সরকার
৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতসহ ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার ১১০০ টন, তুরস্ক ২১১০ টন, মিয়ানমার ২০০টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪টন এবং ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০ আগস্ট থেকে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের পর দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তা ছাড়া শুল্ক আরোপের পর সারাদেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সরকার বিরোধীদলকে নির্মূল করতে এবং একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে দেশে যে কোনো ভয়াবহ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) আমার আশঙ্কার কথা বলতে চাই। এটা বলা দরকার... জাতির এটা জানা উচিত। বিরোধী দলগুলোকে পুরোপুরি নির্মূল করতে এই সরকার এখন দেশে ভয়ানক কিছু করার পরিকল্পনা করছে। তারা অতীতে যেমন করেছে, এখন আবারও সেই ধরনের নির্বাচন কীভাবে করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে।’
সোমবার (২১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা রবিবার (২০ আগস্ট) হবিগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় এবং স্থানীয় নেতা ও সাবেক হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি বলেন, এর আগে শনিবার একই জেলায় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে এবং প্রায় ৩০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে বিপুল সংখ্যক বিরোধী নেতা-কর্মী আহত হয়।
তিনি বলেন, শনিবার নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলায় বিএনপির মিছিল কর্মসূচিতেও পুলিশ হামলা করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, শুক্রবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
ফখরুল বলেন, অতীতে নয়াপল্টনে বিএনপির বড় সমাবেশ চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এরপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর গুলি ছুঁড়ে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে সমাবেশ বন্ধ করে।
ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দাবি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আবারও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এগুলো তাদের (পুলিশ) অনেক পুরনো অস্ত্র ছিল এবং তারা ছাত্রদল নেতাদের হাতে তুলে দিয়ে ছবি তুলেছিল।’
তিনি বলেন, বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘এ সরকার কচুরিপানার পানি নয়, যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে৷ টেক ব্যাক নয়, ফরওয়ার্ড বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে।’
তিনি বলেন, এ অশুভ শক্তিকে কীভাবে ঘায়েল করতে হয়, সেটা আওয়ামী লীগ জানে৷ তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) রাজপথে প্রতিহত করে আবার ক্ষমতায় থাকব।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
তিনি বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকলে কোনো শক্তি তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না।
রবিবার (২০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আগস্ট মাস শঙ্কার মাস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের নেতা ছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু হত্যা কমিশন গঠন করা হোক, যেন আসল খুনিদের কথা আমরা জানতে পারি। ত্যাগের ইতিহাস এ স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, এ স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে চায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন৷ তিনি তার সব কর্মকাণ্ডে স্বাক্ষর রেখে গেছেন যে তিনিই হত্যাকারী।
আরও পড়ুন: প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
ভারত সরকারকে ‘অত্যন্ত পরিপক্ক’ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নয়াদিল্লি তাদের নিজেদের এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কিছু বলতেই পারে। যদি এ বিষয়ে তারা কিছু বলেন, তবে এটি অবশ্যই এই অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।
মোমেন বলেন, ভারত একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেদেশের সরকার অত্যন্ত পরিপক্ক। তারা (ভারত) তাদের জন্য যা ভালো মনে করে তাই করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি তাদের একটি পরিপক্ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনন্দবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রটি জানিয়েছে।
দুটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরপরই সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং সেখানে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করব। শেষ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক চূড়ান্ত হয় । এ কারণে এগুলো এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা সীমিত সময় থাকব, যেগুলো সম্ভব আমরা সেসব বৈঠক (সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে) করার চেষ্টা করব এবং বাকিগুলো নয়াদিল্লিতে হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২২টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। পাঁচটি মূল সদস্য দেশ নতুন সদস্যদের নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন এবং ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
মোমেন বলেন, আমরা জানি না কবে নতুন সদস্যরা যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থান করবেন।
নাম উল্লেখ না করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত সব জি-২০ প্রক্রিয়া ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এর আগে বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি জোহানেসবার্গের চেয়ে ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
পুরুষের সামনে মুখ দেখালে নারীর মর্যাদা কমে যায়: তালেবান কর্মকর্তা
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বলেছেন, জনসমক্ষে পুরুষদের সামনে মুখ দেখালে নারীদের মর্যাদা কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ধর্মীয় নেতারা একমত যে বাড়ির বাইরে থাকার সময় নারীদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
তালেবান সরকার ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর থেকে পার্ক, চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশিরভাগ জনপরিসরে নারীদের নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তারা যথাযথভাবে হিজাব (মাথা ঢেকে রাখার ইসলামিক পোশাক) পড়তে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে।
তালেবানের ভাইস ও ভার্চু (পাপ ও পূণ্য) মন্ত্রণালয়ের (পূর্বনাম নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়) মুখপাত্র মৌলভী মোহাম্মদ সাদিক আকিফ বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, নারীদের মুখ জনসমক্ষে দেখা গেলে ফিতনা বা পাপে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
আকিফ বলেন, ‘কিছু এলাকায় (বড় শহর) নারীদের (হিজাব ছাড়া) খুবই খারাপভাবে দেখা যায়। আমাদের পণ্ডিতরাও একমত যে নারীদের মুখ ঢেকে রাখা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন না যে এতে তার মুখের কোনো ক্ষতি হবে। একজন নারীর নিজস্ব মর্যাদা আছে এবং পুরুষরা তাকে দেখলে সেই মর্যাদা কমে যায়। আল্লাহ হিজাব পরা নারীদের সম্মান দেন এবং এতে মর্যাদা রয়েছে।’
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডিভিনিটি অনুষদের ইসলামিক স্টাডিজের শেখ জায়েদ লেকচারার টিম উইন্টার বলেছেন, নারীর মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারে ইসলামে কোনো শাস্ত্রসম্মত কোনো আদেশ বা হাদিস নেই। এ ছাড়া তালেবানরা ইসলামি ধর্মগ্রন্থে (কোরআন) এমন কিছু খুঁজে পাবে না যা তাদের হিজাবের নিয়মের ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
তিনি এপিকে বলেন, ‘তাদের নাম থেকেই বোঝা যায় যে তারা ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। তালেবান শব্দের অর্থ শিক্ষার্থী (জ্ঞান আহরণকারী)।’
তিনি বলেন, তালেবানরা গ্রামের মাদরাসা ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালান। এ ছাড়া তালেবান শাসনের দুই মেয়াদে আফগানিস্তানে যাওয়া মুসলিম পণ্ডিতদের ধর্মীয় জ্ঞানের দ্বারা তারা প্রভাবিত। তাই ‘তারা বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায় থেকে এত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করেছে তালেবান
মেয়ে ও নারীদের উপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে কিছু মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসহ বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আফগান মেয়ে ও নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করায় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তালেবান নেতাদের বিচার করা উচিত।
ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুখপাত্র আকিফ বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজে সাধারণ মানুষ কোনো বাধা দেয়নি। বরং আফগানরা এই আইনগুলোতে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখানে শরিয়া (ইসলামি আইন) বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। এখন আমরা শরিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, এগুলো সব ইসলামিক বিধি-বিধান। তালেবানরা এতে অতিরিক্ত কিছুই যোগ করেনি। ‘শরিয়ার আদেশ ১৪০০ বছর আগে জারি করা হয়েছিল এবং তা এখনও আছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনে পুরুষরা আগের সরকারের আমলের মতো নারীদের হয়রানি করবে না বা তাকাবে না।
তালেবান সরকার আরও বলেছে, তারা মদ্যপান ও ছেলেশিশুদের শ্লীলতাহানীর মতো ‘ঘৃন্য’ কাজ বন্ধ করেছে।
এই মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দারুল আমান প্রাসাদের কাছে একটি সুরক্ষিত কম্পাউন্ডে অবস্থিত। নারীদের মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে ঢোকা নিষেধ।
আকিফ বলে, জনগণ নিয়ম মেনে চলছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও তথ্যদাতাদের নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ন্যায়পালরা বাজার, উন্মুক্ত স্থান, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে ঘুরে বেড়ায়। ‘তারা এই সব জায়গায় যান এবং লোকজনদের দেখেন। তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শিক্ষা দেন। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করি এবং লোকেরাও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং আমাদের জানায়।’
নারীরা পার্কে যেতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গা থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কিছু শর্ত পূরণ করে তারা সেখানে যেতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সেখানে কোনো পুরুষ না থাকে তাহলে নারীরা পার্কে যেতে পারে। কিন্তু যদি পুরুষ থাকে, তাহলে শরিয়া তা অনুমোদন করে না। আমরা বলি না যে একজন নারী খেলাধুলা করতে পারবে না, তবে সে পার্কে গিয়ে খেলতে বা দৌড়াতে পারবে না। সে এসব করতেই পারে, তবে অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে পুরুষদের মধ্যে এসব করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: কাবুলে তালেবান শাসন: ম্যানিকুইনেরও মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ!
কাবুলে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৯: তালেবান
চলতি মাসে আরও ২০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার
চলতি মাসে আরও ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেলচালিত ব্যয়বহুল বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার। এর মধ্যদিয়ে এই বছরে মোট ১ হাজার মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ করার জন্য চলতি বছর চারটি বেসরকারি কোম্পানির ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম তালিকা করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- বাংলা ট্র্যাকের ৩০০ মেগাওয়াট (যশোর ১০০ মেগাওয়াট ও দাউদকান্দি ২০০ মেগাওয়াট), এগ্রেকোর ২০০ মেগাওয়াট (আওড়াহাটি ১০০ মেগাওয়াট ও ব্রাহ্মণগাঁও ১০০ মেগাওয়াট), এপিআর এনার্জির পানগাঁও ৩০০ মেগাওয়াট এবং প্যারামাউন্টের বাঘাবাড়ির ২০০ মেগাওয়াট।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে এবং বাকি ২০০ মেগাওয়াট আগস্টে বন্ধ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এসব প্ল্যান্ট বন্ধ হলে বছরে সরকারের প্রায় ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করবে
বিপিডিবির বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১-২২ অনুযায়ী, দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। যার মধ্যে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট সক্ষমতা ১ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিপিডিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৯১১ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ডিজেলের মাধ্যমে প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ছিল ১৫৪ দশমিক ১১ টাকা। যেখানে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর খরচ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ টাকা। অন্যদিকে, কয়লাচালিত প্ল্যান্টের জন্য এটি ছিল ৯ দশমিক ১৭ টাকা এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক প্ল্যান্টের জন্য খরচ ছিল ১১ দশমিক ১০ টাকা।
বিপিডিবির আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মার্কিন ডলার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে গেছে।’
তিনি জানান, সব বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) মার্কিন ডলারের দামের ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ডলারে অর্থ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
বিপিডিবি’র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাই যদি মার্কিন ডলারের বর্তমান দাম এবং ডিজেলের বর্তমান দাম তুলনা করা হয়, তবে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ ২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে অনেক বেশি হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত প্ল্যান্টের ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের শুল্ক ১৭২ দশমিক ৫ টাকার বেশি। কারণ বর্তমান ডলারের দাম ১০৯ টাকা। অথচ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তা ছিল ৮৫ টাকা।
তিনি আরও বলেন, একইভাবে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা, ২০২১ সালের নভেম্বরে তা হয় ৮০ টাকা এবং গত বছরের আগস্টে তা বেড়ে হয় ১১৪ টাকা।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছরে ব্যয়বহুল এই ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকদের ১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার ২৮১ দশমিক ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম বলেছেন, ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি খুবই ইতিবাচক।
তিনি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ব্যয়বহুল ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে চালু রাখা অর্থহীন... সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সব ডিজেলচালিত প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়া।’
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের ৩ বিলিয়ন মানুষ উপকৃত হবে
শেখ হাসিনার সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি: শিক্ষামন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি থাকে এবং তা তিনি পূরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি হওয়ার কারণ তিনি মানুষ যা চায়, তা তিনি বার বার দেন। তিনি দিচ্ছেন এবং দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন বলে মানুষ চায় তার কাছে। যে কোনোদিন দেয়নি, সে দিতেও পারে না। যার দেওয়ার কোনো সক্ষমতা নেই, দেওয়ার কোনো ইচ্ছা, দরদও নেই, তার কাছে কেউ চায়ও না।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলা সদরের বিষ্ণুপুর ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে নদীভাঙন এবং চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে তাদের কাছে কেউ চায়নি। কারণ জানে, তারা পাবে না এবং ইতিহাস তাই বলে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল কিছুই হয়নি। তাদের এমপি-মন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট আমাদের করে দিতে হয়েছে। কাজেই মানুষের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে। আর চাঁদপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে যতটুকু কাজ হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, চাঁদপুরে আগামীতেও নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী ভাঙনের যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে তা দেখেছি। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আমি বিষয়গুলো জানি এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি আবারও চাঁদপুরের নদীভাঙন প্রতিরোধের প্রকল্পগুলো নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
এ ছাড়াও নদী উপকূলীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরেরা তাদের নিজ নিজ এলাকার ভাঙন চিত্র সভায় তুলে ধরেন।
পাউবো, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, আবিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান দীপু মনির
ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রাম করেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে কৃষকদল কর্মী সজিব হোসেনকে হত্যা করে, অনেকে আহত হয়। ‘আন্দোলনই এই সরকারকে অপসারণের একমাত্র উপায়। এই সরকারকে অবশ্যই উৎখাত করতে হবে।’
গত ১৮ জুলাই জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে সজিবের পরিবারের সদস্য ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর শাখা বিএনপি।
আরও পড়ুন: ভয়-প্রতিহিংসা থেকে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ থাকবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সজিবসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জীবন উৎসর্গ বৃথা যাবে না। ‘আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
দেশের জনগণ তাদের দলের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা বিশ্বাস করে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণ অবশ্যই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি নিহত কৃষকদল কর্মী এবং লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ও দৃষ্টিশক্তি হারানো পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, বিএনপি সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সজিবের পরিবার ও আহত দলীয় নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেয় দলটি।
আরও পড়ুন: সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারেন না।
রবিবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
তিনি বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। যাদের ব্যর্থতায় সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
দেশের সব হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে যথাযথ ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান কাদের।
হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসপাতালে বেড খালি নেই, বারান্দা, করিডোর ও সিঁড়ির নিচেও ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে পা ফেলার জায়গা নেই। পর্যাপ্ত জনবল ও সরকারি সহায়তার অভাবে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, জনবলের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদানের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিএম কাদের।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৩ হাজার ৯৬৮ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৪ হাজার ৩৩১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ ছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩০৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ২৪১ জন।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, তার আগে নয়।
আরও পড়ুন: নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায় মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীন ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ এ বিএনপি অংশ নেবে না। আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, তারপর পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের বিষয়েও সরকারকে দোষারোপ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই মামলা ও রায় সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে সরকার এ ধরনের সাজাগুলো দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর