মোবাইল
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর আগে শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা জানান, সকাল থেকে তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশের প্রেস উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবি সিদ্দিক মিঠু বলেন, সরকার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হবে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও বাস ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও অনুসারী দলটির সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি সকাল ১১টায় জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে কমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৫ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
আ.লীগকে জবাব দিতে প্রস্তুত বিএনপি
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি
রাজীব শেঠিকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুতে সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর রবিতে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বপালকারী এম. রিয়াজ রশীদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এখন থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন রিয়াজ রশীদ।
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হানস বিজয়াসুরিয়া এবং বিবেক সুদ বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই। ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে রবি এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত অপারেটরটি। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে দৃঢ় থাকার জন্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও ও বর্তমান সিএফও এম. রিয়াজ রশীদের প্রশংসা করেন ড. বিজয়াসুরিয়া।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে রবি টিমকে সংঘবদ্ধ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন রিয়াজ। পাশাপাশি তিনি যে পাঁচ প্রান্তিক দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সময়টিতে রবির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে তার অবদান অসামান্য। কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক অবস্থানে রেখে রাজীবের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন তিনি।’
স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি; বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজীব শেঠি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রাজীব ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করেছেন শেঠি।
বাংলাদেশে রাজীব টেলিনরের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেটের উদ্বোধন মোদির
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির টেলিকম ইতিহাসে এটি একটি বড় মাইলফলক।
শনিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২-এর ৬ষ্ঠ সংস্করণে ফাইভজি পরিষেবা উদ্বোধন করেন মোদি।
এসময় বলা হয়, এই মাসের শেষের দিকে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের মতো ১৩টি নির্বাচিত শহরে ফাইভজি চালু করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিষেবা বাড়ানো হবে।
যানবাহন, রোবোটিক সার্জারি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির জন্য দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেটের পঞ্চম প্রজন্ম বা ফাইভজি ব্যবহার করা হয়।
ফাইভজি শুধুমাত্র উচ্চগতিসম্পন্ন মোবাইল ইন্টারনেটের যুগের সূচনা করে না, ভারতের এক ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী অর্থনীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: 'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে মানুষ ক্যাশলেস লেনদেনকে বেশি পছন্দ করছে। যার ফলে দেশে ক্রমবর্ধমান মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কার্যক্রম ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৯৯৪ কোটি টাকা
বিবি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন।
তবে এখানে নগদের তথ্য যোগ করা হয়নি। এই ক্যাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে।
সেই অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় এক দশমিক ১১ লাখ কোটি টাকা। তাহলে দৈনিক লেনদেন দাঁড়ায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সব জায়গায় টাকা পাঠানোর সুবিধার সঙ্গে কেনাকাটা, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, ঋণ বিতরণসহ নতুন নতুন সেবা যুক্ত করা হচ্ছে।
ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি নির্ভরতা বাড়ছে। গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এখন ১৮ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। দৈনিক লেনদেন হয় প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতিদিন এজেন্টদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
আগে দৈনিক আমানত ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা দেয়া যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমা দেয়ার সীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। এখন একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে মাসে দুই লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।
বিবি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সুবিধাজনক লেনদেনের সুযোগ বিবেচনা করে এবং ক্যাশলেস সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সহজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শহুরে জীবনে মানুষের বিশেষ প্রয়োজনে দেশে ই-কমার্স ও অনলাইন ট্রেডিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ছে, তাই বিবি লেনদেনের পরিমাণের সীমা বাড়িয়েছে।’
বর্তমানে দেশে ১৩টি ব্যাংক বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওরক্যাশসহ বিভিন্ন নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১১ কোটির বেশি।
তাদের মধ্যে, গ্রামে ১০ দশমিক ৭ কোটি গ্রাহক এবং শহরে ৮ দশমিক ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে। এছাড়াও নিবন্ধিত ১০ দশমিক ৪৩ কোটি পুরুষ এবং ৭ দশমিক ৬৪ কোটি নারী গ্রাহক রয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৫ দশমিক ২৬ লাখে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
গাজীপুরে ২৬০টি চোরাই মোবাইল জব্দ, গ্রেপ্তার ৯
গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে ২৬০ টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ৯ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। শনিবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পূর্ব আরিচপুর বউ বাজারস্থ আব্বাস উদ্দিন মার্কেট থেকে তোদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াসিম (৩৬), বিপ্লব (২৭), রফিকুল ইসলাম (৫০), মিজানুর রহমান (২৯), সাদিকুল ইসলাম (৩৫), শাহাবুদ্দিন (২৮), নাঈমুল হক (২০), হাবিব (২০), ও কামরুল হাসান (৪২)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) এসি ডিবি আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের একটি দল টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পূর্ব আরিচপুর বউ বাজারস্থ আব্বাস উদ্দিন মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে ২৬০ টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা জব্দ করে। এসময় তারা মোবাইল ৯ চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা মহাসড়ক ও বিভিন্ন গলির রাস্তায় ছিনতাইকৃত মোবাইল ও চোরদের কাছে থেকে চোরাই মোবাইল নামমাত্র মূল্যে কিনে বেশি দামে তা বিক্রি করে আসছে।
আবু সায়েম নয়নিআরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে অপরাপর ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবক গ্রেপ্তার
ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
সাতক্ষীরার দেবহাটায় স্কুল চলাকালীন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি, মোবাইলে গেম ও টিকটক ভিডিও করায় ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি বিভিন্ন মডেলের দামি স্মার্টফোন উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভুয়া সেনা সদস্য আটক
আটকদের মধ্যে হাদিপুর আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছয়জনকে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে মুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক হওয়া তিন শিক্ষার্থী নিজেদের এসএসসি পরীক্ষার্থী দাবি করায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, স্কুল চলাকালীন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এসব শিক্ষার্থী ঘোরাঘুরি, মোবাইলে গেম ও টিকটকে মেতে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
ফরিদপুরে কথিত চিকিৎসক গ্রেপ্তার
মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেবার মান ধরে রাখতে না পারলে হঠাৎ করে পরে যাবেন। সেবা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ব্যবসা করেন বা গ্রাহক বাড়ান তাতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেবার মান ধরে রাখাই আপনাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এসব কথা বলেন।
টিআরএনবির গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, এবার সফল একটি স্প্যাকটাম নিলাম হয়েছে। অনেক মোবাইল অপারেটর ক্রয় করেছেন। কোন অবস্হায় তরঙ্গ ছাড়া সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত তরঙ্গ সকল অপারেটরদের কাছে থাকতে হবে।
বাংলাদেশে এখন ভাত কাপড়ের মতো কানেক্টিবিটি মৌলিক অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্পিড নেট চায়। সেজন্য সকল অপারেটরকে স্পিড নেট দিতে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
টাওয়ার কোম্পানি শেয়ারিংটা ১০০% হতে হবে। টাওয়ার যেন চারটি কোম্পানি ব্যবহার করতে পারে।
একটিভ শেয়ারিং নীতিমালা খুবই জরুরি বিষয়। আমরা চেষ্টা করছি এই নীতিমালা দ্রুত করবো। যতদিন নীতিমালা চুড়ান্ত না হবে ততদিন বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে একটিভ শেয়ারিং করা যায়। বিটিআরসি’র মূল ভুমিকা হচ্ছে, জনগণের স্বার্থরক্ষা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেছেন, এমএনওদের (মোবাইল ফোন অপারেটর) যে টাওয়ার আছে তা টাওয়ার কোম্পানিকে ছেড়ে দেন। এতে বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্ট কমে যাবে। সেটা গুণগতমান উন্নত করতে ব্যবহার করতে পারে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটিভ শেয়ারিং জরুরি বিষয়। এটাকে প্যাসিভ শেয়ারিংয়ের ভেতরে রাখলে যে সুবিধা তা পাওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ২৫ বছরে মোবাইল অপারেটর টাওয়ার শেয়ারিং মাত্র ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
টাওয়ার লাইসেন্সিং চালু পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের মে মাসে। বিটিআরসি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি (মোবাইল অপারেটর-টাওয়ার কোম্পানি- মোবাইল অপারেটর) সম্পাদনের নির্দেশ দিলেও, কিছু মোবাইল অপারেটর অন্য মোবাইল অপারেটরকে নিজস্ব টাওয়ারের শেয়ারিং করতে চাইলেও গত প্রায় চার বছরে কোন শেয়ারিং হয়নি।
টাওয়ার নির্মাণ বাড়ছে যা টাওয়ার শেয়ারিং এর পরিপন্থী। এর কারণে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হচ্ছে।
আলোচকরা বলেন, এই অবস্থার মূল্য কারণ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব টাওয়ার শেয়ারিং এ অনাগ্রহী। মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ২০ হাজার টাওয়ার এখনও শেয়ারিং এর বাইরে রয়েছে।
আলোচকরা বলছেন, নেটওয়ার্ক তৈরির প্রতিযোগিতায় অপরিকল্পিতভাবে বিটিএস স্থাপন করেছে সেলফোন অপারেটররা। গত দুই দশকে সারা দেশে অপারেটর নিজস্ব টাওয়ারে বিটিএস বসিয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।
বর্তমানে অপারেটরগুলোর মধ্যে রবি ৩০%, গ্রামীণফোন ১৮%, বাংলালিংক ১৭% শেয়ার করছে। অপারেটরেদের হাতে থাকা ২৪ হাজার ৪২৫ টাওয়ারের মাত্র ১৭ % টাওয়ার শেয়ার হচ্ছে।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন এবং মুল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন টিআইএম নুরুল কবীর।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
সিলেট হবে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী: মোস্তফা জব্বার
হবিগঞ্জে মোবাইল কেনা-বেচা নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোবাইল ফোন কেনা-বেচা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার আলমপুরে কমপক্ষে দুই ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিহত মামুন মিয়া (৩৫) আলমপুর গ্রামের আমির হামজার ছেলে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার রিপন মিয়া ও সোহেল মিয়া নামে দুই যুবকের মধ্যে মোবাইল ফোন কেনা-বেচা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন দুই যুবককে শান্ত করেন। শুক্রবার বিকালে ওই বিষয় নিয়ে আবারও দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টার পর টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মামুন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলা-বরিশাল সীমান্তে চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ২০
দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভজি চালু হবে
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব মোবাইল অপারেটরে ফাইভজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ প্রণয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, নারী, শারিরীকভাবে অক্ষম জনগোষ্ঠীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার এক কর্মশালায় শ্যাম সুন্দর সিকদার এ তথ্য জানান। কর্মশালার শুরুতে মিশ্রিত শিক্ষা (ব্লেন্ডেড এডুকেশন) বাস্তবায়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সর্ম্পকে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী ১৮ কোটি ৪০ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাড়ে ১২ কোটি। প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ৪,৪৩১টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দেয়া হয়েছে এবং দুর্গম অঞ্চলে আরও ১২৩টি ইউনিয়নকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কানেক্ট করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এক লাখের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ ভাগ এবং ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছ। তবে এজন্য প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি ৯৮ হাজার ৬৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস তথা ল্যাপটপ এবং প্রতিটি ক্লাসরুমের জন্য ২০ থেকে ৩০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কএছাড়া, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ন্যাশনাল ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম বা এনএমএস চালু করতে হবে, যার কাজ হবে কানেক্টিভিটি বজায় রাখা এবং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।
উপস্থাপনায় মো. নাসিম পারভেজ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির স্থাপনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সারাদেশে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক সচল রাখতে কারিগরি জনবল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, সেবার মান নিশ্চিতকরণ, নির্ধারিত গতিতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।কর্মশালায় এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা মিলে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রবেশ করা, যাতে দেশের প্রান্তিক এলাকাসহ সকল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রডব্যান্ডের মুল কানেক্টিভিটি সরকারের হাতে রেখে গ্রাহক পর্যায়ের কার্যক্রম বেসরকারি খাতে দিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলে তা ফলপ্রসু হবে।কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্কিং সেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
গ্রুপগুলো নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন: (১) সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (৩) কারিগরী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও (৪) জনসাধারণের তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি ।
এফোরএআই- এর জাতীয় সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসাইন, এফোরএআই এর হেড অব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্জু মঙ্গলসহ এটুআই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিকম সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইভজি’র জন্য এ বছর প্রস্তুতি, আগামী বছর চালু: বিটিআরসি
মোবাইল ফোনের জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
মোবাইল ফোনের জন্য স্কুলছাত্র নওফেল শেখকে (১৪) খুন করে তারই বন্ধু। এ ঘটনায় খুনী বন্ধুকে ( অপ্রাপ্ত বয়স্ক ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরের বাড়ি বগুড়া শাজাহানপুর থানা হলেও ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে লন্ড্রীর দোকানে কাজ করতো। খুনের ঘটনার পর মোবাইল বিক্রির কাজে জড়িত ও ওই কিশোরের কথিত বান্ধবী শেরপুরের জাকিয়া খাতুন বৃষ্টি (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
গত ২০ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা গ্রামের জঙ্গল থেকে নওফেলের (১৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা হাটপাড়া গ্রামের ইসরাফিলের ছেলে এবং দাড়িগাছা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, নওফেল এবং ওই কিশোর একে অপরের বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতো। প্রায় দুই মাস আগে নওফেলের বাবা শখের বশে জমি বিক্রির টাকায় নওফেলকে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয়। গত ১৮ জুন নওফেলের জন্মদিনে ওই কিশোর নওফেলকে ওই জঙ্গলে ধুমপান করে আনন্দ ফুর্তির প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হলে ওইদিন সকাল ১১টার দিকে ধুমপান করার জন্য নওফেল ও ওই কিশোর দাড়ীগাছা গ্রামের ফুলবাড়ীয়া নামক স্থানে জঙ্গলযুক্ত বাগানের মধ্যে ধূমপান করতে যায় । নওফেল জঙ্গলের একটি গাছের সঙ্গে হেলান দিলে মাফলার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ পাশের জঙ্গলে গুম করে স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। এরপর বান্ধবী বৃষ্টিকে বগুড়া শহরে ডেকে নিয়ে স্মার্টফোনটি বিক্রি করে সেই টাকায় একটি হোটেলে যায়। পরে ২০ জুন নওফেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে খবর জেনে ওই কিশোর ঢাকায় আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত সেই মাফলার উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কিশোরকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়াও মোবাইল বিক্রিতে সহায়তাকারী নারী বৃষ্টিকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা খাতুন এবং শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
দিনাজপুরে নাপিত খুন