সরকার
দেশের ১০ জেলায় নতুন ডিসি
দেশের ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, টাঙ্গাইল, পাবনা, শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে গত ১২ মার্চ ৮ জেলায় ডিসি পদে রদবদল এনেছিল সরকার।
গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব (উপসচিব) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার ডিসি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব, লক্ষ্মীপুরের ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব, রাঙ্গামাটির ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, বান্দরবানের ডিসি ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিকে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব এবং পাবনার ডিসি বিশ্বাস রাসেল হোসেনকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট... অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং সংসদ ভেঙে দিন। অযথা সময় নিলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সোমবার এক সরকারবিরোধী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় নেই। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করুন। অন্যথায়, আপনাদের পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত এক মাসে আমাদের ৩৮৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে… কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বর্তমান সরকারকে রাজপথে পরাজিত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দল ও এর বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগদান করে এবং একটি মিছিল বের করে যা কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মঞ্চ-অভিনীত নির্বাচন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘তারা (জনগণ) সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং তার দল সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের একের পর এক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে এটা ঘটেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা (নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলর) ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছেন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়রকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ভোটারদের ওপর জবরদস্তি ও নিপীড়নের কারণে অতীতে দেশে ভোট ছিল বেদনাদায়ক।
নবনির্বাচিত মেয়রেরা হলেন- গাজীপুরের জায়েদা খাতুন, রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনার তালুকদার আব্দুল খালেক, বরিশালের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
প্রথমে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের নতুন মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর রাজশাহী ও সিলেটের নতুন মেয়রদের শপথ গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া একই ভেন্যুতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে শপথ নেন প্রায় ২৩০ জন নবনির্বাচিত সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।
এছাড়া গাজীপুরে ৭৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন, বরিশালে ৪০ জন এবং সিলেটে ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে জনগণের আস্থা ও আস্থার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছেন। জনগণ আপনার ওপর তাদের বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছে। সুতরাং, আপনারা যে দলেরই হোন না কেন জনগণের সেবা করা আপনাদের কর্তব্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার শুধু শহরেই নয়, তৃণমূলেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।
তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে এবং বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজ নিজ এলাকায় আন্তরিকভাবে কাজ করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বলেন।
তিনি বলেন, আমি চাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আপনারা অবদান রাখুন।
তিনি তাদের নিজ নিজ এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বলেন।
তিনি সিলেটের নিরক্ষরতার হার এবং রাজশাহীতে বেকারত্বের হারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশের প্রতিটি কোণায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি রাজশাহী নগরীর ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচিত করার কারণে জনগণের সেবা করতে এবং তাদের আকাঙ্খা পূরণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ আপনাদেরকে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুতরাং, তাদের আকাঙ্খা পূরণ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি চাই আপনারা জনসেবক হিসেবে আপনাদের নিজের এলাকায় কাজ করুন।’
শেখ হাসিনা বলেন, এখন বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না এবং তার সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সারাবিশ্বে সবাই বাংলাদেশের প্রতি সম্মান দেখায়।
২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আর এমন পরিস্থিতির (মানবসৃষ্ট দুর্যোগ) পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক এবং বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। আমরা চাই সকল মানুষ উন্নত জীবন যাপন করুক।’
প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজেদের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়নমূলক কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের আহ্বান জানান।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্কার উদ্যোগের পরিকল্পনা করছে সরকার
বৈশ্বিক ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে তাৎক্ষণিক নীতিগত প্রতিক্রিয়া ছাড়াও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধিকে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার একাধিক মধ্যমেয়াদী (২০২৫-২৬) সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সরকারের বাজেট নথি অনুযায়ী, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সরকারি খাতের ঋণের খরচ কমানো, ভর্তুকি কমানো এবং আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে ব্যয় দক্ষতা উন্নত করা।
এই সংস্কার উদ্যোগগুলো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
সাময়িকভাবে চাহিদা এবং আমদানি ব্যবস্থাপনার জন্য বাস্তবায়িত পদক্ষেপগুলো ধীরে ধীরে সহজ করার সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক ভারসাম্যকে শক্তিশালী করা এবং রিজার্ভ বৃদ্ধির চলমান কৌশল।
এছাড়াও নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি এবং সরকারি ঋণ গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে বজায় রাখার মাধ্যমে রাজস্ব স্থায়িত্বকে শক্তিশালী করা হবে।
এতে বলা হয়, ‘এটি আরও দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুশীলন এবং সামাজিক কল্যাণ এবং উন্নয়ন ব্যয়ের মতো অগ্রাধিকার খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
নথিতে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ বাজেট ঘাটতি (প্রাথমিক এবং সামগ্রিক উভয়), অর্থায়নের মিশ্রণ এবং সর্বজনীন ও সর্বজনীনভাবে গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের স্তরের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে একটি বিচক্ষণ রাজস্ব নীতির অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
মাঝারি মেয়াদে, প্রাথমিক রাজস্ব ঘাটতি (অনুদান সহ) জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে নীতিটি নোঙর করা হবে যাতে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪৫ শতাংশের নিচে থাকে।
উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি ভর্তুকি এবং দেশীয় ঋণ অর্থায়নের খরচ যৌক্তিক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিচালনায় সংস্কারের উদ্যোগ, যেমন লক্ষ্যমাত্রার উন্নতি, কভারেজের যৌক্তিকতা, সরকার-থেকে-ব্যক্তি (জিটুপি)) পদ্ধতির ব্যবহার, একটি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন ইত্যাদি, এই দেশে অব্যাহত থাকবে। মাঝারি মেয়াদী.
দেশের ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যাকে সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট বিল- ২০২৩ ইতোমধ্যে সংসদে পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে। প্রস্তাবিত স্কিমের অধীনে, একজন সুবিধাভোগী যদি ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করেন তবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সাবস্ক্রিপশনের অর্থ প্রদানের সাপেক্ষে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারেন, যেখানে যারা ৫০ বছরের বেশি বয়সে নথিভুক্ত করেন ন্যূনতম ১০ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন দিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে পেনশনভোগীর মৃত্যু হলে, পেনশনভোগীর মনোনীত ব্যক্তি পেনশনভোগীর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।
কমপক্ষে ১০ বছর সাবস্ক্রিপশন দেওয়ার আগে গ্রাহক মারা গেলে জমাকৃত অর্থ লাভের সঙ্গে মনোনীত ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া হবে। এছাড়া মাসিক পেনশন হিসেবে প্রাপ্ত পরিমাণ আয়কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নতম।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
নথিতে বলা হয়েছে, ‘এটি সমালোচনামূলক খাতে বাজেট বরাদ্দ সম্প্রসারণ এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে একটি শক্তিশালী বাধা হিসাবে কাজ করছে।’
তাই, সরকার সর্বোত্তম অনুশীলন অনুসরণ করে আয়কর এবং ভ্যাট ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাজস্বের দিকে বেশ কিছু নীতি ও প্রশাসনিক সংস্কার শুরু করেছে।
নীতি সংস্কারের মূল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কর আইনের আধুনিকীকরণ, কর ব্যয়ের যৌক্তিককরণ, ট্যাক্স হারের কাঠামোকে সরলীকরণ করা এবং বাণিজ্য-সম্পর্কিত কর থেকে করের বোঝা আয় এবং মূল্য সংযোজন করের দিকে স্থানান্তরিত করার একটি অত্যধিক কৌশলের অংশ হিসাবে করের ভিত্তি প্রসারিত করা।
প্রশাসনিক দিক থেকে মূল সংস্কারের মধ্যে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট স্থাপন এবং একটি কমপ্লায়েন্স উন্নতি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, আয়কর, ভ্যাট এবং এনবিআর-এর কাস্টমস শাখার মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি জোরদার করা, কর প্রশাসনে অটোমেশনকে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারণ ও একীভূত করা ও উৎসে কর আদায় বৃদ্ধি ইত্যাদি
এই সংস্কারগুলো ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ অতিরিক্ত রাজস্ব তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
নথিতে বলা হয়েছে যে সরকার জ্বালানি ভর্তুকি যৌক্তিক করার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সামাজিক ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ করেছে।
২০২২ সালের আগস্টে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে মিল রাখা এবং ভর্তুকির পরিমাণ কমানো।
একটি পদ্ধতি নিশ্চিত করতে সরকার একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে, যা পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলোতে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অধিকন্তু, সরকার সামগ্রিক রাজস্ব বাড়ানোর জন্য কর-রাজস্ব খাতে অব্যবহৃত ক্ষেত্রগুলোতে মনোনিবেশ করছে এবং কর-বহির্ভূত রাজস্ব উৎসগুলোতেও জোর দিচ্ছে।
সরকারের সুদের ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার হ্রাস, স্তরযুক্ত সুদের হার প্রবর্তন, ক্যাপিং ইস্যু, এবং অর্জিত সুদের ওপর কর বৃদ্ধি সহ বেশ কয়েকটি সংস্কার পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের অবদান জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে এক দশমিক ২ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়েছে।
সুদের ব্যয় কমিয়ে সরকারি তহবিল সংরক্ষণ করার জন্য দক্ষ নগদ ব্যবস্থাপনাও এখানে একটি অগ্রাধিকার।
নথিতে বলা হয়েছে, এটি অর্জনে সরকার ট্রেজারি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) শক্তিশালী এবং প্রসারিত করছে। যা আরও ভাল নগদ ব্যবস্থাপনা, সুদের ব্যয় হ্রাস এবং প্রতিশ্রুতি নিয়ন্ত্রণগুলোকে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না।
তিনি বলেন, আগে বলা হতো এবং হাসিনা সরকারের লোকেরা এখনও বলে যে আমরা সহিংসতা করি। গত কয়েক বছরে আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা সহিংসতা করি না।
তিনি বলেন, আমরা সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সহিংসতা তারাই (আওয়ামী লীগ) করে, পরে আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত যে বিএনপি কিভাবে আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন কোন ছককাটা জিনিস না। এটাতে জনগণের সম্পৃক্ততার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে সে আন্দোলন দানা বাঁধে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এ সরকারের যত অপকর্ম, দুঃশাসন, দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ আর এ সরকারকে দেখতে চায় না। এ সরকার আর সরকারের লোকেরাই আজ দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নেব না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, যারা আমাদের সঙ্গে আসতে চান। জামায়াতকে তারাই অবৈধ ঘোষণা করে, আবার তারাই সুযোগ করে দেয় সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির।
এছাড়া দেশের মানুষ বুঝতে পারে তারা কী রাজনীতির অনুশীলন করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেদের জন্য নয় জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্যই আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এসব বিষয় নিয়েই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকার দরকার।
এই সব অধিকার আদায়ে কাজ করছে বিএনপি। গোটা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।
কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচি চলছে আমাদের। আগেও কর্মসূচি দিয়েছি আবারো নতুন কর্মসূচি আসবে। এবারেরর কর্মসূচির ধরন কিছুটা আলাদা হবে। স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন আমাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে।
অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে সরকারের যোগ দেয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিকসেই যাক আর আইএমএফ এ যাক, হাসিনা সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার দুর্নীতি রোধ করতে পারবে। আর এটা স্পষ্ট যে তারা দুর্নীতিতে এতটাই নিমজ্জিত হয়েছে যে সেখান থেকে তাদের বের হবার কোনো পথ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও দমন-পীড়নের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে ছয় জেলায় মেহনতি মানুষের পক্ষে সমাবেশ করবে বিএনপির চারটি সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল শ্রমজীবী জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে উৎসাহিত করতে এসব কর্মসূচির আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
রিজভী বলেন, তাদের দলের সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম, ১৯ জুলাই দিনাজপুরে দ্বিতীয় এবং ২৮ জুলাই রাজশাহীতে তৃতীয় সমাবেশ পালন করবে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগস্টে আরও তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে; যার মধ্যে ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ এবং সবশেষে ১৯ আগস্ট বরিশালে।
রিজভী বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ, সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপিসহ চারটি সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে ছয়টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিম্ন আয়ের লোকেরা গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।’
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের কারণে দরিদ্ররা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলেও জানান এই প্রবীণ নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণেই আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।’
অনুষ্ঠান সফল করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী।
এর আগে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন নগর ও জেলায় ছয়টি সমাবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকার তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বগুড়াসহ দেশজুড়ে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী বগুড়া জেলার টিটু মিলনায়তনে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের উদ্যোগ বগুড়া স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা-২০২৩ ও জেলার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জি-ক্লাউড এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
প্রতিমন্ত্রী বগুড়া বাসিদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন শিগগিরই জেলায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে বগুড়া শিল্পনগরী-২ হিসেবে হাইটেক পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সেখান থেকেই মোবাইল,ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের মতো হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন,বক্তব্য রাখেন বগুড়া ৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন,শেখ রাসেল ডিজিটাল প্রকল্প পরিচালক, এস এ এম রফিকুন নবী লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেছেন আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে দেশে নারী সমাজের কর্মসৃজন, ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশের নারী উদ্যোক্তাদের শক্তি,সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'সোলস' এর লোগো উন্মোচন
এ সময় অনুষ্ঠানে এলইডিপি প্রকল্প থেকে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফ্রিল্যান্সার সুরাইয়া তাবাসসুম ও আশিকুর রহমান উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের সফলতার গল্প শুনান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বগুড়া জেলার ৪৮ জন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।
মেলায় সরকারি ও বেসরকারি মোট ৩৩ প্রতিষ্ঠান স্টল স্থাপন করে। চাকরিপ্রার্থী ৬ হাজার ৭১৫ জন তরুণ -তরুণী অনলাইন ও অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেন। স্পটে সাক্ষাৎকার নিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী ৩০ জনকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়। বাকিদের যোগ্যতানুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতে সম্ভব ছিল না বা ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীতে রোডমার্চ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পক্ষে নেই এবং বাংলাদেশেও তার সমর্থন নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে যে তাকে এখনই যেতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বেপরোয়া মন্তব্য করে দেশকে বিপদে ফেলেছেন।
আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করি না।
চলমান লোডশেডিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ফখরুল শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন।
বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেলের দিকে মিছিল করেন শ্রমিক দলের শত শত নেতাকর্মী।
ফখরুল তার সরকারের অধীনে প্রশ্নাতীত স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) বলছে তাদের শাসনামলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
কারণ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সবধরনের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, সরকার জনগণের চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
দেশে প্রথম ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার
দেশে প্রথম ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ও এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই এমওইউ সই হয়। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক এমালফার্ব সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এমওইউর আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে ভ্যাকসিন উৎপাদন সংরক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একটি অত্যাধুনিক প্লান্ট হবে। শুধু করোনা ভ্যাকসিন না অন্যান্য ভ্যাকসিন যেগুলো বাংলাদেশের প্রয়োজন সেগুলোও এখানে তৈরি করতে পারবে।
তিনি বলেন, করোনার সময় আমাদের ৩৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ভিত্তি করে যদি তার মূল্য ধরা হয় তাহলে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন পেয়েছি।
আমরা বেশিরভাগ ফ্রি পেয়েছি। বাকিটা সরকারের অর্থায়নে কেনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এই প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জে স্থাপন করছি। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশে জায়গা দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ একর জমিতে এই প্লান্ট হবে। এখানে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে, তা অন্তর্জাতিক মানের হবে। আশা করি আমরা বিদেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দুই বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে পারব। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে ৪ বছরের মতো সময় লাগবে। এই প্রজেক্ট পুরোপুরি সফল হলে আমাদের ভ্যাকসিন আমদানির প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, আমরা আশাকরি এই ভ্যাকসিন রপ্তানিও করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবো। এখানে অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও ব্যবস্থা থাকবে। করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি যেগুলো আমাদের প্রয়োজন হয় ১২ ধরনের ভ্যাকসিন আস্তে আস্তে তৈরি হবে।
তিনি বলেন, এডিবি'র কাছ থেকে আমরা প্রায় সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারপরে প্রকৃতপক্ষে যা লাগবে তাই আমাদের খরচ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী