সেনাবাহিনী
ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ জার্মানিতে শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
ইউক্রেনের নতুন সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ বাড়িয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।প্রায় ৫০০ সৈন্যের ব্যাটালিয়নকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরাতে এই প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। যারা আগামী আগামী পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
রবিবার জার্মানিতে এই সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মিলি সোমবার গ্রাফেনউয়ার প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করছেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সৈন্যরা কয়েকদিন আগে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে। জার্মানিতে তাদের ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে কখন থেকে সেই প্রশিক্ষণ শুরু হবে তা বললে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন।
তথাকথিত সম্মিলিত অস্ত্র প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর দক্ষতাকে বাড়ানো যাতে তারা আক্রমণ চালাতে বা রুশ আক্রমণের যেকোনও ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে। তারা সম্মিলিত আর্টিলারি, বর্ম এবং স্থল বাহিনী ব্যবহার
করে যুদ্ধে তাদের কোম্পানি- এবং ব্যাটালিয়ন-আকারের ইউনিটগুলোকে আরও ভালভাবে সরানো এবং সমন্বয় করতে শিখবে।
রবিবার তার সঙ্গে ইউরোপে ভ্রমণরত দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময়, মিলি বলেছিলেন সমন্বিত এই জটিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনীয়রা নতুন অস্ত্র, আর্টিলারি, ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা তাদের অঞ্চলগুলো পুররুদ্ধার করবে, যা রুশ বাহিনী ১১ মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে।
মিলি বলেছিলেন, ‘এই সমর্থন ইউক্রেনের পক্ষে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ,’ ‘এবং আমরা আশা করছি এখানে অল্প সময়ে এটি একসঙ্গে টানতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লক্ষ্য হলো সমস্ত আগত অস্ত্র এবং সরঞ্জাম ইউক্রেনে সরবরাহ করা যাতে নতুন প্রশিক্ষিত বাহিনী এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হয় ‘বসন্তের বৃষ্টিপাতের কিছুটা আগে। সেটা হবে আদর্শ।’
রাশিয়া কিয়েভ, উত্তর-পূর্ব শহর খারকিভ এবং দক্ষিণ-পূর্ব শহর ডিনিপ্রো সহ বিস্তৃত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এ পৌঁছেছে।
মিলি বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত করতে চান যে প্রশিক্ষণটি সঠিক ধারায় রয়েছে এবং অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা এবং এটি নিশ্চিত করতে চান যে এটি সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে ভালভাবে চালিত হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটিতে শ্রেণিক্ষে পাঠদান এবং মাঠের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা ছোট স্কোয়াড দিয়ে শুরু হবে। এবং ধীরে ধীরে বড় ইউনিটে রূপান্তরিত হবে। এটি জটিল যুদ্ধ অনুশীলনের মাধ্যমে শেষ হবে এবং একটি সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন ও একটি সদর দপ্তর ইউনিটকে একত্রিত করবে।
এখন অবধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব হলো ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আরও তাৎক্ষণিক যুদ্ধক্ষেত্রে সরঞ্জাম সরবরাহের দিকে, বিশেষ করে কীভাবে দেশে মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থার বিস্তৃত অ্যারে ব্যবহার করা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তিন হাজার ১০০ টিরও বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যকে নির্দিষ্ট অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে হাউইজার, সাঁজোয়া যান এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম রয়েছে, যা এইচআইএমএআরএস নামে পরিচিত। অন্যান্য দেশগুলোও তাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে।
গত মাসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ধারণাটি হলো ‘তাদেরকে এই উন্নত স্তরের সম্মিলিত প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষম করে তোলা যা তাদেরকে কার্যকর সম্মিলিত অস্ত্র পরিচালনা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে সক্ষম করে তুলবে।’
মিলি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড এবং বিশেষ অভিযানিক বাহিনী যারা প্রশিক্ষণ দিচ্চিল তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে যায়। এই নতুন প্রচেষ্টাটি মার্কিন সেনাবাহিনী ইউরোপ ও আফ্রিকার সপ্তম আর্মি ট্রেনিং কমান্ড দ্বারা করা হচ্ছে। এটি আক্রমণের আগে তারা যা করে আসছিল তার ধারাবাহিকতা হবে। অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররাও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
সেনাবাহিনীতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ, আটক ১
চাপাইনবাবগঞ্জে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।আটক মুনিরুল ইসলাম (৫৭) লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত এরফান আলীর ছেলে।
র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,একজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১২লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের দল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ভুয়া নিয়োগপত্র,একটি চেক,তিনটি ভুয়া সিল ও একটি স্ট্যাম্প প্যাডসহ মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে সে।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, এনজিও পরিচালক আটক
বেনাপোল সীমান্তে ১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ২
অভিন্ন সীমান্তে অভিযানের সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনায় আরও সতর্কতা বজায় রাখতে বলেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমান্ড ব্যুরো অব স্পেশাল অপারেশনের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফোন মায়াতের নেতৃত্বে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২৬ অক্টোবর সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন।
সফরকালে প্রতিনিধি দল সৌজন্য বিনিময় ছাড়াও মিয়ানমারের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক বন্ধুত্ব বজায় রেখে তাদের দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন।
সেনাপ্রধানরা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের যৌথ আলোচনা, প্রশিক্ষণ বিনিময়, যৌথ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাসঙ্গিক তথ্য বিনিময় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান প্রধান বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা একটি আঞ্চলিক সমস্যা এবং এদের বাংলাদেশে থাকার কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি দূর করার জন্য রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও বৃহত্তর যোগাযোগের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পরে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্রদানকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
নওগাঁয় সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার উদয়সাগর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে শাহ আলম (৪৫) ও দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার জাংগই বাজার এলাকার আজাদ আলীর ছেলে শাহাজুল (৩০)।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা অবৈধ নিয়োগের মিথ্যা আশ্বাস ও ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রার্থীদের চাকরি দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে শাহ আলম ও শাহাজুল নামের দুই প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র্যাবের গোয়েন্দা সোর্সের মাধ্যমে এমন সংবাদের পর জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার নেতৃত্বে শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র, একটি ভুয়া সীল, একটি মোবাইল, দুইটি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড ও দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
সাজেকে পাহাড় ধস, সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক
রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে নন্দারাম নামক স্থানে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার।
অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাজেক-খাগড়াছড়ি প্রধান সড়কে পাহাড়ের বেশ বড় অংশ ধসের কারণে সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ হয়। প্রধান সড়কের ওপর পাহাড় ধসের ঘটনায় রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েক হাজার পর্যটক। মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সড়ক থেকে মাটি সরাতে সকাল থেকে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা পর সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনী।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, সকালে পাহাড় ধসের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুইশ গাড়ি রয়েছে। যা মঙ্গলবার এসেছিলো। বুধবার সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু পাহাড় ধসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়ে। দুপুরের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হলে গাড়ি ছাড়তে শুরু করে। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ২ শ্রমিক নিহত
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, সাজেকে পাহাড় ধসের কারণে দুই পাশে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি’র সদস্যদের সাথে স্থানীয়রা মাটি সরানোর কাজে নেমে পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এখন কোনো সমস্যা নেই। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ৯ দিনের ছুটির কারণে সাজেকে বাড়তি পর্যটকের চাপ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুই হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। আরও তিন হাজার পর্যটক প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান।
আরও পড়ুন: পাহাড় ধসের আশঙ্কা: সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাবাসীকে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
সম্প্রতি নেপালে ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার সেনাবাহিনী এ ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রিমিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে তারা মোট ২৩টি গোল করেছে। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ ফাইনালে মাত্র একটি গোল হজম করেছে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দর থেকে একটি ছাদখোলা বাসে করে তাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) নিয়ে যাওয়া হয়। বাফুফে যাওয়ার পথে হাজার হাজার সমর্থক প্রথম সাফ শিরোপা জয়ের জন্য চ্যাম্পিয়নদেরকে অভিনন্দন জানায়।
এর আগে আর কোনো বাংলাদেশি দলকে এমন সংবর্ধনা দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে এবং বাফুফের দুই কর্মকর্তাও মোট এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়
দেশে ফিরে সাফজয়ী ফুটবলারদের পুরস্কারে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ২৪টি দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিক (ইউএসএআরপিএসি) দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস)-২০২২ এ অংশগ্রহণকারীরা এই অঞ্চলে অব্যাহত শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করেন।
শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিাতে বলা হয়, ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের নেতৃত্বে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থলবাহিনীর নেতারা এ সম্মেলনে একত্র হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী
এবারের সম্মেলনের থিম ছিল ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্লেনারি সেশন, ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টিম বিল্ডিং-এ অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তারা এই বিশাল ও অনন্য অঞ্চলের সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সিনিয়র অফিসারদের একসঙ্গে কাজ করার, সম্পর্ক তৈরি করার এবং বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভিপ্রায়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের শান্তির যাত্রা এখানেই শেষ নয়। এটা সবে শুরু।’
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি সেমিনারের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বাড়বে।
৪৬ তম আইপিএএমএস ‘বলিষ্ট শান্তিরক্ষা’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ ও ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থল বাহিনীর ভূমিকা’- শীর্ষক তিনটি প্লেনারি সেশনে ভাগ করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা এর ওপর আলোকপাত করেন এবং চ্যালেঞ্জ ও সামনের পথ নিয়ে আলোচনা করেন।
তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন; সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি
সেনাবাহিনীর দেয়া ঈদ উপহার পেলেন খাগড়াছড়ির দরিদ্ররা
বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
যে কোনো সংঘাত বা সংকট বিশ্বের প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তার গতিশীলতা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং দিন দিন জটিল হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়।’
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস)-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ আয়োজনে সেমনিারে ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডারসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজেদের দুর্দশা ছাড়াও তাদের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রধান নীতিগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী সহযোগিতার দিকে নিয়ে গেছে। এটি যোগাযোগ, সংলাপ এবং শীর্ষ বৈঠকের বেসামরিক এবং সামরিক কূটনৈতিক চ্যানেলের পথও প্রশস্ত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আইপিএএমএস একটি অনুরূপ বহুজাতিক প্ল্যাটফর্ম যা বন্ধুত্ব এবং উষ্ণতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে যাতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করে।
পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইপিএএমএস সব সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্ধুত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
‘আমি মনে করি, এই ফোরামের মাধ্যমে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বাস্তবসম্মত বহু-পার্শ্বিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করবে’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো দেশের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার অন্যতম উপাদান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়ের সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি সহায়তা কার্যক্রমে অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে এবং বিশ্বের যে কোনো স্থানে দেশ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা যে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
‘আমাদের সামরিক বাহিনী জাতিসংঘের অধীনে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। আমরা এটা বজায় রাখতে চাই’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাফল্যের জন্য একটি ‘ডেবেলপমেন্ট মিরকাল’ হিসাবে স্বীকৃত। বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু শান্তির সুবিধায় বিশ্বাসী এবং জনগণের শক্তির ওপর নজর দিয়েছে, তাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের বৈদেশিক নীতি থেকে শক্তি নিয়ে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশের’ স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: যৌথ সম্মতিতে যেসব সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ-ভারত
সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনা, ২ পাইলট আহত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুজন পাইলট আহত হয়েছেন।
আহত দুই পাইলট লেফটন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল ও মেজর শামসকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তির মৃত্যু
আর্মি এভিয়েশনের বিইএলএল-২০৬ হেলিকপ্টারটি রুটিন প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার অংশ হিসেবে জরুরি অবতরণ পদ্ধতি অনুশীলন করছিল। এ সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা ও হেলিকপ্টারের নিরাপত্তায় স্থানীয় পুলিশ সহায়তা দিচ্ছে।
এছাড়া হেলিকপ্টারটি উদ্ধারে পোস্তগোলা ও মাওয়া সেনানিবাসের নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভবনে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের দখলের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদ ভবন সুরক্ষিত করতে বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছে।
চরম অর্থনৈতিক মন্দার জেরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী বুধবার বিমান বাহিনীর একটি জেটে মালদ্বীপে পালিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানানোর পদক্ষেপ জনসাধারণের বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলে।
গতকাল প্রবেশদ্বারে হামলা চেষ্টা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আরও প্রতিবাদ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সবুজ সামরিক ইউনিফর্ম ও সাদাপোশাকে সেনা সদস্যরা সাঁজোয়া যানে করে সংসদ ভবনে পৌঁছায়।
কিছু বিক্ষোভকারী সহিংসতা বৃদ্ধির ভয়ে সংসদে হামলা না করার অনুরোধ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ