সেনাবাহিনী
সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্ব মানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ ছাড়াও সেনাবাহিনী দেশের সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে জনগণের পাশে দাঁড়াবে।’
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
চার সপ্তাহব্যাপী সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চেচুয়া বাজার এলাকায় শেষ হয়েছে।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক বিভাগ ‘অনুশীলন নবদিগন্ত’ নামে সফলভাবে এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে।
সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দিনে ১৩ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার টানা চার দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন ১৩ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। সন্ধ্যায় আদালত মুলতবি করার সময় পর্যন্ত আসামি লিয়াকত আলীর পক্ষে যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত রয়েছে। যা মঙ্গলবারও চলবে বলে জানান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
আসামি লিয়াকত আলীর পক্ষে যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ।
অপরদিকে মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার সাময়িক বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, রবিবার এই মামলার যুক্তিতর্কের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী ও অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দীন প্রমুখ আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: খালাস পাওয়া ২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
তিনি জানান, সর্বশেষ আট দফায় গত ৭ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: এস কে সিনহার সঙ্গে দণ্ডিত লুৎফুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
সিনহা হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর
গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আবারও তাদের গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এপির এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এসময় এপি কমপক্ষে ৪০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে, সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, স্যাটেলাইট থেকে তথ্য নিয়ে এবং মৃতের সংখ্যা পর্যালোচনা করে।
এপির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সেনাবাহিনী একদিকে যেমন দেশের বেসামরিক নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিরোধী দলগুলোর ওপরও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি জান্তাবাহিনী দেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির কিশোর, তরুণ, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিষ্ঠুরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর এ ধরনের গণহত্যা ও নগ্ন হিংস্রতার চিত্র উঠে এসেছিল দেশটির মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন থেকে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সেসময় প্রাণ হারান।
গত ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের কারেন্নি নৃগোষ্ঠীর ৩৫ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী এপিকে জানিয়েছেন, হত্যার পর অজ্ঞাত পরিচয়ের অনেক নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
কিন্তু বর্তমানে সেনবাহিনী তাদের বৌদ্ধ বামার সম্প্রদায়ের মানুষের ওপরও একই ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বৌদ্ধ বামার জনবহুল অংশেও সেনাবাহিনীকে ব্যাপক গণহত্যা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তা সংস্থার (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে শুধুমাত্র সাগাইং অঞ্চলে তিন বা তার বেশি হত্যাকাণ্ডে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এই মৃত্যু প্রবণতার হিসাবে সাগাইংকে মিয়ানমারের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত করেছে৷
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ‘সেনাবাহিনীর হামলা’য় সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ
এছাড়া বিরোধীদের সমর্থন থাকতে পারে এমন গ্রাম পুরো ধ্বংস করার জন্য আগুনে জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে প্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর থেকে শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর থান্টলাং-এ ৫৮০ টিরও বেশি বাড়ি পুড়ে গেছে।
এএপিপির তথ্য যাচাইয়ের জন্য এপি কয়েক ডজন সাক্ষী, নিহতদের পরিবারের সদস্য, পদত্যাগ করেছিলেন এমন একজন সামরিক কমান্ডার, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এছাড়াও স্যাটেলাইট ইমেজ এবং কয়েক ডজন ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করেছে এপি।
তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সম্ভবত প্রকাশিত মৃতের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। কারণ সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, এবং তখন ওইসব অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়; যাতে করে নিপীড়নের তথ্য প্রকাশ না হতে পারে।
কিয়াও মো টুন, যিনি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পরে মিয়ানমারের জাতিসংঘের দূত হিসেবে তার অবস্থান ছাড়তে অস্বীকার করেছিলেন; তিনি বলেছেন এই মুহুর্তে সারা দেশে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশে ব্যাপক গণহত্যা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি এপিকে আরও বলেন, গণহত্যার ধরন দেখুন। তারা যেভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে বোঝা যায় এগুলো পূর্বপরিকল্পিত ও ভয়াবহ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর গবেষক ম্যানি মং বলেছেন, কতটা নির্লজ্জভাবে এইসব হামলা করা হয়েছে তাতে সত্যিই বোঝা যায় যে আমরা আগামীতে; বিশেষ করে আগামী বছর অনেক সহিংসতার মুখোমুখি হবো।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত ও এক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার দুই কিলো নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেএসএস (সন্তু লারমা) দলের সদস্য জানন চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য মনিময় চাকমা। এ ঘটনায় মো. মনু মিয়া নামে আহত ব্যক্তিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর শোনা গেলেও সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘জলদস্যু’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
মিয়ানমারে ‘সেনাবাহিনীর হামলা’য় সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হামলায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের দু’জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।
এর আগে শনিবার একটি বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন দেশের বেসামরিক নাগরিকের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনীর হামলায় সেদিন কমপক্ষে ৩৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে সৈন্যরা তাদের গাড়ি থেকে বেশকিছু লোককে গ্রেপ্তার করেছে এবং কয়েকজনকে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, মানবিক কাজের পরে ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল তাদের দুই কর্মী, এই হামলায় তারা নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গোপন হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর হামলা
সংস্থাটি বলেছে, আমরা নিশ্চিত যে তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রধান নির্বাহী ইনগার অ্যাশিং আরও বলেছেন, নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিক ও আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের কর্মীরা নিবেদিত মানবতাবাদী মানুষ, তারা মিয়ানমার জুড়ে লাখ লাখ শিশুকে সহায়তা করতে প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরোধিতাকারী মিলিশিয়াদের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বলেছে, নিহতরা মিলিশিয়া সদস্য নয় বরং সংঘর্ষ থেকে দূরে যেতে চাওয়া বেসামরিক নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গ্রুপের একজন কমান্ডার বলেছেন, মৃতদেহগুলো দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ নিহতেরা সবাই বিভিন্ন বয়সী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা।
অন্যদিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার তারা ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ওপর হামলা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে মিয়ানমার জুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর দফায় দফায় সেনাবাহিনীর হামলায় শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী
কোনো বাইরের শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি দিয়েছেন, 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়', আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী, কিন্তু বাইরে থেকে শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সক্ষমতা আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি।’
রবিবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি প্যারেড ২০২১-এ দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রয়োজন হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের প্রধান কাজ হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
সকল নবীন কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আজ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মাতৃভূমির মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব তাদের অর্পণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে সদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনাকে দেশের মানুষের পাশে থাকতে হবে... জনগণের সকল প্রয়োজন মেটাতে এবং সুখ-দুঃখ সমানভাবে ভাগ করে নেয়ার জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ক্যাডেটদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য বিএমএতে সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি এই আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা একটি প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সেনাবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, আজকের বিএমএ সেই সামরিক একাডেমির একটি সফল মূর্ত প্রতীক যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।
ব্যাটালিয়নের ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল ইসলামকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং কোম্পানি জুনিয়র আন্ডার অফিসার ইমরুল কায়েস সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কৃতি ক্যাডেটদের কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত করেন।
নাগাল্যান্ডে সেনাদের গুলিতে ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত
ভারতের নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার পাল্টা হামলায় এক সৈন্য নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মোন জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় রবিবার দেশটির কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ইউএনবিকে জানায়,ওই গ্রামের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য চলাচল রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী স্থানীয় দিনমজুরদের বহনকারী একটি ট্রাকে গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হয়।
সূত্র আরও জানায়, এই ঘটনার এক ঘণ্টা পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় সেনা সদস্যরা গুলি চালালে আরও পাঁচজন গ্রামবাসী নিহত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা এই হামলার প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। সংঘর্ষে একজন সেনা সদস্যও মারা যান।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ভারত
রবিবার এক বিবৃতিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য গতিবিধির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নাগাল্যান্ডের মোন জেলার একটি এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভুলবশত ঘটা এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে বলেছেন, এই ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হবে।
অন্যদিকে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইটে লিখেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে যখন বেসামরিক নাগরিক বা নিরাপত্তা কর্মী কেউই আমাদের নিজেদের মাটিতে নিরাপদে নেই?
আরও পড়ুন: ভারতে কোভিড হাসপাতালে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু
অগ্নি-৫ এর সফল পরীক্ষা ভারতের
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
রাঙমাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ভোর রাতে নানিয়ারচর সেনা জোনের সদস্যরা এই সব অস্ত্র উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নানিয়ারচর জোনের আওতাধীন বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় ইউপিডিাফে (মূল) দলের ১৬-১৭ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল চাঁদা সংগ্রহ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গেল সেনাবাহিনীর সাইক্লিং দল
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে নানিয়ারচর জোন এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় যৌথ বাহিনী সন্ত্রাসীদের আস্তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুল ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তবে সেনা সদস্যরা আস্থানায় পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় একে ৪৭ (চায়না) রাইফেল ম্যাগজিনসহ ১৮ রাউন্ড এ্যামুনিশন, একটি ৭.৬৫ মি: মি: অটোমেটিক পিস্তল চায়না ম্যাগজিনসহ ২ রাউন্ড এ্যামুনিশন, দেশীয় এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ওয়াকিটকি সেট, ৩ সেট ইউপিডিএফের (মূল) ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, কালো ব্যাগ, রাইজিং ষ্টার মাইক ম্যাগাজিন, ল্যান্ড ফোন (সীম দ্বারা পরিচালিত), দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি চাঁদার রশিদ ও নগদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ দেশি বিদেশি পুরোনো মুদ্রাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা সেবা প্রদান
এ ব্যাপারে রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রঞ্জন পাল জানান, যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। সশস্ত্র সন্ত্রসীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা না গেলেও তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী নানিয়ারচর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা কার্যক্রম চলছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সশস্ত্র বাহিনী দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের কারণে সর্বত্রই প্রশংসিত। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন আপনারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব, এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দেশের যেকোনো সংকটময় সময়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
নৌবাহিনী ভাষানচরে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণ করেও খ্যাতি অর্জন করেছে, অন্যদিকে বিমান বাহিনী সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সীড-বল নিক্ষেপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি রবিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথকভাবে সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এসময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। পরে সেখানে পরিদর্শক বইয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সবসময় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনী প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখল বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালায় এবং এর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল বাধার সম্মুখীন হবে না: প্রধানমন্ত্রী