সরকার
সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের চেয়ারপার্সন অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা বারবার তার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার কথা বলেছি। কিন্তু তারা (সরকার) কতটা অমানবিক এবং মধ্যযুগীয় বর্বর হতে পারে যে তারা তাকে যথাযথ চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অপরিসীম অবদান রাখা শারীরিকভাবে অসুস্থ বিএনপি নেত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য সরকারের নিন্দা করেন ফখরুল।
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মেডিকেল বোর্ডের মতে, বিএনপি প্রধানকে যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে তার চিকিৎসা করা মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত।’
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গুণীজনদের ন্যূনতম সম্মান দেখাতে জানে না। ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারা (সরকার) এখন তার বিরুদ্ধে এমনভাবে লেগেছে, যেন তাকে জেলে ঢুকিয়েই ছাড়বে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী বলেছেন, এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও জেলে যেতে হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এক নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনারা তাকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন এবং শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করছেন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ড. ইউনূসের ওপর নির্ভর করার কোনো কারণ নেই। আমরা এ দেশের মানুষের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং জনগণ তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে ও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, তাদের দল সরকার পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে জনগণের কাছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান না কেন? কারণ, এটা খুব ভালো করেই জানেন, আপনারা যদি তা করেন তাহলে ১০টি আসনও পাবেন না।’
স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে নব্বই দশকের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের বিএনপিপন্থী ছাত্র নেতারা এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বইটি লিখেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
সরকার তার তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ ১.০৪ লাখ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে
বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে ৮২টি ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার বা আইপিপি এবং ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া বাবদ মোট ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
বিরোধীদল গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, এরমধ্যে ৮২টি আইপিপি’র মধ্যে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা এবং ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টসকে সর্বোচ্চ ২৩৪১ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ৮২টি আইপিপি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ৩২টি রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামের তালিকা এবং তাদের দেওয়া অর্থের একটি তালিকা দেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস
একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
চলতি অর্থবছরে রবি মৌসুমের ১০ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০টি ফসলের মধ্যে রয়েছে- গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ডাল।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
এ প্রণোদনার আওতায় ৬৪টি জেলার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হবে।
একজন কৃষক ১০ ফসলের যে কোন একটি চাষের জন্য এ প্রণোদনা পাবেন। প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গমবীজ ২০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষা/সূর্মুখীর বীজ ১ কেজি, চিনাবাদামের বীজ ১০ কেজি, সয়াবিনের বীজ ৮ কেজি, শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মুগ/মসুরের বীজ ১ কেজি ও খেসারির বীজ ৮ কেজি এবং সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এ সংক্রান্ত আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠপর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক হবে’
সরকারের পতন বেশি দূরে নয়: নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আন্দোলন আর সংগ্রাম ছাড়া জনগণকে সুসংগঠিত করা যাবে না। তাই আন্দোলনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, সফলতা আসবেই। সরকারের পতন খুব বেশি দূরে নয়। আমরা বিজয়ের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: সিজেএফডি’র সভাপতি শাহেদ, সম্পাদক নোমান
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নোমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার একটা কথা বলেছেন। এবারের ভোট রাতে হবে না, দিনে হবে। অর্থাৎ আগের ভোট যে রাতে হয়েছিল তা তারাও স্বীকার করেছেন। তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছেন। তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না। যুবদল-ছাত্রদলের অনেক নেতা আজ কারাগারে। দেশ আজ সংকটের মধ্যে আছে। জনগণের ওপর ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মেগা প্রকল্পের অর্থে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উন্নতি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, আজকে মেগা প্রকল্প থেকে যে অর্থ লুট হচ্ছে তার মাধ্যমে দুর্নীতি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোমানকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
রাজাকারের তালিকা সরকারের ‘মনগড়া ও ষড়যন্ত্রের অংশ’: নোমান
সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন শেষে আগারগাঁওয়ে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেখে ঘাবড়ে গেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন যারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখছেন না, তাই তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে এই দলের জন্ম হয়েছে এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের লোকেদের দ্বারা গঠিত দলের কাছ থেকে কী গণতন্ত্র পাবেন?
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সবসময় প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং নৌকা প্রতীক উপহার দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। দেশ আজ আর সেই অন্ধকারের যুগে নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, একে একে সবগুলো পূরণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এটাই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও।
অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এবার একতরফা নির্বাচন করা এত সহজ হবে না: সরকারের উদ্দেশে খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শনিবার সকালে বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কার?
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, একটি দলের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা মানুষকে বোকা মনে করে। শুধু তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা এত সহজ নয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনরোষের জনগণের কাছে যেতে পারছে না এবং বিএনপির ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা জনগণকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ এবার পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তারা এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রামে নেমেছে এবং তাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার এবং সকল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন অসহনীয় হয়ে পড়ায় জনগণ সরকারে পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকে দুবেলা খেতে না পারছে না। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকেই তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছেন না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।
খসরু বলেন, ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রকল্প ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। লুটপাট ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ায় ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে গেছে।
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যকথায় গত ১৪/১৫ বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকার) লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি আওয়ামী অর্থনীতির মডেল। এর মূল কাজ হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করা। তারা ঋণ নিয়ে লুটপাট করবে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে তাদের এক দফা আন্দোলন সফল করাই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সমাবেশের আয়োজন করলেও, আমাদের মূল লক্ষ্য এক দফা আন্দোলন। যে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর তার অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছে, আমাদের এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তা অপসারণ করতে হবে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বর্ণাঢ্য জনসভার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার হামলা, নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা, হত্যা ও গুম করে পরোক্ষভাবে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি, রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনও জানান ড. মঈন খান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর