সরকার
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
চলতি অর্থবছরে রবি মৌসুমের ১০ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০টি ফসলের মধ্যে রয়েছে- গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ডাল।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
এ প্রণোদনার আওতায় ৬৪টি জেলার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হবে।
একজন কৃষক ১০ ফসলের যে কোন একটি চাষের জন্য এ প্রণোদনা পাবেন। প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গমবীজ ২০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষা/সূর্মুখীর বীজ ১ কেজি, চিনাবাদামের বীজ ১০ কেজি, সয়াবিনের বীজ ৮ কেজি, শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মুগ/মসুরের বীজ ১ কেজি ও খেসারির বীজ ৮ কেজি এবং সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এ সংক্রান্ত আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠপর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক হবে’
সরকারের পতন বেশি দূরে নয়: নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আন্দোলন আর সংগ্রাম ছাড়া জনগণকে সুসংগঠিত করা যাবে না। তাই আন্দোলনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, সফলতা আসবেই। সরকারের পতন খুব বেশি দূরে নয়। আমরা বিজয়ের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: সিজেএফডি’র সভাপতি শাহেদ, সম্পাদক নোমান
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নোমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার একটা কথা বলেছেন। এবারের ভোট রাতে হবে না, দিনে হবে। অর্থাৎ আগের ভোট যে রাতে হয়েছিল তা তারাও স্বীকার করেছেন। তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছেন। তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না। যুবদল-ছাত্রদলের অনেক নেতা আজ কারাগারে। দেশ আজ সংকটের মধ্যে আছে। জনগণের ওপর ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মেগা প্রকল্পের অর্থে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উন্নতি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, আজকে মেগা প্রকল্প থেকে যে অর্থ লুট হচ্ছে তার মাধ্যমে দুর্নীতি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোমানকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
রাজাকারের তালিকা সরকারের ‘মনগড়া ও ষড়যন্ত্রের অংশ’: নোমান
সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন শেষে আগারগাঁওয়ে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেখে ঘাবড়ে গেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন যারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখছেন না, তাই তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে এই দলের জন্ম হয়েছে এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের লোকেদের দ্বারা গঠিত দলের কাছ থেকে কী গণতন্ত্র পাবেন?
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সবসময় প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং নৌকা প্রতীক উপহার দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। দেশ আজ আর সেই অন্ধকারের যুগে নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, একে একে সবগুলো পূরণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এটাই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও।
অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এবার একতরফা নির্বাচন করা এত সহজ হবে না: সরকারের উদ্দেশে খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শনিবার সকালে বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কার?
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, একটি দলের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা মানুষকে বোকা মনে করে। শুধু তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা এত সহজ নয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনরোষের জনগণের কাছে যেতে পারছে না এবং বিএনপির ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা জনগণকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ এবার পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তারা এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রামে নেমেছে এবং তাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার এবং সকল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন অসহনীয় হয়ে পড়ায় জনগণ সরকারে পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকে দুবেলা খেতে না পারছে না। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকেই তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছেন না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।
খসরু বলেন, ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রকল্প ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। লুটপাট ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ায় ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে গেছে।
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যকথায় গত ১৪/১৫ বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকার) লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি আওয়ামী অর্থনীতির মডেল। এর মূল কাজ হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করা। তারা ঋণ নিয়ে লুটপাট করবে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে তাদের এক দফা আন্দোলন সফল করাই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সমাবেশের আয়োজন করলেও, আমাদের মূল লক্ষ্য এক দফা আন্দোলন। যে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর তার অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছে, আমাদের এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তা অপসারণ করতে হবে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বর্ণাঢ্য জনসভার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার হামলা, নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা, হত্যা ও গুম করে পরোক্ষভাবে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি, রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনও জানান ড. মঈন খান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে সরকারকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে মাথা নত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের সমর্থন নেই এই সরকারের প্রতি... সরকারকে মাথা নত করতে হবে ১৮ কোটি মানুষের কাছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশগুলো তাদের দায়িত্ব হিসেবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, সরকার বিদেশিদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে কি না তা নিয়ে তাদের দল একদমই উদ্বিগ্ন নয়, কারণ জনগণই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশিরা মানুষের পক্ষ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে এবং বিদেশিরা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং তারা (বিদেশিরাও) দেশে ন্যায়বিচার চায়। তারা জনগণের অধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে এবং হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তোলে...তারা তাদের নিজস্ব বিবেচনা থেকে আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।’
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুদলীয় গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার এবং তাদের অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে লড়াই করছি।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান ফ্রন্টে ৯মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার জানাজায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল, যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জিয়ার শেরেবাংলা নগরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম খান, এডভোকেট আবুল মাল আবদুল মুন্না প্রমুখ। ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গুম ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বিদেশি বন্ধু ও তাদের প্রতিনিধিদের সহানুভূতি পাওয়ার আশায় গুম-হত্যার ঘটনা নিয়ে অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের ‘অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
তিনি এ দাবিকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে বলেন, বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে গুম নিয়ে যেসব বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে আসছেন, তা বাস্তবতা বর্জিত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের নিখোঁজের জন্য প্রথমে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হলেও পরে দেখা গেছে জামাল উদ্দিন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার।
একইভাবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের পর সরকারকে দোষারোপ করার অপচেষ্টা করা হলেও পরে দেখা গেছে বিএনপি নেতা ভারতে আত্মগোপন করে আছেন বলে মন্তব্য করেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, এমনকি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়েও বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে জোর করে গুম করেছে বিএনপি নেতারা- যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি গুম নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সরকারকে দোষারোপ করছে। কিন্তু তাদের নিখোঁজ হওয়ার নাটকের পেছনের গল্প আজ মানুষের অজানা নয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ঘটে যাওয়া গুম ও হত্যার বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করেন।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বারবার হত্যা, অভ্যুত্থান, গুম ও ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন,‘আমরা উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরকার চলতি বছরে দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার কৃষককে ১৬ দশমিক ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নাবী (লেইট) জাতের প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
এছাড়া, জমি তৈরি বা শ্রমিকের মজুরি বাবদ নগদ ২ হাজার টাকা পাবেন।
নাবী জাতের এই পেঁয়াজ রোপণের সময় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর উৎপাদন বা বাজারে আসবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতেও সমপরিমাণ বা ১৬ কোটি টাকার প্রণোদনা ১৮ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়। এই প্রণোদনার আওতায় আবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। এই পেঁয়াজ বাজারে আসবে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
এ বছর ১০০০ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রবিবার (২৮ আগস্ট) বলেছেন, সরকার এ বছর প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিন হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। পরিবারগুলো যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি শুরু করলে তারা হাতে তিন মাস সময় পাবেন।
তিনি বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসবে।
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, এই নির্যাতিত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস এবং প্রতিবছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম হওয়ায় সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান না নিয়েই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
এতে বলা হয়েছে, এত দীর্ঘ সময় ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতিতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্খা ও অধিকার রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের উৎপত্তিস্থলে এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কর্তব্য।’
রোহিঙ্গারা তাদের দক্ষতার বিকাশ ঘটাচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে এবং তাদের শিশুরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে তাদের ভাষায় শিক্ষার সুবিধা গ্রহণ করছে। যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখতে পারে এবং ফিরে যাওয়ার পর রাখাইন সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা জোরদার হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বিলম্ব পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে: বাংলাদেশ সরকার
ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর জন্য সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর বাকি ৩০ শতাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। এ ছাড়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ২৩৬ জন।
নারীদের ঝুঁকি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর নারীরা আক্রান্ত কম হলেও মারা যাচ্ছেন বেশি। পুরুষের প্রায় দ্বিগুণ নারী মারা গেছেন। তারা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন বলেই তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ রোগী ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে মৃত্যু রোগীর ৬৫ শতাংশ নারী আর ৩৫ শতাংশ পুরুষ।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অর্ধেক বাইরে বাকি রোগী। ঢাকায় রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগ কমাতে পারব।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী