সেনাবাহিনী
সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণে প্রথমদিনে এক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এসময় মিডিয়া ট্রায়াল থেকে সতর্ক থাকতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। দিনব্যাপী আদালতে মোহাম্মদ আলী নামের মামলার ৩ নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মধ্যে শেষ হয়।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ‘রবিবার সারাদিন মামলার ৩ নং সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে উক্ত মামলা নিয়ে আদালতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলতে। যাতে কোন মিডিয়ার ট্রায়াল না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে আদালত।'
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘মামলার তৃতীয় সাক্ষী মোহাম্মদ আলীকে জেরা করার সময় তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা অস্পষ্ট এবং এতে গরমিল রয়েছে। তা আমরা আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : ২য় দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
তিনি বলেন, 'সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালত চান না উক্ত মামলার বিষয়গুলো মিডিয়া আসুক। সুতারাং এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের আইনজীবীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।'
এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১ নং সাক্ষী ও বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২ নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত।
সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সকালে সাড়ে ৯ টারদিকে সাবেক বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
আফগানিস্তানে ছাড়তে পারেনি শতাধিক মার্কিন নাগরিক!
মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া এবং তালেবানদের আফগান দখলের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল কম-বেশি দুই শ’ মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। কিন্তু মার্কিন পুনর্বাসন এবং উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, বাইডেন প্রশাসনের এমন দাবি ভিত্তিহীন।
তাদের মতে, প্রশাসন শুধুমাত্র কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য তালিকাভুক্তদের কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য দূতাবাসে রেজিস্ট্রেশন না করতে পারা, আমেরিকার গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রাপ্ত এবং মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের কথা তাদের হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোর কাজন ভ্যালি স্কুলের মুখপাত্র হাওয়ার্ড শ্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হলেও, গ্রিন কার্ড প্রাপ্ত মানুষেরা বহু বছর ধরে আমেরিকায়া বসবাস করছে, তারা কর দিচ্ছে, আমাদের কমিউনিটির অংশ উঠেছে। তাদের অনেকের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাদের ব্যাপারে কেউ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কাবুল ছাড়ল শেষ মার্কিন বিমান, দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি
আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারসহ আফগানিস্তানে আটকে পড়েছে। তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, আটকে পড়া এক শ’ থেকে দুই শ’ মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান করছে এবং তালেবানদের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী আফগান নাগরিক এবং বিগত ২০ বছরে যেসকল আফগান কর্মকর্তারা মার্কিন প্রশাসনকে সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকে’ও উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
কিন্তু এই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী উপস্থিতি ছাড়া এই উদ্ধার কাজ কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বর্তমানে আফগানিস্তন থেকে বের হবার একমাত্র পথ কাবুল বিমান বন্দর তালেবানদের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা
আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য দরিস মাতসুই। তিনি কয়েকটি পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলেও, তালেবানদের বাঁধার কারণে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তারা ফিরে আসতে পারেনি।
ডিজিটাল ডানক্রিকসহ উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া শুধু মার্কিন নাগরিকের সংখ্যাই পাঁচ শতাধিক। আর মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের আফগান পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করলে, এই এক হাজারে কাছাকাছি চলে যাবে।
সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, বিলম্বিত করার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের
সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন বলে রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকালে সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুনঃ সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
তিনি জানান, মামলার শুরু থেকেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দরখাস্ত দিয়ে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত ১১টি দরখাস্ত দিয়ে মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এসব দরখাস্ত গ্রহণ করেননি।
একই অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী নানা অজুহাতে মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন, ওসি প্রদীপসহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর
অপরদিকে মামলার বাদী মেজর অব. সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আদালতের কাছে সিনহা মামলার সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আগামী ২৪ ও ২৫ আগস্ট অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
সোমবার বিকাল ৫টায় আদালতের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১০টায় এই মামলার সকল আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলায় মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী এই তিন দিন সাক্ষ্য দেবেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামিরা সকলেই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা তিন দিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ নতুন করে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন। যথাসময়ে বাদীসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন আদালত।
আরও পড়ুনঃ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সেনা সদস্য নিহত
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে ট্রাক ও সেনাবাহিনীর পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষে ২ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
সোমবার সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার সীমান্তবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সেনাসদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নওদাশালুয়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে কর্পোরাল মেহেদী (৩৬) ও রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া গ্রামের শ্যামল দত্তের ছেলে সৈনিক দীপঙ্কর দত্ত (২১)।
আরও পড়ুনঃ সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চীনা নাগরিকসহ নিহত ৩
আহতরা হলেন, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বীরকান্দি গ্রামের শাহানুদ্দিনের ছেলে সৈনিক মাইনুল (২১), বগুড়া জেলার বেলকুচি এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ল্যান্স কর্পোরাল ইমরান (৩০), সার্জেন্ট ফিরোজ (৩৫) ও সৈনিক মেহবুব (২৪)।
আরও পড়ুনঃ দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু সেনানিবাসের আর-ই ১১ ব্যাটালিয়ানের ৭ সেনা সদস্য টহল পিকআপ ভ্যানে নলকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরবঙ্গগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখী সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেয়ার পর আরও এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।আহতদের মধ্যে সার্জেন্ট ফিরোজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে রাতেই ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা, মেয়ে নিহত
মোসাদ্দেক হোসেন আরও জানান, দুর্ঘটনা কবলিত সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক এবং সেনাবাহিনীর পিকআপভ্যানটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ট্রাকের হেলপার ও চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর খুঁটিতে আঘাতরোধে বয়া স্থাপন
পদ্মা সেতুর খুঁটিতে বার বার আঘাতরোধে ১২ থেকে ১৩ স্প্যান হতে সরাসরি ৩ কিলোমিটার উজানে (পশ্চিমে) রবিবার দুপুরে কর্তৃপক্ষের বয়টেন্ডার ভেসেল নিহারিকার মাধ্যমে একটি লাল লাইটেড বয়া স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলারসমূহকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-পথে চলাচলকারী ফেরি থেকে আঘাত হতে রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে রবিবার মাওয়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ রেস্টহাউজে এক বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বয়া স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
সভায় ফেরি পরিচালনাকারী বিআইডব্লিউটিসি ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ, সেনাবাহিনী ও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় ফেরিসমূহকে হাজরা চ্যানেল থেকে প্রায় ১.৭ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং সেতু থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি লাইটেড বয়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
নেভিগেশন স্পান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেতুর প্রায় ১ কিলোমিটার আপে ডুবোচর থাকায় ৩ থেকে ৭ নং পিয়ার ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সেগুলো বিবেচনা না করার পক্ষে মতামত দেয়া হয় সভায়। ৮ নম্বর পিলারের সোজা একটি স্টীল স্পাড থাকায় ঝুঁকি বিবেচনায় ৭-৮ এবং ৮-৯ পিলারসমূহ বিবেচনার বাইরে রাখা হয়। ১০ নং পিলারে ইতোপূর্বে দুইবার আঘাত লাগার প্রেক্ষিতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৯-১০ এবং ১০-১১ স্প্যানও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ১১ থেকে ২২ নম্বর পিলারসমূহ মধ্যবর্তী স্থান নেভিগেশন যোগ্য। তবে দক্ষিণ দিকের (পিলারের নাম্বারিং বৃদ্ধির দিক) স্প্যান সমূহে স্রোতের তীব্রতা বেশি থাকায় আপাতত ১২-১৩ নম্বর স্প্যান দিয়ে আপ থেকে ডাউনে নৌ-চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন হলে নির্ধারিত স্প্যানের দুই পাশের স্পান সমূহ অর্থাৎ ১১ থেকে ১২ এবং ১৩ থেকে ১৪ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী ফেরীসমূহ স্রোতের প্রতিকূলে যাবে বিধায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে বিধায় তারা ৬-৭ নম্বর স্প্যান ব্যবহার করতে পারবেন তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী দুইপাশের দুইটি স্প্যানও ব্যবহার করা যাবে।
জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শুক্রবার বলেছেন, যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব কমছে না, তাই দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে এই মুহুর্তে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, যেসব এলাকায় ভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি সেসব এলাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে, তাই এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের এই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, এই ভাইরাস প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশ করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রায় ৯০ শতাংশ শয্যা পূর্ণ এবং বেশিরভাগ হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই।
সরকার করোনা রোগীদের সামান্য জটিলতায় চিকিৎসা দেয়ার জন্য হোটেল ভাড়া নেয়ার কথা ভাবছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধাজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, চীন, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে করোনা চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত: বিএসএমএমইউ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা প্রতি বছর বিভিন্ন সামরিক মহড়ার সময় তাড়াহুড়ো করে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে। ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে তাদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হলেই দেশ উপকৃত হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বাংলাদেশ নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ধরন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৯৮ শতাংশের শরীরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
সেনা অভিযানে ভারতীয় ওষুধ, প্রসাধনী উদ্ধার
খাগড়াছড়ি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোনের সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় ওষুধ ও প্রসাধনী উদ্ধার করেছে।
রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুইমারা উপজেলার ২নং বাইল্যাছড়ি রাবার বাগান এলাকার বীর মোহন ত্রিপুরার বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বীর মোহন ত্রিপুরা (৫৯) নামে একজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেশি মদ তৈরির কারখানায় অভিযান
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধপথে ভারতীয় ওষুধ ও প্রসাধনী পাচার করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মালামালসহ আটক বীর মোহন ত্রিপুরাকে গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এসব পণ্য পাচারের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ১০ ‘ছিনতাইকারী’ আটক
চোরাকারবারীদের যেকোনও মূল্যে প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে: কর্নেল ওয়ালিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
রাঙামাটিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার চারজন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে রাঙামাটি সদর সেনা জোন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটকরা হলেন, সুরেন চাকমা, অসিং চাকমা, অনিল চাকমা, সাইমন চাকমা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, ৭৭ রাউন্ড এ্যামুনিশন, ম্যাগাজিন, ওয়াকিটকি সেট, সোলার চার্জার, চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই, চারটি মোবাইল সেট, হাত ঘড়ি, ভূয়া আইডি কার্ড, রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, নগদ ৬৩ হাজার ৫৯২ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র চাঁদাবাজদের ধরতে রাঙামাটি রিজিয়ন সদর জোন কর্তৃক বরকল উপজেলার দুর্গম ছোট কাট্টলী এলাকার গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বরকল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আটকরা দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল এবং তারা ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার সক্রিয় সদস্য বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
যোগ্যদের পদোন্নতি দিন: সেনা কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী
শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১ এর সভায় তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে সিলেকশন বোর্ড প্রজ্ঞার মাধ্যমে যোগ্য লোককে বেছে নেবে এবং ব্যক্তিগত পছন্দ ও অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে আসবে। সকল প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সক্ষম নেতৃত্বের সন্ধান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সেনাসদর মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ট্র্যাক (ট্যাবুলেটেড রেকর্ড এবং তুলনামূলক মূল্যায়ন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় জেনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন, যা তাদের পেশাদারিত্বের বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
তিনি বলেন, ‘কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তিদের পদোন্নতি দিতে হবে। এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবক হিসেবে সরকার পরিচালনা করে, কখনও শাসক হিসেবে নয়।
তিনি বলেন, একটি সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সেনাবাহিনী গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
‘এজন্যই তাদের নেতৃত্ব অবশ্যই পেশাদার এবং দায়িত্বশীল অফিসারদের ওপর অর্পণ করা উচিত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বদা ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নিয়ে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শৃঙ্খলাই হচ্ছে সেনাবাহিনীর মূল। একই সাথে, সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, ধার্মিক, জনবান্ধব এবং মানবিক কর্মকর্তা যারা তাদের পেশাদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল, তাদের সন্ধান করা প্রয়োজন। ’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
খুলনায় দুস্থদের মাঝে সেনাপ্রধানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
খুলনায় পাঁচ হাজার দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে তিনি এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় সেনাপ্রধান করোনার এই সংকটময় অবস্থায় সবাইকে সরকারের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জেনারেল র্যাংক ব্যাজ পরলেন নতুন সেনাপ্রধান
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করার পর সেনা প্রধান মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে খুলনা সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় সেনাপ্রধানের সাথে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাসহসহ স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহনের পর খুলনা অঞ্চলে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের প্রথম সফর এটি।
আরও পড়ুন: নতুন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সদস্যরা খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলায় সাধারণ জনগণের মাঝে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিতকল্পে নিয়মিত টহল ও লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশাবলী যখাযথভাবে প্রয়োগে অসামিরিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কাযক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন পাঁচটি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ত্রাণ বিতরণ করেছে।