সরকার
আমরা যা গড়ি বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের তৈরি ভালো জিনিসগুলো শুধু কীভাবে ধ্বংস করতে হয় বিএনপি ও তাদের মিত্ররা শুধু সেটাই জানে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি ও তার মিত্ররা) শুধু ধ্বংস করতে জানে, গড়তে নয়। আমরা সৃষ্টি করি আর তারা ধ্বংস করে।’
শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের হৃদয় অন্ধকারে ভরে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করতে পারে; বাস, ট্রাক, ট্রেন জ্বালিয়ে দিতে পারে, তারা মোটেও অন্ধ নয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপি ও এর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা সহ্য করা হবে না।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান।
স্থানীয় শিল্পীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে আগামী বুধবার থেকে ফের সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে বিএনপি ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করায় মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালনে বিরতি দেয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের চলমান অবরোধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধের শেষ দিনে নতুন আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে সংঘর্ষ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ব্যাপক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবারও তারা দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ পালন করে; যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে দলটির প্রধান কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ
রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ব্যাপক গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের মধ্যেও বিরোধী দলের বিপুল উপস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তীব্র দমন-পীড়নের পরও বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকার বিস্মিত হয়ে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।’
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে তাদের চলমান এক দফা আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে তারা সেখানে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করা সম্ভব হবে না। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা ততই জোরালোভাবে রাস্তায় নামছে।’
সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) শামসুজ্জামান দুদুসহ আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। যারা আমাদের ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তারা সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় তুলেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। সরকারের পতন আসন্ন হওয়ায় আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগের মতোই তালাবদ্ধ রয়েছে এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নির্বাচনের নামে উপহাস করতে চায় বলেই দেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঝড় বইছে।
রবিবার ভার্চুয়াল সংবাদ তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর তারা আরও কর্মসূচি নিয়ে আসবেন।
রিজভী বিএনপি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে পারে।
তিনি বলেন, 'সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় চলছে। এই গ্রেপ্তার অভিযানে আপনারা (সরকার) জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভয়ংকর ডাকাতের মতো আচরণ করছে।’
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এবং টাকার বিনিময়ে কাউকে কাউকে ছেড়ে দিচ্ছে। আবার অনেককে টাকা নেওয়ার পরও ছেড়ে দিচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের আত্মগোপনে চলে যাওয়া এবং ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করার জন্য সমালোচনা করেন।
রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেন, বিএনপি নেতারা কোথায়? তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেন, আমরা গুহা থেকে ব্রিফিং করি। টিক্কা খান (১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমান্ডার) নির্মম সামরিক অভিযান ও অপারেশন সার্চলাইট চালানোর পর এ ধরনের মন্তব্য করতেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেনি কারণ তাদের ঘরবাড়ি, গ্রাম ছেড়ে দেশের সীমানা অতিক্রম করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সে সময় টিক্কা খান ও নিয়াজি ঠিক একই কথা বলেছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বৃত্ত বলে অভিহিত করে। ওবায়দুল কাদের এখন ঠিক একই ভাষা ব্যবহার করছেন।’
রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, এখন বাংলাদেশেও সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের এখন টিক্কা খান ও নিয়াজির ভূমিকা অনুসরণ করছেন এবং বাংলাদেশ থেকে বিরোধী দল ও বিএনপিকে নির্মূল করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জনগণের রক্ত ঝরিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) নীরব পরিবেশে নির্বাচনের নামে উপহাস করবে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ হাসিনার তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, যে দেশে পুলিশ নিজেরাই দাঙ্গার গাড়ি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করছে, সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
তিনি বলেন, 'কীভাবে পুলিশকে এ দেশের মানুষের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তারা (পুলিশ) শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে এবং জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে।’
এমতাবস্থায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, 'সরকার নানাভাবে নাশকতার চেষ্টা করতে পারে এবং এর দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারে।’
তিনি বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ২৬১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই সময়ে ১ হাজার ৬০ জনকে আসামি করে নতুন করে নয়টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় ১২২টি নতুন মামলায় বিএনপির ৫ হাজার ২৮৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ হাজার ৪৯৮ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও অনুসারী আহত হয়েছেন। একজন সাংবাদিকসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের পতন আসন্ন। বিরোধী দলের চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে তাদের কোনো কৌশল কাজ করবে না।
এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, রিমান্ডে নিয়ে নিপীড়ন চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আব্বাস ও আলালের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং আন্দোলন দমনে আপনাদের (সরকারের) কোনো কৌশল সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, গণহারে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্ব দুর্বল করা যাবে না। যিনি কারাগার থেকে বের হবেন তিনিই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে জনগণ বদ্ধপরিকর। এই অবৈধ সরকারের শিগগিরই পতন ঘটবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এই ঘৃণ্য উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করার ঘৃণ্য খেলায় লিপ্ত হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির নেতৃত্ব নির্মূল করতেই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। জ্যেষ্ঠ নেতাদের ৮/১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে।
সরকার ভেবেছিল, এভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হলে বিএনপির আন্দোলন দমন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
সরকারের নির্দেশে সংলাপের নামে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে ইসি: বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা আজ (বৃহস্পতিবার) সংলাপের জন্য একটি চিঠি (বিএনপি কার্যালয়ে) নিয়ে এসেছেন। এটা কোন সংলাপ এবং কার জন্য? তিনি বলেন, 'আমাদের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে এবং অন্যদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে তারা কী সংলাপ চায়?
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর তাকে চিঠি পাঠানো এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, 'আপনারা (ইসি) কি সংলাপের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন? সরকারের নির্দেশে তারা (ইসি) সংলাপের নামে এই উপহাস ও প্রহসন করতে যাচ্ছে।’
আমরা জানি আপনারা (ইসি) কী করবেন। কোনো ভোট হবে না। সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যাদের নামের তালিকা দেয়া হবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করবেন। এটা ছাড়া তিনি (সিইসি) কিছুই করতে পারবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নয়াপল্টনে দলের কর্মীসহ কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায় ৪/৫ দিন ধরে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় জনশূন্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
তিনি বলেন, 'বিএনপির সব নেতা-কর্মী আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন এবং ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি গাড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকার সহিংসতার দায় দলের ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিন-রাত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বিএনপি নেতাদের খুঁজে না পেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিপজ্জনক অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। জাতীয় নেতাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, যা ঔপনিবেশিক আমলেও হয়নি।’
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ, রবিবারের হরতাল ও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৯৬টি মামলায় অন্তত চার হাজার ৫৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ হাজার ৪৭৬ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন সাংবাদিকসহ ৯জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লেখা একটি আমন্ত্রণপত্র রেখে যান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক কর্মকর্তা। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন থেকে কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে।
রবিবার গ্রেপ্তার হওয়ায় ফখরুল নিজে কারাগারে আছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার বিএনপিকে সংলাপে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি হস্তান্তর করতে বিএনপির অন্য কোনো নেতা-কর্মীকেও পাওয়া যায়নি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে শনিবার বিকাল ৩টায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।
বিএনপি মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে সংলাপে তাদের দুজন প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
গত শনিবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দলের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে সারাদেশে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একাডেমির ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ় ভূমিকায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যার ফলে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধান, সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা-২০২২ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩। সমুদ্রে অবৈধ, অনুল্লিখিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ বন্ধে ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মেরিন ফিশারিজ একাডেমির মাধ্যমে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হচ্ছে। এ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ক্যাডেটদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অন্ধকার ভেদ করে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে ক্যাডেটদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশপ্রেম, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, অধ্যাবসায়, সুচিন্তিত লক্ষ্য এবং পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। দেশে ও দেশের বাইরে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। বিদেশের জাহাজে আমাদের যে ক্যাডেট কাজ করবে সে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ক্যাডেটদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নৈপুণ্য, মেধা ও যোগ্যতা দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করতে হবে, দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে। নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ থেকে কখনো বিস্মৃত হওয়া যাবে না।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির নারী ক্যাডেটরাও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য কর্মক্ষেত্রে দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। এর পাশাপাশি দেশের সবক্ষেত্রেই নারীরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট, সরকারি শিপিং দপ্তরসহ অন্যান্য মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পাসিং আউট প্যারেডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর একাডেমির ৪২তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগে ৬০ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫৯ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ১৯ জন ক্যাডেটসহ সর্বমোট ১৩৮ জন ক্যাডেট পাস করেছেন। এ বছর ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট এইচ এম আবরার অয়ন বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন।
তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ক্যাডেট এস এম মারুফ হোসেন নাবিল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. আল রিফাত এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ক্যাডেট মোহাম্মদ সাজিদ হোসেন বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও নারী ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট সুরাইয়া আক্তার বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক পান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।
এদিন দুপুরে একাডেমি থেকে পাস করা ১৩৮ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
হিমাগার পর্যায়ে নির্ধারিত ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ
সরকার মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত (প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা) মূল্যে হিমাগার থেকে আলু বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল (১ নভেম্বর, ২০২৩) থেকে আলুর নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে সোমবার (৩০ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকদের একটি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ এবং খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকগণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ এর ৩(২)(ঙ) ধারা অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে হিমাগার থেকে আলু বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল করতে আলু আমদানি করবে সরকার
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক হিমাগার তদারকির দায়িত্ব অর্পণ করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করবে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
কিন্তু কোনো পর্যায়েই সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
সোমবার কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, পেঁয়াজ, আলু ও সবজির দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মোটা মুনাফা করছে।
তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজ ও আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার কথা বললেও একদল অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
বাজার স্থিতিশীল করতে আলু আমদানি করবে সরকার
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরবরাহ বাড়াতে ও দাম স্থিতিশীল রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩০ অক্টোবর ) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী আমদানিকারকদের অনুমতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেয় মন্ত্রণালয়।
তবে আলুর জন্য সরকার নির্ধারিত দাম দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুন: সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম