সরকার
বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদনগুলো ‘পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে’ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছে।
জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে একত্র হতে এবং তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতেও বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার (৩১ জুলাই) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, গত সপ্তাহান্তের রাজনৈতিক বিক্ষোভকে ঘিরে বাংলাদেশে ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে তারা উদ্বিগ্ন।
মিলার আরও বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক দল, যুব গোষ্ঠী ও পুলিশ; সকলের প্রতিশ্রুতির ওপর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে এবং রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে তা হতে পারে না।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
জ্বালানি দক্ষতার উন্নতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক
ঢাকায় আজকের সমাবেশ: গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই, পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার কিছু মহলের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি। কিন্তু শুরুতে আমাদের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যখনই সমস্যা বা সংকট দেখা দিয়েছে, অনেকেই আমাদের উপহাস করেছেন। বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে এটা হয়েছে।’
শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই দিনব্যাপছ্সিম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ যখন তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল, তখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের চরম উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট বিষয়ক চিন্তাভাবনা, ব্লকচেইন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা ও সাইবার নিরাপত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে
তিনি বলেন, তারা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং ‘শত বর্ষে শত আশা’প্রচারের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপ বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
এর মাধ্যমে ১৫ লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯২ লাখ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ নারী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতীয় স্টার্টআপ নীতিমালা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এখন পর্যন্ত ৯২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন তৈরিতে সহায়তা করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫৪০টি ইউনিকর্ন তৈরি করা লক্ষ্য।
তিনি বলেন, কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয় এবং একটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ লোকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ, স্মার্ট ও বুদ্ধিমান জনশক্তি তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ই-কমার্স মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার ফ্রিল্যান্সাররা ৫০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশের তরুণরাই হবে মূল শক্তি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণরা হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্টের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, উদ্যোগ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বিশেষজ্ঞদের একত্র করা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম উন্মোচন করেন, ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড চালু করেন।
তিনি বিজয়ীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং বাংলাদেশ স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ডও তুলে দেন।অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
সরকার জনস্বার্থকে তোয়াক্কা করে না: তাবিথ আউয়াল
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই এরা জনস্বার্থকে তোয়াক্কা করে না, যেকোন প্রাকৃতিক ও অন্যান্য দুর্যোগ রোধে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার সবসময়ই উদাসীন থাকে।
তিনি বলেন, সরকার শুরু থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এত ভয়াবহ রূপ নিতো না। এত লোকের প্রাণহানি ও ডেঙ্গু জ্বর ছড়াতো না।
আরও পড়ুন: বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাবিথ আউয়াল এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ইব্রাহিমপুর পুল পাড়, উত্তর কাফরুল, দক্ষিণ কাফরুল, শেওড়াপাড়া মেইন রোড, তালতলা বাসস্ট্যান্ড, মহাখালীর আইপিএইচ মসজিদ ও বাউন্ডারি বস্তি, টেমো, সাততলা বস্তি, ওয়ারলেস গেইট, বেলতলা বস্তি, কড়াইল বাজার মাঠসহ অন্যান্য স্হানে সারাদিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ করেন তাবিথ আউয়াল।
লিফলেট বিতরণকালে এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আহসানুল্লাহ চৌধুরী হাসান, গোলাম কিবরিয়া মাখন, কাফরুল থানা বিএনপির আহবায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রাব্বি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাএদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নাসির,বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম জাহান, জাসাস কেন্দীয় নেতা মাজহারুল ইসলাম খান পায়েল, ছাএদল নেতা আক্তার হোসেন মামুন,সারোয়ার আলম পিয়াস, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম আনসার আলীও সাধারন সম্পাদক হাবিব দেওয়ান, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু হানিফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি: তাবিথ আউয়াল
বিদেশিরা বিএনপিকে সায় দেয়নি: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নেতারা ভেবেছিলেন বিদেশিরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তাই তারা কিছুদিন বিদেশিদের পেছনে ঘুরেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো সায় পায়নি।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে ইতালিতে বসবাসরত দোহার-নবাবগঞ্জ প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে জনগণের কাছে তুলে ধরার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে একটা পক্ষ আছে যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা চায় বাংলাদেশ আবারও পাকিস্তানের মতো হয়ে যাক।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান বলেন, বিএনপি বিভিন্ন উছিলায় ভোটে আসতে চায় না, তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা নাকি দেশে ভোট হতে দেবে না। আমি তাদের উদ্দেশে বলছি, এটা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে৷
২০০৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছিলো সেটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছিলো উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ইতালির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এর মহাপরিচালক বাংলাদেশকে রোলমডেল উল্লেখ করে জানতে চেয়েছেন শেখ হাসিনা কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করছে। ইতালি সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন মন্তব্য করলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার আহ্বান জানান।যাতে করে বাংলাদেশীরা দেশ থেকে ইতালি ভাষা শিখে দেশটিতে আসতে পারেন, এমন তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আরও বলেন, বর্তমান সরকার নতুন নতুন বিমান কিনছে আশা করা হচ্ছে রোম-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
বিরোধী দল দমনে সরকারের ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট বন্ধ’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে ‘ইন্টারনেট বন্ধ’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে জনগণকে দমন করতে। তাদের নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে জনগণের অবিরাম ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার একটি নতুন ডিজিটাল অস্ত্র হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ করছে।’
তিনি আরও বলেন, বিরোধী নেতাদের স্মার্টফোন পর্যবেক্ষণ, তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং তাদের সেল ফোন চেক করাসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার। ‘আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করি।’
ফেনীতে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলায় ১ হাজার ৬৫১ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীই নয়, মুক্তচিন্তার মানুষও এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়ায় সরকারের কাছে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলের দাবি জানান বিএনপি নেতা।
‘ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনাগুলো নাগরিক অধিকারের ভয়ানক লঙ্ঘন। এটি হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের মতো অপরাধ,’ –বলেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, একজন ব্যক্তি যখন গুমের শিকার হন, তখন একজনই হারিয়ে যান। কিন্তু কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলে দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ এর শিকার হয়। অনলাইনে মানুষের অস্তিত্ব মুছে ফেলা একটি হত্যার মতোই অপরাধ। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসন ক্রমাগত এই অপরাধ করে চলেছে।
ইন্টারনেট বন্ধসহ সব ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল।
এক দফা আন্দোলন: আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি
গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে এবং গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার ঘটনা তুলে ধরেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, ১২ জুলাই বিএনপির সমাবেশে নয়াপল্টন এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হলেও একই দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সমাবেশে ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপুল জনসমাগমে চলছে বিএনপির ‘যুব সমাবেশ’
এই বছর ডিজিটাল রাইটস ওয়াচডগ এক্সেস নাউ-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
তিনি বলেন, চারটি দেশ- ভারত ৮৪ বার, ইউক্রেন ২২ বার, ইরান ১৮ বার এবং মায়ানমার ৭ বার - বিদ্রোহ বা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে এমন কোনো যুদ্ধ আছে কি না, যার জন্য সরকার ৬ বার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে- প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। "সরকার কাদের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধ চালাচ্ছে?"
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট পরিষেবা এখন মানুষের মতামত প্রকাশের একটি অপরিহার্য মাধ্যম। এই পরিষেবা বন্ধ করা মূলত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।’
ইন্টারনেট সেবা এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, এই সেবাগুলো আর্থিক লেনদেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, আউটসোর্সিং, বিদেশ ভ্রমণ, চাকরি এবং চাকরির ইন্টারভিউসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে এবং জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো অবরুদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণের ঘটনাগুলো ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
পুলিশ সাধারণ মানুষকে অবৈধভাবে রাস্তায় আটক করে তাদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি সমর্থকরা
আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিথ্যাচার করবেন না ফখরুল সাহেব। আজ নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের জেলা সমাবেশ হচ্ছে; বিভাগীয় সমাবেশ নয়। আমি দেখতে পারছি মাঠের কানায় কানায় লোকে লোকারণ্য।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ১৬ বছর পর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন শুনি তিনি নাকি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘টাকার কোনো সমস্যা হবে না, টাকা হলে আন্দোলন করা যায় এ কথা আপনি কিভাবে বলেন তারেক রহমান? আপনি এদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। শেখ হাসিনা সরকার বিদেশ থেকে ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। সে সব কথা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। কোথা থেকে এত টাকা এলো তারেক রহমান?’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে এখন আর তাদের আন্দোলন হয় না। আবার বলে রোজার পরে আবার বলে কোরবানির পরে, আবার বলে পরীক্ষার পরে এভাবে ১৪ বছরে ও আন্দোলন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ চেনে। তার নেতৃত্বে আন্দোলন কি মানুষ করবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আরও ৪ মাস বাকি। দিকে দিকে একি শুনি নৌকা মার্কার জয় ধ্বনি, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচারের পতন ঘটবে।’
নৌকা নিয়ে সকল নেতা কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ, ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
নির্দলীয় সরকার ছাড়া এবার দেশে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ওদের লক্ষ্য একটাই যে ভয় দেখিয়ে মানুষকে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে এই নির্বাচন থেকে বিরত রাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু বিএনপি নই, আমরা ৩৬টি দল যুগপৎভাবে ঘোষণা দিয়েছি, আমরা বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলে আজকে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এরা ‘কাপুরুষ’ সরকার, নির্বাচনকে ভয় পায়।
আমরা পরিস্কার করে বলেছি, আমরা এক দফা দাবি দিয়েছি। বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রায় সমন্বরে বলেছে যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে। আর সেই সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। কারণ এদেশের জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের চিহিৃত করে ফেলেছে। তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার দুর্গম চরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বিদেশিরাও দুই-এক দিনের মধ্যে টের পেয়ে যাবেন (বিএনপি) জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এই নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আলোকিত। আজকে বাংলাদেশ কোথা থেকে কোথায় গেছে তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে।
তিনি বলেন, আমি সারা বাংলাদেশের খবর জানি, তারা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। তাদের একটাই কথা যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ আলোকিত থাকবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, টু্রিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রসাশক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি সালাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা সাড়ে ৩টায় হরিরামপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের হরিনা ক্যাম্প (হরিরামপুর সিও অফিস) ও সুতালড়ি লঞ্চ আক্রমণের ওপর নির্মিত ম্যুরাল উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ. লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না: হিরো আলম
আ. লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না: হিরো আলম
ঢাকা, ২০ জুলাই(ইউএনবি)-
হিরো আলম নামে অধিক পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে লড়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (আ.লীগ) অধীনে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো মারধরের শিকার হয়েছি। ২০১৮ সালে বগুড়ায় প্রথম উপ-নির্বাচনে জয়ী হলেও ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়। আবার ঢাকা উপ-নির্বাচনে মারধরের শিকার হলাম। আমি আ.লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম এ মন্তব্য করেন।
তিনি, তার ব্যক্তিগত সহকারী শুভকে সঙ্গে নিয়ে উপনির্বাচনের সময় তার উপর হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্তে সহযোগিতা করতে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভোটের শেষ সময়ে যারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি অবশ্য কর্তব্যরত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কারণ তাদের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও তারা গাড়ি থেকে নামেনি।
হামলাকারীদের কবল থেকে বাঁচাতে গাফিলতির জন্য ঘটনার সময় ভোট কেন্দ্রের ভেতরে উপস্থিত পুলিশকেও দায়ী করেন হিরো আলম।
হত্যার উদ্দেশে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, তার ওপর হামলাকারীরা নৌকার ব্যাজ পরা থাকায় তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক।
তার নিজের সমর্থকরা তার ওপর হামলা করেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করে বলেন, হামলাকারীরা তার সমর্থক হলে সব দায়ভার তিনি নেবেন।
তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
তিনি বলেন, হামলার সময় পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।
তিনি বলেন, আমি ডিবি প্রধান হারুন সাহেবের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন পুলিশ ঘটনাস্থলে নীরব ছিল।
হিরো আলম মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক একজন ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তার কাছে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সেদিন ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা সেদিন জাল ভোট দিয়েছে।
ঢাকায় ১৩টি বিদেশি দূতাবাস ও মিশনকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার বনানী এলাকায় একটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হামলার শিকার হন হিরো আলম।
বিষয়টি নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এবং অনেকেই হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন, জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: ফখরুল
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তাদের মিছিলকে অধিকার আদায়ের ‘বিজয় মিছিল’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন।
এছাড়া সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের নামে নির্বাচন কমিশন প্রহসন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি কেবল একটি মিছিল নয়, এটি বিজয়ের মিছিল। এটা জনগণের অধিকার আদায়ের বিজয় মিছিল।
মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দলের পদযাত্রা পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিছিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আরও ৩৬টি বিরোধী দলের সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: 'সময় শেষ, পদত্যাগ করুন': সরকারের প্রতি ফখরুল
ফখরুল বলেন, পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আমাদের এক দফা দাবি আদায় করে আমরা বিজয় অর্জন করব। আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবীয় সরকারকে পরাজিত করব এবং একটি সরকার ও জনগণের সংসদ গঠন করব।
ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষ তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে জেগে উঠেছে।
এছাড়াও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু বিএনপি নয়, ১২ জুলাই একযোগে আরও ৩৬টি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছিল যে বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ ও জনগণকে রক্ষায় রাজপথে নেমে আসতে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল হিরো আলমের বিরুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থী ও তার প্রধান বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বসিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি।
ফখরুল বলেন, ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। পঙ্গু-অকেজো এবং পরাধীন নির্বাচন কমিশন ১১ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখিয়েছে। আমরা দেখলাম কোথাও ভোটার নেই। ফলাফল ঘোষণার পর আরাফাত বিজয় চিহ্ন দেখালেন। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিরো আলমকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়।
এছাড়া ভোটকেন্দ্রের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ১১ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সবচেয়ে ভাল ছিল। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এমন উপহাস করার কোনো মানে নেই।
তিনি বলেন, ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে রাজধানীবাসী যখন কঠিন সময় পার করছেন, তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছুটি কাটাতে ইউরোপে গেছেন। আর ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী গেছেন আমেরিকায়। তাদের কী দায়িত্ববোধ আছে!’
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী পুরান ঢাকা এলাকার রায় সাহেব বাজার অভিমুখে মিছিলে নিয়ে যাত্রা করেন।
ফখরুল সকাল ১১টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং বিকাল ৪টায় রায় সাহেব বাজার মোড়ে তা শেষ হয়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে মিছিলটি মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়, ফলে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, পরে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেল ও একটি সাইকেলও পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া অন্য সব মহানগর ও জেলা শহরেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটাই প্রথম কর্মসূচি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ আন্দোলন করছে।
এর আগে গত ১২ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ‘একদফা’ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়াও বিএনপি আগামী ১৯ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মিছিল করবে।
একই দিন রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করবে অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
আ. লীগের ভয় দেখানোর কৌশল আর চলবে না, জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: ফখরুল