সরকার
বিশেষ অনুরোধে ১ দিনের জন্য হজ রেজিস্ট্রেশন সার্ভার খুলেছে সরকার
হজযাত্রী ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) বিশেষ অনুরোধে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ নিবন্ধনের জন্য একদিনের জন্য সার্ভার খুলেছে।
যারা এই বছর হজে যাওয়ার জন্য তাদের নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা এই সুযোগ নিতে পারবেন।
গত ২০ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর আজকের জন্য খোলা হয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনাই হজযাত্রীদের জন্য একটি নতুন প্রাক-নিবন্ধন সুবিধা তৈরি করার সুযোগ পেয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন কোটা পূরণ হলে সার্ভারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটি শেষ সময় হবে এবং নিবন্ধনের জন্য কোন এক্সটেনশন হবে না।
গত ৩০ মার্চ, সরকার নিবন্ধন কোটা পূরণের লক্ষ্যে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে হজ নিয়ে একটি চুক্তি সই করে সরকার।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৩৫ এবং ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫১ জন হজযাত্রী ইতোমধ্যেই যথাক্রমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন।
এ বছর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন।
এদিকে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ কমানোয় সরকার সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়েছে।
১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে এ বছর হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় যাবেন তাদের প্রত্যেককে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল
হজ প্যাকেজের খরচ কমল ১১,৭২৫ টাকা
সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
সরকার আগুন নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের 'সাজানো' ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার এখন আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। একদিকে তারা বাজারে আগুন দিচ্ছে, অন্যদিকে তারা জনগণের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ইফতার আয়োজনে দেওয়া বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ‘তাই আমি বলি তারা আগুন নিয়ে খেলতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, আগুন নিয়ে সরকার কোনো লাভ করতে পারবে না। ‘বরং আপনারাই (ক্ষমতাসীন দল) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’।
এসময় নিউ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস’- আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশের নিন্দা করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পরিষ্কার বলেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা মার্কেটের সামনে ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের কারণে দেশের জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তারা আরও অনেক বিরোধী দলের সঙ্গে একত্রে আন্দোলন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলতে চাই যে যারা আমাদের সমস্ত স্বপ্ন ও অর্জনকে ধ্বংস করেছে; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এরমধ্যে দিয়ে জনগণের সত্যিকারের সরকার ও জনগণের সংসদ গঠন করতে হবে।’
তিনি সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে এদেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে চায়। তারা তাদের ভোটের ন্যূনতম অধিকার ফিরে পেতে এবং প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়।
তিনি বলেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
রবিবার দুপুরে উত্তরার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ১২০০ অসহায়, দুস্থ, গরিব-দুঃখী নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুরবস্থা সৃষ্টি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে।
মঈন খান বলেন, আপনারা দেখেছেন নিউ মার্কেট, বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আগুন লাগছে। এ আগুনের রহস্য কী?
তিনি বলেন, যেহেতু সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, কেন আগুন লেগেছে? কিভাবে আগুন লেগেছে? কে লাগিয়েছে? সরকার তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করলে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করব।
তিনি আরও বলেন, কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দোষারোপ করে এইবার আওয়ামী সরকার পার পাবে না।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপির নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুরবস্থা সৃষ্টি করে সরকার নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মার্কেটে একটার পর একটা আগুন লাগছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কী হবে? সাধারণ মানুষের কী হবে? ক্রেতা সাধারণের কী হবে? মানুষ আজ খুব অসহায়, কঠিন ও ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ১২শ’ দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:ওসির বিরুদ্ধে করা তাবিথের মামলা খারিজ
দক্ষিণখান ও উত্তরখানের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের ওয়ার্ড করেছে; কিন্তু ওয়ার্ডের সে সুযোগ-সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। আমাদেরকে ঢাকা সিটি করপোরেশন নামে বলা হয়, কিন্তু কোনো সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা আমাদের কাছে আসে না।
তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা যখন সরকারের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করতে যাই, তখন আমাদের দমন, পীড়ন, হত্যা ও নিপীড়ন করে দমিয়ে রাখা হয়। আমরা যখন আমাদের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যাই, ঠিক সেই মুহূর্তে একটার পর একটা দুর্যোগ ও দুরবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয় এ আওয়ামী অবৈধ সরকার।
তিনি বলেন, চাল-ডালের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বেড়েই চলছে। এ কারণে মানুষ খুব অসহায় ও বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান চায়। এর থেকে মুক্তি পেতে আমাদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মার্কেটে যাতে আগুন না লাগে, তার দায়িত্ব সরকারের এবং আগুন লাগলে তা কিভাবে নিভাতে হবে তার দায়িত্বও কিন্তু সরকারের। কিন্তু আওয়ামী সরকার প্রত্যেকটি দায়িত্বে ব্যর্থ হয়েছে।
মঈন খান বলেন, এদেশের দরিদ্র যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আপনারা দেখেছেন পরপর নিউমার্কেট, বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখেছেন, একের পর এক আগুন লাগছে। এ আগুনের রহস্য কি?
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার তাদের ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়, সেজন্য তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করা উচিত নয় মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, যেহেতু সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, কেন আগুন লেগেছে? কিভাবে আগুন লেগেছে? কে লাগিয়েছে?
তিনি বলেন, সরকার তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করলে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করবো। কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দোষারোপ করে এইবার আওয়ামী সরকার পার পাবে না।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী সরকার এখন ৭২-৭৫ এর স্টাইলে দেশ চালাচ্ছেন। তাদের সকল অন্যায়, নির্যাতন, অবিচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের বিকল্প নাই।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য এবিএমএ রাজ্জাক, স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলোরা পারভীনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসঙ্গঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি: তাবিথ আউয়াল
বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা
সাড়ে ১৬ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার
আসন্ন বোরো মৌসুমে চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল ও এক লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
বোরো ধানের ক্রয়মূল্য কেজিতে ৩০ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গমের ক্রয়মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে কেজিতে ধানের দাম ছিল ২৭ টাকা, সেদ্ধ চালের দাম ছিল ৪০ টাকা এবং গমের দাম ছিল ২৮ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলের বোরো ধানে পোকার আক্রমণ: লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা
বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক,স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সভায় অংশ নেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোমর পানিতে বোরো ধান কাটছে চরাঞ্চলের চাষিরা
বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিতে কাজ করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই অঞ্চলের পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে।
বুধবার ভারতের আগরতলায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণের জন্য অনুরোধ করেন এবং আগরতলায় একটি ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণে তাঁর সহায়তা চান।
রাজ্যের মন্ত্রী সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদে সাম্প্রতিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য ঘর ও হৃদয় খুলে দেওয়ার জন্য তিনি ত্রিপুরার জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তারা পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রচারে সম্মত হন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিমন্ত্রী।
সাহা চলমান কানেক্টিভিটি উদ্যোগ, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার।
এর আগে, প্রতিমন্ত্রী আগরতলায় ত্রিপুরা স্টেট মিউজিয়াম (উজ্জয়ন্ত প্যালেস) পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঢাকার উদ্দেশে আগরতলা ত্যাগ করেন শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
উপবৃত্তি বিতরণে নগদ-এর সঙ্গে সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তি সই
প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি সই করেছে।
এতে আগের মতো ধারাবাহিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ করবে নগদ লিমিটেড।
বুধবার ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ছালেহ আহাম্মদ ও নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেওয়াটা একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করব, নগদ-এর দিক থেকে যতভাবে সম্ভব, যতটা ত্রুটিহীনভাবে করা সম্ভব, সেই চেষ্টাটা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটু সচেতন যদি করে দেন, যাতে গ্রাম পর্যায়ে মায়েরা এসব প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে, তাহলে আমার মনে হয় এটাকে একেবারে ত্রুটিহীনভাবে করা যেতে পারে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমি বলব আজ নগদ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের খবর পাওয়া আজ নগদ-এর জন্য বড় ঘটনা।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছি, এর মধ্যে মূল্যায়নও আছে, আমরা মূল্যায়নও করব। আমরা দেখভালের ব্যবস্থা করব, নগদ যাতে বিকাশ বা শিওর ক্যাশের মতো আমাদের কষ্ট না দেয়, সেটাই আশা করব।’
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭ অর্থ বছর পর্যন্ত মধ্য মেয়াদে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্তে পাঁচ বছরের জন্য নগদ লিমিটেড-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর চুক্তি হয়।
চুক্তির বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘সরকারের উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক জানে না যে উপবৃত্তি আসে কোথায় থেকে! আমরা নগদ-এর পক্ষ থেকে সারা দেশে সবাইকে জানাতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী এই উপবৃত্তি বিতরণ করে থাকেন।
চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে।
এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য আজ ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
৫ শর্তে বিদেশি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র রপ্তানিসহ পাঁচ শর্তে ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিনেমা আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সম্মিলিত চলচিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে নিম্নোক্ত শর্তে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটা দেশগুলো থেকে চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
১. শুধুমাত্র বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিবেশকদের চলচ্চিত্র আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
২. বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে উপ-মহাদেশীয় ভাষায় সাবটাইটেল সহ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
৩. প্রথম বছরে রপ্তানির বিপরীতে ১০টি চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
৪.আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট নিতে হবে।
৫. বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা এবং দুর্গাপূজা সপ্তাহে এই ধরনের কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: মামুনুর রশীদকে নিয়ে সমালোচনার জবাব ডিরেক্টর গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের
এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজ(শনিবার) ৫৫০টি থানা ও উপজেলায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল এবং প্রায় সর্বত্র পুলিশ বাধা দেয়। ঢাকা মহানগরীতে, প্রায় সব নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।’
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতার উস্কানিনিতে সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার সহিংসতা চালাচ্ছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমাদের উস্কানি দিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে চায়।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় ১০ দফা দাবি আদায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সর্বব্যাপী দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করার জন্য এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
ফখরুল দাবি করেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করছে। এটা একটা কাপুরুষোচিত শাসন যা মানুষকে ভয় পায়। তাই তারা জনগণকে কোনো সমাবেশ করতে দেয় না। তারা জনগণের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে কয়েক হাজারকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সময় এসেছে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের জনগণ ও তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেউ এখন বলছে না বাংলাদেশ খুব ভালো, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) সংসদে বিদায়ী ভাষণে তাদের (আ.লীগ) নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিছু সত্য কথা বলেছেন। তিনি প্রথম কথাটি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাজনীতিতে ভদ্রতা ও সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল। ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি)ও (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সংঘাত ভুলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যে দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেই দল গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জনমতের প্রতি সহনশীলতার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে বর্তমান সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং বিভিন্ন সংস্থার আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি হোটেলে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী ১২-দলীয় জোটের এক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েক হাজার মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্তনাদ সারা দেশের মানুষকে আচ্ছন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি এই শাসন ব্যবস্থা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং তারা কোথাও তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভাতে এবং হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারসহ রাজধানীতে অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে প্রায় দুই ডজন লোক মারা গেছে।
ফখরুল বলেন, ‘বঙ্গবাজারে আগুনে কেউ মারা যায়নি বলে আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, তবে তারা (দোকান মালিকরা) আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঘটনার পেছনের কারণ চিহ্নিতকরণ এবং অগ্নিকাণ্ড রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনেক সরকারি সংস্থা ও দপ্তরের দায়িত্ব থাকলেও তারা এ ব্যাপারে কিছুই করতে ব্যর্থ হয়েছে।
দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি সংস্থাগুলোও সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারছে না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা।
এছাড়া কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলেও জানান বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং এটি আশেপাশের কয়েকটি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় পাঁচ হাজার দোকান, প্রধানত তৈরি পোশাক এবং জুতার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও তাদের দুর্ভোগ নিয়ে কম চিন্তা করে। কারণ, এর মূল উদ্দেশ্য যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার সব নৈতিকতা ও নীতিকে বিসর্জন দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার কুমিল্লায় তাদের দলের একটি ইফতার কর্মসূচি ছিল যেখানে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই হামলা চালিয়ে ২০-২৫ জন বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া বুধবার ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সভায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে আহত করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি খুলনা ও নাটোরসহ দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় একই ধরনের হামলা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বিবৃতি দিয়ে কোনো লাভ নেই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এখনই আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে এবং শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক