সরকার
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি আঞ্চলিক দৈনিকের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হচ্ছে, যারা সরকারের অবৈধ কাজে সহায়তা করেছে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রসাশন উৎকণ্ঠা রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই অবিলম্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন, অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়, এদেশের মানুষ এখন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এই সরকারকে। এদেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, নেতাদের কারাগারে আটক করেছে, আমরা আর সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকার সহজভাবে কথা শুনবে না, তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। তাই আন্দোলনের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। ’
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাবলম্বীবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
ধোলাইখাল মোড়ে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা রায় সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড, লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারতে গেল ১১৮ টন ইলিশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সরকারের বিশেষ অনুমতির ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গত দুই দিনে ১১৭ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
পূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে ভারতীয়রা খুশি হলেও রপ্তানিতে দেশে ইলিশের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বর্তমানে দেশীয় বাজারে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে পূজা উৎসব। আর এ পূজা উৎসবে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় এপারের পদ্মার ইলিশ। সারা বছর ধরে তারা অপেক্ষায় থাকে পূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, আর তারা অতিথিদের আপ্যায়নে ইলিশ তুলে দিবেন প্লেটে।
তবে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে। এতে ছয় বছর ধরে ইলিশ ছাড়ায় পূজা পার করে পশ্চিম বাংলার মানুষ। অবশেষে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আর দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০১৯ সাল থেকে পূজার উপলক্ষে আবারও নির্দিষ্ট হারে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে।
এবছর পূজায় ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতিতে গত ২ দিনে ১১৭ মোট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার: পরিবেশ সচিব
সরকার ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরে বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য, সকল প্রকারে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়নসহ সকল প্রকার উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ সচিব বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে অংশীজনদের সকল সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সফল করতে বেসরকারি নির্মাণেও ব্লকের ইটের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, এডিমন গিন্টিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিবি, বাংলাদেশ অফিস এবং মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এই আইনি অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনা হলে প্রথমে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি বাতিল করতে হবে। এরপর অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রবিবার সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'আবেদনটি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, সরকার আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটর ব্যবসায়ীদের পাশে আছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি সাধারণ বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রবিবারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার বান্ডিল টিন ও ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি বলেন, লাগলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গায় দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সব অংশীজনদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার বৈঠকে নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আমরা আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চাই। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) এটাকে শান্তিপূর্ণ করার কথা বলেছে। তারপর আমরা বলেছি, আমরা এর গ্যারান্টি দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন শুধু সরকারের একার ওপর নির্ভর করে না।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে, যাতে সব দল ও মতের মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করতে পারেন।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি না জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে এই সরকার বেশি দিন টিকবে না। আমাদের এরকম নজির আছে।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানালেও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অনেক দেশ তাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয় না।
তিনি মনে করেন না যে, বিদেশিরা কোনো কিছুকে ভালো বললেই, তা ভালো হবে, না হলে ভুল হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে দেশ চালাতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।’
আরও পড়ুন: এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
জেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা উচিৎ, অন্যথায় রোহিঙ্গারা হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও বাণিজ্যসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় এই অঞ্চলটি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করায় হতাশ হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে এবং এখানে তারা কোনো ভবিষ্যৎ দেখছে না।
শেখ হাসিনা গাম্বিয়ার দায়ের করা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থন কামনা করেন।
আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতু।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যাকে গণহত্যা (জেনোসাইড) হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির একদফা আন্দোলনের শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই (শেখ হাসিনার পদত্যাগ)। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। এ ছাড়া ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের বিদায় করতে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনা বিদায় হও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, এই বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট চোরদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমীর খসরু বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কী হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার
সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে সরাসরি মোট ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নীতিগত অনুমোদন অনুসারে, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ১০০০ মিলি ফ্লুইডের ১২ লাখ (১ দশমিক ২ মিলিয়ন) ব্যাগ সাধারণ স্যালাইন এবং ১০০০ মিলি আইভি তরল গ্লুকোজ স্যালাইনের 8 লাখ (৮ লাখ) ব্যাগ কেনা হবে।
সরকারি ও বেসরকাররি উভয় হাসপাতালে যেখানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে সেখানে স্যালাইনের ব্যাপক সংকটের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে ৩ হাজার ৮১৪ জনসহ মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত, ডিজিএইচএস চলতি বছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৭ জন সুস্থ হওয়ার তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে ১৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া একই সময়ে ৩৩ হজার ৩৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব খান জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ডিজিএইচএস ইডিসিএলের মাধ্যমে স্যালাইন কিনবে।
তিনি অবশ্য ইডিসিএল থেকে কেনা স্যালাইনের দাম প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় সরকার ইডিসিএল থেকে স্যালাইন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
সিসিইএ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাইলোর ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) কর্মসূচি পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরের একটি প্রস্তাবকেও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো খরচ উল্লেখ করা হয়নি। তবে, প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজি) কবে খরচ হবে তা প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগ সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে না দিতে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এবার জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।’
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা বিএনপির কার্যালয় সামনে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘এখনও সময় আছে, সংসদ ভেঙে দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে পদত্যাগ করুন। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
আরও পড়ুন: আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার বিএনপির ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে এই সমাবেশ অন্যতম।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, আমরা আপনাদের কোনো ক্ষতি করব না। আমরা কিছু করব না (যদি আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দেন)।’
ঢাকা জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আব্বাস বলেন, ‘এখন ঘরে অলস বসে থাকার সময় নয়। জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে উপযুক্ত জবাব দেবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও নিপীড়নের মধ্যে দেশের মানুষ সংগ্রাম করছে, কিন্তু আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে উপযুক্ত জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
মন্তব্য করার আগে সাইবার নিরাপত্তা আইন পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংসদে পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ সরকার মনে করে এই আইন নিয়ে যেসব উদ্বেগ ছিল, সেগুলোর সমাধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে আইনটি পড়ুন।’
মোমেন প্রশ্নকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেউ ইন্টারনেটে তার মা বা বোন সম্পর্কে খারাপ কিছু লিখলে তিনি কী করবেন?
তিনি বলেন, মানুষ আইনের সমালোচনা করলেও, কোনো সমস্যায় পড়লে সমাধানের জন্য এটিই ব্যবহার করে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে সব উদ্বেগের সমাধান করা হয়েছে এবং নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে যথাযথভাবে স্থান দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই আশা করি সবাই এটাকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় পশ্চিমা বিশ্বে অনেক কুখ্যাত আইন এবং জ্ঞানের অভাবে সঠিক তুলনা বাস্তবে দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে তুলনা করে তারপর মন্তব্য করুন।’
চারটি ধারায় অপরাধকে জামিন অযোগ্য রেখে সংসদে বুধবার পাস করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি বিল-২০২৩।
এটি বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের স্থলে প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে ১৪টি ধারার অধীনে অপরাধ জামিন অযোগ্য ছিল।
বিল অনুযায়ী, পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা কোনো পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে মিথ্যা মামলা হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তিরও বিধান রাখা হয়েছে।
চারটি জামিন অযোগ্য অপরাধ হলো- কম্পিউটারের প্রধান তথ্য পরিকাঠামোতে অনুপ্রবেশ, কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আইনে চারটি ধারার অপরাধ জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
ধারা-১৭ তে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত অপরাধের বিধান,ধারা-১৯ -এ রয়েছে কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি সাধনের বিষয়টি, ধারা-২৭ এ রয়েছে সাইবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও এ ধরনের অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি এবং ধারা-৩৩ এ রয়েছে হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধের বিষয়।
ইতোমধ্যে দায়ের করা মামলাগুলো বিদ্যমান আইন- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে চলবে কারণ প্রস্তাবিত আইনে একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ সংসদে পাস
মার্কিন প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সংসদে নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাসের বিষয়টি উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা দুঃখিত যে নতুন আইনটি যাতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যালোচনা ও ইনপুট দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ বাংলাদেশ সরকার অংশীজনদের দেয়নি।’
দুর্ভাগ্যবশত তারা বলেছে, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে তার পূর্বসূরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা থেকে যাচ্ছে।
নতুন আইনেও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা রয়েছে, জামিন অযোগ্য অপরাধ রয়েছে এবং সমালোচকদের আটক, গ্রেপ্তার ও তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য খুব সহজেই এই আইনের অপব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রস্তাবিত রেজোলিউশন
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি যৌথ নন-লেজিসলেটিভ রেজোলিউশন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার হলে সরকার চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি কমন সেন্স প্রাধান্য পাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন তা তাদের ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশ ইতিবাচক কাজের বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী