সরকার
বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে কি না- জানতে চেয়েছেন পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না জানতে চেয়েছেন।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ বিষয়টি জানতে চান।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছেন বিএনপি একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, আপনারা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবেন কি না, কিংবা আপনারা অন্য কিছু করবেন কি না?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারপরও আমরা অনুরোধ করব ঢাকা শহর এমনিতেই একটি যানজটপূর্ণ শহর। এখানে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে, এমনি কি ঢাকার রাস্তাঘাট মানুষে পূর্ণ থাকে।
সেখানে যদি ১০ লাখ মানুষ বা এর চেয়ে বেশি লোক ঢোকে তারা যেটা বলেছেন, তাহলে তো একটা মিসম্যাচ হয়ে যাবে। সেগুলো যাতে তারা না করেন, সেটার জন্য আমরা রিকোয়েস্ট করব।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছিলেন যে আসা-যাওয়া বন্ধ করা হবে কি না। আমি বলেছি আসা-যাওয়া বন্ধ আমরা কেন করব? ঢাকায় আসা তো সবারই প্রয়োজন, একটা রোগীর ঢাকা আসা প্রয়োজন, বিদেশে যেতে হলে ঢাকায় আসা প্রয়োজন- সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক।
কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা (বিএনপির নেতা-কর্মী) আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা কোনো বাধা দেব না কিংবা আমরা সেটার কোনো চিন্তাও করছি না।
আমরা শুধু এটুকুই বলব- তারা যাতে কোনো সহিংসতায় লিপ্ত না হয়, চলাচলের জায়গাটি তারা যাতে সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, সেটা আমরা তাকে জানিয়েও দিয়েছি।
একটি দেশের রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে এসেছেন। এটি কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি না?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্নটি তো আমি আপনার কাছে করতে চাই। আমার কথা হলো, তিনি আসছেন তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রদূত তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না- সেটা দেখা আমার বিষয় নয়। সেটার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।
তিনি বলেন, আপনার (সাংবাদিক) কাছে আমারও প্রশ্ন। এ সমস্ত ব্যাপারে বোধ হয় কিছুটা সংযমী হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক শিষ্টাচার এর মধ্যে পড়ে কি না- সেই বিষয়ে আপনি আমাদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন। কিন্তু আপনার কাছে জানতে চাইলেও আপনি তো তথ্য দিয়ে দিলেন। তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক ছিল কি না- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তথ্য যতটুকু দেওয়ার আমরা ততটুকুই দিয়েছি। একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন, জিজ্ঞাসা আমাকে করতেই পারেন। সেই জায়গায় আমরা সেইটুকুই মেনটেইন করেছি। যতখানি প্রয়োজন ততটুকুই আমরা (তথ্য) দিয়েছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূর্গাপূজা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছেন- পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না, সবকিছু আমরা দেখাশোনা করছি কি না। আমরা তাদের জানিয়েছি প্রতি বছরই বাংলাদেশের পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের পূজামণ্ডপের সংখ্যার সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে আমাদের দেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, তাদের জানিয়েছে প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ভায়োলেন্স পছন্দ করে না। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এই পূজায় কিছু হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও যথেষ্ট সতর্ক অবস্থায় সবাই আছেন।
পূজা উদযাপনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। শুধু ২৮ অক্টোবরের বিএনপির কর্মসূচি নয় রোহিঙ্গাসহ আরও অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনীতিক নেতারা এগুলো বলবেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কেউ বলবে আমরা দখলে রাখব, কেউ বলবে তারা দখলে রাখবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হলো, যে যে কর্মসূচি দিক, যে যে প্রোগ্রামে দিক, রাস্তাঘাট বন্ধ না করে যেন চলাচলের বিঘ্ন না ঘটিয়ে তা করেন, সে বিষয়ে আমি অনুরোধ রাখব। আমরা ঢাকা শহরকে অচল হতে দেব না।
বিএনপির মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না, প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি ডিএমপি কমিশনার করেন। তার কাছে কে গিয়েছে এবং তিনি কী বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমি জানি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের নিতে চান, এসবি ক্লিয়ারেন্সটা একটু দেরি হয়, সেই বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা তাদের নিশ্চিত করেছি, রোহিঙ্গা আমাদের হেডেক, তাদের যদি অন্য কোনো দেশে নিয়ে যায়, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সেই ব্যবস্থা করব।
অর্থের বিনিময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি।
এ ছাড়াও দূর্গাপূজার পর ২৮ অক্টোবর যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্তভাবে পালিত হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা দিতে ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্তপূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কীভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কীভাবে দেশের জনগণ কাজ করবে, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, এর সবকিছুর পরিকল্পনায় রয়েছে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সীমানা আমাদের আলাদা পরিচয় দিতে পারলেও আকাশ, পানি, সমুদ্র, জলবায়ু আমরা আলাদা করতে পারি না। এজন্য সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত, অনুন্নত, দরিদ্র দেশসমূহের প্রতি বিশ্বব্যাংক, এফএও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা অনুন্নত, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং যারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাদের জন্যও আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সরকার পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়: শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকারের পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়। পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হতে পারে।
তিনি বলেন, আর একটা পথ খোলা আছে। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আলোচনায় আসে তাহলে বিএনপি বিবেচনা করে দেখবে। এ ছাড়া বিএনপির চলমান আন্দোলনে বাধ্য হয়েই সরকার সংলাপের জাল বিছাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: হাইকোর্টে দুদুর আগাম জামিন
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। আমরা বাংলাদেশটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। আমাদের এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
তিনি আরও বলেন, আমরা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কথা বলছি। বাংলাদেশে ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠনের কথা বলেছি। এটা নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের কোনো আপস নেই।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: এবার ঠাকুরগাঁওয়ে দুদুর বিরুদ্ধে মামলা
শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে কাজ করছে। কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সনদের সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছে বর্তমান সরকার।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বাঐচন্ডি আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব দল ও ধর্মের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের উপকারভোগী। সরকারের বিরোধিতা যারা করে তারা আরও বেশি সুবিধা পেয়েছে এই সরকারের আমলে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানীভাতা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বীর নিবাস করে দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীদের ভাতাসহ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ করতে হলে সব নাগরিককে এক কাতারে আনতে হবে। সুষম উন্নয়ন করতে হবে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে সবার জন্য উন্নয়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অর্থ বিভাগের মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিবিবরণী (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬) অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শেষ নাগাদ জিডিপির ১১ দশমিক ২ শতাংশ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এতে বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ফলাফলের উন্নয়নে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে একটি পরিমিত বাজেট ঘাটতি ( সাধারণত জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ ) বজায় রেখে একটি সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব অবস্থান বজায় রেখেছে।
এছাড়া বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত তার সমকক্ষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এজন্য সরকার রাজস্ব সংগ্রহের উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
তবুও এটি বলেছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির দ্রুত গতি অনুপাত বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে করের পরিমাণ ও করদাতার সংখ্যা উভয়ই বৃদ্ধি করে রাজস্ব আদায় ধীরে ধীরে বাড়বে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি ব্যয় নীতিমালার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা এবং সম্পদের দক্ষ পুনর্বণ্টন নিশ্চিত করার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং এভাবেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সরকার জীবনযাত্রার মান হ্রাস থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করতে শুরু করে।
এতে বলা হয়, এ জন্য সরকার কর্মসংস্থান বজায় রাখা, আয় সহায়তা প্রদান, সরবরাহ শৃঙ্খল সচল রাখা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুনরায় সক্রিয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে।
এজন্য সরকার ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ব্যাপক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
প্রণোদনা প্রচেষ্টা ভাল কাজ করেছিল এবং ফলস্বরূপ অর্থনীতি দ্রুত উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে এসেছিল যখন অন্যান্য দেশগুলো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল।
যাইহোক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবারও যথেষ্ট ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সরকার অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারি ব্যয়কে যুক্তিসঙ্গত করার নীতি অনুসরণ করছে।
কল্যাণ ও উন্নয়ন সর্বাধিক করার জন্য অর্থনীতি পরিচালনার সময় সরকার মধ্যমেয়াদে জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ বাজেট ঘাটতি বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিকভাবে, রাজস্ব সংগ্রহ এবং বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় সরকারি ব্যয়ের আকার কম ছিল।
পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারি ব্যয় বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল গ্রহণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জিডিপির প্রায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ।
তাছাড়া, সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট (পিএফএম) সংস্কার প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।
সামগ্রিক জনসেবা প্রদান, বাজেট বরাদ্দের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ, বাজেট বাস্তবায়নের রিয়েল-টাইম মনিটরিং এবং পুনরাবৃত্ত ও মূলধন ব্যয়ের সংহতকরণের জন্য পিএফএম অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৮-২৩) বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে এবং সংশোধিত পিএফএম সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (২০২৪-২০২৮) সম্প্রতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
পিএফএম সংস্কারের আওতায় পেনশন অটোমেশন এবং ই-চালান অটোমেশন সিস্টেমগুলো আইবিএএস ++ সফ্টওয়্যারের সাহায্যে চালু করা হয়েছে।
এই ব্যবস্থা বাজেট ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। একই সঙ্গে আইবিএএস++ সফটওয়্যারের সাহায্যে গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে, যা সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা আনবে।
এ ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানের সব সরকারি বরাদ্দ মধ্যমেয়াদে আইবিএএস++ পদ্ধতির মাধ্যমে ট্রেজারি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টের (টিএসএ) আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুর্গাপূজার পর দলের নেতা-কর্মীদের সাহস নিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কৃষিবিষয়ক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করেন এবং বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের গডফাদার।
দেড় দশক ধরে একই রকম দমন-পীড়নের শিকার হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের হুমকি ও হামলায় উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ১৫ বছরে আমাদের কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বহু লোক গুম করা হয়েছে, ৫০ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিএনপির ৭৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে না পারলে জাতি, দেশ ও স্বাধীনতার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে, তাই আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে সর্বস্তরের জনগণ এবং বাম-ডানে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেওয়ায় আন্দোলনের সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন: রিজভী
তিনি বলেন, ‘শেষবারের মতো আমি সরকারকে বলতে চাই, আপনারা দয়া করে সম্মানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করুন এবং একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালি দল’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন। সব দেশেই দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই বৃদ্ধি অবিশ্বাস্য ও নজিরবিহীন। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ সরকারের জবাবদিহির অভাব।’
তিনি বলেন, সরকার ডিসি ও ইউএনওদের জন্য নতুন গাড়ি কিনছে। অথচ মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও শাকসবজি কিনতে পারছে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় দেশের মানুষ ভোট ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আপনি কী? আপনি সন্ত্রাসের গডফাদার ফাদার। আপনারা দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ক্ষমতায় থাকতে চান।’
আরও পড়ুন: সহজ জয়ের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারির মধ্যে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো সরকার পতনের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। ফলে আগামী মাসের শুরুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে।
বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা ইউএনবিকে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর তাদের দল ঢাকায় জনসভা করতে পারে। সেই জনসভা থেকেই তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস অভিমুখে পদযাত্রা অথবা অফিস ঘেরাও, সচিবালয় বা নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
তবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিএনপির নেতারা বলেন, তাদের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা রোধ করা এবং অন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকারকে বাধ্য করা।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগ এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে বুধবার রাজধানীতে জনসভা করবে বিএনপি।
সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবেন। কঠোর কর্মসূচি এড়ানোর জন্য তাদের এক দফা আন্দোলন মেনে নিতে সরকারকে শেষ সতর্কবার্তা দেওয়ার কথাও রয়েছে তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ইউএনবিকে বলেন,নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই তফসিল ঘোষণার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে আমরা কঠোর কর্মসূচি শুরু করতে চাই। ‘আমরা মনে করি, আমাদের আন্দোলন ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে।’
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
যেসব রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে মতামত নিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বেশিরভাগ দলই সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও বা গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রার মতো কর্মসূচির পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া রাজধানীসংলগ্ন জেলা গুলো থেকে ঢাকা অভিমুখে রোড মার্চ, ইসি ও সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা এবং শেষ পর্যায়ে হরতাল-অবরোধসহ আরও কিছু কঠোর কর্মসূচির সুপারিশও করা হয়।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি যদি রাজধানী অবরোধের মতো কর্মসূচি নেয়, তাহলে তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক যুব সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘আমরাও প্রস্তুত। বিএনপি ঢাকা অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের অবরুদ্ধ করা হবে। বিএনপিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে এবং পালানোর কোন পথ থাকবে না। তারা (হেফাজত কর্মীরা) কি রাতের অন্ধকারে শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে যায়নি? বিএনপিকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের ডিসেম্বরের মতো এবারও সারাদেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে। ‘হোটেলের সব কক্ষ বুক করা হয়েছে। তারা ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছেন। তারা আবারও সরকারকে উৎখাত করার স্বপ্ন দেখছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্গাপূজার পর ঢাকাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে একটি অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নতুন উদ্যম ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে অংশ নেবেন এবং যেকোনো মূল্যে তা সফল করবেন।
বিএনপি নেতা বলেন, 'ইনশাল্লাহ আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়ানক ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দুর্গাপূজার পর কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার যে কোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করতে আমরা বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব'।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সফল আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ' কিভাবে আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করা যায় এবং সম্ভাব্য কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে আমরা বিরোধী দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে সক্ষম হব।
সমমনা দলগুলোর পাশাপাশি তারা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গেও তাদের আন্দোলনে যোগ দিতে এবং তা সফল করতে আলোচনা করছে।
আরও পড়ুন: পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর ডিসক্রিশন (ইচ্ছাধীনতা)।
তিনি বলেন, তিনি চাইলে ছোটও করতে পারেন, প্রয়োজন মনে করলে যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদি তার সবাইকে প্রয়োজন থাকে, সবাই থাকবেন। আর যদি তিনি মনে করেন তিনি ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
শ্রম আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। এখন যে সংশোধনীগুলো আছে সেটার বিষয়ে আইএলও’র কিছু বক্তব্য আছে। আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, আমরা সেটা শুনেছি। কিছু কিছু ব্যাপারে আজ সমাধান করে ফেলেছি। আর কিছু বিষয়ে আগামী ২২ অক্টোবর ফের আলাপ-আলোচনায় বসব।
প্রশ্ন উঠেছিল, ট্রেন ইউনিয়ন গঠন নিয়ে আলাপ হয়েছে। গ্রুপ অব কোম্পানিজ ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তখন ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সই দরকার হতো। সেটিকে সংশোধন করে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা কমানো হবে বলে আইএলও’র কাছে আমাদের অঙ্গীকার ছিল।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, ধীরে ধীরে এ শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বদলে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সইয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। তাদের এরিয়া অব কনসার্ন যেটা আমার মনে হয় না এটার ব্যাপ্তি অনেক। এটা সমাধান করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া ধর্মঘট করার সুযোগ, শ্রম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো এসব নিয়ে আলোচনা। সেগুলো বিস্তারিতভাবে রবিবার আলাপ করে বলব।
বেশিরভাগ ব্যাপারে তারা হ্যাপি। কিছু কিছু এলাকায় যেটা উনারা বলেছেন সেটা ইন্টারন্যাশনাল বা আইএলওর স্ট্যান্ডার্ডে করতে গেলে এখানে বোধহয় কিছু বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। আমরা সেই স্পষ্টকরার জন্য আগামী রবিবার বসব।
আরও পড়ুন: মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান আইনমন্ত্রীর
নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই এবং তা বিরোধীদের জন্য কোনো স্বস্তিও বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।’
এদিন বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দলটি এ সমাবেশ করে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অতীত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন নিয়ে খেলায় ফাউল করলে তাদের ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
কাদের বলেন, পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকা অচল করে দিবেন। নির্বাচন বন্ধ করতে আসবেন। সেই খেলা খেলতে দিবো না। সন্ত্রাসের খেলা বিএনপিকে খেলতে দিবো না।
বিএনপির চলমান আন্দোলন ও কৌশলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল নিজেই পথ রুদ্ধ করায় বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘ভীসা নীতি দিবেন, নিষেধাজ্ঞা দিবেন?’
জেলা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি সমঝোতার সুযোগ রাখেনি: মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে ওবায়দুল কাদের
সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মামলা-মোকদ্দমা হ্রাসে সহায়তা করতে এবং গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইইউ’র রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউএনডিপি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মাদ নুরে আলম সিদ্দিকী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আইনি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক আদালত ব্যবস্থায় মামলার জট কমিয়ে আনতে গ্রাম আদালত একটি চমৎকার বিকল্পপন্থা।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিবাদ-বিরোধ নিরসনে গ্রাম আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দুই ধাপের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)’- প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
প্রকল্পটি গ্রহণের সময় পুরো বাংলাদেশে গ্রাম আদালত পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের লক্ষ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অংশীজনদের ভূমিকা বিবেচনায় রেখে টেকসই গ্রাম আদালত ব্যবস্থা তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী