সেনাবাহিনী
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি
বাংলাদেশ ২৯ মে (রবিবার) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশেষ এই দিনটিতে বেশকিছু কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও স্বজনদের সম্মাননা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিতে চায় জাতিসংঘ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ জার্নাল এবং জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে সম্প্রচার হবে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্রও প্রচারিত হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল ’পেলেন বাংলাদেশি ৮ শান্তিরক্ষী
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয়। ইরাকি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ডের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকি সৈন্যরা বাগদাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে ক্রাউ মাউন্টেনে একটি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে থাকা নয় জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে, বোমা হামলা করে এবং ভিতরে থাকা সমস্ত জঙ্গিকে হত্যা করে।
চরমপন্থী জঙ্গিদের দমনে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যাই হোক, আইএসের অবশিষ্টাংশ নগর, মরুভূমি এবং দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই গেরিলা আক্রমণ চালাচ্ছে।ি
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলজাজিরার সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
স্বাধীনতার ইতিহাসে তাদের স্থান কি হবে?
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সুফল যা একটি কঠিন বাস্তবতা। এদেশের আপামর জনতার পরোক্ষ প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, মা বোনের ইজ্জত, মানবিক বিপর্যয়, ত্যাগ তিতিক্ষার কথা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। অসমাপ্ত রয়ে গেছে ইতিহাসের অনেক উপাদান। গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের বাইরে থেকেও যারা যুদ্ধে সমর্থন জুগিয়েছিল তাদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই দেশের মাটিতে পা না দিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছেন এবং ভাতা গ্রহণ করছেন। এমনকি বিজয়ের মুহূর্তে কোন অবদান না রেখেও শুধু মাত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে নিহত হয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্বোধিত হচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বাঙালিরা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানে মানসিক চাপ, নির্যাতন, জেল ও অনেক কষ্ট করে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন। তাদের ইতিহাস অনুচ্চারিত রয়ে গেছে।
সামরিক বেসামরিক সকল শ্রেণিই নিজের মাতৃভূমিতে ফেরত এসে বাঙালী মূল স্রোতের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছিলেন। তাদের এই ত্যাগ তিতিক্ষা কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়? সে উদ্যোগ কেউ নিয়েছেন কি না জানা নেই।
জানামতে আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে । আফগানিস্তান হয়ে কপর্দকশূন্য অবস্থায় অনেকে দেশে ফিরেছেন। দুর্গম পর্বত অতিক্রম করতে গিয়ে নিজের কোলের সন্তান শত ফুট নিচে গড়িয়ে পড়েছে। পরিবার ছাড়া বসবাসকারী অনেকেই পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। এসব কি ইতিহাসের উপাদান নয়?
এবার আসি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রসঙ্গে।
২৫ শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায় তখন যুদ্ধের সূচনা হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহ করে ও পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে সসস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেয়। সেদিন থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালী সদস্যরা গাদ্দার নামে অভিহিত হয়। তারা পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার শপথ ভঙ্গ করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও গণ যোদ্ধাদের সম্মিলিত শক্তির মুখোমুখি পাকিস্তানী বাহিনী। অপর দিকে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালী সামরিক সদস্যরা ( তাদের ভাষায় গাদ্দার) কড়া নজরদারির আওতায় এলেন।
এসব ভুক্তভোগী অফিসারদের থেকে অনেক কিছু জানা যায়। যুদ্ধের প্রথম দিকে হালকা নজরদারি। এর মধ্যে সুযোগ বুঝে দু একজন যখন পালিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় তখন আরও কড়া নজরদারি আরোপিত হয়। অনেকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটেন, সুবিধা বঞ্চিত হন।
পাকিস্তান মিলিটারি সদর দপ্তর ধরে নিয়েছিল ডান্ডা মেরে বাঙালিকে দু একমাসের মধ্যে ঠান্ডা করে দেয়া যাবে। কিছুদিন পরেই বোঝা গেলো এ ধারণা ভুল। সামগ্রিক অবস্থা পাকিস্তানের অনুকূলে নয়। এর পর থেকে বাঙালীদেরকে যথাসম্ভব দায়িত্বপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে একত্রিত করে কঠিন প্রহরায় রাখা হলো। অদম্য বাঙালিরা এখান থেকেও পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে গেলো।
৭১ সালের যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বে পাকিস্তানের পরাজয়ে ( পূর্ব ও পশ্চিম উভয় সীমান্তে) বাঙালিরা আরও রোষানলে পড়ে। এবার শুরু হয় সকল বাঙ্গালীদের একত্র করে দুটি গ্রুপে ভাগ করে বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্দী করা। একটি গ্রুপ অবিবাহিত ও সিঙ্গেল অফিসারদের, আরেকটি গ্রুপ পরিবারসহ বসবাসকারীদের। সৈনিকদের বেলায় ও একই অবস্থা। কড়া পাহারার মাঝে কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ, দেখা সাক্ষাৎ কিছুই সম্ভব নয়। দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও নেই। কবে ছাড়া পাবে তার নিশ্চয়তা নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছে। পুনর্গঠনের কাজ চলছে। পাকিস্তানে আটক বাঙ্গালীদের ফেরত নেয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে বন্দী শিবিরে অবস্থানরত ব্যক্তিরা আরো হতাশ হলেন।
আটকে পড়া বাঙ্গালীদের নিয়ে পাকিস্তানীরা নুতন ষড়যন্ত্র শুরু করে। যুদ্ধে বিপর্যস্ত ও পরাজিত পাকিস্তানীদের মনোবল শূন্যের কোঠায়। ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী কিভাবে কখন ফেরত আসবে। এর মাঝে অনেকের পুত্র, জামাই, নিকটাত্মীয় রয়েছে। এ ৯৩ হাজারের বিপরীতে পাকিস্তানীদের হাতে কোনো ভারতীয় যুদ্ধবন্দী নেই। তাই ওরা চেষ্টা চালালো আটকে পড়া বাঙালিদের যুদ্ধবন্দী বানিয়ে দর কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করার।
বন্দী শিবিরগুলোতে কঠোর নিয়ম কানুন চালু হলো । লয়ালপুর জেল, সাগাই দুর্গ, খাজুরি ক্যাম্পের বিভীষিকার কথা অনেক শুনেছি। বাইরে যোগাযোগ নেই, অর্থকষ্টে অনেকেই বিপদে ছিলো। বেসামরিক ঠিকাদারের সরবরাহকৃত খাবার ক্রয় করে খেতে হতো। কয়েকদিন পরপর বিছানাপত্র ব্যাক্তিগত বাক্স পেটরা তল্লাশি, রেডিও, টেপ রেকর্ডার ক্যামেরা ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হতো। সন্দেহ এতই প্রবল যে প্রায়ই দল বদল, রুম বদল, ক্যাম্প বদল ইত্যাদি রুটিন হয়ে দাঁড়ালো। ক্যাম্পের পাহারায় ছিলো উপজাতীয় মিলিশিয়ারা। ওরা ওদের ভাষা ছাড়া আর কারো ভাষা বুঝতো না। ক্যাম্প ইনচার্জ কারো সাথে যোগাযোগের কোনো সুত্রই রাখেননি।
জুনিয়র অফিসারগণ বন্দীত্ব ঘুচাতে সদা তৎপর। ওরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে গেলো। এতো নজরদারির ভেতরেও গোপনে সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করলো। সুড়ঙ্গ খননের যন্ত্রপাতি যোগাড় করা, গোপনীয়তা বজায় রেখে খনন কাজ চালানো কঠিন ব্যাপার ছিল । খননের আওয়াজ লুকানোর জন্য হারমোনিয়াম বাজিয়ে উচ্চস্বরে গান করা হতো। খননের বাড়তি মাটি লুকানোর জন্য নিজের সুটকেস খালি করে মাটি ভরা হলো। তাদের চেষ্টা, বুদ্ধিমত্তা ও স্পৃহা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয়। এতো চেষ্টার পর ও তীরে এসে তরী ডুবলো। সুড়ঙ্গ তৈরি হলো কিন্তু তার শেষ প্রান্ত গিয়ে ঠেকলো কর্তব্যরত এক সেন্ট্রির পায়ের কাছে। উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো। নেমে এলো সবার উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন। রূপকথার কাহিনীকেও এসব বাস্তব গল্প হার মানায়। কিন্তু কোথাও উল্লেখ না থাকায় বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে না এ কাহিনী।
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
পড়ুন: বাংলাদেশে বিরোধী দলের বন্ধ্যাত্ব
গণতন্ত্রের মোহমুক্তি
সেনাবাহিনীর দেয়া ঈদ উপহার পেলেন খাগড়াছড়ির দরিদ্ররা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃত দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক পাহাড়ি-বাঙালির এই ঈদ সামগ্রী পেয়ে খুশি।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে মহালছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি এলাকায় শখাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম সবার হাতে ঈদ সামগ্রীগুলো তুলে দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পাচ্ছে রাজশাহীর ১১৪৯ পরিবার
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাইতো পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালির মাঝে অসাম্প্রদায়িক মেল বন্ধন ছড়িয়ে দিতে আসন্ন ঈদে পাহাড়ি-বাঙালি সবার মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য সবার ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর এ সামান্য প্রয়াস।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরাফাত সিদ্দিকী, খাগড়ছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাহিদ হাসান ।
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সেনাবাহিনীর (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্তের প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, চন্দিমা শীল, মাহমুদুল হাসান, জুলিয়ান সেতেরা ও বিআরটিএ’র মোটরযান শাখার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন ওসি প্রদীপের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ও বিআরটিএর এক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ওসি প্রদীপের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের সেমিপাকা ঘরগুলো পরিমাপের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিআরটিএর কর্মকর্তা আদালতে দুটি গাড়ির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এই পাঁচ জনসহ প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।
গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লেখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপ্রতি প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী ৫২ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের সূচনা করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার
উদ্ধার অভিযানের যন্ত্রপাতি সংগ্রহে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে অনুসন্ধান,উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি সংগ্রহের নিমিত্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মী পাঠনোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) ও সেনাবাহিনীর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোসাইদুল মাওলা এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সময় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট দুই হাজার ২২৫ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময়ে দেশের যেকোন স্থানে স্থাপনযোগ্য ও স্থানান্তর উপযোগী উচ্চমানসম্পন্ন সেলুলার কমিউনিকেশনের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগ স্থাপন, দুর্যোগকালীন সময়ে ও দুর্যোগের পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া ইত্যাদি কাজে অর্থায়ন করা হবে।
পুলিশের সক্ষমতা বাড়াবে নবগঠিত এভিয়েশন উইং: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নবগঠিত এভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, এভিয়েশন উইং দুর্গম এলাকায় দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
সোমবার পুলিশ সদরদপ্তরে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আইজিপি। এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকী।
আরও পড়ুন: জনকল্যাণে কাজ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আইজিপির আহ্বান
পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভালো পেশাদার সম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত ও সুসংহত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ১০৬ পুলিশ সদস্য মারা গেছেন: আইজিপি
মেজর জেনারেল মোস্তাহসিনুল বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। তারা নিজেদের যোগ্য পাইলট হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী আর্মি এভিয়েশন স্কুলে এভিয়েশন বেসিক কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশ পুলিশের। চারজন পুলিশ প্রশিক্ষণার্থী ইতোমধ্যে সফলভাবে তাদের একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।
দেশের অখণ্ডতা রক্ষা ও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী কাজ করছে
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের অখণ্ডতার রক্ষা ও পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনী পাহাড়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষকে অলিক স্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করছে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
খাগড়াছড়ি জোনের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের কাজ পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রক্ষা করা। পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কাজ করতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি, শৃঙ্খলা,নিরাপত্তাসহ পাহাড়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনসহ দেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্ধ পরিকর।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এই অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
এসময় খাগড়াছড়ি ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার কর্নেল সর্দার ইশতিয়াক আহমেদ, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, জিটুআই মেজর জাহিদ হাসান, খাগড়াছড়ি সদর জোনের উপ-অধিনায়ক রিয়াদুল ইসলাম,খাগড়াছড়ির দৈনিক অরন্যবার্তা পত্রিকার সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী আতাউর রহমান, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়াসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তকর্তা ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন ।
সাজেকে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক-মাচালং সড়কের আট মাইল এলাকায় ট্রাক চাপায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সড়কের কাজে নিয়োজিত একটি ট্রাক সাজেক থেকে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ধনমনি চাকমা (৩০) সাজের ৬নং ওয়ার্ডের ব্রীজ পাড়া এলাকার শান্তি রঞ্জন চাকমার ছেলে।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ট্রাকটি জব্দ করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত