্যুরিস্ট) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৩-এর উপ-বিধি (১০) অনুসারে, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আগমনের সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের সোনার বার বা সোনার টুকরা আমদানি করতে পারেন সমস্ত শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে।
দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে অর্থমন্ত্রী এই সুবিধা কমিয়ে সোনার পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও, আমি ঘোষণার অতিরিক্ত বা যাত্রী দ্বারা লুকিয়ে আনা যে কোনও পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান ব্যাগেজ নিয়ম সংশোধন করার প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, লাগেজ নিয়মের অধীনে একজন যাত্রীকে বিদেশ থেকে আসার সময় প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার বার বা সোনার টুকরোগুলোর জন্য মোট দুই হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। আমি প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার বার বা সোনার টুকরার জন্য মোট শুল্ক-কর বাড়িয়ে টাকা ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
বাজেট ২০২৩-২৪: ভ্রমণ কর বাড়বে
দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র আইনের মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরাভ খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ কে এম সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত। আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় আরাভ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি।
এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
যশোরে প্রায় দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিজিবি
যশোরের বেনাপোল উপজেলার গোগা সীমান্ত এলাকা থেকে শুক্রবার ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বিজিবি-২১ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২১ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে, যার প্রতিটিতে ১০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে জানিয়ে কমান্ডিং অফিসার বলেন, স্বর্ণের বারগুলো যশোর ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শারজাহ ফ্লাইট থেকে ১.৩ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পৃথক অভিযানে প্রায় এক দশমিক ৪ কেজি ওজনের সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফিরুজ মিয়া (৪০) ও বিল্লাল (৫৩)।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১০
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এর গাড়ি পার্কিং সংলগ্ন এলাকা থেকে ফিরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বুধবার সকালে আসামি মো. ফিরুজ মিয়াকে বিমানবন্দরের সামনের ক্যানোপি-১ এর গাড়ি পার্কিং এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। এপিবিএন সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে থাকেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দরের এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ফিরুজ মিয়ার কাছ থেকে ৬৯৬ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এপিবিএন সদস্যরা বিমানবন্দরের ক্যানোপি-২ এর কার পার্কিং এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এপিবিএন কর্মকর্তারা জানান, তার পকেট থেকে ৬৯৬ গ্রাম ওজনের ৬টি সোনার বার জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪’- এর অধীনে বিমানবন্দর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান বলেন, চোরাচালানরোধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এপিবিএন সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেছে। দুর্বৃত্তদের চোরাচালানের চেষ্টা প্রতিরোধ ও বানচাল করতে বিশেষ অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খাদ্যনালিতে পানি আটকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু!
সিলেটে আটক ৮ জনসহ ২০০ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
নওগাঁয় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ভারতে পাচারকালে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন।
গ্রেপ্তার কিবরিয়া (৩৮) ধামইরহাট উপজেলার চকবদল গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পত্নীতলার ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন জানান, নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে গ্রেপ্তার কিবরিয়া দীর্ঘদিন যাবত মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। এর আগে ধামইরহাট থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৩৯ লাখ টাকার স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৩০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
আটকরা হলেন-ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৩২) ও একই গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দলমহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামের মোড় দিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচারকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
পরে রুহুল আমিনের প্যান্টের পকেটের মধ্যে কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ২৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুটি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫২০ টাকা।
এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের এবং স্বর্ণের বারগুলো ঝিনাইদহ ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বেনাপোল সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণের বার জব্দ