সরকার
সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
সরকারের অনুমোদন পেতে বেসরকারি খাতে আরও তিনটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি সূত্র মতে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট, জামালপুরের ইসলামপুরে ৩০০ মেগাওয়াট এবং রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে যে হংকংয়ের হুইহেং উইন্ড পাওয়ার লিমিটেড ও জুপিটার এনার্জি লিমিটেড বাংলাদেশ। ইসলামপুরের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে এসএএল-জিটেক কনসোর্টিয়াম এবং রাজবাড়ীর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে কনসোর্টিয়াম অব সানগ্রো রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট পিটিই এবং থিয়ে পাওয়ার (সিঙ্গাপুর)।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে তিনটি কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তিনটি পৃথক প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘সিসিজিপি প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করলে বিদ্যুৎ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করতে বলবে।’
তবে এসব কেন্দ্র থেকে সৌরবিদ্যুতের শুল্কের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও প্রায় ১০ মার্কিন সেন্টের শুল্কে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বিপিডিবি এসব কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুতের অংশ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। এর আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যমান ৩ শতাংশের নিচে থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
তিনি ২০ মার্চ বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ ২০২৪-এ 'জ্বালানি খাতে কপ২৮ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন - সুযোগ, সীমাবদ্ধতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ: দ্য ওয়ে হেড' শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার গোলটেবিল বৈঠকে দেশের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৯৮৯ দশমিক ৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৭১ দশমিক ৪৮ মেগাওয়াট অগ্রিড এবং অবশিষ্ট ৬১৮ দশমিক ১৩টি অন-গ্রিড।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি এবং অফ-গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের দাপ্তরিক নথিপত্রে দেখা যায়, গত তিন বছরে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রায় ১৩টি সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
নথিগুলোর উল্লেখ করে এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) এবং মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি (এলওআই) জারি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প (৩০+৭০) ১০০ মেগাওয়াট এবং বাকি ১১টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং-তাপপ্রবাহ
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবারহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম আয়োজিত ইআরএফ সম্মেলন কক্ষে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড নেক্সট বাজেট শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সেমিনার থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, যা চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনমুখী, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি, মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিজিএমইয়ের ডিরেক্টর শামস মাহমুদসহ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতের বৃদ্ধির জন্য স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি জরুরি: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যা-খরার জন্য হাওর ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বড় আকারে ‘সিমুলেশন’ অপরিহার্য: প্রতিমন্ত্রী
পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সামান্য ঘটনায় যদি সরকার হিমশিম খায়, তাহলে দেশে বড় ধরনের বিপদ হলে জনগণ দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে রংপুর সার্কিট হাউসে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হামলা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে, সেটি আবার সমাধানও হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনা একেবারেই আলাদা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি বাহিনীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু কাজের ব্যাপারে জবাবদিহি নেই। যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র ভেঙেছে।
তিনি বলেন, মানুষ তার অধিকার হারিয়েছে। জাতীয় পার্টি চেষ্টা করছে অধিকার নিয়ে কথা বলার। কিন্তু সরকার ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দুই ভাগ করার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও শক্ত অবস্থান তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল মহাসড়ক এলাকা পরিদর্শনকালে শাহাবুদ্দিন খান এসব কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় যানজটের এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জোরদার।
এ ছাড়া মহাসড়কে অবৈধ গাড়িগুলো চলাচলেও কঠোর নজরদারি থাকবে।
শাহাবুদ্দিন খান আরও বলেন, আগে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে চরম যানজটের কারণে ঈদের দিন বাড়ি ফিরতে হয়েছে। এখন আর সেই সময় নেই। দেশের মানুষের যোগাযোগ পথ নির্বিঘ্ন নিরাপদ করতে সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক মহাসড়ক ৪ লেন থেকে ৬ লেনে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আগামী ঈদযাত্রা হবে এযাবৎকালের সবচেয়ে স্বস্তির। এ লক্ষ্যে পুলিশ বিভাগ যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদের পরেও রাজধানী ও অন্যান্য শহরগামী মানুষের নিরাপদ এবং নির্বিগ্ন যাত্রাপথ রাখতে পুলিশ মাঠে থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের এসপি হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. ওয়াদুদ ও ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে পুলিশ: আইজিপি
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
রাজস্ব আদায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে এবং পূর্ববর্তী অর্থবছরের আদায় না হওয়া রাজস্ব (Foregone revenue) বা পরোক্ষ সরকারি ব্যয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার ব্যয়করকে যৌক্তিকীকরণে কাজ করছে বলে সরকারি এক নথিতে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬) অনুযায়ী, আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাকে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করছে সরকার।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির হাতে কিছু নথিপত্র এসেছে। এতে দেখা গেছে, ‘ব্যয়কর বিশ্লেষণ শুরু করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে আয়কর ও ভ্যাটের জন্য করের হারের মানদণ্ড নির্ধারণ এবং ভিত্তি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা।’
ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমসে প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও পছন্দের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করাও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত কম থাকায়, কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় বা লোকসান হয় এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না- তা সরকারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় অর্থায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
সরকার সামাজিক বা অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ, নির্দিষ্ট খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বা বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কর সুবিধার অনুমতি দেয়।
এতে বলা হয়, ‘পূর্ববর্তী অর্থবছরের আদায় না হওয়া রাজস্ব অনুমান করার জন্য একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে তা হলো ব্যয়কর মূল্যায়ন।’
ব্যয়কর হলো একটি বেঞ্চমার্ক (বা রেফারেন্স) কর ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অগ্রাধিকারমূলক ট্যাক্স ট্রিটমেন্টের কারণে সংগ্রহ না করা অনুমিত রাজস্ব, যা নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও সমতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।
ব্যয়করের মধ্যে কর ছাড়, হ্রাসকৃত করের হার, ট্যাক্স ক্রেডিট, ট্যাক্স হলিডে, ট্যাক্স ভাতা, ট্যাক্স বিলম্ব ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ব্যয়কর প্রাক্কলন বিভিন্ন বিশেষ কর ব্যবস্থার ব্যয়-সুবিধা বিশ্লেষণ করে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর এবং কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
অনেক দেশ ব্যয়কর মূল্যায়নকে তাদের বার্ষিক বাজেট অনুশীলনের অংশ করে নিয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যয়করের প্রাক্কলন শুরু করতে পারেনি, ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট আয়করের জন্য একটি ব্যয়কর বিশ্লেষণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
ছোট আকারে হলেও এবং পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, সেই বিশ্লেষণের ফলাফল বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রত্যক্ষ কর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার পূর্ববর্তী অর্থবছরের অপরিশোধিত কর।
যদি কেউ জমি হস্তান্তরে ব্যয়কর যোগ করে তাহলে জিডিপি হিসাবের আওতাভুক্ত নয় এমন মূলধনী লাভের একটি বড় অংশ পূর্ববর্তী অর্থবছরের অপরিশোধিত করে পরিণত হয়। আরও প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির প্রায় ২.৬ শতাংশ।
যদিও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বৃহত্তর প্রবেশাধিকার, বৈষম্য হ্রাসের মতো কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ব্যয়কর মঞ্জুর করা হয়। এর মূল্যায়নগুলো অর্জিত সুবিধা ও রাজস্ব ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য তুলে ধরে।
মূসকের ক্ষেত্রে মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবরণীতে (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬) বলা হয়েছে, কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, শিক্ষা, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মতো বেশ কিছু খাত (মোট জিডিপির ২১ দশমিক ২ শতাংশ) মূল্য সংযোজন করের আওতা বহির্ভূত। উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রকৌশল (হালকা), গৃহস্থালি বৈদ্যুতিক পণ্য ও ভোগ্যপণ্য, ওষুধ, কম্পিউটার দ্রব্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি, রপ্তানিমুখী শিল্প ইত্যাদি শিল্পকে স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যা জিডিপির আরও ২৩ শতাংশ।
খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে (জিডিপির ১৫ শতাংশ) একটি বড় অংশ ভ্যাটমুক্ত। পরিবহন ব্যয় সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী করতে পরিবহন সেবার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (জিডিপির ৭.৫ শতাংশ) ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্যাটের বাইরে রাখা হয়েছে।
গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব সম্মেলনে এক উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশে পণ্য ও সেবার ওপর কোনো ভ্যাট আদায় করা হয় না।
যদিও ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের অবদান কমে যেতে পারে, তবুও বর্তমানে এটি সরকারি কোষাগারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানির বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সব আমদানির ১৫ শতাংশ শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ডেড কারখানা, ৭ দশমিক ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানা এবং ১৯.৮ শতাংশ আমদানি সম্পন্ন করেছে এসআরও/অর্ডারের আওতায় বিশেষ কর সুবিধা থেকে।
সব মিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট আমদানির ৪২ দশমিক ৩ শতাংশে কোনো শুল্ক আদায় হয়নি।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে এটি থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি জানান, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর নয়, সব এলাকার বর্জ্যেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করব? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।
‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা তাকাচ্ছি। কীভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।’
সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।’
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বিশ্বে উৎসব পার্বণে দ্রব্যমূল্য কমে আর আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখে। সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং এ অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণ যখন মোর্চা গড়ে তুলবে তখন তারা কোথায় যাবে -প্রশ্ন রাখেন হাছান মাহমুদ।
ওআইসি ও এডিএফে যোগদান ও ইউএই সফর
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে ব্রিফ করেন।
ড. হাছান জানান, পয়লা মার্চ থেকে তুরস্কে তিন দিনের আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরমে ১৯ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৭৩টি দেশের পররাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হতে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
আনতালিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথা জানান হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ৫ মার্চ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান ও ইসরায়েলকে বয়কট করার প্রস্তাব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
পাশাপাশি সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে হাছান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ দিয়েছে এবং সৌদিতে ১০ বিলিয়নসহ পুরো গালফ দেশগুলোতে ৫০ বিলিয়ন গাছ লাগানর উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশ নেবে। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
৮ ও ৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের ওপরও আলোকপাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএই'র রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্রটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহকে হস্তান্তর করেন তিনি। জানিয়ে তার সাথে
একই সঙ্গে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বৃদ্ধিকল্পে মাতারবাড়ি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএই'র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া ১১০ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে ইউএই'র বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন হাছান।
ইউএইর মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ইউএই'র সব এমিরেটে সব ট্রেডে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগ, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণ নিয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ