সরকার
আ.লীগ সরকার অবাধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, তার সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো বিতর্কিত নির্বাচন আওয়ামী লীগের শাসনামলে হয়নি, হবেও না।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বর্তমানে জেনেভায় অবস্থানরত শেখ হাসিনা সংসদে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১১) এর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সংসদ নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন, যা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বে অবাধে নি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি। জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে যাতে জনগণ তাদের সরকার নির্বাচন করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, নির্ভীক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে দেশ চালাবে তা জনগণই ঠিক করবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের শক্তি। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তার সরকার 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ প্রণয়ন করেছে এবং আইন অনুযায়ী ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সব সরকারি কর্মকর্তা/প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে আসবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ম্যান্ডেট অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।
আ.লীগ সভাপতি বলেন, তারা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চান তারা তা করতে পারেন।
আমাদের সরকার জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।
তিনি বলেন, অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমেরিকার স্যাংশনে আওয়ামী লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর কারণে আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? তারা বলে আমরা ভয় পাই না। এখন এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাপতে শুরু করেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন র্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করে হত্যা করেছে?
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার ভোট আমি দিতে পারব, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরি হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোক আরও বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
সরকার কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কোনো চাপের কাছে মাথা নত করেনি, এখনও করবে না।
বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ যৌক্তিক বলে বিবেচিত হয় না। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ৬ জানুয়ারি সেখানে গণতন্ত্রের নামে ৬ জানুয়ারি কী হলো? ৬ জন প্রাণ হারালেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেননি।
বাংলাদেশে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করছেন, আর নির্বাচন কমিশন স্বাধীন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কতটা জনপ্রিয়তা আছে তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ দিয়েছে, বিএনপির এই অভিযোগ দুইটি মিথ্যা।
জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইসি এই দলের নিবন্ধন বাতিল করলেও বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের চিঠির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ ও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করি?
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অপরাধ ও অপারেশন) আতিকুল ইসলাম এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি, তারা অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আবারও নির্বাচনের নামে খেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘জনগণের এখন ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আমরা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আমাদের ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগ সরকার আবার নির্বাচনী খেলায় লিপ্ত হয়েছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ‘ভয়ানক’ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শ্রমিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ‘একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচন করতে দেবে না।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, যাতে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের সুযোগ তৈরি হয়। ‘এর অন্য কোন বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জোরপূর্বক ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এখানে জড়ো হওয়া শ্রমিক ভাইদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং তারা কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে খারাপভাবে সংগ্রাম করছে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় আছে এবং যারা তাদের সঙ্গে আছে তারা অবৈধভাবে লুটপাট ও অর্থ উপার্জনে লিপ্ত। তারা তাদের অবৈধ অর্জিত অর্থ দেশ থেকে বিদেশে পাচার করছে।’
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক সূচিত আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের যে কোনো সময় বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি ভারতে দেশের মিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পাবলিক কূটনীতি শাখার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার (বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ) দেশে ফেরার আবেদন অনুমোদন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুয়াহাটিতে আমাদের মিশনে বিষয়টি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিলংয়ের আদালতে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
সালাহউদ্দিন কবে বাংলাদেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করে এবং তিনি যে কোনো সময় আসতে পারেন, তবে কিছু প্রক্রিয়াগত সমস্যা রয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বুঝতে পেরেছে যে তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল।
বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বুঝতে পেরেছে যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে তার সাম্প্রতিক সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে এক আলোচনায় তিনি আবারও বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যমূলকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ আনার বিষয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যে আমি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছি যে, কখনই এমন কোনো অসৎ উদ্দেশ্যকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবো না, যা বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশে বর্তমানে (মে মাস পর্যন্ত) মজুদকৃত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৭ হাজার টন।
তিনি বলেন, ‘মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে চালের পরিমাণ ১২ দশমিক ২৫ লাখ টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ লাখ টন এবং ধান ৯ হাজার টন।’
সংসদ নেতা হাসিনা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য মজুদ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ৪ লাখ টন চাল ও ১২ লাখ ৫০ হাজার টন চালসহ মোট ১৫ লাখ ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ টন দেশীয় গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সর্বোচ্চ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে, ২০২৩ পর্যন্ত) ৬ দশমকি ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম আমদানি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নতুন নতুন এলাকায় ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অ্যান্ড সিসমিক সার্ভে’ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে না।
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বিবেচনায় নিয়ে, ভারতের সঙ্গে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আশা করছেন, ‘এটি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ সই হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি জিডিপির ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো বহিরাগত শক্তিই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং তারা দলকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির ঘোষণার পর বিএনপির উত্তেজনার একটি সমালোচনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা মনে করে যে কেউ, অন্য কোথাও থেকে এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে এজন্য তারা এজন্য আনন্দিত, এমনটা কেউ করবে না। এটি (তাদের) ব্যবহার করবে, কিন্তু তাদের ক্ষমতা দেবে না।’
বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষা করেছে এবং দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছে।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলের বিচারহীনতা থেকে আ. লীগ দেশকে মুক্ত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আজ আন্দোলন-সংগ্রাম হবে এবং আমরা ক্ষমতাচ্যুত হব। এক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো যে তারা (বিএনপি) যদি অগ্নিসংযোগ সহিংসতা অবলম্বন করে এবং জনগণকে হত্যা করে তবে তারা মার্কিন ভিসা পাবে না।’
তিনি বলেন, যে শক্তির তালে বিএনপি নাচে তারা ধ্বংস করবে। ‘আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ভাবার কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতোমধ্যে (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে) বলেছেন বিএনপিকে আন্দোলন করতে দিতে। ‘তারা যে আন্দোলন করতে চায় তাই করুক।আমরা কিছু বলব না।’
তিনি অবশ্য কর্তৃপক্ষকে তাদের চোখ খোলা এবং ক্যামেরা সর্বদা চালু রাখতে বলেছেন যাতে বিএনপি ২০১৩,২০১৪ এবং ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং মানুষ হত্যার পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে গাছ লাগান: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) উস্কানি দিয়ে ছবিগুলো দেশের বাইরে পাঠাতে পারে। তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে এই দেশ আমাদের। আমরা কাউকে এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। যতই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ আসুক না কেন, বাঙালিরা এর কাছে মাথা নত করে না।’
তার দল জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরাই এদেশে গণতন্ত্র এনেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। যেহেতু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রয়েছে, বাংলাদেশ আজ অগ্রগতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির সাক্ষী হয়েছে।’
আলোচনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান ও সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বাঙালিদের ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানিদের অপশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচনা বাদে অন্য কোনো পন্থায় সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। আর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ।’
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
নির্বাচনি সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে সরকার আলোচনা করতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনের সুরাহা করতে চায় আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশটির নানামুখী তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে।
পাশাপাশি তিনি বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও। দুই দিন আগে তিনি বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ঈর্ষা করে বিএনপি নানা কথা বলছে: আমু
বাংলাদেশের সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোভ দীর্ঘদিনের: আমু
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে ভীত নয়, কারণ তারা সবসময় সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তারা সব সময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে এবং সাংবিধানিক রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এক লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা ‘খুনি-স্বৈরাচারী’ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা মিথ তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘মূলত এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থী বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করেছিলেন এবং সমস্ত ‘পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদ এবং যুদ্ধাপরাধীদের’ স্থান দিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী পাকিস্তানি দর্শন চর্চা করা হয়েছিল। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘খুবই পরিতাপের বিষয় যে আজ বিএনপির কিছু নেতা তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই প্রকাশ করেছেন যে তাদের আর রাজনৈতিক সংগঠন বলা যায় না। জনগনের ওপর আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া।'
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমিত আয়ের মানুষ ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে রোববার কৃষি মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম