সরকার
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সরকার আবারও সেভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। আমাদের জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তা কখনোই সম্ভব হবে না।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ফখরুল বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়; তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য নয়।’
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আমাদের আলোচনার জন্য ডাকে, আমরা নিজেরা যাই না: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্রের অভাবই এখন বাংলাদেশে প্রধান সংকট। কারণ সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, মূলধারার গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না বলে জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপি মিডিয়া সেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ‘এটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ যে এদেশে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন কৌশলে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের দমন ও হয়রানির অভিযোগও করেন।
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশরাফ উদ্দিন নিজান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মিডিয়া সেলের শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিতসক, আইনজীবীসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকারের এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না।
তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের অভাব নেই। এসময়ে দেশে সরকারি খাদ্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে চলমান বোরো সংগ্রহ-২০২৩ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই- আগস্টের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস এর চাল বিতরণ শুরু করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য লজ্জার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, জুলাই মাসের শুরু থেকে টিসিবির মাধ্যমেও ৫ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হতে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে আমাদের অপচয় কমাতে হবে। চাল চকচক করতে গিয়ে অপচয় হয়। আবার পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, হাওর অঞ্চলের কৃষক সচেতন হলে ধানের নায্যমূল্য নিতে পারে। মৌসুমের শুরুতেই তারা জমিতে ধান কেটে সেখানেই মাড়াই করে বিক্রি করে দেন, বাড়িতে নিতে চান না।
তিনি বলেন, এই সুযোগে ধানের দাম কমিয়ে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেন।
মন্ত্রী বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্যে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার চেক করে খাদ্যগুদামে আনলে কৃষকের সুবিধা হবে। কর্মকর্তারা ধান ভেজা বলে ফেরত পাঠাতে পারবে না।
তিনি বলেন, গুদামে নিয়ে ধান আবার ফেরত নিতে হলে কৃষক সরকারি গুদামে দান দিতে আগ্রহ হারায়।
এসময় মন্ত্রী ধান দিতে এসে কোনো কৃষক যেন কষ্ট না পায় সেটা নিশ্চিত করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে আমাদের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। কৃষক বেশি বেশি ধান উৎপাদনকরে আমাদের স্বস্তিতে রেখেছে। আমাদের খাদ্য সংকট নেই।
আরও পড়ুন: সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারকে ৫৫ কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেলের ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধ
প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রায় ৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬০ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার হাতে চেক হস্তান্তর করেন।
এছাড়া পদ্মা সেতুর ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিও ওই সময় পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
পদ্মাসেতু ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকার চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘পদ্মাসেতু ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩১৬ কোটি টাকা এবং মেট্রোরেল ঋণের ১ম কিস্তি হিসেবে ৫৫ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।’
২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল পদ্মাসেতু ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি সরকারকে পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ থেকে ১২ ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল
৩১ মে থেকে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে ঢাকা মেট্রোরেল
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবি জানাতে আগামী ১৯-২১ জুলাই রাজধানী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে সাত সমমনা দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
রোডমার্চের আগে বিরোধী জোট তাদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন জোগাতে জেলা শহর ও মহানগরে সমাবেশ এবং রাজধানীতে রোডমার্চ করবে।
জোটের অন্যতম সংগঠন রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম সোমবার সচিবালয়ের দিকে বিক্ষোভ করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১৯ থেকে ২১ জুলাই আমরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করব।
এর আগে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা ৪-৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী রোডমার্চ করেন, সেই সময় বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যে মাঠে মারা গেছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের অনুরোধ জানাই।'
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শরৎকালীন সেমিস্টার শুরু উপলক্ষে সীতাকুন্ডের কুমিরা ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যা কিছু দরকার সবকিছুই করা হবে। এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে-পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের এ দাবি সমর্থন করে নাই এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে। অর্থাৎ তাদের এ দাবি মাঠে মারা গেছে, শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতাদের মুখে আছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের আয়োজক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কিন্তু বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরাও দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়।'
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেছে, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তরুণদেরকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নামে তারা পেটুয়া বাহিনী ও নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ করেছে। তারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।'
এর আগে আইআইইউসি’র নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। স্বপ্নের সাথে যদি প্রচেষ্টাকে যুক্ত করা না হয় তাহলে শুধু স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই। মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে স্বপ্নের সাথে যখন প্রচেষ্টা যুক্ত হয়, তখন তার মধ্যে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক শক্তি জন্ম নেয়। সেই শক্তি তাকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।'
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জীবনসংগ্রামের উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। নিরন্তর উজানের বিপরীতে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার নাম হচ্ছে জীবন। যে সেভাবে জীবনকে নিবে, সে জীবনে অনেক দূর এগোতে পারবে। যে প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে জীবনযুদ্ধে নামবে সে জীবনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আবারও মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের ধারণা যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের নির্ভুলতা নষ্ট করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে দলের সাংস্কৃতিক শাখা 'জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন এজেন্সি মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ায় এবং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপিও করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় তাদের ভীতি প্রদর্শন করছে।
দলীয় চেয়ারম্যান তাদের জানান, তারা শুধু ক্ষমতা ও সামর্থ্যের মূল্যায়ন করতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে দেশে কিভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং ভোটাররা এখন বলতে পারেন যে তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এবং নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তাদের ভোট দিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, তিনি দেশ ও জাতির চাহিদা মেটাতে রাজনীতি করছেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করা যায়।
সাংস্কৃতিক শাখার সভাপতি ও সংসদ সদস্য শেরফা কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শোভ রায়, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘ মিথ্যা নির্ভর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন,‘শুধু অনেক নেতা কেন? আমরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, কিন্তু এই সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে আসছে এবং নির্বাচনে যোগদানকারী কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিএনপি ও এর নেতাদের নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করে নিজেদের খারাপ রুচির পরিচয় দিচ্ছেন। ‘আমরা আরও শুনেছি যে আওয়ামী লীগের অনেক লোক সামনে খারাপ সময়ের ভয়ে দেশ ছাড়তে চায়। কিন্তু এটা কি বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপার? আমরা এমন মন্তব্য করি না কারণ আমাদের অবস্থান খুব নীচু নয়।’
আরও পড়ুন: অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মাইনুল আহসান পিংকুর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ পিংকু স্মৃতি পরিষদ।
নজরুল বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখন বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও বলে আসছেন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ১৪ দলীয় জোটে যারা আছেন তাদের অনেকেই একই কথা বলছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে করতে না পারলে জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ‘দখলকারী’ শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দলের আন্দোলন সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এত অপকর্ম, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও লুণ্ঠন করেছে যে এখন ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। ‘তারা এখন ভয় পায় যে তারা ক্ষমতা হারানোর পরে জনগণের ক্রোধ এড়াতে পারবে না কারণ জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার স্লোগানের ভিডিওতে আ.লীগের নিন্দা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর সাহেব) শুক্রবার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করীম বলেন, দেশ আজকে হুমকির মুখে। আজকে দেশ কিন্তু পরদেশের তাবেদারীতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের বাংলাদেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
এসময় সিইসির পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যা করেছে তা বিশ্বে কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি এই সিইসির নিন্দা করি।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এসময় তারা সিইসি’র কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি জনগণ মেনে নিতে পারে না: পীর চরমোনাই
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার যখন দেশ চালাতে এদিক-ওদিক বিদেশি ঋণ খুঁজছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তবতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘জেনেভায় গিয়ে আমাদের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে... এভাবে ফাঁপা কথা দিয়ে সত্যকে বেশিদিন চেপে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন আমরা জানি, গোটা বিশ্বও তা জানে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, ডলারের অভাবে আমদানি বন্ধ থাকলেও সরকার দেশ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থার কাছে বিদেশি ঋণ ‘ভিক্ষা’ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও বিদ্যুত আমদানি করতে না পারায় মানুষ ভয়াবহ লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির অবস্থা সবাই জানে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, ডলারের সংকট তীব্র হচ্ছে, পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এগুলোই বাস্তবতা। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দাবি করবেন বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে?
বৃহস্পতিবার জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি মিডিয়া সেল।
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে একদল সাংবাদিক দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণও বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদের দল এবার সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না। ‘আমাদের অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই শাসককে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘাবড়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
ভারতের প্রেসক্রিপশনে কিছু 'নিরপরাধ' জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে সরকার: নূর
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর কিছু ‘নিরীহ’ নেতাকে ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে’ ফাঁসি দিয়েছে।
নূর বলেন, ‘জামায়াত আইনত নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগই ভারতের নির্ধারিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের কিছু নিরপরাধ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় সমাবেশ করেছে জামায়াত। আওয়ামী লীগের তিনজন মন্ত্রী বলেছেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা: আহত ১৫
নূর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জামায়াতের আদর্শ ও রাজনীতি আওয়ামী লীগের উপকারে আসে এমন কিছু করতে দেবে না। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে শেষ কথা নেই। জামায়াতের বর্তমান অবস্থান আমরা জানি না। কিন্তু তাদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা রাজপথে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে উৎখাত করতে আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই আমরা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই … যেই রাজপথে থাকুক তার সঙ্গে আছি। আমরা এই সরকারকে এক সপ্তাহও ক্ষমতায় রাখার পক্ষে নই।’
সাম্প্রতিক বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নূর বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন একজন প্রার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, মুসলিম আলেমদের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমরা তার ওপর এই হামলার নিন্দা করছি।’
আরও পড়ুন: না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের