পলিথিন
সুস্থভাবে বাঁচতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (২০ মার্চ) পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে প্রায় পাঁচ হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণের পর পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করেছে সরকার। বায়ুদূষণে এককভাবে নয় যৌথভাবে কাজ করা হলে আগামী বছর কিছুটা উন্নতি দেখতে পাওয়া যাবে।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উল ফিতর একটি আনন্দের উৎসব। এই সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
অবশেষে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে স্থান পাচ্ছে পরিবেশবান্ধব ‘সোনালি ব্যাগ’!
উদ্ভাবনের ছয় বছর পরও পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পাটের তৈরি পরিবেশবান্ধব ‘সোনালি ব্যাগ’ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকারিতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর পণ্যটির প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি এবং উদ্ভাবকরা হতাশ। কারখানা পরিচালনার জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রকল্পটি এখন মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
পাট থেকে তৈরি পলিব্যাগ বাজারজাত করার জন্য ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। তবে পঞ্চম বছরেও ব্যাগটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা সম্ভব হয়নি।
সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক মোবারক আহমেদ বলেন, সোনালি ব্যাগ বাজারজাত করতে আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
শুধু সীমিত আকারে ব্যাগ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
পলিব্যাগের বিকল্প সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রকল্প কবে বাস্তবায়িত হবে তা বলতে পারেননি বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
নির্ভরযোগ্য বিকল্পের অভাবে বাজারে এখনও রাজত্ব করছে নিষিদ্ধ পলিথিন। সবজির বাজার, মুদি দোকান, শপিংমল, চেইন শপে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। পরিবেশ ক্ষতিকর এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পলিথিনের ব্যবহার কমেনি।
আরও পড়ুন: ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনে যুক্তরাজ্যের সাথে বিজেএমসি’র সমঝোতা স্মারক
২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরিবেশবাদীরা বলছেন, আইন প্রয়োগে ব্যর্থতাই বাজারে পলিথিনের আধিপত্যের প্রধান কারণ। পলিথিন নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব চিন্তিত। প্রতিদিন লাখ লাখ টন পলিব্যাগ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা মোবারক আহমেদ খান ২০১৬ সালে ‘সোনালি ব্যাগ’ নামে পাটের পলিথিন ব্যাগ উদ্ভাবন করেন।
এটি একটি সেলুলোজ-ভিত্তিক বায়োডিগ্রেডেবল বায়োপ্লাস্টিক, প্লাস্টিকের ব্যাগের বিকল্প। পাট থেকে সেলুলোজ সংগ্রহ করে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতো হলেও এটি পচনশীল।
বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসার আগে ‘সোনালি ব্যাগ’ দেশে-বিদেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল। ব্যাগ বাজারজাত করার জন্য ২০১৬ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। তবে ছয় বছরেও ব্যাগটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার ডেমরায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে সোনালী ব্যাগ তৈরির কারখানা রয়েছে। এই ব্যাগ উৎপাদনের জন্য ২০১৯ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কেমিকেল কেনা হয়েছে। শুধু মতিঝিলের বিজেএমসি অফিস থেকে ব্যাগ বিক্রি হয়।
এ প্রেক্ষাপটে ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার বাংলাদেশ পাট দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার: মন্ত্রী
পলিথিনে মোড়ানো অপরিপক্ক নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে পলিথিনে মোড়ানো অপরিপক্ক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ আসার আগেই স্থানীয়রা লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের গঙ্গাবর্দী এলাকার বিএডিসি অফিস সংলগ্ন সানি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঢালে লাশটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
স্থানীয় কালাম মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলের পাশেই মুদি দোকানদার ভোরে দোকান খুলতে আসার সময় পলিথিনে মোড়ানো কিছু দেখতে পায়। তিনি আমাকে খবর দিলে আমিসহ অনেকেই একটি নবজাতকের লাশ দেখতে পাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানাই। কিন্তু পুলিশ না আসায় স্থানীয়রা সকাল ৮টার কিছু আগে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়। শিশুটি অপরিপক্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সাভারে ড্রেনে মিললো নবজাতকের লাশ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, সকাল ৯৯৯ এর অভিযোগ থেকে জানতে পারি গঙ্গাবর্দী এলাকায় মহাসড়কের পাশে একটি নবজাতকের লাশ পরে আছে। আমাদের একটি টিমকে সেখানে পাঠানো হয়। তারা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে সেখানেই মাটিচাপা দিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর সার্কেল আরও বলেন, শিশুটি মূলত প্রি ম্যাচিউড বেবি ছিল। এটি সম্ভবত গর্ভপাতের বিষয়। রাতের কোন এক সময় শিশুটিকে ফেলে রেখে গেছে এমনটই ধারণা করা হচ্ছে।
মাটিচাপা দেয়ার বিষয়ে পুলিশের আর কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীচরে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
হাতিরঝিলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
পলিথিন ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে ১ বছর সময়
দেশের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও উপকূলীয় অঞ্চলে পলিথিন এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (ওয়ান টাইম) পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে এক বছর সময় বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
রোহিঙ্গা শিবিরে পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও একটি অগ্রাধিকার
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- প্লাস্টিক ও পলিথিনের বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করা একুশ শতাংশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রের গভীরতম খাদ থেকে পাহাড়ের চূড়া সর্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এ বর্জ্য।