সেনাবাহিনী
খুলনায় দুস্থদের মাঝে সেনাপ্রধানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
খুলনায় পাঁচ হাজার দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে তিনি এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় সেনাপ্রধান করোনার এই সংকটময় অবস্থায় সবাইকে সরকারের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জেনারেল র্যাংক ব্যাজ পরলেন নতুন সেনাপ্রধান
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করার পর সেনা প্রধান মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে খুলনা সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় সেনাপ্রধানের সাথে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাসহসহ স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহনের পর খুলনা অঞ্চলে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের প্রথম সফর এটি।
আরও পড়ুন: নতুন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সদস্যরা খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলায় সাধারণ জনগণের মাঝে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিতকল্পে নিয়মিত টহল ও লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশাবলী যখাযথভাবে প্রয়োগে অসামিরিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কাযক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন পাঁচটি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ত্রাণ বিতরণ করেছে।
করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে ৮ হাজার ৮২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশে প্রথম করোনা ধরা পড়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে সোমবার একদিনে ৮ হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্ত ছিল আগের সর্বোচ্চ।
এছাড়া একদিনে আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার ৬৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। মৃতদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী।
আরও পড়ুন: ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নিয়ে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। সুস্থতার হার ৮৯.৩৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, বুধবার ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, আদালত সমূহের ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: অকারণে বের হলে গ্রেপ্তার, ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি
এদিকে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি, শপিংমল/মার্কেটসহ দোকানপাট, সকল প্রকার বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সকল প্রকার জনসমাবেশ ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য, খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট কাজ, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সকল গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সকল পরিবহন, সকল বন্দর (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল), শিল্প-কলকারখান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। করোনার টিকা গ্রহণ, হোটেল-রেস্তোরা থেকে খাবার ক্রয় এবং বিদেশ যাত্রায় বাঁধা থাকছে না।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৪২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩০০ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৭ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৪৫৭ জন।
আরও পড়ুন: চীন থেকে শিগগিরই আরও ২০ লাখ টিকা আসছে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩৭ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৭ জনে।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নিয়ে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর বিকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে আলাদা একটি প্রজ্ঞাপনেও তা নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে আরোপিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওয়াতায় ১-৭ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৫.১৩ শতাংশ, মৃত্যু ১১৫
এর আগে সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, আদালত সমূহের ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি, শপিংমল/মার্কেটসহ দোকানপাট, সকল প্রকার বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সকল প্রকার জনসমাবেশ ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য, খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট কাজ, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সকল গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: অকারণে বের হলে গ্রেপ্তার, ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সকল পরিবহন, সকল বন্দর (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল), শিল্প-কলকারখান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। করোনার টিকা গ্রহণ, হোটেল-রেস্তোরা থেকে খাবার ক্রয় এবং বিদেশ যাত্রায় বাঁধা থাকছে না।
কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, বুধবার ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, আদালত সমূহের ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখবেন কিভাবে?
এদিকে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি, শপিংমল/মার্কেটসহ দোকানপাট, সকল প্রকার বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সকল প্রকার জনসমাবেশ ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ১৮ লাখ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য, খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট কাজ, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সকল গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সকল পরিবহন, সকল বন্দর (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল), শিল্প-কলকারখান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনা: মৃত্যুতে রেকর্ডের একদিন পর শনাক্তেও রেকর্ড
এছাড়া, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। করোনার টিকা গ্রহণ, হোটেল-রেস্তোরা থেকে খাবার ক্রয় এবং বিদেশ যাত্রায় বাঁধা থাকছে না।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়েছে
সর্বশেষ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ জনে।
এর আগে সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৩৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়াতে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮২টি। শনাক্তের হার ২৩.৯৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং ৪৫ জন নারী।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন। সুস্থতার হার ৮৯.৭৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
‘কঠোর লকডাউনে’ মুভমেন্ট পাশ থাকবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশকে টহলে রেখে কঠোর লকডাউন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এবার কোনো মুভমেন্ট পাশ থাকবে না। জরুরি সেবা ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৮৩৬৪ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১০৪
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের আদেশের বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত খুব কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।’
তবে যারা জরুরি সেবায় যুক্ত তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে বলে সচিব জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউনকে ‘তামাশা’ বললেন ফখরুল
সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ সববাহিনী লকডাউনে টহলে নিয়োজিত থাকবে উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ (বিধিনিষেধ) লঙ্ঘন করলে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
এই শীর্ষ আমলা বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে আসন্ন লকডাউন চলাকালীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গত বছরের মতো দরিদ্রদের, বিশেষ করে শহর বেশি সমস্যাগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
লকডাউন নিয়ে গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আরও বৈঠকে বসবেন এবং আগামীকাল বা পরশুদিন একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারের আদেশের বিষয়টি জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিছু বাস্তব কারণে সরকার ৩০ জুনের আগে কঠোর বিধিনিষেধে যেতে পারছে না। তাই, কঠোর লকডাউন ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কোভিড সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে এসময় আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে রবিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। এর আগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা গিয়েছিল।
এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৭২ জনে।
বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৬৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৭৭ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৪ হাজার ৩৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০টি। শনাক্তের হার ২১.৫৯ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৭৫ জন পুরুষ এবং ৪৪ জন নারী।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ, শুধু রিকশা চলবে
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন। সুস্থতার হার ৯০.৫১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬০ শতাংশ।
লকডাউন: সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ, শুধু রিকশা চলবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
রবিবার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী তিন দিনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২০২
এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
রবিবার (২৭ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস.এম. আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত
‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকার ঘোষিত আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে কঠোর লকডাউন পালনে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সামনের লকডাউনে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। যাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও কমিয়ে আনতে পারি।’
সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থার সঙ্গে ২০২১-’২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকার ঘোষিত আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে কঠোর লকডাউন পালনে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সামনের লকডাউনে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। যাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও কমিয়ে আনতে পারি।’
রবিববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থার সঙ্গে ২০২১-’২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
আসন্ন লকডাউনে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কাজের চাপ আরও বাড়বে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামনে লকডাউন আসছে। সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন যেটা বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন। আমরা জানি আমাদের কোন লকডাউন নেই। আমাদের দরজা তো বন্ধ হবেই না, জানালাও খুলে দিতে হবে। যেহেতু কিনা আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব যে যেখানে আছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউনটা আপনারা মেনে চলবেন। যদি আমরা না মানি আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেও মুশকিল হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আমের ব্যবসা করতে দিতে হয়েছে, আমাদের গাড়ি চালাতে দিতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের ভ্যাকসিনেট করতে হচ্ছে, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছে। সব কাজই আমাদের একসঙ্গে করে যেতে হচ্ছে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও বজায় রাখতে হচ্ছে। রোগী বাড়ছে তাদেরকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আমাদের কাজের কোনই কমতি নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫ থেকে ৬ হাজার বেড অলরেডি রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেই জনসংখ্যাকে যদি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ সুরক্ষিত থাকবে। আমরা যদি করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশে যারা যায় সেই জায়গাটা ব্যাহত হবে। অন্যদেশ আমাদের ভিসা দিতে চাইবে না।
দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে সরকার সারাদেশ জুড়ে প্রাথমিক ভাবে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। আগামী সোমবার থেকে এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে।
শুক্রবার তথ্য অধিদপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করে জানায় শনিবার মন্ত্রিপরিষদ এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাবে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সারাদেশে ৭ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’
তবে শুক্রবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদে জানান, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নামতে পারে আর্মি। পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি লকডাউন নিশ্চিত করতে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার থেকে সাতদিন কঠোর বিধি নিষেধ থাকবে। পরে প্রয়োজন হলে সময় আরও বাড়ানো হবে। সবাই যেন কঠোর লকডাইন মানে সে জন্য কড়কড়ি থাকবে। এই লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকতে পারে।’
লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনায় আবারও মৃত্যু একশ’ ছাড়াল
জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেনস ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম লকডাউনের বিধি নিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
পার্বত্য জেলার ৫৯ ইউনিয়নে বসছে অপটিক্যাল ফাইবার
বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৫৯টি ইউনিয়নে খুব শিগগরই অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্পটির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: আপনজনদের হাতে ইন্টারনেটে যৌন নিপীড়নের শিকার ৬৯ শতাংশ
তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকাগুলোতে ফাইবার অপটিকাল স্থাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ‘টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ)’ শিরোনামের প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুমোদনের এই পর্যায়ে চুক্তিটি কত টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন করা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি তবে মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা জানা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০তম বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ছয়টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল।
দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
কোভিড-১৯ এর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে বুধবার থেকে নতুন একটি লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অভাবে এই লকডাউনে কোনো দুর্দান্ত ফল লাভের সম্ভাবনা নেই।
তারা বলছেন, লকডাউনের সময় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করে জনগণকে জোরপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে বাধ্য করে 'কারফিউ জাতীয়' পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের সময় কল-কারখানাগুলো খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন এতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, লকডাউন কার্যকর করার আগে সরকারের উচিত হতদরিদ্র, দিনমজুর ও বস্তিবাসীদের জীবন চালাতে খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
৫ এপ্রিল থেকে প্রায় সবকিছু খোলা রেখে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। আর এই লকডাউনের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান নয়। কারণ দেশে এই সময়ে ৪৭ হাজার ৫১৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয় এবং ৫০৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণহানির সাপ্তাহিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে সকল অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ করে সাত দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সরকার সোমবার নতুন কতগুলো নির্দেশনা জারি করে। তবে, লকডাউনের সময় কারখানাগুলো খোলা থাকবে।
লকডাউনের প্রস্তুতি
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. বে-নাজির আহমেদ বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'বড় সমস্যা হলো সরকার কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই আবারও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চলেছে। আপনি ১৭ কোটি লোককে সাত দিনের জন্য বাড়ির ভিতরে রাখতে চাইলে অনেক প্রস্তুতি নেয়াও জরুরি। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য এমন পদক্ষেপে বিপুল সংখ্যক লোককে ব্যস্ত থাকার কথা।'
এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রতিটি এলাকায় অস্থায়ী দোকান তৈরি করা উচিত ছিল যাতে মানুষ রমজান মাসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখান থেকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সংগ্রহ করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রণোদনার মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
'একজন বস্তির বাসিন্দা প্রতিদিন রোজগার না করে বাঁচতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন হতদরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করা এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা যেন তাদের লকডাউনে জীবিকার জন্য বাইরে যেতে না হয়।'